রংপুর প্রতিনিধি
এক গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে সংসারের কাজ ধীরে করতেন। এ নিয়ে চার মাসের ওই অন্তঃসত্ত্বার সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন শাশুড়ি। এরপর স্বামী বাড়ি ফিরে ঝগড়ার দোষ স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে তাঁকে লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করেন। এতে শাশুড়ি ও দেবরসহ যোগ দেন শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও। পরে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের খিয়ারচড়া গ্রামে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা তারাগঞ্জ থানায় স্বামী হাশমত আলী ও শাশুড়ি জরিনা বেগমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ মার্চ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কাঠগাড়ি গ্রামের আলম মিয়ার মেয়ে আমেনা বেগমের (২৫) সঙ্গে বিয়ে হয় তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের খিয়ারচড়া গ্রামে হাসান আলীর ছেলে হাশমত আলীর (৩০)। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে মেয়ে হাসফি খাতুন (৪) ও ছেলে আরমান হোসেন (৩)।
এরপর আমেনা বেগম আবার অন্তঃসত্ত্বা হন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে সাবধানে ও ধীরে সংসারের কাজকর্ম করতেন। এই নিয়ে গত ৫ মে সকাল ৭টার দিকে আমেনার সঙ্গে শাশুড়ি জরিনা বেগমের ঝগড়া হয়। ওই দিন রাত ৯টার দিকে আমেনার স্বামী হাশমত আলী বাড়ি এসে মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার কারণে আমেনাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করেন।
এ সময় শাশুড়ি জরিনা বেগম, দেবর জুয়েল রানা, সোহেল রানাও অন্তঃসত্ত্বাকে কিলঘুষি ও পেটে লাথি মারেন। এতে আমেনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে তিনি বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
পরদিন ৬ মে সকাল আমেনার পেটে ব্যথা ও রক্তক্ষরণ শুরু হলে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা সংকটাপন্ন দেখলে চিকিৎসকেরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) পাঠান। ৮ মে দিবাগত রাত ২ দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমেনা রমেক হাসপাতালের মারা যান।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (৯ মে) দিবাগত রাতে নিহত গৃহবধূর মা ছামিতন বেগম বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় হাশমত আলী, জরিনা বেগম (৪৭), জুয়েল রানা, সোহেল রানাসহ পাঁচনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত আমেনার ভাই আবু সাঈদ বলেন, ‘বিয়ের পর আমার বোনকে প্রায় নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কারণে অকারণে মারপিট করত। গত শুক্রবার বিনা কারণে আমার বোনকে হাশমত আলী ও তার মা-ভাইয়েরা পিটিয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় আমার বোন দুই শিশুকে এতিম করে না ফেরার দেশে চলে গেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
এদিকে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। মামলার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় আমেনার মা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এক গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে সংসারের কাজ ধীরে করতেন। এ নিয়ে চার মাসের ওই অন্তঃসত্ত্বার সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন শাশুড়ি। এরপর স্বামী বাড়ি ফিরে ঝগড়ার দোষ স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে তাঁকে লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করেন। এতে শাশুড়ি ও দেবরসহ যোগ দেন শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও। পরে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের খিয়ারচড়া গ্রামে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা তারাগঞ্জ থানায় স্বামী হাশমত আলী ও শাশুড়ি জরিনা বেগমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ মার্চ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কাঠগাড়ি গ্রামের আলম মিয়ার মেয়ে আমেনা বেগমের (২৫) সঙ্গে বিয়ে হয় তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের খিয়ারচড়া গ্রামে হাসান আলীর ছেলে হাশমত আলীর (৩০)। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে মেয়ে হাসফি খাতুন (৪) ও ছেলে আরমান হোসেন (৩)।
এরপর আমেনা বেগম আবার অন্তঃসত্ত্বা হন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে সাবধানে ও ধীরে সংসারের কাজকর্ম করতেন। এই নিয়ে গত ৫ মে সকাল ৭টার দিকে আমেনার সঙ্গে শাশুড়ি জরিনা বেগমের ঝগড়া হয়। ওই দিন রাত ৯টার দিকে আমেনার স্বামী হাশমত আলী বাড়ি এসে মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার কারণে আমেনাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করেন।
এ সময় শাশুড়ি জরিনা বেগম, দেবর জুয়েল রানা, সোহেল রানাও অন্তঃসত্ত্বাকে কিলঘুষি ও পেটে লাথি মারেন। এতে আমেনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে তিনি বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
পরদিন ৬ মে সকাল আমেনার পেটে ব্যথা ও রক্তক্ষরণ শুরু হলে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা সংকটাপন্ন দেখলে চিকিৎসকেরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) পাঠান। ৮ মে দিবাগত রাত ২ দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমেনা রমেক হাসপাতালের মারা যান।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (৯ মে) দিবাগত রাতে নিহত গৃহবধূর মা ছামিতন বেগম বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় হাশমত আলী, জরিনা বেগম (৪৭), জুয়েল রানা, সোহেল রানাসহ পাঁচনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত আমেনার ভাই আবু সাঈদ বলেন, ‘বিয়ের পর আমার বোনকে প্রায় নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কারণে অকারণে মারপিট করত। গত শুক্রবার বিনা কারণে আমার বোনকে হাশমত আলী ও তার মা-ভাইয়েরা পিটিয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় আমার বোন দুই শিশুকে এতিম করে না ফেরার দেশে চলে গেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
এদিকে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। মামলার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় আমেনার মা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় ঝটিকা মিছিল করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একই সময়ে ফতুল্লায় মিছিলের প্রস্তুতির সময় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাতিরঝিল মোড়ল গলিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল কর্মী আরিফ শিকদার (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
১ ঘণ্টা আগেবরগুনার তালতলীতে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন রেজাউল ইসলাম নামের এক যুবক। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো তুসুকা জিনস লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিডেট, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড ও তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড। নোটিশে বলা হয়, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, কারখানার...
১ ঘণ্টা আগে