নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
২০১২ সালের ১৬ মার্চের রাতে দিনমজুর স্বপনের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর হাতে পরানো হয় হাতকড়া। স্বপন জানতে পারেন, তাঁর নামে ঢাকার গুলশান থানায় একটি অস্ত্র মামলা আছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে দুই মাস জেল খেটে জামিন নিয়ে বের হন স্বপন। এরপর জায়গাজমি বেচে পাঁচ বছর ধরে চেষ্টা করেছেন মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে, হয়নি। মামলার খড়্গ আর ঋণের চাপে শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়েছেন তিনি। তিন বছর ধরে কাজ করছেন কুয়েতের একটি কারখানায়।
কিন্তু এই স্বপন খান অস্ত্র মামলার প্রকৃত আসামি নন। তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মতিসাগর গ্রামের আব্দুল মালেক খানের ছেলে। এই উপজেলারই হামগাঁও গ্রামে আছেন আরেক স্বপন খান। গুলশান থানার ওই মামলার আসামি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা, রংপুরসহ কয়েকটি থানায় হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে ছয়টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রংপুরের কারাগারে আছেন।
দিনমজুর স্বপন খানের খোঁজে গত বুধবার মতিসাগর গ্রামে গিয়ে কথা হয় তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। বাবা আব্দুল মালেক, মা নুরজাহান বেগম, স্ত্রী হাজেরা বেগম আর দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার।
হাজেরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্বামী খেতখামারে কাজ করে সংসার চালাত। সংসারে অভাব থাকলেও সুখ ছিল। কিন্তু মামলার হয়রানি ও ঋণের চাপে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ছেলেমেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পুলিশের ভুলে আমার সুখের সংসার ছারখার হয়ে গেল।’
মামলার নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকার গুলশান এলাকায় ছিনতাইয়ের সময় চারটি গুলিভর্তি পিস্তলসহ আটক হন হামগাঁও গ্রামের স্বপন খান। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করে পুলিশ। কিন্তু কীভাবে যেন মতিসাগর গ্রামের স্বপন খানের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয় মামলার নথিতে। ওদিকে এক মাস সাত দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান হামগাঁও গ্রামের স্বপন। এরপর মামলার শুনানিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু ২০১২ সালের ১৬ মার্চ জাজিরা থানার পুলিশ মতিসাগর থেকে ধরে নিয়ে যায় দিনমজুর স্বপন খানকে।
স্বপনের জামিনের জন্য ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে শরণাপন্ন হয় তাঁর পরিবার। স্বপনের আইনজীবী ছাবিবা রনি বেগম শুনানিতে এক আসামির পরিবর্তে অন্যজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। আদালত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য জাজিরা থানায় প্রতিবেদন চান। থানা থেকে স্বপনকে নির্দোষ দেখিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
জাজিরা থানা-পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেকোনোভাবেই হোক প্রথমে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি তাঁর প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে অন্য ঠিকানা দেওয়ায় এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই নাম-ঠিকানা অনুযায়ী অভিযোগপত্র দেওয়ায় এই সমস্যার উদ্ভব হয়েছে।
আদালত একপর্যায়ে ওই মামলায় আলাদা দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিতের জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জেল কাস্টডি আদালতে উপস্থাপনের আদেশ দেন। কারা কর্তৃপক্ষ দুজনেরই জেল কাস্টডি আদালতে জমা দিলে নাম-ঠিকানার মিল থাকলেও ছবি দেখে দুজন আলাদা ব্যক্তি চিহ্নিত করেন। তখন আদালত দিনমজুর স্বপনকে জামিনে মুক্তি দেন।
২০১২ সালের মে মাসে জামিনে মুক্তি পেয়ে গ্রামে ফিরে আসেন ভুক্তভোগী স্বপন। এরপর মামলা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পাঁচ বছর সংগ্রাম করেন। মামলার প্রতিটি ধার্য তারিখে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হন। তাতেও মামলা থেকে মুক্তি মেলেনি। মামলাটি এখন সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য অন্তত পাঁচ বছর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে দিতে নিঃস্ব হয়েছেন ভুক্তভোগী স্বপন। মামলা চালাতে গিয়ে বাড়ির দুটি গরু ও ২৬ শতাংশ জমি বিক্রি করতে হয়েছে তাঁকে। এ ছাড়া কয়েকটি এনজিওতে অন্তত ১৫ লাখ টাকা ঋণ হয়েছে।
ছেলেকে নিয়ে বিচলিত স্বপনের বাবা আব্দুল মালেক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বপন ছোটবেলা থেকেই কৃষিকাজ করে আসছে। কখনো কাস্তে ছাড়া তার হাতে কিছু ওঠেনি। সেই ছেলে এখন অস্ত্র মামলা মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়েছে।
ভুক্তভোগী স্বপনের আইনজীবী ছাবিবা রনি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অস্ত্র মামলার আসামি স্বপন খান আটক হওয়ার সময় কৌশলে নিজের নাম ঠিক রেখে বাবার নাম ও ঠিকানা বদলে দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাম-ঠিকানা সঠিকভাবে যাচাই না করেই অভিযোগপত্র দেওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে জাজিরা থানায় গেলে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি পুলিশ।
২০১২ সালের ১৬ মার্চের রাতে দিনমজুর স্বপনের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর হাতে পরানো হয় হাতকড়া। স্বপন জানতে পারেন, তাঁর নামে ঢাকার গুলশান থানায় একটি অস্ত্র মামলা আছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে দুই মাস জেল খেটে জামিন নিয়ে বের হন স্বপন। এরপর জায়গাজমি বেচে পাঁচ বছর ধরে চেষ্টা করেছেন মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে, হয়নি। মামলার খড়্গ আর ঋণের চাপে শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়েছেন তিনি। তিন বছর ধরে কাজ করছেন কুয়েতের একটি কারখানায়।
কিন্তু এই স্বপন খান অস্ত্র মামলার প্রকৃত আসামি নন। তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মতিসাগর গ্রামের আব্দুল মালেক খানের ছেলে। এই উপজেলারই হামগাঁও গ্রামে আছেন আরেক স্বপন খান। গুলশান থানার ওই মামলার আসামি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা, রংপুরসহ কয়েকটি থানায় হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে ছয়টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রংপুরের কারাগারে আছেন।
দিনমজুর স্বপন খানের খোঁজে গত বুধবার মতিসাগর গ্রামে গিয়ে কথা হয় তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। বাবা আব্দুল মালেক, মা নুরজাহান বেগম, স্ত্রী হাজেরা বেগম আর দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার।
হাজেরা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্বামী খেতখামারে কাজ করে সংসার চালাত। সংসারে অভাব থাকলেও সুখ ছিল। কিন্তু মামলার হয়রানি ও ঋণের চাপে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ছেলেমেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পুলিশের ভুলে আমার সুখের সংসার ছারখার হয়ে গেল।’
মামলার নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকার গুলশান এলাকায় ছিনতাইয়ের সময় চারটি গুলিভর্তি পিস্তলসহ আটক হন হামগাঁও গ্রামের স্বপন খান। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করে পুলিশ। কিন্তু কীভাবে যেন মতিসাগর গ্রামের স্বপন খানের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয় মামলার নথিতে। ওদিকে এক মাস সাত দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান হামগাঁও গ্রামের স্বপন। এরপর মামলার শুনানিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু ২০১২ সালের ১৬ মার্চ জাজিরা থানার পুলিশ মতিসাগর থেকে ধরে নিয়ে যায় দিনমজুর স্বপন খানকে।
স্বপনের জামিনের জন্য ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে শরণাপন্ন হয় তাঁর পরিবার। স্বপনের আইনজীবী ছাবিবা রনি বেগম শুনানিতে এক আসামির পরিবর্তে অন্যজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। আদালত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য জাজিরা থানায় প্রতিবেদন চান। থানা থেকে স্বপনকে নির্দোষ দেখিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
জাজিরা থানা-পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেকোনোভাবেই হোক প্রথমে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি তাঁর প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে অন্য ঠিকানা দেওয়ায় এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই নাম-ঠিকানা অনুযায়ী অভিযোগপত্র দেওয়ায় এই সমস্যার উদ্ভব হয়েছে।
আদালত একপর্যায়ে ওই মামলায় আলাদা দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিতের জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জেল কাস্টডি আদালতে উপস্থাপনের আদেশ দেন। কারা কর্তৃপক্ষ দুজনেরই জেল কাস্টডি আদালতে জমা দিলে নাম-ঠিকানার মিল থাকলেও ছবি দেখে দুজন আলাদা ব্যক্তি চিহ্নিত করেন। তখন আদালত দিনমজুর স্বপনকে জামিনে মুক্তি দেন।
২০১২ সালের মে মাসে জামিনে মুক্তি পেয়ে গ্রামে ফিরে আসেন ভুক্তভোগী স্বপন। এরপর মামলা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পাঁচ বছর সংগ্রাম করেন। মামলার প্রতিটি ধার্য তারিখে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হন। তাতেও মামলা থেকে মুক্তি মেলেনি। মামলাটি এখন সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য অন্তত পাঁচ বছর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে দিতে নিঃস্ব হয়েছেন ভুক্তভোগী স্বপন। মামলা চালাতে গিয়ে বাড়ির দুটি গরু ও ২৬ শতাংশ জমি বিক্রি করতে হয়েছে তাঁকে। এ ছাড়া কয়েকটি এনজিওতে অন্তত ১৫ লাখ টাকা ঋণ হয়েছে।
ছেলেকে নিয়ে বিচলিত স্বপনের বাবা আব্দুল মালেক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বপন ছোটবেলা থেকেই কৃষিকাজ করে আসছে। কখনো কাস্তে ছাড়া তার হাতে কিছু ওঠেনি। সেই ছেলে এখন অস্ত্র মামলা মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়েছে।
ভুক্তভোগী স্বপনের আইনজীবী ছাবিবা রনি বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অস্ত্র মামলার আসামি স্বপন খান আটক হওয়ার সময় কৌশলে নিজের নাম ঠিক রেখে বাবার নাম ও ঠিকানা বদলে দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাম-ঠিকানা সঠিকভাবে যাচাই না করেই অভিযোগপত্র দেওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে জাজিরা থানায় গেলে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি পুলিশ।
বগুড়ার শেরপুরে এক চিকিৎসকের চেম্বারে প্রবেশ করে মারধর ও নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ উঠেছে অপর এক চিকিৎসকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে পৌরসভার ধুনট মোড় এলাকায় ন্যাশনাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগুনে পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভেতরে এখনো কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন ওই ভবনটির সামনে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত বন্ধ থাকা একটি বেসরকারি হাসপাতালে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ‘সেন্ট্রাল সিটি হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে
১ ঘণ্টা আগেআলোচিত বাংলাদেশি পর্নো তারকা যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দেশে বসেই পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট তৈরি করে আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে তাঁরা। এমনকি দেশে অন্যদের এই কাজে যুক্ত হওয়ার প্রলোভন দেখাতেন।
১ ঘণ্টা আগে