Ajker Patrika

পঁচাত্তরের পর দেশে নির্বিচারে হত্যাকারীদের বিচারে কমিশন গঠন করা হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২: ১১
Thumbnail image

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘পঁচাত্তরের পর দেশে নির্বিচারে হত্যাকারীদের বিচারে আলাদা কমিশন গঠন করা হবে। আমি আইনমন্ত্রীকে বলেছি, এসব খুনির মরণোত্তর বিচার করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই জাতি দায়মুক্ত হবে এবং আমরা এ কলঙ্ক বয়ে বেড়াতে চাই না।’ 

আজ শুক্রবার রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম হত্যার সময় কারও মানবতা দেখি নাই। তখন দায়মুক্তির আইন করে খুনিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যা করে তার বিচার চাওয়া যাবে না—এই আইন করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এখন মানবাধিকার মানবাধিকার বলে বেড়ানো দেশগুলো তখন কোথায় ছিল।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার বলে বেড়ানোরা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল, সপ্তম নৌবহরও পাঠিয়ে ছিল, যেন বাংলাদেশ বিজয়ী হতে না পারে। বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সদস্য পদের জন্য আবেদন করলে তখন তারা বলেছিল, বাংলাদেশ বিশ্বের বোঝায় পরিণত হবে। আজ তাদের দেশে নির্বাচনে ফেল করলে দলের নেতারা নির্বাচন মানেন না। তাই তাদের বলছি, অপরকে বলার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখেন, তাহলে লাভ হবে।’ 

বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান গুমের রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের বিনা বিচারে হত্যা করেছিল। জুন মাসে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, অথচ রায় হয়েছে ডিসেম্বর মাসে—এমন ঘটনাও ঘটেছে।’ 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মায়ের ডাকের অভিযোগ কাল্পনিক, মায়ের কান্নার অভিযোগের দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। তাই দালিলিক প্রমাণ গ্রহণ না করে কাল্পনিক কথা বলে তোলপাড় করা—এমন মতলবাজি দীর্ঘদিন চলতে পারে না।’ 

সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, মানবাধিকারকর্মী এস এম আব্রাহাম লিংকন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

এর আগে গত বুধবার নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ‘বিপন্ন মানবতা: জিয়াউর রহমানের গুমের ইতিহাস’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে সংগঠনটি। তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে জিয়াউর রহমান ও বিএনপির আমলে বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতনের ছবি তুলে ধরা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত