Ajker Patrika

সাতক্ষীরায় বিএনপি-জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৮: ০৬
সাতক্ষীরায় বিএনপি-জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ তারিকুল হাসান ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মো. নুরুল হুদাসহ বিএনপি-জামায়াতের আট নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে শহরতলির খানপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক অন্যরা হলেন জেলা জামায়াতের পশ্চিম জোনের আমির মো. মোশাররফ হোসেন সরদার (৬২), সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম (৪২), শিবপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুল হাকিম সরদার (৪০) ও ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আব্দুল হাকিম মোল্লা মিন্টু (৩০), জামায়াত নেতা জামশেদ আলম (৬০) ও মো. ফজর আলী মোল্লা (৬৪)। 

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খানপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের সামনে একত্র হয়ে বৈঠক করার সময় চারটি ককটেল সদৃশ বস্তুসহ তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক আজিজ মাহমুদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্যের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নম্বর-৫)।’ আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভৈরবে ট্রেনে হামলা: আরও একজন গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
গত সোমবার উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গত সোমবার উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলওয়ে স্টেশনে অবরোধ কর্মসূচির সময় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সোহেল মিয়া (২৮) নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরের পঞ্চবটী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আলীর ছেলে সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ।

১১ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে কিশোরগঞ্জ জেলাকে ঢাকা বিভাগ থেকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ভৈরবসহ কিশোরগঞ্জজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কিশোরগঞ্জকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে ভৈরববাসী কর্মসূচি শুরু করেন। পরে ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়। আন্দোলনকারীরা তিন দিনের লাগাতার ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এর অংশ হিসেবে ২৬ অক্টোবর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্জয় মোড়ে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ এবং ২৭ অক্টোবর রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই রেলপথ অবরোধ চলাকালে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্টেশনমাস্টার মো. ইউসুফ বাদী হয়ে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর গতকাল সকালে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় রেলওয়ে পুলিশ। একই রাতে আরও এক অভিযুক্ত সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি সাইদ আহমেদ বলেন, মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে, দ্রুত অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন বলেন, জেলার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে, যেন আন্দোলনের নামে কেউ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কেসিসির অভিযান

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মহানগরীর খালিশপুরস্থ (১২ নম্বর ওয়ার্ডের) হাউসিং এস্টেটের ১৬৪ নম্বর সড়ক ও সড়কসংলগ্ন ড্রেনের জমির ওপর অবৈধভাবে নির্মিত ভবন ও স্থাপনাসমূহের অংশবিশেষ অপসারণ করা হয়েছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর জাহানের নেতৃত্বে আজ বুধবার দিনব্যাপী এই অপসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

কেসিসির এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন জানান, ইতিপূর্বে কেসিসির পক্ষ থেকে সড়কের ওপর নির্মিত স্থাপনাসমূহ অপসারণের জন্য বলা হলেও অধিকাংশ মালিক অবৈধ অংশ নিজ উদ্যোগে অপসারণ করেন। কিন্তু যে মালিকেরা নিজ উদ্যোগে অপসারণ করেননি, আজ কেসিসির উদ্যোগে তাঁদের স্থাপনাসমূহের অবৈধ অংশ অপসারণ করা হয়।

এ ছাড়া অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনাকালে হাউসিং এস্টেটের ১৮ নম্বর সড়কের ফুটপাতের ওপর ফ্রিজসহ অন্যান্য মালামাল রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অপরাধে শাম্মী স্টোরের স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর হাটবাজারের স্বত্বাধিকারী ইমরান খানকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

কেসিসি ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অপসারণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনে রাসিকে অচলাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর নগর ভবনের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর নগর ভবনের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন। আজ বুধবার সকাল থেকেও সারা দিন প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর ফলে কোনো সেবাগ্রহীতা কিংবা রাসিকের শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।

আজ সকালের দিকে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এতে প্রতিটি বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশই পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মচারী। তাঁরা কর্মবিরতি শুরু করায় ইতিমধ্যে ‘পরিচ্ছন্ন নগরী’ হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ীভাবে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের বেশি। এসব শ্রমিকের প্রতিদিনের নির্ধারিত মজুরি ৬০০ টাকা হলেও বাস্তবে পাচ্ছেন ৪৮৪ টাকা করে। এ ছাড়া কোনো দিন কাজে অনুপস্থিত থাকলে তাঁরা বেতন-ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।

তাঁরা বলছেন, গত জানুয়ারিতে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৭৫০ টাকা ও অদক্ষ শ্রমিকদের ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু রাসিক এখনো সেটি বাস্তবায়ন করেনি।

প্রধান ফটক অবরোধ রেখে সমাবেশ চলাকালে বক্তারা বলেন, সব শ্রমিক-কর্মচারীর মাসিক বেতন ন্যূনতম ২২ হাজার ৫০০ টাকা করতে হবে। মাসের তিন তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত উৎসব ভাতাও চালু করতে হবে। কোনো শ্রমিককে বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না; যদি কোনো অনিয়ম ঘটে, তবে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে। চাকরি স্থায়ী করতে হবে এবং চাকরি শেষ হলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।

পরিবহন শাখার গাড়িচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পর রাসিক প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। রাসিকের সচিব ছিলেন ওই কমিটির প্রধান। কমিটির শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও গত তিন মাসে কোনো বৈঠক হয়নি। ফলে বেতনও বাড়েনি।

পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ভ্যানচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চার মাস আগে ভ্যানে আবর্জনা তুলতে গিয়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ পায়ে ঢুকে যায়। তিন মাস চিকিৎসা নিতে হয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন চিকিৎসা ব্যয় দেয়নি, বরং কাজ করতে না পারায় বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে আমি চরম অসহায় অবস্থায় আছি।’

করপোরেশনের প্রবেশদ্বারে শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে আজ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আহমদ আল মঈন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর ঈ সাঈদ, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা সিটি ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সেবাগ্রহীতারা। আগের দিন শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনের বাইরে একটি সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে এ দিন তাঁরা অফিসেই আসেননি।

এ বিষয়ে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে তাঁরা বেশ কিছু বেআইনি দাবি তুলেছেন। সবকিছু আইনের মধ্যেই করা হবে। তাঁদের আন্দোলনে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। তাঁদের নেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পেছনে কারও ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত মাদ্রাসাশিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত মাদ্রাসাশিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাঁদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

আহত শিক্ষকেরা হলেন নজরুল ইসলাম (৫৫), ওসমান গনি (৩৫), আব্দুল জলিল (৪৫), মাসুদ আলম (৬০), আহমদ আলী (৪৫), রুহুল আমিন (৪৫), আব্দুল হাদী (৩২), রেজাউল ইসলাম (৩৫), শাহ আলম (৫৫), নুরুল ইসলাম (৫০), মো. শাহাবুদ্দিন (৩০), মোরশেদ আলম (৪৫), রুবিনা আক্তার (৩৮), আরিফুর রহমান(৩৫), আজিজুলহক (৩৫), কুলসুম আক্তার (৩৫), শাহ আলম (৪৫), আব্দুস সালামসহ (৪১) অনেকে।

ঢামেকে আহত কয়েকজন শিক্ষক জানান, তাঁরা ১৭ দিন ধরে প্রেসক্লাবে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করছিলেন। আজকে দুপুরে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন। এতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক আহত হন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, প্রেসক্লাব এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর বলেন, দুপরের দিকে শিক্ষকেরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের পাশে সচিবালয়ের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত