প্রতিনিধি
রংপুর: নিখোঁজের পর উদ্ধার হওয়া রংপুরের ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান ও তাঁর দুই সঙ্গী রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ছাড়া পেয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে দীর্ঘ জবানবন্দি শেষে তাঁদের ছেড়ে দেন রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম হাফিজুর রহমান। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই তিনজনকে গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে আদালতে নেওয়া হয়।
আদনানের সঙ্গে মুক্তি পাওয়া তাঁর দুই সঙ্গী হলেন আবু মুহিত আনছারী ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ফয়েজ।
আদালত চত্বরে বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, ত্ব-হা আদনানের মা এবং আমীর উদ্দীনের ভাইয়ের করা জিডির সূত্রে ওই তিনজনকে আদালতে উপস্থিত করা হয়েছিল। আদালতের কাছে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। আদালত ওই তিনজনের জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচার-বিশ্লেষণ শেষে তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তিনজনকেই নিজ নিজ জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছেন।
আদালত থেকে বের হয়ে ত্ব-হা আদনান দ্রুত তাঁর মা ও ছোট বোনসহ একটি সাদা প্রাইভেট কারযোগে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের বাসার দিকে যান। আদনানের অপর দুই সঙ্গীও তাদের স্বজনদের সঙ্গে আদালত চত্বর ত্যাগ করেন। তাঁরা কেউই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে নগরীর মাস্টারপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর আদনানের নিখোঁজ তিন সঙ্গীর মধ্যে দুজনকে নিজ নিজ বাসা থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে বিকেল ৫টায় রংপুর মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান ও তাঁর তিন সঙ্গী ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আত্মগোপনে ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মহানগর পুলিশের (আরপিএমপি) অপরাধ বিভাগের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, `ত্ব-হা আদনান গাইবান্ধায় তাঁর এক বন্ধুর বাসায় তিন সঙ্গীসহ ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন। আদনানের মায়ের জিডির সূত্রে পুলিশ অনুসন্ধান করতে থাকে। গতকাল শুক্রবার গোপন সূত্রে জানতে পারি আবু ত্ব-হা নগরীর মাস্টারপাড়ায় অবস্থিত তাঁর প্রথম স্ত্রীর বাবার বাসায় আছেন। সংবাদ পেয়ে তাঁকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অপর দুই সঙ্গীরও সন্ধান পাই। তাঁদেরও নিজ নিজ বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।'
আবু মারুফ হোসেন জানান, গত ১০ জুন বৃহস্পতিবার রংপুর থেকে প্রাইভেট কার ভাড়া করে ঢাকার পথে রওনা হন আবু ত্ব-হাসহ আব্দুল মুহিত, ফিরোজ আলম ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন। পরে তাঁরা ঢাকার গাবতলীতে পৌঁছালে ত্ব-হার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে সেখান থেকে গাইবান্ধার ত্রিমোহনীতে চলে যান। সেখানে তাঁর পূর্বপরিচিত এক বন্ধুর বাড়িতে অবস্থান করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে তাঁর তিন সঙ্গীও ছিলেন।
মারুফ হোসেন আরও বলেন, ওই বাড়িতে অবস্থানকালে ত্ব-হার ইচ্ছাতেই সবাই তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন। তাঁরা কিছুদিন এভাবে আত্মগোপনে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। মূলত পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যার কারণেই ত্ব-হার কথায় রাজি হয়ে তাঁরা স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। তবে তাঁদের এই আত্মগোপনে থাকার দাবি রাষ্ট্র বা সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলার জন্য কোনো ষড়যন্ত্র কি-না, তা পুলিশ খতিয়ে দেখবে বলে জানান রংপুর মহানগর পুলিশের (আরপিএমপি) অপরাধ বিভাগের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন।
তরুণ ইসলামি বক্তা আদনানের পৈতৃক বাড়ি রাজশাহী। তবে বাবা মারা যাওয়ার পরে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে নানার বাড়িতে বড় হন তিনি। বিয়ের পর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নগরীর নিউ শালবন এলাকায় বসবাস করেন তিনি।
আদনানের প্রকৃত নাম আফছানুল আদনান। তিনি দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করলেও একসময় ইসলামী জীবনধারণ করতে শুরু করেন। স্থানীয় একটি মাদরাসায় ইসলামী শিক্ষা নিয়ে ইউটিউবে বক্তব্যের ভিডিও আপলোড করা শুরু করেন। এতে তাঁর অনেক ভক্ত তৈরি হয়।
আদনানের মায়ের নাম আজেদা বেগম। বাবা মৃত রফিকুল ইসলাম। ছোট বোন রিতিকা রুবাইয়াত ইসলাম। আদনানের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী আবিদা নুর, তাঁদের সংসারে তিন বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। কয়েক মাস আগে আদনান আরেকটি বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহার সারা ঢাকার মিরপুর আল ইদফান ইসলামী গার্লস মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক।
গত আট দিন ধরে চার সঙ্গীসহ নিখোঁজ ছিলেন আদনান ত্ব-হা। এ নিয়ে দেশব্যাপী তুমুল আলোচনা-সমালোচনার পর গতকাল শুক্রবার তাঁর খোঁজ মেলে।
রংপুর: নিখোঁজের পর উদ্ধার হওয়া রংপুরের ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান ও তাঁর দুই সঙ্গী রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ছাড়া পেয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে দীর্ঘ জবানবন্দি শেষে তাঁদের ছেড়ে দেন রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম হাফিজুর রহমান। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই তিনজনকে গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে আদালতে নেওয়া হয়।
আদনানের সঙ্গে মুক্তি পাওয়া তাঁর দুই সঙ্গী হলেন আবু মুহিত আনছারী ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ফয়েজ।
আদালত চত্বরে বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, ত্ব-হা আদনানের মা এবং আমীর উদ্দীনের ভাইয়ের করা জিডির সূত্রে ওই তিনজনকে আদালতে উপস্থিত করা হয়েছিল। আদালতের কাছে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। আদালত ওই তিনজনের জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচার-বিশ্লেষণ শেষে তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তিনজনকেই নিজ নিজ জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছেন।
আদালত থেকে বের হয়ে ত্ব-হা আদনান দ্রুত তাঁর মা ও ছোট বোনসহ একটি সাদা প্রাইভেট কারযোগে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের বাসার দিকে যান। আদনানের অপর দুই সঙ্গীও তাদের স্বজনদের সঙ্গে আদালত চত্বর ত্যাগ করেন। তাঁরা কেউই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।
এর আগে বেলা ৩টার দিকে নগরীর মাস্টারপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর আদনানের নিখোঁজ তিন সঙ্গীর মধ্যে দুজনকে নিজ নিজ বাসা থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে বিকেল ৫টায় রংপুর মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান ও তাঁর তিন সঙ্গী ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আত্মগোপনে ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মহানগর পুলিশের (আরপিএমপি) অপরাধ বিভাগের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, `ত্ব-হা আদনান গাইবান্ধায় তাঁর এক বন্ধুর বাসায় তিন সঙ্গীসহ ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন। আদনানের মায়ের জিডির সূত্রে পুলিশ অনুসন্ধান করতে থাকে। গতকাল শুক্রবার গোপন সূত্রে জানতে পারি আবু ত্ব-হা নগরীর মাস্টারপাড়ায় অবস্থিত তাঁর প্রথম স্ত্রীর বাবার বাসায় আছেন। সংবাদ পেয়ে তাঁকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অপর দুই সঙ্গীরও সন্ধান পাই। তাঁদেরও নিজ নিজ বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।'
আবু মারুফ হোসেন জানান, গত ১০ জুন বৃহস্পতিবার রংপুর থেকে প্রাইভেট কার ভাড়া করে ঢাকার পথে রওনা হন আবু ত্ব-হাসহ আব্দুল মুহিত, ফিরোজ আলম ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন। পরে তাঁরা ঢাকার গাবতলীতে পৌঁছালে ত্ব-হার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে সেখান থেকে গাইবান্ধার ত্রিমোহনীতে চলে যান। সেখানে তাঁর পূর্বপরিচিত এক বন্ধুর বাড়িতে অবস্থান করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে তাঁর তিন সঙ্গীও ছিলেন।
মারুফ হোসেন আরও বলেন, ওই বাড়িতে অবস্থানকালে ত্ব-হার ইচ্ছাতেই সবাই তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন। তাঁরা কিছুদিন এভাবে আত্মগোপনে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। মূলত পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যার কারণেই ত্ব-হার কথায় রাজি হয়ে তাঁরা স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। তবে তাঁদের এই আত্মগোপনে থাকার দাবি রাষ্ট্র বা সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলার জন্য কোনো ষড়যন্ত্র কি-না, তা পুলিশ খতিয়ে দেখবে বলে জানান রংপুর মহানগর পুলিশের (আরপিএমপি) অপরাধ বিভাগের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন।
তরুণ ইসলামি বক্তা আদনানের পৈতৃক বাড়ি রাজশাহী। তবে বাবা মারা যাওয়ার পরে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে নানার বাড়িতে বড় হন তিনি। বিয়ের পর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নগরীর নিউ শালবন এলাকায় বসবাস করেন তিনি।
আদনানের প্রকৃত নাম আফছানুল আদনান। তিনি দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করলেও একসময় ইসলামী জীবনধারণ করতে শুরু করেন। স্থানীয় একটি মাদরাসায় ইসলামী শিক্ষা নিয়ে ইউটিউবে বক্তব্যের ভিডিও আপলোড করা শুরু করেন। এতে তাঁর অনেক ভক্ত তৈরি হয়।
আদনানের মায়ের নাম আজেদা বেগম। বাবা মৃত রফিকুল ইসলাম। ছোট বোন রিতিকা রুবাইয়াত ইসলাম। আদনানের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী আবিদা নুর, তাঁদের সংসারে তিন বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। কয়েক মাস আগে আদনান আরেকটি বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহার সারা ঢাকার মিরপুর আল ইদফান ইসলামী গার্লস মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক।
গত আট দিন ধরে চার সঙ্গীসহ নিখোঁজ ছিলেন আদনান ত্ব-হা। এ নিয়ে দেশব্যাপী তুমুল আলোচনা-সমালোচনার পর গতকাল শুক্রবার তাঁর খোঁজ মেলে।
সংসারের হাল ধরতে পাঁচ মাস আগে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে পাড়ি জমান ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নুর আলম খান (৩৬)। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, দুই মাসের মাথায় গত জানুয়ারিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। নানা জটিলতার কারণে তাঁর মৃত্যুর তিন মাস পর লাশ এসেছে দেশের মাটিতে।
২ মিনিট আগেময়মনসিংহের ভালুকায় গতকাল শুক্রবার রাতে একটি কবরস্থানের পাঁচটি কবরের কঙ্কাল চুরির হয়েছে। উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের লবণকোঠা গ্রামের আইয়ুব আলী মাস্টারের পারিবারিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগেপরকীয়া সন্দেহে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর মাহবুব আলম টুটুল (৩২) নামে এক যুবক বিষপানে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মেছোপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘দোয়া কবুলের অলৌকিক গল্প’ নামে একটি গ্রুপে চোখ পড়ে আফরোজা হোসেন নামের এক নারীর। সেখানে পোস্ট করা হয়, ‘তদবির রুকাইয়া অনেকের সমস্যার সমাধান করেছে!’ কৌতূহলী আফরোজা মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করলেন পোস্টদাতার সঙ্গে। সেই নারী তাঁকে বললেন, ‘আমার “তাহকিয়া” খুব কাজ করে!’ এরপর...
১৮ মিনিট আগে