Ajker Patrika

মানোন্নয়নে ব্যর্থ হলে মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যের ডিজি

দিনাজপুর ও নীলফামারী প্রতিনিধি 
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসকদের মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসকদের মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সময় ও সুবিধা দেওয়ার পর মানোন্নয়নে ব্যর্থ হলে মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক নাজমুল হোসেন।

নাজমুল হোসেন বলেন, তিনি ও তাঁর মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত সময় ও সুবিধা নেওয়ার পর যদি কোনো সরকারি বা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মানোন্নয়নে ব্যর্থ হয়, তবে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আজ শনিবার দিনাজপুর ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন ও মেডিকেল চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক নাজমুল হোসেন এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর নানা কারণে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এতে কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের চিকিৎসকেরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিচ্ছেন, এতে সেটি প্রতীয়মান হয়।’ এ সময় তিনি কলেজের শিক্ষকসংকট ও অন্যান্য সমস্যা দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

অধ্যক্ষ শেখ সাদেক আলীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ও উপপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ বাকি বিল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, সিভিল সার্জন মো. আসিফ ফেরদৌস প্রমুখ।

নীলফামারী

নীলফামারী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জিম্মা হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি নাজমুল হোসেন বলেন, ‘দেশের কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধের এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। নীলফামারীসহ ছয়টি মেডিকেল কলেজ বা এর বাইরে অন্য যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান বজায় রাখতে হবে।

কোনো কারণে সেটা সম্ভব না হলে আমাদের বিকল্প চিন্তা করতে হবে। এই সিদ্ধান্তগুলো সবার ভালোর জন্য। আমরা যদি যথাযথ শিক্ষা দিতে না পারি, তাহলে যথাযথ চিকিৎসক তৈরি হবে না। আমাদের প্রথম চেষ্টা অবশ্যই এই মেডিকেল কলেজগুলোর মান উন্নয়ন করা।’

নীলফামারী মেডিকেল কলেজে পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারী মেডিকেল কলেজে পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বাস্থ্য শিক্ষা মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের ৩৭টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি নবীন মেডিকেল কলেজের মধ্যে নীলফামারী মেডিকেল কলেজ একটি। যেগুলো ২০১৮ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই মেডিকেল কলেজগুলোর এখনো পরিপূর্ণ অবকাঠামো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ২০১৮ সালে তৎকালীন সরকার যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়াই মেডিকেল কলেজগুলো স্থাপন করেছে।

পরে এই সমস্যা আরও জটিল হয়ে যায় যখন ২০২২-২৩ সালে এসে এক সিদ্ধান্তে মেডিকেল কলেজগুলোতে ১ হাজার ৩০টি আসন বাড়ানো হয়। এটার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার ছিল, সেটা নেওয়া হয়নি। এ কারণে আমাদের মেডিকেল কলেজগুলো ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। একটা মেডিকেল কলেজ যে পরিমাণ শিক্ষার্থীর জন্য উপযুক্ত, তার থেকে অনেক বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে চালাতে হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন রংপুর বিভাগের রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজের সমস্যা ও সম্ভাবনা দেখতে পরিদর্শনে আসেন। এরই অংশ হিসেবে আজ দিনাজপুর ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত