সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। গত বছরের তুলনায় এবার অর্ধেকে নেমে এসেছে আলুর দাম। কেজিপ্রতি ২৫ টাকা খরচ করে ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বিঘাপ্রতি তাঁদের বড় অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
কৃষকেরা বলছেন, সার, কীটনাশক ও দিনমজুরের খরচ বেড়ে যাওয়ায় আলুর উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়েছে। ফলে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী আলু বিক্রি করে লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনছেন তাঁরা। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত বছর আলুতে ভালো লাভ হওয়ায় এবার আবাদ বেড়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কমেছে।
সদরের বেগুনবাড়ি এলাকার কৃষক মনসুর আলী। চলতি মৌসুমে পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন তিনি। তাতে তাঁর বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা। মনসুর আলী বলেন, আগাম জাতের এক বিঘা (৫০ শতক) জমিতে আলু উৎপাদিত হয়েছে ৩ হাজার কেজি। প্রতি কেজি মাঠে ব্যবসায়ীরা ১৮ টাকা দরে কেনেন। তাতে বিঘাপ্রতি আলু বিক্রি হয় ৫৪ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার পাঁচ বিঘা জমিতে লোকসান হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা।
আলুতে লোকসান হওয়ার কারণ জানিয়ে একই এলাকার কৃষক নুর হোসেন বলেন, এ বছর আলুবীজ ও সার বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ফলে বাজারে ১৮ বা ২০ টাকা দরে বিক্রি করেও লোকসান গুনতে হচ্ছে।
সদরের রহিমানপুর ইউনিয়নের কৃষক জাকারিয়া প্রামাণিক বলেন, ‘আরও ১৫-২০ দিন পর আলু তুলব ভেবেছিলাম। কিন্তু অন্য ফসল লাগানোর জন্য
তড়িঘড়ি করে আলু তুললাম। তাতে বিঘাপ্রতি ৭-১০ মণ কম আলু পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে দামও কম।’
জাকারিয়া প্রামাণিকের কথা শেষ না হতেই আফসার আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, ৪৫ শতক জমিতে গত বছর আলু আবাদে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এ বছর একই জমিতে ১০ হাজার টাকা লোকসান হলো।
রায়পুর এলাকার কাউসার আহমেদ নামের আলুচাষি বলেন, নিম্ন দরের কারণে সংরক্ষিত আলু বাজারজাত করা সম্ভব না হলে বিপুল আলু অবিক্রীত থেকে যাবে এবং আলু ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
শহিদুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, ৫০ শতক জমিতে আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে না পারলে পথে বসতে হবে। অথচ গত বছর এই সময়ে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বর্তমানে কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ যেখানে ২২ থেকে ২৫ টাকা, সেখানে ১৮-১৯ টাকায় সে পণ্য বিক্রি হওয়ায় হতাশ কৃষকেরা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলায় ২৬ হাজার ১৬৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে; যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৮ হাজার ৩৩২ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর আলুর চাহিদা বেশি ছিল। সে তুলনায় জোগান ছিল কম। তাই ভালো দাম পেয়েছে কৃষক। গতবারের দেখাদেখি এবার আবাদ বাড়িয়ে বিপদে পড়েছেন চাষিরা।
ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। গত বছরের তুলনায় এবার অর্ধেকে নেমে এসেছে আলুর দাম। কেজিপ্রতি ২৫ টাকা খরচ করে ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বিঘাপ্রতি তাঁদের বড় অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
কৃষকেরা বলছেন, সার, কীটনাশক ও দিনমজুরের খরচ বেড়ে যাওয়ায় আলুর উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়েছে। ফলে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী আলু বিক্রি করে লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনছেন তাঁরা। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত বছর আলুতে ভালো লাভ হওয়ায় এবার আবাদ বেড়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কমেছে।
সদরের বেগুনবাড়ি এলাকার কৃষক মনসুর আলী। চলতি মৌসুমে পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন তিনি। তাতে তাঁর বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা। মনসুর আলী বলেন, আগাম জাতের এক বিঘা (৫০ শতক) জমিতে আলু উৎপাদিত হয়েছে ৩ হাজার কেজি। প্রতি কেজি মাঠে ব্যবসায়ীরা ১৮ টাকা দরে কেনেন। তাতে বিঘাপ্রতি আলু বিক্রি হয় ৫৪ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার পাঁচ বিঘা জমিতে লোকসান হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা।
আলুতে লোকসান হওয়ার কারণ জানিয়ে একই এলাকার কৃষক নুর হোসেন বলেন, এ বছর আলুবীজ ও সার বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ফলে বাজারে ১৮ বা ২০ টাকা দরে বিক্রি করেও লোকসান গুনতে হচ্ছে।
সদরের রহিমানপুর ইউনিয়নের কৃষক জাকারিয়া প্রামাণিক বলেন, ‘আরও ১৫-২০ দিন পর আলু তুলব ভেবেছিলাম। কিন্তু অন্য ফসল লাগানোর জন্য
তড়িঘড়ি করে আলু তুললাম। তাতে বিঘাপ্রতি ৭-১০ মণ কম আলু পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে দামও কম।’
জাকারিয়া প্রামাণিকের কথা শেষ না হতেই আফসার আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, ৪৫ শতক জমিতে গত বছর আলু আবাদে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এ বছর একই জমিতে ১০ হাজার টাকা লোকসান হলো।
রায়পুর এলাকার কাউসার আহমেদ নামের আলুচাষি বলেন, নিম্ন দরের কারণে সংরক্ষিত আলু বাজারজাত করা সম্ভব না হলে বিপুল আলু অবিক্রীত থেকে যাবে এবং আলু ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
শহিদুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, ৫০ শতক জমিতে আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে না পারলে পথে বসতে হবে। অথচ গত বছর এই সময়ে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বর্তমানে কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ যেখানে ২২ থেকে ২৫ টাকা, সেখানে ১৮-১৯ টাকায় সে পণ্য বিক্রি হওয়ায় হতাশ কৃষকেরা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলায় ২৬ হাজার ১৬৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে; যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৮ হাজার ৩৩২ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর আলুর চাহিদা বেশি ছিল। সে তুলনায় জোগান ছিল কম। তাই ভালো দাম পেয়েছে কৃষক। গতবারের দেখাদেখি এবার আবাদ বাড়িয়ে বিপদে পড়েছেন চাষিরা।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন ও ইফতার করেছেন ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি গ্রামের মানুষ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তারাবির নামাজ আদায় ও সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে আজ শনিবার (১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শেষে ইফতার করেন তাঁরা।
২ মিনিট আগেবিসিএস প্রশাসন কল্যাণ সমিতির ভবনে দুস্কৃতকারিদের বোমা হামলায় একজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে গণমাধ্যমে যে বিবৃতিটি এসেছে— তা ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে।
১৫ মিনিট আগেমোরেলগঞ্জে ঘের নিয়ে সালিসে হাতাহাতিতে আহত কৃষক মহিউদ্দিন মহারাজের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে থেকে মো. মিজানুর রহমান নামে সাবেক এক সেনাসদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
২৪ মিনিট আগেরাজশাহীর দুর্গাপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার পাইকড়তলী গ্রামের ওয়াশিমের স্ত্রী জান্নাতুন (২৮) এবং উপজেলার তেবিলা গ্রামের রেন্টুর স্ত্রী তহমিনা (৩২)।
৩৪ মিনিট আগে