Ajker Patrika

৮ বছর পর বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি বিদ্যালয়ে নেওয়ার পর পুড়ল আগুনে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ২২: ৫১
৮ বছর পর বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি বিদ্যালয়ে নেওয়ার পর পুড়ল আগুনে

৮ বছর আগে পাওয়া বিজ্ঞানাগারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি এত দিন ছিল প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর সেগুলো এনে রাখা হয় স্কুলের অফিসকক্ষের পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে। এরপর গতকাল সোমবার রাতে ওই পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লাগে। ওই আগুনে বিজ্ঞানাগারের মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে। 

শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের ধারণা, বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পড়ে থেকে এখন তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খোয়া গেছে মূল্যবান অনেক যন্ত্রপাতি। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সেগুলো স্কুলের অফিসকক্ষের পাশের একটি রুমে এনে রাখার পরই ঘটল আগুনের ঘটনা। রহস্যজনক এই আগুন প্রধান শিক্ষকেরই কারসাজি বলে দাবি তাঁদের। 

ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, সোমবার রাতে তারাবিহ নামাজের সময় লোকজন চিৎকার করতে থাকে কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে আগুন লেগেছে। এ সময় পাশের মসজিদে তারাবিহর নামাজ আদায় করছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তোমকিন আলম মুকুল। বাইরে চিৎকার শুনে তিনি মুসল্লিদের নিয়ে স্কুলে গিয়ে দেখেন স্কুলের অফিসকক্ষের পাশের বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতিগুলো যে কক্ষে রাখা হয়েছে সে কক্ষে আগুন জ্বলছে। ঘটনাটি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনে শুধু কক্ষে রাখা বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়েছে। ঘরের সিলিং ও টিনের চালা রয়েছে অক্ষত। প্লাস্টিকের সিলিংয়ে লাঠি বা কিছু দিয়ে গুঁতো মেরে সেগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে। আগুনের কিছু অংশ ঢুকেছে পাশের অফিস কক্ষে। তবে সেখানে তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 

এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তোমকিন আলম মুকুল বলেন, ‘আমি এলাকার লোকজন নিয়ে স্কুলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে শুধু বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। ঘরের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিষয়টি সত্যি রহস্যজনক। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করব। 

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিঞা বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমরা মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত