সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে আমন ধান। এবার আমনের বাম্পার ফলন হলেও চাষিদের মুখে হাসি নেই। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা।
কৃষকেরা বলছেন, বর্তমানে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েক গুন বেশি। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ডিজেল, সার ও কীটনাশকের দাম থেকে শুরু করে শ্রমিকের মজুরি প্রতিটি ক্ষেত্রেই খরচ বেড়েছে। এমন অবস্থায় উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় অন্যদিকে ধানের দাম কম পাওয়ায় এখন বড় অসহায় তাঁরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোচাবাড়ী বাজারে দৈনিক হাজার হাজার মণ ধান বেচা-কেনা হয়। সেখানে ধান বেচতে আসা কৃষক সাবিরুল ইসলাম বলেন, সরকার ধানের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা মণ নির্ধারণ করলেও তাঁদের বেচতে হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
এ হাটে ৭ মণ ধান বিক্রির জন্য এসেছেন কৃষক অরুন কুমার। প্রতি মণ ধান ৮০০ টাকা দরে ৫ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন। দামে হতাশ ও নির্বাক হয়ে তিনি বলেন, ‘ধানের বাজার দর এত কম হলে হামরা বাচমু কি করে! ন্যায্য দামটুকু না পাওয়ায় এবারও ঋণ-দেনা পরিশোধ হবে না।’ এ বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।
সদর উপজেলা জগন্নাথপুর এলাকার কৃষক আজগর আলী, মোশারফ হোসেন, আওয়াল শাহসহ ৭ থেকে ৮ জন কৃষক জানান, গত বোরো মৌসুমে এক বিঘা (৫০ শতাংশ) জমিতে বোরো উৎপাদনের খরচ ছিল ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকার মধ্যে। যা এ বছর সেচ, সার, কীটনাশক ও মজুরি বাড়ায় দাঁড়িয়েছে ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকায়। এর মধ্যে ডিজেলের দাম বাড়ায় সেচ খরচ বেড়েছে বিঘা প্রতি প্রায় ১ থেকে দেড় হাজার টাকা। সারের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, ডিজেল ছিল লিটার প্রতি ৮৫ টাকা তা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ টাকায়।
এ ছাড়া বীজ ও কীটনাশক কিনতে হয়েছে চড়া দামে। ধান পরিচর্যা, কাটা শ্রমিকের মজুরি, মাড়াই ও পরিবহনসহ অন্য সব ধরনের খরচও বাড়তি। কয়েক দফায় সবকিছুর দাম বাড়লেও ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তাঁরা। ধান বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে।
হরিপুর আমগাঁও ইউনিয়নের কৃষক জব্বার হোসেন বলেন, ‘৫০ শতক জমিতে এবার খরচ পড়েছে ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকা। ওই জমিতে ধান পেয়েছি ২৫ মণ। বাজারে কাচা ধান প্রতি মণ বিক্রি করেছি ৯০০ টাকা দরে। মোট ২২ হাজার ৫০০ টাকায় ধান বিক্রি করেছি। সে হিসেবে বিঘা প্রতি (৫০ শতক) আমার লোকসান হলো ৬ হাজার ৫০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, যাঁরা বর্গা নিয়ে জমি চাষ করেন তাঁদের এবার ঋণের জালে ডুবতে হবে।
পাশের গেদুড়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম বলেন, খুচরা পর্যায়ে গতবার পটাশ সার ছিল ৭৫০ এবার ১ হাজার, ইউরিয়া ছিল ১ হাজার ১০০, বর্তমানে ১ হাজার ৩৫০, টিএসপি ১ হাজার ১৫০ এবার ১ হাজার ৩৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এ ছাড়াও জমিনের পচন রোগসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার কীটনাশকের দাম বেড়েছে প্রায় কয়েক গুণ বেশি।
দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে একই এলাকার কৃষক শমসের আলী বলেন, ‘গত বছরও মোটা ধান (কাঁচা) মণ প্রতি পেয়েছি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এবার ধান আবাদে খরচ বেশি হলেও মণ প্রতি দাম নিয়েছে ৯৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। ধান বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে। এবার খরচের তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি, উল্টো কমেছে।’
এদিকে চলতি মৌসুমে ধানের দাম ঘোষণা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে ধান ৩০ টাকা, চালের দাম ৪৪ টাকা এবং আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে নতুন নির্ধারণ করা এ দামে হতাশার কথা জানিয়েছে কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমান দাম অনুযায়ী ধানের দাম কেজি প্রতি নির্ধারিত হয়েছে ৩০ টাকা, যা উৎপাদনের খরচের প্রায় সমান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিখিল চন্দ্র বর্মন বলেন, সরকার চলতি মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করলেও এ জেলায় কত মেট্রিকটন ধান কিনবে এর লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারণ করেনি। তাই সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে কবে নাগাদ ধান কেনা হবে তা সুনির্দিষ্ট বলা যাচ্ছে না।
জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইমলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছর আমন ধানের ফলন আশানুরূপ হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এখনো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হলে বাজারে ধানের দর বেড়ে যাবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে আমন ধান। এবার আমনের বাম্পার ফলন হলেও চাষিদের মুখে হাসি নেই। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা।
কৃষকেরা বলছেন, বর্তমানে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েক গুন বেশি। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ডিজেল, সার ও কীটনাশকের দাম থেকে শুরু করে শ্রমিকের মজুরি প্রতিটি ক্ষেত্রেই খরচ বেড়েছে। এমন অবস্থায় উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় অন্যদিকে ধানের দাম কম পাওয়ায় এখন বড় অসহায় তাঁরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোচাবাড়ী বাজারে দৈনিক হাজার হাজার মণ ধান বেচা-কেনা হয়। সেখানে ধান বেচতে আসা কৃষক সাবিরুল ইসলাম বলেন, সরকার ধানের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা মণ নির্ধারণ করলেও তাঁদের বেচতে হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
এ হাটে ৭ মণ ধান বিক্রির জন্য এসেছেন কৃষক অরুন কুমার। প্রতি মণ ধান ৮০০ টাকা দরে ৫ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন। দামে হতাশ ও নির্বাক হয়ে তিনি বলেন, ‘ধানের বাজার দর এত কম হলে হামরা বাচমু কি করে! ন্যায্য দামটুকু না পাওয়ায় এবারও ঋণ-দেনা পরিশোধ হবে না।’ এ বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।
সদর উপজেলা জগন্নাথপুর এলাকার কৃষক আজগর আলী, মোশারফ হোসেন, আওয়াল শাহসহ ৭ থেকে ৮ জন কৃষক জানান, গত বোরো মৌসুমে এক বিঘা (৫০ শতাংশ) জমিতে বোরো উৎপাদনের খরচ ছিল ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকার মধ্যে। যা এ বছর সেচ, সার, কীটনাশক ও মজুরি বাড়ায় দাঁড়িয়েছে ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকায়। এর মধ্যে ডিজেলের দাম বাড়ায় সেচ খরচ বেড়েছে বিঘা প্রতি প্রায় ১ থেকে দেড় হাজার টাকা। সারের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, ডিজেল ছিল লিটার প্রতি ৮৫ টাকা তা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ টাকায়।
এ ছাড়া বীজ ও কীটনাশক কিনতে হয়েছে চড়া দামে। ধান পরিচর্যা, কাটা শ্রমিকের মজুরি, মাড়াই ও পরিবহনসহ অন্য সব ধরনের খরচও বাড়তি। কয়েক দফায় সবকিছুর দাম বাড়লেও ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তাঁরা। ধান বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে।
হরিপুর আমগাঁও ইউনিয়নের কৃষক জব্বার হোসেন বলেন, ‘৫০ শতক জমিতে এবার খরচ পড়েছে ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকা। ওই জমিতে ধান পেয়েছি ২৫ মণ। বাজারে কাচা ধান প্রতি মণ বিক্রি করেছি ৯০০ টাকা দরে। মোট ২২ হাজার ৫০০ টাকায় ধান বিক্রি করেছি। সে হিসেবে বিঘা প্রতি (৫০ শতক) আমার লোকসান হলো ৬ হাজার ৫০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, যাঁরা বর্গা নিয়ে জমি চাষ করেন তাঁদের এবার ঋণের জালে ডুবতে হবে।
পাশের গেদুড়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম বলেন, খুচরা পর্যায়ে গতবার পটাশ সার ছিল ৭৫০ এবার ১ হাজার, ইউরিয়া ছিল ১ হাজার ১০০, বর্তমানে ১ হাজার ৩৫০, টিএসপি ১ হাজার ১৫০ এবার ১ হাজার ৩৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এ ছাড়াও জমিনের পচন রোগসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার কীটনাশকের দাম বেড়েছে প্রায় কয়েক গুণ বেশি।
দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে একই এলাকার কৃষক শমসের আলী বলেন, ‘গত বছরও মোটা ধান (কাঁচা) মণ প্রতি পেয়েছি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এবার ধান আবাদে খরচ বেশি হলেও মণ প্রতি দাম নিয়েছে ৯৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। ধান বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে। এবার খরচের তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি, উল্টো কমেছে।’
এদিকে চলতি মৌসুমে ধানের দাম ঘোষণা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে ধান ৩০ টাকা, চালের দাম ৪৪ টাকা এবং আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে নতুন নির্ধারণ করা এ দামে হতাশার কথা জানিয়েছে কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমান দাম অনুযায়ী ধানের দাম কেজি প্রতি নির্ধারিত হয়েছে ৩০ টাকা, যা উৎপাদনের খরচের প্রায় সমান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিখিল চন্দ্র বর্মন বলেন, সরকার চলতি মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করলেও এ জেলায় কত মেট্রিকটন ধান কিনবে এর লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারণ করেনি। তাই সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে কবে নাগাদ ধান কেনা হবে তা সুনির্দিষ্ট বলা যাচ্ছে না।
জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইমলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছর আমন ধানের ফলন আশানুরূপ হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এখনো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হলে বাজারে ধানের দর বেড়ে যাবে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং জহুরুল হক বিমান ঘাঁটিতে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য পাইপলাইনে জেট ফুয়েল সরবরাহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী আগস্ট মাসে এই পাইপলাইনের কমিশনিং হওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির সহকারী...
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত সাতটি সেতু ধসে পড়েছে। এতে সদর ও আশাশুনি উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, সেতুর নিচ দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেতু নির্মাণ করায় এমন বিপর্যয় ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা চলছে পরিত্যক্তঘোষিত এক ভবনে। সেখানে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও সেটিতে এখনো রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে...
৩ ঘণ্টা আগে