নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর

শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার চাষি বাজারে কৃষকের উৎপাদিত ফসল সরাসরি বিক্রি করা হয়। জেলার অন্যতম বৃহৎ এই পাইকারি সবজির বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৬ থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ওই মিষ্টি কুমড়াই পাইকারি বাজার থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। শুধু মিষ্টি কুমড়া নয়, কৃষকের উৎপাদিত প্রতিটি সবজিই এভাবে দুই থেকে তিন গুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কৃষকদের থেকে সবজি কেনার পর মধ্যস্বত্বভোগীদের তিন-চার দফা হাতবদলের কারণে দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা শহরসহ আশপাশের অন্তত ১২টি সবজির বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। কৃষক পর্যায়ে দাম কম থাকলেও ভোক্তা পর্যায়ে কয়েক গুণ বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে সবজি।
এ বিষয়ে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতা ও ক্রেতারা জানান, কৃষকদের উৎপাদিত সবজি সঠিক দামে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের পাশে জাজিরার মিরাশার এলাকায় একটি চাষি বাজার স্থাপন করা হয়। জাজিরা ও নড়িয়ার স্থানীয় কৃষকেরা ওই বাজারে তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন। ওই চাষি বাজার থেকে ঢাকা, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবজি সংগ্রহ করেন।
মিরাশার চাষি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১১ থেকে ১৩, টমেটো ১২ থেকে ১৫, কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৩৫, উস্তা ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ওই বাজার থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরের পালং বাজার, আঙ্গারিয়া বাজার, কোর্ট বাজারসহ আশপাশের বাজারে ওই সব সবজি বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে। প্রতিটি বাজারেই বেগুন ৬০ থেকে ৭০, ঢ্যাঁড়স ৩০ থেকে ৪০, টমেটো ২৫ থেকে ৩০, কাঁচামরিচ ৭০ থেকে ৮০, উস্তা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাইকারি বাজারে শসা ১৫ টাকা দরে বিক্রি করা হলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। ধুন্দল ও ঝিঙে পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা, খুচরা বাজারে তা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি ১০ থেকে ১২ টাকা, খুচরা বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ডাঁটা প্রতি আঁটি ৫ টাকা, খুচরা বাজারে তা ২৫ টাকা। ধনেপাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, খুচরা বাজারে তা বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
জাজিরার মুলনা ইউনিয়নের ডুবিসায়বর গ্রামের কৃষক ইউনুস মাদবর বলেন, ‘আড়াই বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি। মিরাশার চাষি বাজারে ৬ টাকা কেজি দরে ১৩৫ কেজি কুমড়া বিক্রি করেছি। এতে উৎপাদন ব্যয় ও পরিবহন খরচ উঠবে না। এভাবেই বছরের পর বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে সবজি উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হবে।’
নাওডোবা ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের সুরুজ মাদবর ৩৫ টাকা কেজি দরে ১২০ কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি করে হতাশা প্রকাশ করেন। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঋণের টাকায় ফসল ফলাই। বিক্রির সময় কম মূল্যে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ আমাদের ওই সবজিই হাটবাজারে দুই-তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করতে দেখে হতাশ হই। আসলে আমাদের বিষয়ে ভাবার কেউ নাই।’
জেলা শহরের পালং বাজারে সবজি কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শান্তিনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সবুজ বেপারী। তিনি বলেন, ‘সবকিছুর দাম আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ পাইকারি বাজারে এসব সবজির দাম ২ থেকে ৩ গুণ কম। এতে করে কৃষককে ঠকানো হচ্ছে। মাঝখান থেকে সিন্ডিকেট করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি মনিটরিং করার দাবি জানাচ্ছি।’
মিরাশার চাষি বাজারের সভাপতি আব্দুল জলিল মাদবর বলেন, কৃষকেরা তাঁদের সবজি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। সেখান থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা সবজি সংগ্রহ করেন। পরে পাইকাররা সেই সবজি বিভিন্ন হাটবাজারের আড়তে বিক্রি করেন। আড়ত থেকে খুচরা বিক্রেতারা তা কিনে নিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। এভাবে কয়েক দফা হাতবদলের কারণে সবজির দাম দুই-তিন গুণ বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ইউসূফ হোসেন বলেন, ‘কৃষকের সঙ্গে সরাসরি ভোক্তার সংযোগ নেই। কৃষকের পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে অন্তত চারটি হাত বদল হয়। তাই ধাপে ধাপে সবজির দাম বাড়ে। কৃষকের সঙ্গে খুচরা বিক্রেতার সংযোগ স্থাপনের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তাহলে কৃষকেরাও ন্যায্য মূল্য পাবেন, আবার ভোক্তারাও সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।’
শরীয়তপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী বলেন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রির সামঞ্জস্য থাকতে হবে। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
সহকারী পরিচালক আরও বলেন, বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ উপায়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার চাষি বাজারে কৃষকের উৎপাদিত ফসল সরাসরি বিক্রি করা হয়। জেলার অন্যতম বৃহৎ এই পাইকারি সবজির বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৬ থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ওই মিষ্টি কুমড়াই পাইকারি বাজার থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। শুধু মিষ্টি কুমড়া নয়, কৃষকের উৎপাদিত প্রতিটি সবজিই এভাবে দুই থেকে তিন গুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কৃষকদের থেকে সবজি কেনার পর মধ্যস্বত্বভোগীদের তিন-চার দফা হাতবদলের কারণে দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা শহরসহ আশপাশের অন্তত ১২টি সবজির বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। কৃষক পর্যায়ে দাম কম থাকলেও ভোক্তা পর্যায়ে কয়েক গুণ বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে সবজি।
এ বিষয়ে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতা ও ক্রেতারা জানান, কৃষকদের উৎপাদিত সবজি সঠিক দামে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের পাশে জাজিরার মিরাশার এলাকায় একটি চাষি বাজার স্থাপন করা হয়। জাজিরা ও নড়িয়ার স্থানীয় কৃষকেরা ওই বাজারে তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন। ওই চাষি বাজার থেকে ঢাকা, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবজি সংগ্রহ করেন।
মিরাশার চাষি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১১ থেকে ১৩, টমেটো ১২ থেকে ১৫, কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৩৫, উস্তা ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ওই বাজার থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরের পালং বাজার, আঙ্গারিয়া বাজার, কোর্ট বাজারসহ আশপাশের বাজারে ওই সব সবজি বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে। প্রতিটি বাজারেই বেগুন ৬০ থেকে ৭০, ঢ্যাঁড়স ৩০ থেকে ৪০, টমেটো ২৫ থেকে ৩০, কাঁচামরিচ ৭০ থেকে ৮০, উস্তা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাইকারি বাজারে শসা ১৫ টাকা দরে বিক্রি করা হলেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। ধুন্দল ও ঝিঙে পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা, খুচরা বাজারে তা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি ১০ থেকে ১২ টাকা, খুচরা বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ডাঁটা প্রতি আঁটি ৫ টাকা, খুচরা বাজারে তা ২৫ টাকা। ধনেপাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, খুচরা বাজারে তা বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
জাজিরার মুলনা ইউনিয়নের ডুবিসায়বর গ্রামের কৃষক ইউনুস মাদবর বলেন, ‘আড়াই বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি। মিরাশার চাষি বাজারে ৬ টাকা কেজি দরে ১৩৫ কেজি কুমড়া বিক্রি করেছি। এতে উৎপাদন ব্যয় ও পরিবহন খরচ উঠবে না। এভাবেই বছরের পর বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে সবজি উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হবে।’
নাওডোবা ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের সুরুজ মাদবর ৩৫ টাকা কেজি দরে ১২০ কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি করে হতাশা প্রকাশ করেন। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঋণের টাকায় ফসল ফলাই। বিক্রির সময় কম মূল্যে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ আমাদের ওই সবজিই হাটবাজারে দুই-তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি করতে দেখে হতাশ হই। আসলে আমাদের বিষয়ে ভাবার কেউ নাই।’
জেলা শহরের পালং বাজারে সবজি কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শান্তিনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সবুজ বেপারী। তিনি বলেন, ‘সবকিছুর দাম আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ পাইকারি বাজারে এসব সবজির দাম ২ থেকে ৩ গুণ কম। এতে করে কৃষককে ঠকানো হচ্ছে। মাঝখান থেকে সিন্ডিকেট করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি মনিটরিং করার দাবি জানাচ্ছি।’
মিরাশার চাষি বাজারের সভাপতি আব্দুল জলিল মাদবর বলেন, কৃষকেরা তাঁদের সবজি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। সেখান থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা সবজি সংগ্রহ করেন। পরে পাইকাররা সেই সবজি বিভিন্ন হাটবাজারের আড়তে বিক্রি করেন। আড়ত থেকে খুচরা বিক্রেতারা তা কিনে নিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। এভাবে কয়েক দফা হাতবদলের কারণে সবজির দাম দুই-তিন গুণ বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ইউসূফ হোসেন বলেন, ‘কৃষকের সঙ্গে সরাসরি ভোক্তার সংযোগ নেই। কৃষকের পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে অন্তত চারটি হাত বদল হয়। তাই ধাপে ধাপে সবজির দাম বাড়ে। কৃষকের সঙ্গে খুচরা বিক্রেতার সংযোগ স্থাপনের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তাহলে কৃষকেরাও ন্যায্য মূল্য পাবেন, আবার ভোক্তারাও সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।’
শরীয়তপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী বলেন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রির সামঞ্জস্য থাকতে হবে। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
সহকারী পরিচালক আরও বলেন, বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ উপায়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশের স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ানের সৌরচালিত ভাসমান স্কুল উদ্যোগ ইউনেসকোর মর্যাদাপূর্ণ কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কার ২০২৫ পেয়েছে। শিক্ষায় নতুন উদ্ভাবন ও জীবনব্যাপী শিক্ষার প্রসারে এটি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান, যা চীনা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেওয়া হয়।
২ মিনিট আগে
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনায় বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রথম ধাপে হাসপাতাল ভবনের পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১১৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুনে প্রথম ধাপের কাজও শেষ হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের মধ্যে সম
৭ মিনিট আগে
জমি বর্গা নিয়ে ও ধারদেনা করে পাট চাষ করেছিলেন কৃষকেরা। তাঁরা দেনা শোধ করার জন্য মাসখানেক আগে খেতের পাটগাছ কেটে সোনালি আঁশ বিক্রি করে দেন। সে সময় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে কিনে নেন। এতে কৃষকদের আবাদ ও শ্রমিক খরচও ওঠেনি। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ কৃষকের কাছেই পা
২২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বরগুনায় জমে উঠেছে নির্বাচনী রাজনীতি। একসময় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেই সমীকরণ বদলে গেছে। মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি। এমন বাস্তবতায় মাঠে সক্রিয় বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যরা।
২৫ মিনিট আগেশাহীন রহমান, পাবনা

বাংলাদেশের স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ানের সৌরচালিত ভাসমান স্কুল উদ্যোগ ইউনেসকোর মর্যাদাপূর্ণ কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কার ২০২৫ পেয়েছে। শিক্ষায় নতুন উদ্ভাবন ও জীবনব্যাপী শিক্ষার প্রসারে এটি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান, যা চীনা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেওয়া হয়। গতকাল ‘সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থা’ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে শত শত মনোনয়নের মধ্যে ইউনেসকো তিনটি উদ্যোগকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচন করেছে। সেগুলো হলো বাংলাদেশের সিধুলাই ভাসমান স্কুল, আয়ারল্যান্ডের লার্ন উইথ নালা ই-লার্নিং এবং মরক্কোর সেকেন্ড চান্স স্কুল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ এডুকেশন প্রোগ্রাম। ২০তম পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি গত ২৭ সেপ্টেম্বর চীনের শানডং প্রদেশে কনফুসিয়াসের জন্মস্থান চুফু শহরে অনুষ্ঠিত হয়।

রেজোয়ান তাঁর প্রতিষ্ঠান সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থার পক্ষে ট্রফি ও সনদ গ্রহণ করেন। ছোটবেলায় তিনি চলনবিল এলাকায় বড় হয়েছেন, যেখানে প্রতিবছর বন্যায় স্কুল বন্ধ হয়ে যেত। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ২০০২ সালে তিনি উদ্ভাবন করেন এক অনন্য সমাধান। স্থানীয় নৌকাকে স্কুলে রূপান্তর, যা বিশ্বের সর্বপ্রথম ভাসমান স্কুল হিসেবে পরিচিত। আজও এসব সৌরচালিত নৌকা স্কুল, লাইব্রেরি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে, যা বর্ষায় পানিবেষ্টিত গ্রামগুলোতেও বছরজুড়ে শিক্ষা চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
ইউনেসকো এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছে, ‘বন্যাপ্রবণ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্থানীয়ভাবে তৈরি উদ্ভাবনী উপায়ে সাক্ষরতা শিক্ষা পৌঁছে দেওয়াই এ ভাসমান স্কুলের সাফল্য।’

বাংলাদেশের স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ানের সৌরচালিত ভাসমান স্কুল উদ্যোগ ইউনেসকোর মর্যাদাপূর্ণ কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কার ২০২৫ পেয়েছে। শিক্ষায় নতুন উদ্ভাবন ও জীবনব্যাপী শিক্ষার প্রসারে এটি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান, যা চীনা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেওয়া হয়। গতকাল ‘সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থা’ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে শত শত মনোনয়নের মধ্যে ইউনেসকো তিনটি উদ্যোগকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচন করেছে। সেগুলো হলো বাংলাদেশের সিধুলাই ভাসমান স্কুল, আয়ারল্যান্ডের লার্ন উইথ নালা ই-লার্নিং এবং মরক্কোর সেকেন্ড চান্স স্কুল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ এডুকেশন প্রোগ্রাম। ২০তম পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি গত ২৭ সেপ্টেম্বর চীনের শানডং প্রদেশে কনফুসিয়াসের জন্মস্থান চুফু শহরে অনুষ্ঠিত হয়।

রেজোয়ান তাঁর প্রতিষ্ঠান সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থার পক্ষে ট্রফি ও সনদ গ্রহণ করেন। ছোটবেলায় তিনি চলনবিল এলাকায় বড় হয়েছেন, যেখানে প্রতিবছর বন্যায় স্কুল বন্ধ হয়ে যেত। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ২০০২ সালে তিনি উদ্ভাবন করেন এক অনন্য সমাধান। স্থানীয় নৌকাকে স্কুলে রূপান্তর, যা বিশ্বের সর্বপ্রথম ভাসমান স্কুল হিসেবে পরিচিত। আজও এসব সৌরচালিত নৌকা স্কুল, লাইব্রেরি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে, যা বর্ষায় পানিবেষ্টিত গ্রামগুলোতেও বছরজুড়ে শিক্ষা চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
ইউনেসকো এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছে, ‘বন্যাপ্রবণ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্থানীয়ভাবে তৈরি উদ্ভাবনী উপায়ে সাক্ষরতা শিক্ষা পৌঁছে দেওয়াই এ ভাসমান স্কুলের সাফল্য।’

শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার চাষি বাজারে কৃষকের উৎপাদিত ফসল সরাসরি বিক্রি করা হয়। জেলার অন্যতম বৃহৎ এ পাইকারি সবজির বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৬ থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ওই মিষ্টি কুমড়াই পাইকারি বাজার থেকে...
১৯ এপ্রিল ২০২২
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনায় বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রথম ধাপে হাসপাতাল ভবনের পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১১৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুনে প্রথম ধাপের কাজও শেষ হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের মধ্যে সম
৭ মিনিট আগে
জমি বর্গা নিয়ে ও ধারদেনা করে পাট চাষ করেছিলেন কৃষকেরা। তাঁরা দেনা শোধ করার জন্য মাসখানেক আগে খেতের পাটগাছ কেটে সোনালি আঁশ বিক্রি করে দেন। সে সময় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে কিনে নেন। এতে কৃষকদের আবাদ ও শ্রমিক খরচও ওঠেনি। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ কৃষকের কাছেই পা
২২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বরগুনায় জমে উঠেছে নির্বাচনী রাজনীতি। একসময় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেই সমীকরণ বদলে গেছে। মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি। এমন বাস্তবতায় মাঠে সক্রিয় বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যরা।
২৫ মিনিট আগেকাজী শামিম আহমেদ, খুলনা

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনায় বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রথম ধাপে হাসপাতাল ভবনের পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১১৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুনে প্রথম ধাপের কাজও শেষ হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও হাসপাতালটি চালু করা যায়নি। এতে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার শিশুরা।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ভবন হস্তান্তরের জন্য তিন দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে সাড়া দেয়নি তারা। ফলে ভবন নির্মাণ হলেও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কাগজ-কলমে প্রকল্প শেষ দেখানো হলেও হাসপাতাল এলাকার এক পাশে প্রাচীর ও প্রধান ফটক নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে হাসপাতাল ভবন ও স্থাপনা এলাকা অরক্ষিত থাকছে। আর হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুর জন্য আসবাবপত্র ও জনবলের ব্যবস্থাও এখনো করা যায়নি।
খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার শিশুদের জন্য হাসপাতালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণপূর্ত বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের যদি কোনো সমন্বয়হীনতা থাকে, তাহলে তার সমাধান করে দ্রুত হাসপাতালটি চালু করা দরকার।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন মেলে। হাসপাতালটি নির্মাণে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ময়ূরী আবাসিক এলাকার বিপরীতে সিটি বাইপাস সড়কের পাশে জমি চূড়ান্ত করা হয়। ২০১৯ সালে জেলা প্রশাসন ৫২ কোটি ২ লাখ টাকায় ৪ দশমিক ৮০ একর জমি অধিগ্রহণ করে গণপূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
গণপূর্ত বিভাগ ২০২০ সালে প্রথম পর্যায়ে হাসপাতালের বেসমেন্ট ও একতলা ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রৈতি এন্টারপ্রাইজ ২০২০ সালের ১৪ মে কার্যাদেশ পায়। ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এ কাজের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংশোধিত প্রস্তাবে ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের অনুমোদন মেলে। এতে রান্নাঘর, সাবস্টেশন, পাম্পহাউস, সীমানাপ্রাচীর, রাস্তা, নালা ও গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ কাজের মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালের জুনে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কোনো কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। বারবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে কাগজ-কলমে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত দেখানো হয়। অন্যদিকে নতুন করে হাসপাতালটির ষষ্ঠ থেকে দশম তলার কাজ শুরু করার জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি নির্মাণে জমি অধিগ্রহণে দেরি হয়েছে। এ কারণে দরপত্র আহ্বানও বিলম্বিত হয়। কাজ শুরুর পর জমির প্রবেশপথ নিয়ে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জটিলতা দেখা দেওয়ায় বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। প্রথম ধাপের পঞ্চম তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করে জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ভবন হস্তান্তরের জন্য তিন দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি। ফলে ভবন নির্মাণ হলেও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না।’
খুলনা সিভিল সার্জন মাহফুজা খাতুন চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘কাগজ-কলমে প্রকল্প শেষ দেখানো হলেও হাসপাতাল এলাকার এক পাশে প্রাচীর ও প্রধান ফটক নির্মাণ করা হয়নি। ফলে হাসপাতাল ভবন ও স্থাপনা এলাকা অরক্ষিতই থাকছে। হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুর জন্য আসবাবপত্র ও জনবলের ব্যবস্থাও নেই। গণপূর্তসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সীমানাপ্রাচীর ও প্রধান ফটক নির্মাণ প্রসঙ্গে গণপূর্ত বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, ‘প্রকল্পে পুরো বাউন্ডারি ওয়াল ও প্রধান ফটকের কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তবে ভবনটি ছয়তলা থেকে দশতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণসহ বাকি রাস্তা, বাউন্ডারি ওয়াল, নালা, প্রধান ফটক, নার্স ও স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণে ৯৮ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত এসব কাজ শেষ করা হবে।’
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, সরকারি এ হাসপাতাল নির্মিত হলে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়বে। হাসপাতালকে আরও আধুনিক চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। তাহলে অন্য হাসপাতালগুলোরও চাপ কমবে।

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনায় বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রথম ধাপে হাসপাতাল ভবনের পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১১৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুনে প্রথম ধাপের কাজও শেষ হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও হাসপাতালটি চালু করা যায়নি। এতে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার শিশুরা।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ভবন হস্তান্তরের জন্য তিন দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে সাড়া দেয়নি তারা। ফলে ভবন নির্মাণ হলেও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কাগজ-কলমে প্রকল্প শেষ দেখানো হলেও হাসপাতাল এলাকার এক পাশে প্রাচীর ও প্রধান ফটক নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে হাসপাতাল ভবন ও স্থাপনা এলাকা অরক্ষিত থাকছে। আর হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুর জন্য আসবাবপত্র ও জনবলের ব্যবস্থাও এখনো করা যায়নি।
খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার শিশুদের জন্য হাসপাতালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণপূর্ত বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের যদি কোনো সমন্বয়হীনতা থাকে, তাহলে তার সমাধান করে দ্রুত হাসপাতালটি চালু করা দরকার।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন মেলে। হাসপাতালটি নির্মাণে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ময়ূরী আবাসিক এলাকার বিপরীতে সিটি বাইপাস সড়কের পাশে জমি চূড়ান্ত করা হয়। ২০১৯ সালে জেলা প্রশাসন ৫২ কোটি ২ লাখ টাকায় ৪ দশমিক ৮০ একর জমি অধিগ্রহণ করে গণপূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
গণপূর্ত বিভাগ ২০২০ সালে প্রথম পর্যায়ে হাসপাতালের বেসমেন্ট ও একতলা ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রৈতি এন্টারপ্রাইজ ২০২০ সালের ১৪ মে কার্যাদেশ পায়। ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এ কাজের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংশোধিত প্রস্তাবে ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের অনুমোদন মেলে। এতে রান্নাঘর, সাবস্টেশন, পাম্পহাউস, সীমানাপ্রাচীর, রাস্তা, নালা ও গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ কাজের মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালের জুনে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কোনো কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। বারবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে কাগজ-কলমে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত দেখানো হয়। অন্যদিকে নতুন করে হাসপাতালটির ষষ্ঠ থেকে দশম তলার কাজ শুরু করার জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি নির্মাণে জমি অধিগ্রহণে দেরি হয়েছে। এ কারণে দরপত্র আহ্বানও বিলম্বিত হয়। কাজ শুরুর পর জমির প্রবেশপথ নিয়ে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জটিলতা দেখা দেওয়ায় বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। প্রথম ধাপের পঞ্চম তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করে জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ভবন হস্তান্তরের জন্য তিন দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি। ফলে ভবন নির্মাণ হলেও হস্তান্তর করা যাচ্ছে না।’
খুলনা সিভিল সার্জন মাহফুজা খাতুন চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘কাগজ-কলমে প্রকল্প শেষ দেখানো হলেও হাসপাতাল এলাকার এক পাশে প্রাচীর ও প্রধান ফটক নির্মাণ করা হয়নি। ফলে হাসপাতাল ভবন ও স্থাপনা এলাকা অরক্ষিতই থাকছে। হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুর জন্য আসবাবপত্র ও জনবলের ব্যবস্থাও নেই। গণপূর্তসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সীমানাপ্রাচীর ও প্রধান ফটক নির্মাণ প্রসঙ্গে গণপূর্ত বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, ‘প্রকল্পে পুরো বাউন্ডারি ওয়াল ও প্রধান ফটকের কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তবে ভবনটি ছয়তলা থেকে দশতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণসহ বাকি রাস্তা, বাউন্ডারি ওয়াল, নালা, প্রধান ফটক, নার্স ও স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণে ৯৮ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত এসব কাজ শেষ করা হবে।’
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুজিবুর রহমান বলেন, সরকারি এ হাসপাতাল নির্মিত হলে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়বে। হাসপাতালকে আরও আধুনিক চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। তাহলে অন্য হাসপাতালগুলোরও চাপ কমবে।

শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার চাষি বাজারে কৃষকের উৎপাদিত ফসল সরাসরি বিক্রি করা হয়। জেলার অন্যতম বৃহৎ এ পাইকারি সবজির বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৬ থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ওই মিষ্টি কুমড়াই পাইকারি বাজার থেকে...
১৯ এপ্রিল ২০২২
বাংলাদেশের স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ানের সৌরচালিত ভাসমান স্কুল উদ্যোগ ইউনেসকোর মর্যাদাপূর্ণ কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কার ২০২৫ পেয়েছে। শিক্ষায় নতুন উদ্ভাবন ও জীবনব্যাপী শিক্ষার প্রসারে এটি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান, যা চীনা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেওয়া হয়।
২ মিনিট আগে
জমি বর্গা নিয়ে ও ধারদেনা করে পাট চাষ করেছিলেন কৃষকেরা। তাঁরা দেনা শোধ করার জন্য মাসখানেক আগে খেতের পাটগাছ কেটে সোনালি আঁশ বিক্রি করে দেন। সে সময় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে কিনে নেন। এতে কৃষকদের আবাদ ও শ্রমিক খরচও ওঠেনি। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ কৃষকের কাছেই পা
২২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বরগুনায় জমে উঠেছে নির্বাচনী রাজনীতি। একসময় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেই সমীকরণ বদলে গেছে। মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি। এমন বাস্তবতায় মাঠে সক্রিয় বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যরা।
২৫ মিনিট আগেআনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা

জমি বর্গা নিয়ে ও ধারদেনা করে পাট চাষ করেছিলেন কৃষকেরা। তাঁরা দেনা শোধ করার জন্য মাসখানেক আগে খেতের পাটগাছ কেটে সোনালি আঁশ বিক্রি করে দেন। সে সময় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে কিনে নেন। এতে কৃষকদের আবাদ ও শ্রমিক খরচও ওঠেনি। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ কৃষকের কাছেই পাট নেই। অথচ প্রতি মণ পাটের দাম বেড়ে ৪ হাজার ২০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ফলে কৃষকেরা লোকসানে থাকলেও লাভবান হচ্ছেন পাট মজুত করে রাখা মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং পাটের বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ী চক্রের কারণে পাটচাষিরা লোকসানে পড়েন। মৌসুমের সময় তাঁরা কম দামে পাট কিনে এখন চড়া দামে কারখানায় বিক্রি করছেন। প্রতিবছর ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষ কমিয়ে দিয়েছেন। অনেকে পাটের আবাদই ছেড়ে দিয়েছেন।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ছয় বছর ধরেই পাটের আবাদ কমছে। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা বেড়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে জেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। পরের বছর ২০২২ সালে তা নেমে আসে ১৪ হাজার ৩১৩ হেক্টরে। ২০২৩ সালে তা পরিবর্তিত ছিল। ২০২৪ সালে এসে আরও কমে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৭৯০ হেক্টর। সর্বশেষ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩২ হেক্টর জমিতে আবাদ বাড়লেও এখনো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
জেলার বিভিন্ন হাটে দেখা গেছে, প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায়; যা এক মাস আগেও ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে হাজার ৭০০ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে কৃষকদের কাছে পাটের মজুত নেই। এখন বেচাকেনা চলছে মধ্যস্বত্বভোগী ও বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ফলে পাটের মূল্য বাড়লেও তা কৃষকদের লাভে আসছে না। কারণ, অধিকাংশ কৃষক আগেই ধারদেনা শোধ করতে কম দামে পাট বিক্রি করে দেন।
কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে পাটের দাম নির্ধারণ করেন পাটকলমালিক ও ফড়িয়া সিন্ডিকেট। মৌসুমের শুরুতে তাঁরা কম দামে পাট কিনে মজুত রাখেন। পরে বাজারে চাহিদা বাড়লে দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।
গাইবান্ধার ফুলছড়ির চরাঞ্চলের কৃষক মতি মিয়া বলেন, ‘এখন পাটের দাম ভালো, কিন্তু আমাদের ঘরে তো পাট নাই। কাটার সময় বিক্রি করেছি ২ হাজার ৮০০ টাকায়। তখন বিক্রি না করলে ধারদেনা শোধ হতো না। যাঁরা সেই পাট কিনে মজুত করে রেখেছেন, এখন তাঁরাই লাভ করছেন।’
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের কৃষক সোবাহান মিয়া বলেন, সার, বীজ, শ্রমিক—সবকিছুতেই খরচ বেশি। আবার ঝুঁকি নিতে হয় বন্যা-খরার। এত কষ্ট করে পাট চাষ করে লাভ হয় না।
একই গ্রামের নাজমুল হোসেন বলেন, ‘সরকার যদি মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকের কাছ থেকে পাট কিনত, তাহলে আমরা লোকসানে পড়তাম না। এখন তো আমরা শুধু সিন্ডিকেটের হাতে মরছি।’
ফুলছড়ি হাটের পাইকারি ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, ‘আমরা স্থানীয়ভাবে পাট কিনি, কিন্তু দাম ঠিক হয় ঢাকার মিলমালিকদের নির্দেশে। আমরা শুধু তাঁদের দেওয়া দামে বেচাকেনা করি।’
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিকুল ইসলাম দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে পাটের বাজার ভালো। পাট চাষে উৎসাহিত করতে এ বছর জেলায় দুই হাজার কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। তবে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারলে কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ ফিরবে।

জমি বর্গা নিয়ে ও ধারদেনা করে পাট চাষ করেছিলেন কৃষকেরা। তাঁরা দেনা শোধ করার জন্য মাসখানেক আগে খেতের পাটগাছ কেটে সোনালি আঁশ বিক্রি করে দেন। সে সময় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে কিনে নেন। এতে কৃষকদের আবাদ ও শ্রমিক খরচও ওঠেনি। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ কৃষকের কাছেই পাট নেই। অথচ প্রতি মণ পাটের দাম বেড়ে ৪ হাজার ২০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ফলে কৃষকেরা লোকসানে থাকলেও লাভবান হচ্ছেন পাট মজুত করে রাখা মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং পাটের বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ী চক্রের কারণে পাটচাষিরা লোকসানে পড়েন। মৌসুমের সময় তাঁরা কম দামে পাট কিনে এখন চড়া দামে কারখানায় বিক্রি করছেন। প্রতিবছর ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষ কমিয়ে দিয়েছেন। অনেকে পাটের আবাদই ছেড়ে দিয়েছেন।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ছয় বছর ধরেই পাটের আবাদ কমছে। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা বেড়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে জেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। পরের বছর ২০২২ সালে তা নেমে আসে ১৪ হাজার ৩১৩ হেক্টরে। ২০২৩ সালে তা পরিবর্তিত ছিল। ২০২৪ সালে এসে আরও কমে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৭৯০ হেক্টর। সর্বশেষ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩২ হেক্টর জমিতে আবাদ বাড়লেও এখনো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
জেলার বিভিন্ন হাটে দেখা গেছে, প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায়; যা এক মাস আগেও ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে হাজার ৭০০ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে কৃষকদের কাছে পাটের মজুত নেই। এখন বেচাকেনা চলছে মধ্যস্বত্বভোগী ও বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ফলে পাটের মূল্য বাড়লেও তা কৃষকদের লাভে আসছে না। কারণ, অধিকাংশ কৃষক আগেই ধারদেনা শোধ করতে কম দামে পাট বিক্রি করে দেন।
কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে পাটের দাম নির্ধারণ করেন পাটকলমালিক ও ফড়িয়া সিন্ডিকেট। মৌসুমের শুরুতে তাঁরা কম দামে পাট কিনে মজুত রাখেন। পরে বাজারে চাহিদা বাড়লে দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।
গাইবান্ধার ফুলছড়ির চরাঞ্চলের কৃষক মতি মিয়া বলেন, ‘এখন পাটের দাম ভালো, কিন্তু আমাদের ঘরে তো পাট নাই। কাটার সময় বিক্রি করেছি ২ হাজার ৮০০ টাকায়। তখন বিক্রি না করলে ধারদেনা শোধ হতো না। যাঁরা সেই পাট কিনে মজুত করে রেখেছেন, এখন তাঁরাই লাভ করছেন।’
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের কৃষক সোবাহান মিয়া বলেন, সার, বীজ, শ্রমিক—সবকিছুতেই খরচ বেশি। আবার ঝুঁকি নিতে হয় বন্যা-খরার। এত কষ্ট করে পাট চাষ করে লাভ হয় না।
একই গ্রামের নাজমুল হোসেন বলেন, ‘সরকার যদি মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকের কাছ থেকে পাট কিনত, তাহলে আমরা লোকসানে পড়তাম না। এখন তো আমরা শুধু সিন্ডিকেটের হাতে মরছি।’
ফুলছড়ি হাটের পাইকারি ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, ‘আমরা স্থানীয়ভাবে পাট কিনি, কিন্তু দাম ঠিক হয় ঢাকার মিলমালিকদের নির্দেশে। আমরা শুধু তাঁদের দেওয়া দামে বেচাকেনা করি।’
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিকুল ইসলাম দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে পাটের বাজার ভালো। পাট চাষে উৎসাহিত করতে এ বছর জেলায় দুই হাজার কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। তবে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারলে কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ ফিরবে।

শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার চাষি বাজারে কৃষকের উৎপাদিত ফসল সরাসরি বিক্রি করা হয়। জেলার অন্যতম বৃহৎ এ পাইকারি সবজির বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৬ থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ওই মিষ্টি কুমড়াই পাইকারি বাজার থেকে...
১৯ এপ্রিল ২০২২
বাংলাদেশের স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ানের সৌরচালিত ভাসমান স্কুল উদ্যোগ ইউনেসকোর মর্যাদাপূর্ণ কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কার ২০২৫ পেয়েছে। শিক্ষায় নতুন উদ্ভাবন ও জীবনব্যাপী শিক্ষার প্রসারে এটি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান, যা চীনা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেওয়া হয়।
২ মিনিট আগে
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনায় বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রথম ধাপে হাসপাতাল ভবনের পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১১৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুনে প্রথম ধাপের কাজও শেষ হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের মধ্যে সম
৭ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বরগুনায় জমে উঠেছে নির্বাচনী রাজনীতি। একসময় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেই সমীকরণ বদলে গেছে। মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি। এমন বাস্তবতায় মাঠে সক্রিয় বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যরা।
২৫ মিনিট আগেবরগুনা প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বরগুনায় জমে উঠেছে নির্বাচনী রাজনীতি। একসময় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেই সমীকরণ বদলে গেছে। মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি। এমন বাস্তবতায় মাঠে সক্রিয় বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যরা। নির্বাচন সামনে রেখে জেলার দুটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে মরিয়া অন্তত ১১ জন।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে পুরোদমে মাঠে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলো। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন ইতিমধ্যে জেলার দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ভোটারদের মন জয় করতে গণসংযোগ, সভা-সমাবেশে ব্যস্ত। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদের তৎপরতা সেভাবে চোখে পড়ছে না।
২০০১ সালে বরগুনায় তিনটি সংসদীয় আসন ছিল। বরগুনা-১ (সদর, বেতাগী), বরগুনা-২ (বামনা, পাথরঘাটা) এবং বরগুনা-৩ (আমতলী, তালতলী)। ২০০৮ সালে এটি কমিয়ে দুটি করা হয়। বর্তমানে বরগুনা-১ আসন গঠিত সদর, আমতলী ও তালতলী উপজেলা নিয়ে। আর বরগুনা-২ আসন গঠিত বেতাগী, বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলা নিয়ে। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় মোট ভোটার ৮ লাখ ১ হাজার ১৭৩ জন। এর মধ্যে বরগুনা-১ আসনে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৭ এবং বরগুনা-২ আসনে ৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫৬ জন।
বরগুনা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে তৎপর অন্তত পাঁচজন। তাঁরা হলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা, কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক মাস্টার, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হুমায়ুন হাসান শাহিন এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. রেজবুল কবির। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম মোল্লাকে ২০১৮ সালে সাবেক এমপি মতিউর রহমান তালুকদারের সঙ্গে দলীয় মনোনয়ন তালিকায় রাখা হয়েছিল। পরে মতিউর রহমান তালুকদারের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হলে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘সারা জীবন বিএনপির রাজনীতি করেছি। ছাত্রদল করেছি, দীর্ঘদিন জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলাম। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চার বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাঠে সক্রিয় ছিলাম। রাজপথে আন্দোলন করেছি। তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। সাধারণ মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছি। আশা করি, দল আমার মূল্যায়ন করবে।’
বরগুনা-২ আসনেও রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। আসনটিতে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। বিএনপির মনোনয়নের জন্য এখানে অন্তত ছয়জনের দৌড়ঝাঁপের কথা শোনা যাচ্ছে। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মনি, মরহুম বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের ছেলে ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খন্দকার শোয়াইব মাহবুব, ওলামা দলের মাওলানা শামীম, যুবদলের মনিরুজ্জামান মনির, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের মিজানুর রহমান খান জাকির এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হারুনুর রশিদ খান।
নূরুল ইসলাম মনি বিভিন্ন সভায় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে খন্দকার শোয়াইব মাহবুব বলেন, ‘আমার বাবা বিএনপির কঠিন সময়ে দলকে আগলে রেখেছেন। বৃদ্ধ বয়সে জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে চাই। আশা করি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দল সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বরগুনায় জমে উঠেছে নির্বাচনী রাজনীতি। একসময় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেই সমীকরণ বদলে গেছে। মাঠে নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি। এমন বাস্তবতায় মাঠে সক্রিয় বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যরা। নির্বাচন সামনে রেখে জেলার দুটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে মরিয়া অন্তত ১১ জন।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে পুরোদমে মাঠে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলো। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন ইতিমধ্যে জেলার দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ভোটারদের মন জয় করতে গণসংযোগ, সভা-সমাবেশে ব্যস্ত। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদের তৎপরতা সেভাবে চোখে পড়ছে না।
২০০১ সালে বরগুনায় তিনটি সংসদীয় আসন ছিল। বরগুনা-১ (সদর, বেতাগী), বরগুনা-২ (বামনা, পাথরঘাটা) এবং বরগুনা-৩ (আমতলী, তালতলী)। ২০০৮ সালে এটি কমিয়ে দুটি করা হয়। বর্তমানে বরগুনা-১ আসন গঠিত সদর, আমতলী ও তালতলী উপজেলা নিয়ে। আর বরগুনা-২ আসন গঠিত বেতাগী, বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলা নিয়ে। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় মোট ভোটার ৮ লাখ ১ হাজার ১৭৩ জন। এর মধ্যে বরগুনা-১ আসনে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৭ এবং বরগুনা-২ আসনে ৩ লাখ ১৭ হাজার ২৫৬ জন।
বরগুনা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে তৎপর অন্তত পাঁচজন। তাঁরা হলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা, কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক মাস্টার, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হুমায়ুন হাসান শাহিন এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. রেজবুল কবির। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম মোল্লাকে ২০১৮ সালে সাবেক এমপি মতিউর রহমান তালুকদারের সঙ্গে দলীয় মনোনয়ন তালিকায় রাখা হয়েছিল। পরে মতিউর রহমান তালুকদারের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হলে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘সারা জীবন বিএনপির রাজনীতি করেছি। ছাত্রদল করেছি, দীর্ঘদিন জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলাম। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চার বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মাঠে সক্রিয় ছিলাম। রাজপথে আন্দোলন করেছি। তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। সাধারণ মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছি। আশা করি, দল আমার মূল্যায়ন করবে।’
বরগুনা-২ আসনেও রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। আসনটিতে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। বিএনপির মনোনয়নের জন্য এখানে অন্তত ছয়জনের দৌড়ঝাঁপের কথা শোনা যাচ্ছে। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মনি, মরহুম বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের ছেলে ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খন্দকার শোয়াইব মাহবুব, ওলামা দলের মাওলানা শামীম, যুবদলের মনিরুজ্জামান মনির, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের মিজানুর রহমান খান জাকির এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হারুনুর রশিদ খান।
নূরুল ইসলাম মনি বিভিন্ন সভায় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে খন্দকার শোয়াইব মাহবুব বলেন, ‘আমার বাবা বিএনপির কঠিন সময়ে দলকে আগলে রেখেছেন। বৃদ্ধ বয়সে জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে চাই। আশা করি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দল সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

শরীয়তপুরের জাজিরার মিরাশার চাষি বাজারে কৃষকের উৎপাদিত ফসল সরাসরি বিক্রি করা হয়। জেলার অন্যতম বৃহৎ এ পাইকারি সবজির বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৬ থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ওই মিষ্টি কুমড়াই পাইকারি বাজার থেকে...
১৯ এপ্রিল ২০২২
বাংলাদেশের স্থপতি মোহাম্মদ রেজোয়ানের সৌরচালিত ভাসমান স্কুল উদ্যোগ ইউনেসকোর মর্যাদাপূর্ণ কনফুসিয়াস সাক্ষরতা পুরস্কার ২০২৫ পেয়েছে। শিক্ষায় নতুন উদ্ভাবন ও জীবনব্যাপী শিক্ষার প্রসারে এটি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মান, যা চীনা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেওয়া হয়।
২ মিনিট আগে
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনায় বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রথম ধাপে হাসপাতাল ভবনের পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১১৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুনে প্রথম ধাপের কাজও শেষ হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের মধ্যে সম
৭ মিনিট আগে
জমি বর্গা নিয়ে ও ধারদেনা করে পাট চাষ করেছিলেন কৃষকেরা। তাঁরা দেনা শোধ করার জন্য মাসখানেক আগে খেতের পাটগাছ কেটে সোনালি আঁশ বিক্রি করে দেন। সে সময় ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে কিনে নেন। এতে কৃষকদের আবাদ ও শ্রমিক খরচও ওঠেনি। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ কৃষকের কাছেই পা
২২ মিনিট আগে