আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে হাবু এলাকায় বেনারসিপল্লি। এটি উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। তাঁতিপাড়া নামেও পরিচিত। এখানে একসময় প্রায় ৬০০ বেনারসি তাঁত ছিল। বর্তমানে মাত্র তিনটি তাঁত চালু আছে। এই বেনারসিপল্লি এখন মূলত শাড়ির মার্কেট। রংপুর শহরসহ সরাসরি লালমনিরহাট জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখানে প্রতিদিন অনেক ক্রেতা আসেন বেনারসি কিনতে।
এই মার্কেটের দোকানিরা দাবি করেন, তাঁদের দোকানে সব স্থানীয় তাঁতের শাড়ি। বিক্রি হয় চড়া মূল্যে। কিন্তু তাঁত মালিকেরা বলছেন, এই দাবি সঠিক নয়। দোকানিরা ক্রেতাদের ঠকিয়ে ভারতীয় শাড়ি বিক্রি করছেন।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে বেনারসি পল্লীতে গিয়েছিলেন এ প্রতিবেদক। গ্রামটিতে গেলে দেখা যায়, মহাসড়কের দুই পাশে বিভিন্ন নামের ১৫টিরও বেশি শাড়ির দোকান। সবগুলো নামের সঙ্গেই আছে ‘বেনারসি’ শব্দ।
‘নিবিড় বেনারসি’ নামে একটি দোকানে গিয়ে কথা হয় কর্মচারি মমিনুর ইসলামের সঙ্গে। তাঁদের বেনারসি শাড়িগুলো কোথায় তৈরি হয় জানতে চাইলে এই কর্মচারী বলেন, ‘আমাদের নিজেস্ব কারখানা আছে। পাশেই আমাদের কারখানা।’
সেখান থেকে বেরিয়ে ‘তিস্তা বেনারসি’ নামের আরেক দোকানে গিয়ে কথা হয় দোকানের ম্যানেজার স্বপন মিয়ার সঙ্গে। তিনিও বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কারখানা আছে। আমরা সেখানে শাড়ি বানাই। শাড়ির বেশি চাহিদা থাকলে আমাদের পাশে আরও অনেক কারখানা আছে সেখানেও অর্ডার দেই।’ কারখানা কোথায় জানতে চাইলে পাশের একটি কারখানার ঠিকানা দেন তিনি।
এ সময় দোকানটিতে রংপুর শহরের মেডিকেল মোড় থেকে শাড়ি কিনতে আসা নাদিয়া ইসলাম (২৩) নামে এক তরুণীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, এর আগেও বেনারসি কাতান নামের ১৫টি শাড়ি কিনে নিয়ে গেছেন। তবে আসল বেনারসি কাতান কি না তিনি নিশ্চিত নন। পছন্দ হওয়ায় আবারও এসেছেন।
মৌমিতা বেনারসি ও তিস্তা বেনারসি থেকে একই কারখানার ঠিকানা দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে কথা হয় কারিগর আল আমিনের সঙ্গে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সামনের বেনারসির দোকানগুলোর কারখানাগুলো কোথায়?
জবাবে এই কারিগর বলেন, ‘এসব দোকানে তো এখানকার শাড়ি বিক্রি হয় না। এগুলো সব ভারত থেকে আসে। এরা শুধু এখানকার নাম বলে বিক্রি করে। আসলে এদের নিজেদের কোনো কারখানা নাই।’
আল আলমিনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এসে হাজির হন কারখানার মালিক আব্দুর রহমান। তিনি জানান, এখানকার তাঁত শিল্পের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৯৬ সালে প্রথম তাঁত স্থাপন করেন। তাঁর দেখাদেখি প্রতিবেশীরাও ঝুঁকে পড়েন এ শিল্পে। আস্তে আস্তে এ শিল্পের প্রসার ঘটে। নাম ছড়িয়ে পড়ে। আব্দুর রহমান দাবি করেন, এখানকার তৈরি শাড়ি প্রায় ১০ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও কেনা হতো।
আব্দুর রহমানের দেওয়া তথ্য মতে, ২০০৫ সালে এই এলাকার প্রায় ১০০ তাঁতি মিলে বেনারসি পল্লী গড়ে তোলেন। বলা চলে, হাবু গ্রামের সবাই তখন তাঁতি ছিলেন। এক সময় প্রায় ৬০০ তাঁত ছিল এখানে। এখন শুধু তাঁর কারখানায় তিনটি হস্তচালিত তাঁত চালু আছে।
মৌমিতা বেনারসি ও তিস্তা বেনারসির দাবির ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। রাস্তার পাশের যেসব দোকান আপনারা দেখতেছেন, এদের কারও নিজের কেন শাড়ি তৈরির কারখানা নেই। এরা আমাদের কারখানার নাম ভাঙিয়ে চলে। কেউ শাড়ি দোকারে শাড়ি কিনতে আসলে আমাদের কারখানা দেখিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এই যে আমাদের নিজস্ব কারখানা।’ ’ কয়েক দিন আগে এক ব্যবসায়ীকে সাবধান করে দিয়েছি যাতে ক্রেতাকে ধোকা না দেয়। আমরা যা শাড়ি তৈরি করি আমাদের সব শাড়ি ঢাকায় বিক্রি হয়। আমাদের তৈরি একটা শাড়িও এখানকার কোনো দোকানে পাবেন না।’
নিশাত বেনারসির ম্যানেজার আসিকুজ্জামান আসিকের সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, স্থানীয় ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতেই নিজের কারখানায় বোনানো বেনারসি শাড়ি এখানে বিক্রি করেন। তাঁর কারখানায় শতাধিক কারিগর কাজ করে।
নিশাত বেনারসি ও নিবিড় বেনারসিও একই কারখানার ঠিকানা দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখা গেল, সেখানে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। একটি জরাজীর্ণ অন্ধকার ঘর কোনো এক সময়ের তাঁত কারখানার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। তাঁতে মাকড়সার জাল।
তিন বছর ধরে কারখানাটি বন্ধ বলে স্বীকার করলেন মালিকের পরিবারের সদস্য এক নারী (৫০)। ওই নারী বলেন, নিশাত ও নিবিড় বেনারসি এক সময় তাঁদের কারখানা থেকে শাড়ি কিনতো। কিন্তু পরে তারা আর নেয়নি। এক সময় কারখানাটি বন্ধ করতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনারসি পল্লীর ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার মুখে। হাতেগোনা কয়েকজন কারিগর রয়েছেন। তাঁরা বলেন, ভারতীয় শাড়ির দাপটে হারিয়ে গেছে রংপুরের বেনারসি।
এমন প্রতারণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রংপুরের জাতীয় ভোক্তা-অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি আমাদের জনবল সংকটের কারণে এ বিষয়গুলো দেখভাল করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।’

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে হাবু এলাকায় বেনারসিপল্লি। এটি উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। তাঁতিপাড়া নামেও পরিচিত। এখানে একসময় প্রায় ৬০০ বেনারসি তাঁত ছিল। বর্তমানে মাত্র তিনটি তাঁত চালু আছে। এই বেনারসিপল্লি এখন মূলত শাড়ির মার্কেট। রংপুর শহরসহ সরাসরি লালমনিরহাট জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখানে প্রতিদিন অনেক ক্রেতা আসেন বেনারসি কিনতে।
এই মার্কেটের দোকানিরা দাবি করেন, তাঁদের দোকানে সব স্থানীয় তাঁতের শাড়ি। বিক্রি হয় চড়া মূল্যে। কিন্তু তাঁত মালিকেরা বলছেন, এই দাবি সঠিক নয়। দোকানিরা ক্রেতাদের ঠকিয়ে ভারতীয় শাড়ি বিক্রি করছেন।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে বেনারসি পল্লীতে গিয়েছিলেন এ প্রতিবেদক। গ্রামটিতে গেলে দেখা যায়, মহাসড়কের দুই পাশে বিভিন্ন নামের ১৫টিরও বেশি শাড়ির দোকান। সবগুলো নামের সঙ্গেই আছে ‘বেনারসি’ শব্দ।
‘নিবিড় বেনারসি’ নামে একটি দোকানে গিয়ে কথা হয় কর্মচারি মমিনুর ইসলামের সঙ্গে। তাঁদের বেনারসি শাড়িগুলো কোথায় তৈরি হয় জানতে চাইলে এই কর্মচারী বলেন, ‘আমাদের নিজেস্ব কারখানা আছে। পাশেই আমাদের কারখানা।’
সেখান থেকে বেরিয়ে ‘তিস্তা বেনারসি’ নামের আরেক দোকানে গিয়ে কথা হয় দোকানের ম্যানেজার স্বপন মিয়ার সঙ্গে। তিনিও বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কারখানা আছে। আমরা সেখানে শাড়ি বানাই। শাড়ির বেশি চাহিদা থাকলে আমাদের পাশে আরও অনেক কারখানা আছে সেখানেও অর্ডার দেই।’ কারখানা কোথায় জানতে চাইলে পাশের একটি কারখানার ঠিকানা দেন তিনি।
এ সময় দোকানটিতে রংপুর শহরের মেডিকেল মোড় থেকে শাড়ি কিনতে আসা নাদিয়া ইসলাম (২৩) নামে এক তরুণীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, এর আগেও বেনারসি কাতান নামের ১৫টি শাড়ি কিনে নিয়ে গেছেন। তবে আসল বেনারসি কাতান কি না তিনি নিশ্চিত নন। পছন্দ হওয়ায় আবারও এসেছেন।
মৌমিতা বেনারসি ও তিস্তা বেনারসি থেকে একই কারখানার ঠিকানা দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে কথা হয় কারিগর আল আমিনের সঙ্গে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সামনের বেনারসির দোকানগুলোর কারখানাগুলো কোথায়?
জবাবে এই কারিগর বলেন, ‘এসব দোকানে তো এখানকার শাড়ি বিক্রি হয় না। এগুলো সব ভারত থেকে আসে। এরা শুধু এখানকার নাম বলে বিক্রি করে। আসলে এদের নিজেদের কোনো কারখানা নাই।’
আল আলমিনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এসে হাজির হন কারখানার মালিক আব্দুর রহমান। তিনি জানান, এখানকার তাঁত শিল্পের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৯৬ সালে প্রথম তাঁত স্থাপন করেন। তাঁর দেখাদেখি প্রতিবেশীরাও ঝুঁকে পড়েন এ শিল্পে। আস্তে আস্তে এ শিল্পের প্রসার ঘটে। নাম ছড়িয়ে পড়ে। আব্দুর রহমান দাবি করেন, এখানকার তৈরি শাড়ি প্রায় ১০ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও কেনা হতো।
আব্দুর রহমানের দেওয়া তথ্য মতে, ২০০৫ সালে এই এলাকার প্রায় ১০০ তাঁতি মিলে বেনারসি পল্লী গড়ে তোলেন। বলা চলে, হাবু গ্রামের সবাই তখন তাঁতি ছিলেন। এক সময় প্রায় ৬০০ তাঁত ছিল এখানে। এখন শুধু তাঁর কারখানায় তিনটি হস্তচালিত তাঁত চালু আছে।
মৌমিতা বেনারসি ও তিস্তা বেনারসির দাবির ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। রাস্তার পাশের যেসব দোকান আপনারা দেখতেছেন, এদের কারও নিজের কেন শাড়ি তৈরির কারখানা নেই। এরা আমাদের কারখানার নাম ভাঙিয়ে চলে। কেউ শাড়ি দোকারে শাড়ি কিনতে আসলে আমাদের কারখানা দেখিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এই যে আমাদের নিজস্ব কারখানা।’ ’ কয়েক দিন আগে এক ব্যবসায়ীকে সাবধান করে দিয়েছি যাতে ক্রেতাকে ধোকা না দেয়। আমরা যা শাড়ি তৈরি করি আমাদের সব শাড়ি ঢাকায় বিক্রি হয়। আমাদের তৈরি একটা শাড়িও এখানকার কোনো দোকানে পাবেন না।’
নিশাত বেনারসির ম্যানেজার আসিকুজ্জামান আসিকের সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, স্থানীয় ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতেই নিজের কারখানায় বোনানো বেনারসি শাড়ি এখানে বিক্রি করেন। তাঁর কারখানায় শতাধিক কারিগর কাজ করে।
নিশাত বেনারসি ও নিবিড় বেনারসিও একই কারখানার ঠিকানা দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখা গেল, সেখানে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। একটি জরাজীর্ণ অন্ধকার ঘর কোনো এক সময়ের তাঁত কারখানার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। তাঁতে মাকড়সার জাল।
তিন বছর ধরে কারখানাটি বন্ধ বলে স্বীকার করলেন মালিকের পরিবারের সদস্য এক নারী (৫০)। ওই নারী বলেন, নিশাত ও নিবিড় বেনারসি এক সময় তাঁদের কারখানা থেকে শাড়ি কিনতো। কিন্তু পরে তারা আর নেয়নি। এক সময় কারখানাটি বন্ধ করতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনারসি পল্লীর ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার মুখে। হাতেগোনা কয়েকজন কারিগর রয়েছেন। তাঁরা বলেন, ভারতীয় শাড়ির দাপটে হারিয়ে গেছে রংপুরের বেনারসি।
এমন প্রতারণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রংপুরের জাতীয় ভোক্তা-অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি আমাদের জনবল সংকটের কারণে এ বিষয়গুলো দেখভাল করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।’
আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে হাবু এলাকায় বেনারসিপল্লি। এটি উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। তাঁতিপাড়া নামেও পরিচিত। এখানে একসময় প্রায় ৬০০ বেনারসি তাঁত ছিল। বর্তমানে মাত্র তিনটি তাঁত চালু আছে। এই বেনারসিপল্লি এখন মূলত শাড়ির মার্কেট। রংপুর শহরসহ সরাসরি লালমনিরহাট জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখানে প্রতিদিন অনেক ক্রেতা আসেন বেনারসি কিনতে।
এই মার্কেটের দোকানিরা দাবি করেন, তাঁদের দোকানে সব স্থানীয় তাঁতের শাড়ি। বিক্রি হয় চড়া মূল্যে। কিন্তু তাঁত মালিকেরা বলছেন, এই দাবি সঠিক নয়। দোকানিরা ক্রেতাদের ঠকিয়ে ভারতীয় শাড়ি বিক্রি করছেন।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে বেনারসি পল্লীতে গিয়েছিলেন এ প্রতিবেদক। গ্রামটিতে গেলে দেখা যায়, মহাসড়কের দুই পাশে বিভিন্ন নামের ১৫টিরও বেশি শাড়ির দোকান। সবগুলো নামের সঙ্গেই আছে ‘বেনারসি’ শব্দ।
‘নিবিড় বেনারসি’ নামে একটি দোকানে গিয়ে কথা হয় কর্মচারি মমিনুর ইসলামের সঙ্গে। তাঁদের বেনারসি শাড়িগুলো কোথায় তৈরি হয় জানতে চাইলে এই কর্মচারী বলেন, ‘আমাদের নিজেস্ব কারখানা আছে। পাশেই আমাদের কারখানা।’
সেখান থেকে বেরিয়ে ‘তিস্তা বেনারসি’ নামের আরেক দোকানে গিয়ে কথা হয় দোকানের ম্যানেজার স্বপন মিয়ার সঙ্গে। তিনিও বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কারখানা আছে। আমরা সেখানে শাড়ি বানাই। শাড়ির বেশি চাহিদা থাকলে আমাদের পাশে আরও অনেক কারখানা আছে সেখানেও অর্ডার দেই।’ কারখানা কোথায় জানতে চাইলে পাশের একটি কারখানার ঠিকানা দেন তিনি।
এ সময় দোকানটিতে রংপুর শহরের মেডিকেল মোড় থেকে শাড়ি কিনতে আসা নাদিয়া ইসলাম (২৩) নামে এক তরুণীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, এর আগেও বেনারসি কাতান নামের ১৫টি শাড়ি কিনে নিয়ে গেছেন। তবে আসল বেনারসি কাতান কি না তিনি নিশ্চিত নন। পছন্দ হওয়ায় আবারও এসেছেন।
মৌমিতা বেনারসি ও তিস্তা বেনারসি থেকে একই কারখানার ঠিকানা দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে কথা হয় কারিগর আল আমিনের সঙ্গে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সামনের বেনারসির দোকানগুলোর কারখানাগুলো কোথায়?
জবাবে এই কারিগর বলেন, ‘এসব দোকানে তো এখানকার শাড়ি বিক্রি হয় না। এগুলো সব ভারত থেকে আসে। এরা শুধু এখানকার নাম বলে বিক্রি করে। আসলে এদের নিজেদের কোনো কারখানা নাই।’
আল আলমিনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এসে হাজির হন কারখানার মালিক আব্দুর রহমান। তিনি জানান, এখানকার তাঁত শিল্পের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৯৬ সালে প্রথম তাঁত স্থাপন করেন। তাঁর দেখাদেখি প্রতিবেশীরাও ঝুঁকে পড়েন এ শিল্পে। আস্তে আস্তে এ শিল্পের প্রসার ঘটে। নাম ছড়িয়ে পড়ে। আব্দুর রহমান দাবি করেন, এখানকার তৈরি শাড়ি প্রায় ১০ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও কেনা হতো।
আব্দুর রহমানের দেওয়া তথ্য মতে, ২০০৫ সালে এই এলাকার প্রায় ১০০ তাঁতি মিলে বেনারসি পল্লী গড়ে তোলেন। বলা চলে, হাবু গ্রামের সবাই তখন তাঁতি ছিলেন। এক সময় প্রায় ৬০০ তাঁত ছিল এখানে। এখন শুধু তাঁর কারখানায় তিনটি হস্তচালিত তাঁত চালু আছে।
মৌমিতা বেনারসি ও তিস্তা বেনারসির দাবির ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। রাস্তার পাশের যেসব দোকান আপনারা দেখতেছেন, এদের কারও নিজের কেন শাড়ি তৈরির কারখানা নেই। এরা আমাদের কারখানার নাম ভাঙিয়ে চলে। কেউ শাড়ি দোকারে শাড়ি কিনতে আসলে আমাদের কারখানা দেখিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এই যে আমাদের নিজস্ব কারখানা।’ ’ কয়েক দিন আগে এক ব্যবসায়ীকে সাবধান করে দিয়েছি যাতে ক্রেতাকে ধোকা না দেয়। আমরা যা শাড়ি তৈরি করি আমাদের সব শাড়ি ঢাকায় বিক্রি হয়। আমাদের তৈরি একটা শাড়িও এখানকার কোনো দোকানে পাবেন না।’
নিশাত বেনারসির ম্যানেজার আসিকুজ্জামান আসিকের সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, স্থানীয় ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতেই নিজের কারখানায় বোনানো বেনারসি শাড়ি এখানে বিক্রি করেন। তাঁর কারখানায় শতাধিক কারিগর কাজ করে।
নিশাত বেনারসি ও নিবিড় বেনারসিও একই কারখানার ঠিকানা দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখা গেল, সেখানে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। একটি জরাজীর্ণ অন্ধকার ঘর কোনো এক সময়ের তাঁত কারখানার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। তাঁতে মাকড়সার জাল।
তিন বছর ধরে কারখানাটি বন্ধ বলে স্বীকার করলেন মালিকের পরিবারের সদস্য এক নারী (৫০)। ওই নারী বলেন, নিশাত ও নিবিড় বেনারসি এক সময় তাঁদের কারখানা থেকে শাড়ি কিনতো। কিন্তু পরে তারা আর নেয়নি। এক সময় কারখানাটি বন্ধ করতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনারসি পল্লীর ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার মুখে। হাতেগোনা কয়েকজন কারিগর রয়েছেন। তাঁরা বলেন, ভারতীয় শাড়ির দাপটে হারিয়ে গেছে রংপুরের বেনারসি।
এমন প্রতারণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রংপুরের জাতীয় ভোক্তা-অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি আমাদের জনবল সংকটের কারণে এ বিষয়গুলো দেখভাল করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।’

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে হাবু এলাকায় বেনারসিপল্লি। এটি উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। তাঁতিপাড়া নামেও পরিচিত। এখানে একসময় প্রায় ৬০০ বেনারসি তাঁত ছিল। বর্তমানে মাত্র তিনটি তাঁত চালু আছে। এই বেনারসিপল্লি এখন মূলত শাড়ির মার্কেট। রংপুর শহরসহ সরাসরি লালমনিরহাট জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখানে প্রতিদিন অনেক ক্রেতা আসেন বেনারসি কিনতে।
এই মার্কেটের দোকানিরা দাবি করেন, তাঁদের দোকানে সব স্থানীয় তাঁতের শাড়ি। বিক্রি হয় চড়া মূল্যে। কিন্তু তাঁত মালিকেরা বলছেন, এই দাবি সঠিক নয়। দোকানিরা ক্রেতাদের ঠকিয়ে ভারতীয় শাড়ি বিক্রি করছেন।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে বেনারসি পল্লীতে গিয়েছিলেন এ প্রতিবেদক। গ্রামটিতে গেলে দেখা যায়, মহাসড়কের দুই পাশে বিভিন্ন নামের ১৫টিরও বেশি শাড়ির দোকান। সবগুলো নামের সঙ্গেই আছে ‘বেনারসি’ শব্দ।
‘নিবিড় বেনারসি’ নামে একটি দোকানে গিয়ে কথা হয় কর্মচারি মমিনুর ইসলামের সঙ্গে। তাঁদের বেনারসি শাড়িগুলো কোথায় তৈরি হয় জানতে চাইলে এই কর্মচারী বলেন, ‘আমাদের নিজেস্ব কারখানা আছে। পাশেই আমাদের কারখানা।’
সেখান থেকে বেরিয়ে ‘তিস্তা বেনারসি’ নামের আরেক দোকানে গিয়ে কথা হয় দোকানের ম্যানেজার স্বপন মিয়ার সঙ্গে। তিনিও বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কারখানা আছে। আমরা সেখানে শাড়ি বানাই। শাড়ির বেশি চাহিদা থাকলে আমাদের পাশে আরও অনেক কারখানা আছে সেখানেও অর্ডার দেই।’ কারখানা কোথায় জানতে চাইলে পাশের একটি কারখানার ঠিকানা দেন তিনি।
এ সময় দোকানটিতে রংপুর শহরের মেডিকেল মোড় থেকে শাড়ি কিনতে আসা নাদিয়া ইসলাম (২৩) নামে এক তরুণীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, এর আগেও বেনারসি কাতান নামের ১৫টি শাড়ি কিনে নিয়ে গেছেন। তবে আসল বেনারসি কাতান কি না তিনি নিশ্চিত নন। পছন্দ হওয়ায় আবারও এসেছেন।
মৌমিতা বেনারসি ও তিস্তা বেনারসি থেকে একই কারখানার ঠিকানা দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে কথা হয় কারিগর আল আমিনের সঙ্গে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সামনের বেনারসির দোকানগুলোর কারখানাগুলো কোথায়?
জবাবে এই কারিগর বলেন, ‘এসব দোকানে তো এখানকার শাড়ি বিক্রি হয় না। এগুলো সব ভারত থেকে আসে। এরা শুধু এখানকার নাম বলে বিক্রি করে। আসলে এদের নিজেদের কোনো কারখানা নাই।’
আল আলমিনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এসে হাজির হন কারখানার মালিক আব্দুর রহমান। তিনি জানান, এখানকার তাঁত শিল্পের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৯৬ সালে প্রথম তাঁত স্থাপন করেন। তাঁর দেখাদেখি প্রতিবেশীরাও ঝুঁকে পড়েন এ শিল্পে। আস্তে আস্তে এ শিল্পের প্রসার ঘটে। নাম ছড়িয়ে পড়ে। আব্দুর রহমান দাবি করেন, এখানকার তৈরি শাড়ি প্রায় ১০ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও কেনা হতো।
আব্দুর রহমানের দেওয়া তথ্য মতে, ২০০৫ সালে এই এলাকার প্রায় ১০০ তাঁতি মিলে বেনারসি পল্লী গড়ে তোলেন। বলা চলে, হাবু গ্রামের সবাই তখন তাঁতি ছিলেন। এক সময় প্রায় ৬০০ তাঁত ছিল এখানে। এখন শুধু তাঁর কারখানায় তিনটি হস্তচালিত তাঁত চালু আছে।
মৌমিতা বেনারসি ও তিস্তা বেনারসির দাবির ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। রাস্তার পাশের যেসব দোকান আপনারা দেখতেছেন, এদের কারও নিজের কেন শাড়ি তৈরির কারখানা নেই। এরা আমাদের কারখানার নাম ভাঙিয়ে চলে। কেউ শাড়ি দোকারে শাড়ি কিনতে আসলে আমাদের কারখানা দেখিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এই যে আমাদের নিজস্ব কারখানা।’ ’ কয়েক দিন আগে এক ব্যবসায়ীকে সাবধান করে দিয়েছি যাতে ক্রেতাকে ধোকা না দেয়। আমরা যা শাড়ি তৈরি করি আমাদের সব শাড়ি ঢাকায় বিক্রি হয়। আমাদের তৈরি একটা শাড়িও এখানকার কোনো দোকানে পাবেন না।’
নিশাত বেনারসির ম্যানেজার আসিকুজ্জামান আসিকের সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, স্থানীয় ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতেই নিজের কারখানায় বোনানো বেনারসি শাড়ি এখানে বিক্রি করেন। তাঁর কারখানায় শতাধিক কারিগর কাজ করে।
নিশাত বেনারসি ও নিবিড় বেনারসিও একই কারখানার ঠিকানা দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখা গেল, সেখানে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। একটি জরাজীর্ণ অন্ধকার ঘর কোনো এক সময়ের তাঁত কারখানার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। তাঁতে মাকড়সার জাল।
তিন বছর ধরে কারখানাটি বন্ধ বলে স্বীকার করলেন মালিকের পরিবারের সদস্য এক নারী (৫০)। ওই নারী বলেন, নিশাত ও নিবিড় বেনারসি এক সময় তাঁদের কারখানা থেকে শাড়ি কিনতো। কিন্তু পরে তারা আর নেয়নি। এক সময় কারখানাটি বন্ধ করতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনারসি পল্লীর ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার মুখে। হাতেগোনা কয়েকজন কারিগর রয়েছেন। তাঁরা বলেন, ভারতীয় শাড়ির দাপটে হারিয়ে গেছে রংপুরের বেনারসি।
এমন প্রতারণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রংপুরের জাতীয় ভোক্তা-অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি আমাদের জনবল সংকটের কারণে এ বিষয়গুলো দেখভাল করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।’

ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
৮ মিনিট আগে
দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
১ ঘণ্টা আগেনুরুল আমিন হাসান, উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা)

প্রথমে মোটরসাইকেলে, দ্বিতীয় দফায় মাইক্রোবাস দিয়ে রিকশাকে চাপা দিয়ে পথরোধ করা হয়। পরবর্তীকালে মাইক্রোবাস থেকে র্যাব লেখা কটি পড়া দু-তিনজন অস্ত্র হাতে বের হয়ে রিকশায় থাকা অমি কনস্ট্রাকশনের দেলোয়ার হোসেন ও শফিউল্লাহ ভূঁইয়াকে আটক করেন। মাইক্রোবাসে থাকা কয়েকজন দেলোয়ারের বিরুদ্ধে উত্তরার জসিম উদ্দিনে বোমা ও বাসে আগুন এবং সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রমের জন্য টাকা নিয়ে যাচ্ছেন, এমন অভিযোগ তুলে তাদের জোরপূর্বক গাড়িতে তোলা হয়।
এরপর ‘ভুক্তভোগীদের’ চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের কাছে থাকা ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭০০ টাকার ব্যাগটি কেড়ে নেন ভুয়া র্যাব সদস্যরা।
রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৯ নম্বর সড়কে গত ১৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে কনস্ট্রাকশনের দুই কর্মকর্তার কাছ থেকে র্যাব সেজে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের উত্তরার দিয়াবাড়ির ১৬ নম্বর সেক্টরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেলা যাওয়া হয়। এ ঘটনায় পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়।
ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা। তিনিই এ ঘটনার হোতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনায় একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং লুট হওয়া টাকার একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার পর ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে রাজধানীর কদমতলীর শনির আখড়া ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে ৮ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। এ সময় মো. সুলতান (৪২) ও জসিম উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতে উত্তর মুগদার সাইফুলের সিএনজি গ্যারেজ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ সময় সুজন মিয়া ওরফে শাকিল ওরফে ভাতিজাকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে অমি কনস্ট্রাকশন থেকে স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়াকে এবং উত্তরখানের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান মুন্নাকে (৪৪) গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ ডিসেম্বর বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাসা থেকে ডাকাতি করা টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুজ্জামান জানান, কনস্ট্রাকশনের টাকা ডাকাতির পর মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৮ থেকে গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে র্যাব সেজে ডাকাতির কাজে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জসিম উদ্দিনে ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
র্যাব সেজে ডাকাতির পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মুনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর উত্তরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্য সেজে ডাকাতি করে আসছিলেন। ওই চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বাকি টাকা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

প্রথমে মোটরসাইকেলে, দ্বিতীয় দফায় মাইক্রোবাস দিয়ে রিকশাকে চাপা দিয়ে পথরোধ করা হয়। পরবর্তীকালে মাইক্রোবাস থেকে র্যাব লেখা কটি পড়া দু-তিনজন অস্ত্র হাতে বের হয়ে রিকশায় থাকা অমি কনস্ট্রাকশনের দেলোয়ার হোসেন ও শফিউল্লাহ ভূঁইয়াকে আটক করেন। মাইক্রোবাসে থাকা কয়েকজন দেলোয়ারের বিরুদ্ধে উত্তরার জসিম উদ্দিনে বোমা ও বাসে আগুন এবং সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রমের জন্য টাকা নিয়ে যাচ্ছেন, এমন অভিযোগ তুলে তাদের জোরপূর্বক গাড়িতে তোলা হয়।
এরপর ‘ভুক্তভোগীদের’ চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের কাছে থাকা ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭০০ টাকার ব্যাগটি কেড়ে নেন ভুয়া র্যাব সদস্যরা।
রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৯ নম্বর সড়কে গত ১৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে কনস্ট্রাকশনের দুই কর্মকর্তার কাছ থেকে র্যাব সেজে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের উত্তরার দিয়াবাড়ির ১৬ নম্বর সেক্টরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেলা যাওয়া হয়। এ ঘটনায় পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়।
ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা। তিনিই এ ঘটনার হোতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনায় একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং লুট হওয়া টাকার একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার পর ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে রাজধানীর কদমতলীর শনির আখড়া ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে ৮ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। এ সময় মো. সুলতান (৪২) ও জসিম উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতে উত্তর মুগদার সাইফুলের সিএনজি গ্যারেজ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ সময় সুজন মিয়া ওরফে শাকিল ওরফে ভাতিজাকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে অমি কনস্ট্রাকশন থেকে স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়াকে এবং উত্তরখানের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান মুন্নাকে (৪৪) গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ ডিসেম্বর বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাসা থেকে ডাকাতি করা টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুজ্জামান জানান, কনস্ট্রাকশনের টাকা ডাকাতির পর মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৮ থেকে গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে র্যাব সেজে ডাকাতির কাজে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জসিম উদ্দিনে ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
র্যাব সেজে ডাকাতির পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মুনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর উত্তরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্য সেজে ডাকাতি করে আসছিলেন। ওই চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বাকি টাকা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে হাবু এলাকায় বেনারসি পল্লী। এটি উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। তাঁতিপাড়া নামেও পরিচিত। এখানে এক সময় প্রায় ৬০০ বেনারসি তাঁত ছিল। বর্তমানে মাত্র তিনটি তাঁত চালু আছে। এই বেনারসি পল্লী এখন মূলত শাড়ির মার্কেট। রংপুর শহরসহ সরাসরি লালমনিরহাট জে
১৩ এপ্রিল ২০২৩
দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
১ ঘণ্টা আগেকুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কুতুবদিয়া বাতিঘরের পাশে এই লাইটহাউস সি-বিচটির অবস্থান। এখানে বসানো হয়েছে টিকটক চেয়ার। এই সৈকত থেকে দেখা যাবে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি জাহাজ। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত আর কক্সবাজার সৈকতের আবহ পাওয়া যাবে এখানে। সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজ দেখে মনে হবে এটি যেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা। আবার বালুচর দেখে মনে হবে, এটি যেন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত। ২৩ কিলোমিটারের এই সৈকতে পর্যটক টানতে পারলে সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়ার ওপর চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ ধুরুং বাতিঘর পয়েন্টে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা লাইটহাউস সি বিচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, অপার সম্ভাবনাময় পর্যটনের যাত্রা শুরু হয়েছে আজ থেকে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে দ্বীপের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে এই লাইটহাউস সি-বিচ। ফলে অর্থনৈতিক জোগান হবে এই বিনোদন কেন্দ্রকে ঘিরেই।
লাইটহাউস সি-বিচ উদ্বোধন ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে উঠে পরিবেশ। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশুরা এখানে বেড়াতে আসে। রাত পর্যন্ত চলে আবরার শাহীনসহ এক ঝাঁক শিল্পীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলা থেকে বেড়াতে আসা তরুণ আবদুল হামিদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি, কুতুবদিয়ায় লাইটহাউস সি-বিচ উদ্বোধন করা হবে। আমরা ১০ জন এসেছি। এসে খুবই ভালো লাগতেছে। , কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের যে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আমরা যাই, তা কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে এসেও পাব।
দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, সম্ভাবনার দ্বীপ কুতুবদিয়ায় প্রকৃতির দান। এখানে পর্যটনের সুযোগ আছে। আমরা শুরু করেছি। জনগণ ও প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবন করে পর্যটনের প্রসার ঘটাতে হবে। সৃষ্টি হবে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের। একদিন হয়তো ভ্রমণপিপাসুরা সেন্টমার্টিন না গিয়ে সাগরকন্যা কুতুবদিয়ায় ভ্রমণ করতে আসবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. মাহবুবুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী আবুসউদ্দিন, ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ মোর্শেদুল আলম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. ফরহাদ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কুতুবদিয়া বাতিঘরের পাশে এই লাইটহাউস সি-বিচটির অবস্থান। এখানে বসানো হয়েছে টিকটক চেয়ার। এই সৈকত থেকে দেখা যাবে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি জাহাজ। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত আর কক্সবাজার সৈকতের আবহ পাওয়া যাবে এখানে। সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজ দেখে মনে হবে এটি যেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গা। আবার বালুচর দেখে মনে হবে, এটি যেন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত। ২৩ কিলোমিটারের এই সৈকতে পর্যটক টানতে পারলে সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়ার ওপর চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ ধুরুং বাতিঘর পয়েন্টে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা লাইটহাউস সি বিচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, অপার সম্ভাবনাময় পর্যটনের যাত্রা শুরু হয়েছে আজ থেকে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে দ্বীপের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে এই লাইটহাউস সি-বিচ। ফলে অর্থনৈতিক জোগান হবে এই বিনোদন কেন্দ্রকে ঘিরেই।
লাইটহাউস সি-বিচ উদ্বোধন ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে উঠে পরিবেশ। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশুরা এখানে বেড়াতে আসে। রাত পর্যন্ত চলে আবরার শাহীনসহ এক ঝাঁক শিল্পীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলা থেকে বেড়াতে আসা তরুণ আবদুল হামিদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি, কুতুবদিয়ায় লাইটহাউস সি-বিচ উদ্বোধন করা হবে। আমরা ১০ জন এসেছি। এসে খুবই ভালো লাগতেছে। , কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের যে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আমরা যাই, তা কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে এসেও পাব।
দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, সম্ভাবনার দ্বীপ কুতুবদিয়ায় প্রকৃতির দান। এখানে পর্যটনের সুযোগ আছে। আমরা শুরু করেছি। জনগণ ও প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবন করে পর্যটনের প্রসার ঘটাতে হবে। সৃষ্টি হবে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের। একদিন হয়তো ভ্রমণপিপাসুরা সেন্টমার্টিন না গিয়ে সাগরকন্যা কুতুবদিয়ায় ভ্রমণ করতে আসবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. মাহবুবুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী আবুসউদ্দিন, ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ মোর্শেদুল আলম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. ফরহাদ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে হাবু এলাকায় বেনারসি পল্লী। এটি উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। তাঁতিপাড়া নামেও পরিচিত। এখানে এক সময় প্রায় ৬০০ বেনারসি তাঁত ছিল। বর্তমানে মাত্র তিনটি তাঁত চালু আছে। এই বেনারসি পল্লী এখন মূলত শাড়ির মার্কেট। রংপুর শহরসহ সরাসরি লালমনিরহাট জে
১৩ এপ্রিল ২০২৩
ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
৮ মিনিট আগে
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
১ ঘণ্টা আগেবকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জুলাই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন, সদস্যসচিব আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বায়েজিদ আলামিন, জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সা’আদ আহমেদ রাজু, জুলাই যোদ্ধা শহিদুল হক সানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি তামিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ নিশান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভাই শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জুলাই ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন, সদস্যসচিব আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বায়েজিদ আলামিন, জামালপুর জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সা’আদ আহমেদ রাজু, জুলাই যোদ্ধা শহিদুল হক সানি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি তামিম মোল্লা, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিশির আহমেদ নিশান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভাই শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ওসির আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে হাবু এলাকায় বেনারসি পল্লী। এটি উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। তাঁতিপাড়া নামেও পরিচিত। এখানে এক সময় প্রায় ৬০০ বেনারসি তাঁত ছিল। বর্তমানে মাত্র তিনটি তাঁত চালু আছে। এই বেনারসি পল্লী এখন মূলত শাড়ির মার্কেট। রংপুর শহরসহ সরাসরি লালমনিরহাট জে
১৩ এপ্রিল ২০২৩
ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
৮ মিনিট আগে
দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
১ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’
শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) চার দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে। ওয়াগ্গা পানির পাম্প হাউসের কারিগরি ত্রুটির কারণে চার দিন উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ শনিবার সকালে পুনরায় কাগজ উৎপাদনে শুরু হয়।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট ছাপানোর জন্য বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিসের (বিএসও) মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কেপিএম থেকে ৯১৫ টন বাদামি, গোলাপি ও সবুজ রঙের কাগজের চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে কেপিএম থেকে ৫৩৭ টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৭৮ টন কাগজ পর্যায়ক্রমে সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ওয়াগ্গা পানি উত্তোলন পাম্প হাউসের কারিগরি সমস্যার কারণে চার দিন ধরে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ ছিল।’
শহীদ উল্লাহ আরও বলেন, ‘কেপিএমের কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। এর পুরোটাই কর্ণফুলী নদী থেকে তোলা হয়। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় ভাটার সময় নদীর পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি উত্তোলন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে পানি প্রবেশপথ ম্যানুয়ালি খননের মাধ্যমে এবং বালু উত্তোলন পাইপলাইন ব্যবহার করে আরও গভীর করে উৎপাদন সচল করা হয়েছে।’

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে হাবু এলাকায় বেনারসি পল্লী। এটি উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের একটি গ্রাম। তাঁতিপাড়া নামেও পরিচিত। এখানে এক সময় প্রায় ৬০০ বেনারসি তাঁত ছিল। বর্তমানে মাত্র তিনটি তাঁত চালু আছে। এই বেনারসি পল্লী এখন মূলত শাড়ির মার্কেট। রংপুর শহরসহ সরাসরি লালমনিরহাট জে
১৩ এপ্রিল ২০২৩
ওসি মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘অমি কনস্ট্রাকশনের স্টোরকিপার শফিউল্লাহ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল হালিককে টাকার বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়। পরবর্তীকালে হালিম ডাকাত দলের সদস্যদের জানায়। পরে পরিকল্পনা করে তারা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।’
৮ মিনিট আগে
দ্বীপকন্যা কুতুবদিয়ার পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল লাইটহাউস সি-বিচ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্যটকদের জন্য এই মিনি পর্যটন স্পটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
১৩ মিনিট আগে
বেলা ২টার দিকে বকশীগঞ্জ নূর মোহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বটতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগে