Ajker Patrika

গোসাইরহাটে প্রশাসনের ওপর জেলেদের হামলার অভিযোগ, আটক ১৮

গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২২, ১৯: ৩৭
গোসাইরহাটে প্রশাসনের ওপর জেলেদের হামলার অভিযোগ, আটক ১৮

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলাকালে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর জেলেদের অতর্কিত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসনের পাঁচ-সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই অভিযান চালিয়ে ১৮ জেলেকে আটক করে পুলিশ।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কুচইপট্টি ইউনিয়নের কোলচুরি-পাতারচর মাইজারা এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনা শুনে রাতেই গোসাইরহাটে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক ও ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি মো. পারভেজ হাসান। পুনরায় রাতেই জোরদার অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নড়িয়া, ভেদেরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলার নদীতে রাতভর অভিযান চালিয়ে ১৮ জেলেকে আটক করেন।

গোসাইরহাট উপজেলা প্রশাসন ও থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার বিকেল ৪টা থেকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে পুলিশসহ গোসাইরহাট উপজেলা প্রশাসনের ১০-১২জনের একটি দল গোসাইরহাটের মেঘনা নদীতে অভিযান শুরু করে। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ ধরার সব ট্রলার নদী থেকে তীরে ভিড়িয়ে রেখে সটকে পড়েন জেলেরা।

এ সময় দুজন জেলেকে আটক করে অভিযান পরিচালনায় ব্যবহৃত ট্রলারে রাখা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুচইপট্টি ইউনিয়নের কোলচুরি-পাতারচর মাইজারা এলাকায় পৌঁছালে উপজেলা প্রশাসনের স্পিডবোট ও ট্রলারের ওপর ১০-১২টি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে প্রায় দেড় শ জেলে একযোগে হামলা করেন। এতে পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসনের পাঁচ-সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে গোসাইরহাট থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামানকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাহাবুদ্দিন ও স্পিডবোটের চালকসহ অন্যদের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

আটক জেলেদের মধ্যে কুচইপট্টির পাঁচকাঠি গ্রামের আলি হোসেন বলেন, ‘স্পিডবোট দিয়া স্যারেরা আমাগোরে ধইরা হেগো টলারে নিয়া রাখছে। পরে আবার স্পিডবোট চালাইয়া অন্যদিকে গেছে। সন্ধ্যার পর কী হইছে তা আমরা জানি না।’

আহত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসিল্যান্ড স্যারের নেতৃত্বে আমরা নদীতে অভিযান পরিচালনা করতে যাই। সন্ধ্যার দিকে ১০-১২টি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে প্রায় এক থেকে দেড় শ জেলে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

হামলায় আহত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘স্পিডবোটে আমরা যে পাঁচজন ছিলাম, মূলত আমাদের এই পাঁচজনের ওপরই হামলা করেছে। আমাদের অভিযান পরিচালনায় ব্যবহৃত ট্রলারটিতে যারা ছিল, তারা যেন আমাদেরকে রক্ষা করতে না পারে, সে জন্য ট্রলারটি আমাদের স্পিডবোটের কাছ আসতে দেয়নি। আমিসহ পাঁচজন আহত হয়েছি। আমার মাথার পেছনে, ঘাড়ে আঘাত লেগেছে। এ ছাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য, স্পিডবোটের চালক আহত হয়েছে।’

গোসাইরহাটের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হক বলেন, ‘সন্ধ্যায় হামলার ঘটনায় আমাদের টিমের পাঁচ-সাতজন আহত হয়েছে। ঘটনার পর ডিসি স্যার রাতে গোসাইরহাটে আসেন। পরে পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে ডিসি স্যার, ইউএনও স্যার, এসিল্যান্ড স্যারসহ আমরা রাতভর নদীতে অভিযান পরিচালনা করেছি। গতকাল বিকেলে দুজন ও রাতের অভিযানে বিভিন্ন এলাকার ১৬ জনসহ মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।’

গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা ঘটনার পর ডিসি স্যারসহ আমরা উপজেলা প্রশাসনের সবাই মিলে পুনরায় রাতে অভিযানে নেমেছি। আটককৃতদের কাছ থেকে আমরা তথ্য উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছি।’ কুচইপট্টি, কোলচুরি-পাতারচর, মাইজারা, ঠান্ডারবাজারসহ ওই এলাকায় যাদের নেতৃত্বে জেলেদের দিয়ে অবৈধভাবে মা ইলিশ ধরার অপরাধ করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গতকালের হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। শরীয়তপুর থেকে প্রিজন ভ্যান পাঠানো হলে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হবে।

গোসাইরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাশ গুপ্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদীতে রাতের অভিযানে আটককৃত ১৮ জনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে ২০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় পুলিশসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতে জেলেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে সেখান থেকে কাউকে আটক করা যায়নি। হামলার ঘটনায় উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মামলা করবেন।’

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফী বিন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানা কয়েক দিন ধরে অভিযানের কারণে আমাদের উপজেলা প্রশাসনের সবাই ব্যস্ত ছিলাম। গতকাল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাশ গুপ্তের নেতৃত্বে মৎস্য কর্মকর্তাসহ অন্যরা অভিযান পরিচালনা করছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় তাদের ওপর জেলেদের অতর্কিত হামলার ঘটনার পর ডিসি স্যারসহ নড়িয়া, ভেদেরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলা প্রশাসনের সবাই মিলে একযোগে এই তিন উপজেলার নদীতে সারা রাত অভিযান পরিচালনা করি। মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন আমাদের এই অভিযান জোরদারভাবে চলমান থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাউজানে সিএনজি-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষ, সবজি ব্যবসায়ী নিহত; আহত ৩

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
নিহত নাজিম উদ্দীন । ছবি: সংগৃহীত
নিহত নাজিম উদ্দীন । ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নাজিম উদ্দীন (৪০) নামের এক সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের অদুদিয়া সড়কের আতুন্নিরঘাটা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাজিম উদ্দীন চিকদাইর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রমজান আলী তালুকদার বাড়ির মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহর থেকে মুরগির বাচ্চাবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান আসার সময় নতুন হাট থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং কাভার্ড ভ্যানটি সড়ক থেকে ছিটকে ধানখেতে পড়ে যায়।

এতে সিএনজিতে থাকা যাত্রী নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত নাজিমের সঙ্গে থাকা মানিক নামের এক যুবক জানান, নাজিম উদ্দীন ভোরে সবজি কেনার জন্য নতুন হাট থেকে অটোরিকশায় করে চট্টগ্রাম নগরীতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, কাভার্ড ভ্যানটি রং সাইডে এসে অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। নিহত নাজিম উদ্দীন চার কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পর রাউজান থানা-পুলিশ গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে মারধর, হাসপাতালে মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ধর্ষণের অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আবু হানিফ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার শাহাদাত হোসেন। নিহত আবু হানিফ (৩০) পেশায় নিরাপত্তাপ্রহরী। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, দুপুরে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করেন। বাসা থেকে তুলে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় তাঁকে মারধর করা হয়।

নিহত ব্যক্তির মেজ বোন রাবেয়া বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে হানিফ বাসায় শুয়ে ছিলেন। এলাকার কিছু ছেলে বাসায় এসেই ভাইয়েরে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়। আমাদের কোনো বাধা শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তা-ও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে, সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন মেয়ে, কবে তার কিছুই আমরা জানি না।’

নিহত ব্যক্তির ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক বাসায় ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। বাসায় আসার পর ওই ছেলেরা আমাকে ধইরা খানপুর জোড়া টাংকির মাঠে নিয়া যায়। তখন দেখি, আমার সম্বন্ধীরে (হানিফ) ভেতরে বসায়া রাখছে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামে স্থানীয় একজনরে চিনছি। সন্ধ্যায় হানিফ ভাইরে অটোতে তুইলা নিয়ে কোথায় যেন চলে যায়। অনেক পরে আমরা তারে হাসপাতালে পাই।’

হানিফ খানপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর স্ত্রী তিন শিশুসন্তানকে নিয়ে কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গেছেন বলে জানান নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা।

নিহত ব্যক্তির বাবা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ছেলে অপরাধ করলে তারে শাস্তি দিব আইনে। কিন্তু তারে মাইরা ফেলল কোন যুক্তিতে! আমি এর বিচার চাই।’

এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার কোনো অভিযোগ আগে আমাদের থানায় কেউ করেনি। পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে পায়। ধর্ষণের আসলেই কোনো চেষ্টা হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: বড় ভাইয়ের মামলা, আসামি মাহিরসহ ৩

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।

ডিসি মল্লিক আহসান বলেন, ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে মাহিরসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় টিউশনি করতে গিয়ে খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। তিনি এক বছর ধরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামে একটি বাড়িতে এক ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) পড়াতেন। ওই বাড়ির সিঁড়িতেই তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রৌশান ভিলার সিঁড়িতে জোবায়েদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ১৫ তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাসার সামনে জড়ো হন জোবায়েদের সহপাঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে: শামীম বিন সাঈদী

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
আজ সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন শামীম বিন সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন শামীম বিন সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।

শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘আমরা পূর্ব থেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। তবে যেহেতু এটি প্রথমবার, আমার মনে হয় প্রাথমিকভাবে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে।’ মঙ্গলবার সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানি থেকে কিছু লোককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে শুনছি। তবে সাদাপোশাকে এসে কাউকে তুলে নেওয়া আমি সমর্থন করি না। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে পরিচয় প্রকাশ করে এবং নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা উচিত। গ্রেপ্তারের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাঁর অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করা প্রয়োজন। নিরীহ ও নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হলে তা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করব না।’

উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ) আসনে এখনো বিএনপি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ফলে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী এককভাবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এবং নিয়মিতভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি নেছারাবাদে গণসংযোগে অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত