গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের গঙ্গাচড়ার রবিউল ইসলাম থাকতেন ওমানে। সেখানে মুদিদোকানের ব্যবসা করতেন। নিজ গ্রামের বেকার যুবকদের ওমানে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখাতেন। ১০ জনকে ওমানে নিয়েও যান। এর বিনিময়ে হাতিয়ে নেন অর্ধকোটি টাকা। তবে তাঁর মাধ্যমে যাওয়া যুবকেরা গিয়ে কাজ পাননি। এক বছর বেকার থেকে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তাঁরা দেশে ফিরে এসেছেন। রবিউলের ফাঁদে পড়ে এসব যুবক ও তাঁদের পরিবার এখন নিঃস্ব। ফিরে আসা তিনজন রবিউলের নামে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
লেবু মিয়া, দুদু মিয়া ও মো. মোশারফ গত ১৯ সেপ্টেম্বর গঙ্গাচড়া মডেল থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে রবিউল ইসলাম (৩৮) ছাড়াও সহযোগী হিসেবে তাঁর ভাই শফিকুল ইসলাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৪২) ও ভগ্নিপতি হামিদুল ইসলামের (৪৫) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবিউলের বাড়ি উপজেলার আলমবিদিতর চৌধুরীপাড়া গ্রামে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে ওমানে একটি ছোট্ট মুদিদোকানের ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে তাঁর গ্রামের কিছু বেকার যুবককে ওমানের বেসরকারি কোম্পানিতে বাংলাদেশি টাকায় মাসে ৭০ হাজার টাকা বেতনে কাজ দেওয়ার লোভ দেখান। এক বছর আগে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেন রবিউল। তাঁদের ‘ফ্রি ভিসায়’ ওই দেশে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পর ওই যুবকদের কোনো কোম্পানিতে কাজ দেওয়া হয়নি। কাজ দেওয়ার কথা বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন রবিউল।
এভাবে তাঁরা প্রায় এক বছর বেকার ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা কাজের জন্য চাপ দিলে মুদিদোকানটি গোপনে বিক্রি করে তিন মাস আগে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন রবিউল। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীরাও সম্প্রতি বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তাঁরা রবিউলের কাছে টাকা ফেরত চাইলে পাল্টা রবিউলই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ওমানফেরত লেবু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রবিউল আমার কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। শুধু আমার সঙ্গেই এমন করে নাই, প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জনের সঙ্গে এ রকম করেছে। রবিউলের ফাঁদে পড়ে আজকে আমি সর্বস্বান্ত।’
পাশের এলাকার দুদু মিয়া বলেন, ‘ওমানে এমন দিন গেছে, আমরা সেখানে শুধু লবণ মাখি এক বেলা ভাত খেয়েছি। যখন আমরা দেখতেছি আর পাচ্ছি না। তখন আমরা বাধ্য হয়ে বাড়িতে ফোন করি। বাড়ি থেকে ঋণ করে টাকা নিয়ে সেখানে চলছি। বাড়িতে এখন ঋণের টাকার জন্য চাপ দেয় লোকজন।’
এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানার জন্য রবিউলের বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে রবিউলের ভাই শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাই তাদের ফ্রি ভিসায় বিদেশে নিয়ে গিয়ে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এখন তাদের মাঝে যে কী হলো আমি জানি না। কেন তারা সেখান থেকে চলে এসেছে।’ তাঁর ভাই কোথায় সে বিষয় জানতে চাইলে শফিকুল বলেন, ‘আমি জানি না সে কোথায়। আমাদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নাই। তবে শুনেছি বাংলাদেশে আসার পর আবার নাকি ওমানে চলে গেছে।’
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, ‘আমি তাঁদের আদালতে মামলা করতে বলেছি। এখানে কিছু হবে না। কারণ তাঁদের কাছে কোনো প্রমাণ নাই।’
রংপুরের গঙ্গাচড়ার রবিউল ইসলাম থাকতেন ওমানে। সেখানে মুদিদোকানের ব্যবসা করতেন। নিজ গ্রামের বেকার যুবকদের ওমানে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখাতেন। ১০ জনকে ওমানে নিয়েও যান। এর বিনিময়ে হাতিয়ে নেন অর্ধকোটি টাকা। তবে তাঁর মাধ্যমে যাওয়া যুবকেরা গিয়ে কাজ পাননি। এক বছর বেকার থেকে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তাঁরা দেশে ফিরে এসেছেন। রবিউলের ফাঁদে পড়ে এসব যুবক ও তাঁদের পরিবার এখন নিঃস্ব। ফিরে আসা তিনজন রবিউলের নামে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
লেবু মিয়া, দুদু মিয়া ও মো. মোশারফ গত ১৯ সেপ্টেম্বর গঙ্গাচড়া মডেল থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে রবিউল ইসলাম (৩৮) ছাড়াও সহযোগী হিসেবে তাঁর ভাই শফিকুল ইসলাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৪২) ও ভগ্নিপতি হামিদুল ইসলামের (৪৫) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবিউলের বাড়ি উপজেলার আলমবিদিতর চৌধুরীপাড়া গ্রামে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে ওমানে একটি ছোট্ট মুদিদোকানের ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে তাঁর গ্রামের কিছু বেকার যুবককে ওমানের বেসরকারি কোম্পানিতে বাংলাদেশি টাকায় মাসে ৭০ হাজার টাকা বেতনে কাজ দেওয়ার লোভ দেখান। এক বছর আগে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেন রবিউল। তাঁদের ‘ফ্রি ভিসায়’ ওই দেশে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পর ওই যুবকদের কোনো কোম্পানিতে কাজ দেওয়া হয়নি। কাজ দেওয়ার কথা বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন রবিউল।
এভাবে তাঁরা প্রায় এক বছর বেকার ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা কাজের জন্য চাপ দিলে মুদিদোকানটি গোপনে বিক্রি করে তিন মাস আগে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন রবিউল। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীরাও সম্প্রতি বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তাঁরা রবিউলের কাছে টাকা ফেরত চাইলে পাল্টা রবিউলই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ওমানফেরত লেবু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রবিউল আমার কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। শুধু আমার সঙ্গেই এমন করে নাই, প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জনের সঙ্গে এ রকম করেছে। রবিউলের ফাঁদে পড়ে আজকে আমি সর্বস্বান্ত।’
পাশের এলাকার দুদু মিয়া বলেন, ‘ওমানে এমন দিন গেছে, আমরা সেখানে শুধু লবণ মাখি এক বেলা ভাত খেয়েছি। যখন আমরা দেখতেছি আর পাচ্ছি না। তখন আমরা বাধ্য হয়ে বাড়িতে ফোন করি। বাড়ি থেকে ঋণ করে টাকা নিয়ে সেখানে চলছি। বাড়িতে এখন ঋণের টাকার জন্য চাপ দেয় লোকজন।’
এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানার জন্য রবিউলের বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে রবিউলের ভাই শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাই তাদের ফ্রি ভিসায় বিদেশে নিয়ে গিয়ে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এখন তাদের মাঝে যে কী হলো আমি জানি না। কেন তারা সেখান থেকে চলে এসেছে।’ তাঁর ভাই কোথায় সে বিষয় জানতে চাইলে শফিকুল বলেন, ‘আমি জানি না সে কোথায়। আমাদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নাই। তবে শুনেছি বাংলাদেশে আসার পর আবার নাকি ওমানে চলে গেছে।’
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, ‘আমি তাঁদের আদালতে মামলা করতে বলেছি। এখানে কিছু হবে না। কারণ তাঁদের কাছে কোনো প্রমাণ নাই।’
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় শাশুড়িকে হত্যা মামলার আসামি শাকিল আহমেদ ওরফে তছিকুলকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার হেদাতিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ মিনিট আগেসিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে সীমান্তের মরকিটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার বিছনাকান্দি...
১৪ মিনিট আগেভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের কাজ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ (২৭) মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে গতকাল বুধবার রাত ৯টায় তার মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের গঙ্গাচড়ায় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযোগে আনোয়ার হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি সম্পর্কে শিশুটির দাদা হন।
১ ঘণ্টা আগে