গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বকেয়া বিলের মামলার আসামির সঙ্গে নাম ও গ্রামের নামের মিল থাকায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আসামি শনাক্তের ভুল বুঝতে পেরে পুলিশ ওই নারীকে ছেড়ে দেয়।
পুলিশের দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের করা মামলায় আদালত থেকে আসা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজের ওপর ভিত্তি করে ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে আটক করা হয়।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই নারীকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্বজন ও এলাকাবাসী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস গিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা ভুল বুঝতে পারে। এরপর থানায় খবর দিলে প্রায় ১১ ঘণ্টা পর তারা ওই নারীকে ছেড়ে দেয়।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম হাসিনা বেগম (৪৬) এবং তাঁর স্বামীর নাম আব্দুল মান্নান। তাঁর বাড়ি উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর নগরবন্দ এলাকায়। অভিযুক্ত নারী গ্রাহকের বাড়ি একই ইউনিয়নের বড়বিল তেলিপাড়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী নারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের গ্রাহক নন বলে ওই দাবি করেন। পরে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ অফিসে এসে এবং সঠিক তথ্য দিলে পরে ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত হাসিনা বেগমের (৫০) কাছে প্রায় ৩৬ মাসের ১৪ হাজার ৫০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি। তাই বকেয়া বিল আদায়ের জন্য দুই বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দায়ের করে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর গঙ্গাচড়া জোনাল অফিস। ওই নারী বর্তমানে ঢাকায় আছেন।
ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাত ১টার সময় পুলিশ বাড়িতে গিয়ে আমাকে বলে আপনার নামে ওয়ারেন্ট আছে। আপনাকে থানায় যেতে হবে। তখন আমি বলি আমার নামে কীসের ওয়ারেন্ট? আমি চোর, না ডাকাত, যে আমার নামে ওয়ারেন্ট হবে। আমাকে কাগজ দেখান, তখন কাগজে দেখি আমার স্বামীর ও আমার নাম। পরে আমি তাদের সঙ্গে কথা না বলে থানায় চলে আসি। আমার কথা, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কি মামলা করার সময় ভালো করে চেক করেন না। আজকে আমাকে থানায় আসা লাগল, আমার কি মানসম্মান নাই।’
গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু তথ্য ভুলের কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ওই নারীকে ছাড়ার জন্য আমাদের অফিস থেকে একটা চিঠি দিয়েছি। চিঠি পেয়ে ওই নারীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।’
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ওই নারীকে গ্রেপ্তারের আগে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি এবং তাঁরা আমাদের সত্যতা নিশ্চিত করার পরই ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের পাঠানো গ্রেপ্তারি পরোয়ানায়ও কিন্তু ওই নারীর গ্রামের নাম (উত্তর পানাপুকুর নগরবন্দ) ও স্বামীর নাম উল্লেখ করা আছে।’
রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের উদ্দেশে বলব, এ ধরনের কাজগুলো করার আগে তারা যেন বারবার সত্যতা যাচাই করে নেয়। কোনোক্রমেই যেন আমার রংপুর-১ আসনের সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার না হয়।’
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বকেয়া বিলের মামলার আসামির সঙ্গে নাম ও গ্রামের নামের মিল থাকায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আসামি শনাক্তের ভুল বুঝতে পেরে পুলিশ ওই নারীকে ছেড়ে দেয়।
পুলিশের দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের করা মামলায় আদালত থেকে আসা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজের ওপর ভিত্তি করে ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে আটক করা হয়।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই নারীকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্বজন ও এলাকাবাসী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস গিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা ভুল বুঝতে পারে। এরপর থানায় খবর দিলে প্রায় ১১ ঘণ্টা পর তারা ওই নারীকে ছেড়ে দেয়।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম হাসিনা বেগম (৪৬) এবং তাঁর স্বামীর নাম আব্দুল মান্নান। তাঁর বাড়ি উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর নগরবন্দ এলাকায়। অভিযুক্ত নারী গ্রাহকের বাড়ি একই ইউনিয়নের বড়বিল তেলিপাড়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী নারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের গ্রাহক নন বলে ওই দাবি করেন। পরে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ অফিসে এসে এবং সঠিক তথ্য দিলে পরে ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত হাসিনা বেগমের (৫০) কাছে প্রায় ৩৬ মাসের ১৪ হাজার ৫০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি। তাই বকেয়া বিল আদায়ের জন্য দুই বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দায়ের করে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর গঙ্গাচড়া জোনাল অফিস। ওই নারী বর্তমানে ঢাকায় আছেন।
ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাত ১টার সময় পুলিশ বাড়িতে গিয়ে আমাকে বলে আপনার নামে ওয়ারেন্ট আছে। আপনাকে থানায় যেতে হবে। তখন আমি বলি আমার নামে কীসের ওয়ারেন্ট? আমি চোর, না ডাকাত, যে আমার নামে ওয়ারেন্ট হবে। আমাকে কাগজ দেখান, তখন কাগজে দেখি আমার স্বামীর ও আমার নাম। পরে আমি তাদের সঙ্গে কথা না বলে থানায় চলে আসি। আমার কথা, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কি মামলা করার সময় ভালো করে চেক করেন না। আজকে আমাকে থানায় আসা লাগল, আমার কি মানসম্মান নাই।’
গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু তথ্য ভুলের কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ওই নারীকে ছাড়ার জন্য আমাদের অফিস থেকে একটা চিঠি দিয়েছি। চিঠি পেয়ে ওই নারীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।’
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ওই নারীকে গ্রেপ্তারের আগে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি এবং তাঁরা আমাদের সত্যতা নিশ্চিত করার পরই ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের পাঠানো গ্রেপ্তারি পরোয়ানায়ও কিন্তু ওই নারীর গ্রামের নাম (উত্তর পানাপুকুর নগরবন্দ) ও স্বামীর নাম উল্লেখ করা আছে।’
রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের উদ্দেশে বলব, এ ধরনের কাজগুলো করার আগে তারা যেন বারবার সত্যতা যাচাই করে নেয়। কোনোক্রমেই যেন আমার রংপুর-১ আসনের সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার না হয়।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে