Ajker Patrika

আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১: ২৬
Thumbnail image

কুড়িগ্রামে পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সোহানকে (৪৪) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দু ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

সোহান হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাতে তাঁর স্ত্রী রোজিনা পারভীন বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা বিন্দু, ঝিনুক, ছাত্রলীগের কর্মী রায়হান কবির স্বাধীন, শহিদুল ইসলাম সৌরভের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত সাত-আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় বিন্দু ও ঝিনুককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

কুড়িগ্রাম সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা সোহানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটন করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনটি। শুক্রবার রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে মূল অভিযুক্ত রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দুকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন জানান, অভিযোগ ওঠার পর শুক্রবার রাতেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বিন্দু।  

এর আগে শুক্রবার বিকেলে জেলা সদরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা সোহানকে পরিবহনকারী একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে পড়ে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হন। এর জেরে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দু তাঁর অনুসারীদের নিয়ে সোহানকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। আহত সোহানকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

কুড়িগ্রাম সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ বলেন, রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দু ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে আটক করে পুলিশ। মামলার পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

অবশ্য ঘটনার পর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা বিন্দু তাঁর ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, ‘গুজবে কান দেবেন না...সোহান ভাই হার্ট অ্যাটাকে ইন্তেকাল করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত