ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের জায়গা-জমি দখল করেছে। ইজ্জতের ওপর হাত দিয়েছে, সম্পদ লুণ্ঠন করেছে, কাউকে কাউকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তারা নিজেরা এসব করে দোষ দিয়েছে ইসলামপন্থীদের ওপর।’ আজ সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় বড় মাঠে দলের কর্মী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘যারা আল্লাহর বান্দা, যারা আল্লাহর ওপর ইমান রাখে, তারা কখনো কোনো মানুষের ক্ষতি করতে পারে না; কোনো মানুষের প্রতি কখনো হিংসা পোষণ করে না; কোনো মানুষের জীবন নিয়ে তামাশা করে না; কোনো মানুষের ইজ্জতের ওপর হাত দেয় না; কোনো মানুষের সম্পদকে তাদের সম্পদ মনে করে না।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা দাবি জানিয়েছিলাম জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম ২০১৩ সালে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো দেওয়া হয়, আমরা তার তদন্ত দাবি করছি। এই তদন্ত করবে জাতিসংঘ। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। আমরা চাই, বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু করে চব্বিশের ৫ আগস্ট পর্যন্ত, এমনকি আজকের দিন পর্যন্ত বাংলাদেশে এ রকম যত অঘটন ঘটেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। তার শ্বেতপত্র জাতির সামনে প্রকাশ করা হোক। সেই শ্বেতপত্রে আমি ব্যক্তিটি যদি কালো বলে চিহ্নিত হই, দুষ্কৃতকারী হিসেবে চিহ্নিত হই, আমাকেও যেন ক্ষমা করা না হয়। আমরা দেখতে চাই, সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুর মারামারি লাগিয়ে দিয়ে কারা এই জাতির সর্বনাশ করে।’
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘এ দেশটা বিভিন্ন ধর্মের বর্ণের মানুষের। যুগ যুগ ধরে আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে আসছি। কিন্তু যে দলটি (আওয়ামী লীগ) জাতিকে বিভিন্ন অংশে ভাগ-বিভক্ত করে রেখেছিল সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু বলে। তারা ফায়দা লুটেছে আর সংখ্যালঘু বলে যদি কিছু থাকে তাদের সর্বনাশও করেছে। বাংলাদেশে মসজিদ পাহারা দরকার না হলে মন্দিরও পাহারা দেওয়ার দরকার হবে না। আমরা সেই সামাজিক নিরাপত্তার বলয় দেখতে চাই। আমরা চাই না, নির্দিষ্ট কোনো ধর্মাবলম্বীদের উৎসব আসবে অনুষ্ঠান আসবে সে উপলক্ষে তাদের পাহারা দিতে হবে।’
ডা. শফিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষের অনেক আওয়াজ, অনেক বিপক্ষের কথা, অনেক বিষ ছড়ানো কথা আমরা শুনেছি। আমি প্রশ্ন করতে চাই, এবারের মহান বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এটাকে ভারতের বিজয় দিবস দাবি করে টুইট করেছেন। তিনি তাঁর দেশের সৈনিকদের ও দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একটা শব্দ তিনি বাংলাদেশ নামে উচ্চারণ করেননি। আপনাদের চেতনা তখন কোথায় ছিল? এ বিজয় বাংলাদেশের, নাকি ভারতের? ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের যদি বিজয় হয়ে থাকে আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি এই বিজয় তাদের বলে দাবি করেন, আপনারা চুপ কেন? আপনাদের চেতনা কোথায় যায় তখন?’
জামায়াতের আমির প্রশ্ন রাখেন, ‘সীমান্তে যখন ফেলানীর লাশ ঝোলানো থাকে, আপনাদের চেতনা তখন কোথায় থাকে? দিনের পর দিন নিরীহ মানুষকে যখন সীমান্তে হত্যা করা হয়, তখন আপনাদের মুখে আওয়াজ বের হয় না। বরং আপনাদের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সীমান্তে যারা বাংলাদেশি মারা যায়, তারা দুষ্কৃতকারী। এটি লজ্জা এবং জাতীয় লজ্জা। আপনারা এই দেশের মন্ত্রী হয়ে ভিন্ন দেশের গান করেন। কারণ আপনাদের মাথা অন্য জায়গায় বন্ধক রেখেছেন।’
জামায়াতের প্রধান বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী দেশের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল থাকতে চাই। আমরা এ-ও আশা করি, তারা আমাদের দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। আমরা চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা শান্তিতে থাকুক। আবার আমরা চাই, তারাও যেন আমাদের অশান্তির কারণ না হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে তারা বাউন্ডারি ক্রস করে। বাংলাদেশের মসনদে কে বসবে, কে কার সঙ্গে জোট বাঁধবে, কে সরকার গঠন করবে, তারা বাংলাদেশে এসে তরকারিতে লবণ দেয়। আমরা ভবিষ্যতে আমাদের তরকারিতে আর কাউকে লবণ দিতে দেখতে চাই না। আমাদের তরকারি আমরা পাকাব। বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে এখানে কে ক্ষমতায় আসবে, কে আসবে না।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধান প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের জায়গা-জমি দখল করেছে। ইজ্জতের ওপর হাত দিয়েছে, সম্পদ লুণ্ঠন করেছে, কাউকে কাউকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তারা নিজেরা এসব করে দোষ দিয়েছে ইসলামপন্থীদের ওপর।’ আজ সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় বড় মাঠে দলের কর্মী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘যারা আল্লাহর বান্দা, যারা আল্লাহর ওপর ইমান রাখে, তারা কখনো কোনো মানুষের ক্ষতি করতে পারে না; কোনো মানুষের প্রতি কখনো হিংসা পোষণ করে না; কোনো মানুষের জীবন নিয়ে তামাশা করে না; কোনো মানুষের ইজ্জতের ওপর হাত দেয় না; কোনো মানুষের সম্পদকে তাদের সম্পদ মনে করে না।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা দাবি জানিয়েছিলাম জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম ২০১৩ সালে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো দেওয়া হয়, আমরা তার তদন্ত দাবি করছি। এই তদন্ত করবে জাতিসংঘ। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। আমরা চাই, বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু করে চব্বিশের ৫ আগস্ট পর্যন্ত, এমনকি আজকের দিন পর্যন্ত বাংলাদেশে এ রকম যত অঘটন ঘটেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। তার শ্বেতপত্র জাতির সামনে প্রকাশ করা হোক। সেই শ্বেতপত্রে আমি ব্যক্তিটি যদি কালো বলে চিহ্নিত হই, দুষ্কৃতকারী হিসেবে চিহ্নিত হই, আমাকেও যেন ক্ষমা করা না হয়। আমরা দেখতে চাই, সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুর মারামারি লাগিয়ে দিয়ে কারা এই জাতির সর্বনাশ করে।’
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘এ দেশটা বিভিন্ন ধর্মের বর্ণের মানুষের। যুগ যুগ ধরে আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে আসছি। কিন্তু যে দলটি (আওয়ামী লীগ) জাতিকে বিভিন্ন অংশে ভাগ-বিভক্ত করে রেখেছিল সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু বলে। তারা ফায়দা লুটেছে আর সংখ্যালঘু বলে যদি কিছু থাকে তাদের সর্বনাশও করেছে। বাংলাদেশে মসজিদ পাহারা দরকার না হলে মন্দিরও পাহারা দেওয়ার দরকার হবে না। আমরা সেই সামাজিক নিরাপত্তার বলয় দেখতে চাই। আমরা চাই না, নির্দিষ্ট কোনো ধর্মাবলম্বীদের উৎসব আসবে অনুষ্ঠান আসবে সে উপলক্ষে তাদের পাহারা দিতে হবে।’
ডা. শফিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষের অনেক আওয়াজ, অনেক বিপক্ষের কথা, অনেক বিষ ছড়ানো কথা আমরা শুনেছি। আমি প্রশ্ন করতে চাই, এবারের মহান বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এটাকে ভারতের বিজয় দিবস দাবি করে টুইট করেছেন। তিনি তাঁর দেশের সৈনিকদের ও দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একটা শব্দ তিনি বাংলাদেশ নামে উচ্চারণ করেননি। আপনাদের চেতনা তখন কোথায় ছিল? এ বিজয় বাংলাদেশের, নাকি ভারতের? ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের যদি বিজয় হয়ে থাকে আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি এই বিজয় তাদের বলে দাবি করেন, আপনারা চুপ কেন? আপনাদের চেতনা কোথায় যায় তখন?’
জামায়াতের আমির প্রশ্ন রাখেন, ‘সীমান্তে যখন ফেলানীর লাশ ঝোলানো থাকে, আপনাদের চেতনা তখন কোথায় থাকে? দিনের পর দিন নিরীহ মানুষকে যখন সীমান্তে হত্যা করা হয়, তখন আপনাদের মুখে আওয়াজ বের হয় না। বরং আপনাদের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সীমান্তে যারা বাংলাদেশি মারা যায়, তারা দুষ্কৃতকারী। এটি লজ্জা এবং জাতীয় লজ্জা। আপনারা এই দেশের মন্ত্রী হয়ে ভিন্ন দেশের গান করেন। কারণ আপনাদের মাথা অন্য জায়গায় বন্ধক রেখেছেন।’
জামায়াতের প্রধান বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী দেশের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল থাকতে চাই। আমরা এ-ও আশা করি, তারা আমাদের দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। আমরা চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা শান্তিতে থাকুক। আবার আমরা চাই, তারাও যেন আমাদের অশান্তির কারণ না হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে তারা বাউন্ডারি ক্রস করে। বাংলাদেশের মসনদে কে বসবে, কে কার সঙ্গে জোট বাঁধবে, কে সরকার গঠন করবে, তারা বাংলাদেশে এসে তরকারিতে লবণ দেয়। আমরা ভবিষ্যতে আমাদের তরকারিতে আর কাউকে লবণ দিতে দেখতে চাই না। আমাদের তরকারি আমরা পাকাব। বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে এখানে কে ক্ষমতায় আসবে, কে আসবে না।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধান প্রমুখ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে