গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার গাইবান্ধা নাট্য সংস্থার সামনে এ বিক্ষোভ করা হয়।
সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুনবী টিটুল, পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, আদিবাসী–বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, জন–উদ্যোগের সদস্যসচিব প্রবীর চক্রবর্তী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর কবির তনু, মানবাধিকারকর্মী গোলাম রব্বানী মুসা, অঞ্জলী রানী দেবী, জেলা বিএনপির নেতা সাহেদ হোসেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেতা সুফল হেমব্রম, থমাস হেমব্রম, সুচিত্রা মুরমু তৃষ্ণা, নারী নেত্রী নাজমা বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাঁওতাল হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। এমন একটি বীভৎস, অমানবিক ঘটনার আজও বিচার কাজ শুরু হয়নি। অথচ সাঁওতাল হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তাঁরা বলেন, উপরন্তু সন্ত্রাসীরা নতুন করে সাঁওতালদের বাড়ি, কৃষিকাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ভাঙচুর, মারধর, ভয়ভীতি ও জমি দখল করছে। এ নিয়ে সাঁওতালদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি; সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠনেরও দাবি জানানো হয়।
সারা দেশে সাঁওতালসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানবাধিকার, জীবন মানের দিক দিয়ে আজও নানাভাবে বঞ্চিত। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিলুপ্ত হওয়ার পথে। শুধু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীই বিলুপ্ত হচ্ছে না, তাঁদের সংস্কৃতি, ভাষাও বিলুপ্ত হচ্ছে। পরিণত হচ্ছে দেশের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীতে।
অধিকাংশই ভূমিহীন, তাঁদের কাছে ভূমি নেই। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ক্রমাগত সাঁওতালসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সাঁওতালরা তাদের অধিকার ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত।
সমাবেশের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে সাঁওতাল-বাঙালি নারী-পুরুষেরা তাদের অধিকার ও দাবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সাঁওতাল নারী-পুরুষেরা তাঁদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী পোশাক, বাদ্যযন্ত্র ও তির, ধনুকসহ অংশগ্রহণ করে।
আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ ও নাগরিক সংগঠন জন–উদ্যোগ, গাইবান্ধার যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির পালন করা হয়।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার গাইবান্ধা নাট্য সংস্থার সামনে এ বিক্ষোভ করা হয়।
সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুনবী টিটুল, পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, আদিবাসী–বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, জন–উদ্যোগের সদস্যসচিব প্রবীর চক্রবর্তী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর কবির তনু, মানবাধিকারকর্মী গোলাম রব্বানী মুসা, অঞ্জলী রানী দেবী, জেলা বিএনপির নেতা সাহেদ হোসেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেতা সুফল হেমব্রম, থমাস হেমব্রম, সুচিত্রা মুরমু তৃষ্ণা, নারী নেত্রী নাজমা বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাঁওতাল হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। এমন একটি বীভৎস, অমানবিক ঘটনার আজও বিচার কাজ শুরু হয়নি। অথচ সাঁওতাল হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তাঁরা বলেন, উপরন্তু সন্ত্রাসীরা নতুন করে সাঁওতালদের বাড়ি, কৃষিকাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ভাঙচুর, মারধর, ভয়ভীতি ও জমি দখল করছে। এ নিয়ে সাঁওতালদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি; সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠনেরও দাবি জানানো হয়।
সারা দেশে সাঁওতালসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানবাধিকার, জীবন মানের দিক দিয়ে আজও নানাভাবে বঞ্চিত। সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিলুপ্ত হওয়ার পথে। শুধু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীই বিলুপ্ত হচ্ছে না, তাঁদের সংস্কৃতি, ভাষাও বিলুপ্ত হচ্ছে। পরিণত হচ্ছে দেশের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীতে।
অধিকাংশই ভূমিহীন, তাঁদের কাছে ভূমি নেই। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ক্রমাগত সাঁওতালসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সাঁওতালরা তাদের অধিকার ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত।
সমাবেশের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে সাঁওতাল-বাঙালি নারী-পুরুষেরা তাদের অধিকার ও দাবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সাঁওতাল নারী-পুরুষেরা তাঁদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী পোশাক, বাদ্যযন্ত্র ও তির, ধনুকসহ অংশগ্রহণ করে।
আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ ও নাগরিক সংগঠন জন–উদ্যোগ, গাইবান্ধার যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির পালন করা হয়।
প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধের পর আইন উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা পুলিশ পাহারায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে থেকে বের হন। তবে প্রধান সড়কে তাঁদের গাড়িবহর উঠতেই বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ফের তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বের হন তাঁরা।
২ মিনিট আগেমাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের পর শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারানো শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী তাঁর নিজ গ্রামে শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার নীলফামারীর ডিমলায় ওই শিক্ষকের গ্রামের লোকজনের কাছে এ কথা জানা যায়।
৩ মিনিট আগেগয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সবাই আমরা শোকাহত, কোনো ভাষা নাই। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। মৃত্যু মনে হয় ২৭ ছাড়িয়েছে। যারা বেঁচে থাকবে, তারাও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবে না। যে শিশুরা মরে গেল, তাদের মা-বাবার চোখের জল কী দিয়ে পূরণ করব?’
২২ মিনিট আগেমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সব শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ভেতরে অবরুদ্ধ থাকা দুই উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সিআর আবরারকে নিরাপদে বের করে আনতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে