Ajker Patrika

মলত্যাগ নিয়ে ঝগড়ায় প্রতিমা ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ২

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
মলত্যাগ নিয়ে ঝগড়ায় প্রতিমা ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ২

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নে তিন দিনের ব্যবধানে রাতের আঁধারে দুটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ নারায়ণজন জেলেপাড়া ও কিসামত মেনানগর বানিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ নারায়ণজন জেলেপাড়া গ্রামে মঙ্গল দাসের মন্দিরের প্রতিমা ভাঙার দায়ের করা মামলায় পুলিশ প্রতিবেশী দুজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ জেলেপাড়া গ্রামের মঙ্গল দাস তাঁর বাড়ির উঠানে পাটকাঠি দিয়ে ঘেরা রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে প্রার্থনা শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উঠে দেখেন তাঁর মন্দিরের একটি প্রতিমার হাতের কবজি ও আঙুল ভাঙা। তখন স্বামী সন্তানদের ডেকে দেখান তিনি। এ ঘটনায় মঙ্গল দাসের ছেলে মনোরঞ্জন দাস বাদী হয়ে প্রতিবেশী মদন দাস ও গোপাল দাস করে আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেন।     

মঙ্গল দাসের ছেলে মনোরঞ্জন দাস অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁর মা আরতি রানী দেখতে পান মন্দিরের পাশে মানুষের মল। কে বা কারা সেখানে মল ত্যাগ করেছেন। তাই দেখে তাঁর মা রাগারাগি করেন। এ নিয়ে মদন দাস ও গোপাল দাস গাঁয়ে পড়ে ঝগড়া লাগায়। তাঁরা আমার মাকে পিটিয়ে পিটের চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা স্থানীয় ইউপি সদস্য লায়লা খাতুনকে জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের কোনো এক সময় তাঁরা আমাদের রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। 

থানা হাজতে আটক মদন দাস ও গোপাল দাস বলেন, ভাই, আমরা পূজা-অর্চনা করি, প্রার্থনা করি। আমরা কেন পূজা ভাঙব। কে বা কারা প্রতিমা ভাঙছে এখন তা আমাদের ওপর চাপানো হচ্ছে। আরতি রানী দাসের সঙ্গে আমাদের এমনি কথা-কাটাকাটি হয়েছে। সে জন্যই আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। 

এ দিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর বানিয়াপাড়া গ্রামের জীবন রায় তাঁর নিজ বাড়ির উঠানে মনসা মন্দিরে প্রার্থনা করে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে তাঁর স্ত্রী শিল্পী রানী মন্দিরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে দেখতে পান মনসা প্রতিমাটি বেদিতে উল্টে পড়ে আছে। প্রতিমার মাথার কিছু অংশ ভাঙা। এ ঘটনায় জীবন রায় বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। 

জানতে চাইলে তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহম্মদ বলেন, দুই ঘটনাস্থলেই রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিফাত-ই-রব্বান স্যার পরিদর্শন করেছেন। পৃথক দুটি ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। দক্ষিণ নারায়ণজন জেলেপাড়ার ঘটনায় মঙ্গল দাসের ছেলে মনোরঞ্জন দাস প্রতিবেশ মদন দাস ও গোপাল দাসকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তাঁদের দুজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে গতকাল বৃহস্পতিবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 
 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত