গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরে কোটা আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হওয়া সংঘর্ষে রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী ভালো আছে। তবে চোখের নিচে রাবার বুলেটের আঘাত পেয়েছেন। মাথায় আঘাত রয়েছে।
রংপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) এলাকা। এ ঘটনার সময় রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন দাবিতে এক কিশোরীর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
পরে নিজেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে সেই শিক্ষার্থী। তার নাম মেফতাউল জান্নাত মিতা (১৭)। তিনি বর্তমানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছে।
মেফতাউল জান্নাত মিতা (১৭) রংপুরের আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলামের মেয়ে। সে রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পাস করেছে। বর্তমানে বেগম রোকেয়া কলেজের ছাত্রী। তার বাড়ি রংপুর সিটি করপোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ডের কোবারু কলেজপাড়া এলাকায়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গেলে মেফতাউল জান্নাত মিতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনের সময় আমি বেগম রোকেয়ার এক নম্বর গেটের সামনে ছিলাম। সামনে সিনিয়র ভাইয়েরা ছিল। যে সময় পুলিশে গুলি ছোড়ে, বড় ভাইয়েরা আমাদের যেন ক্ষতি না হয় সে জন্য অন্যদিকে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময়ই আমার শরীরে পুলিশের গুলি লাগে। পরে আমি পার্কের মোড়ে একটি বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। বিকেল ৫টায় আমার বাবা-মা বাসায় নিয়ে আসে। এখন একটু সুস্থ আছি।'
এময় মিতা বলে, বারবার আমাদের মিসগাইড করতেছে। আমরা নাকি কোটা বাতিল চাইতেছি। আমরা কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে না। আমাদের মাঝেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে। আমরা চাই না মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা বন্ধ হোক। আমরা চেয়েছি কোটা সংস্কার।
মিতার বাবা মফিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুরে আমার এক সহকর্মী আমাকে ফেসবুকে ছবি পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, এটা আপনার মেয়ে না? এখন দেখেন তো আপনার মেয়ে কোথায় আছে? সম্ভবত আপনার মেয়ে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে! তখন আমি হতাশ হয়ে আমার মেয়ের খোঁজ করি। খোঁজ করার পর বিকেল ৪টার সময় আমার মেয়েকে তার বান্ধবীদেরসহ রংপুর নগরীর শিমুলবাগ এলাকায় পাই। পরে বাড়িতে নিয়ে আসি। এখন সে সুস্থ আছে।'
গণমাধ্যমকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারের মিতা বলে, ‘আমার নাম মিফতাহুল জান্নাত মিতা। বেরোবির কোটা বিরোধী আন্দোলনে আমার মৃত্যুর একটি গুজব ছড়িয়েছে। আমি বর্তমানে ঠিক আছে। আমি আন্দোলনে ছিলাম এবং সামনের সারিতেই ছিলাম। তখন আমরা বেরোবির ১ নম্বর গেটে অবস্থান করছিলাম। পুলিশ হঠাৎ আমাদের দিকে রাবার বুলেট ছোড়া শুরু করে। আমার দুটি রাবার বুলেট লাগে। আমার চোখের ওপরে এবং নিচে গুলি লাগে। আমি আপাতত ঠিক আছি।’
মিতা আরও বলেন, ‘আমার দাবি একটাই, আমি যখন রক্ত দিয়েছি, আরও রক্ত দিতে প্রস্তুত। আমি এই আন্দোলনের শেষ দেখতে চাই। আমি আমার ন্যায্য অধিকার চাই। মুক্তিযোদ্ধারা যেই চেতনা দিয়ে গেছেন, আমি সেই চেতনায় বাঁচতে চাই। আমার দেশের মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্য নিয়ে যুদ্ধ করার পরেও কেন এখন তাঁদের নামে বৈষম্য করা হচ্ছে? আমি চাই এই বৈষম্য দূর হোক, সবাই সমান অধিকার পাক। আমি আবারও আন্দোলনে নামব। শুধুমাত্র রাবারের গুলি দিয়ে আমাকে থামিয়ে রাখা যাবে না। আমি আবারও রাজপথে নামব। দরকার হলে আবারও রক্ত দিব। সবাই আমাদের সমর্থন দেবেন এবং এটাকে গণ অভ্যুত্থানে রূপ দেন।’
রংপুরে কোটা আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হওয়া সংঘর্ষে রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী ভালো আছে। তবে চোখের নিচে রাবার বুলেটের আঘাত পেয়েছেন। মাথায় আঘাত রয়েছে।
রংপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) এলাকা। এ ঘটনার সময় রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন দাবিতে এক কিশোরীর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
পরে নিজেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে সেই শিক্ষার্থী। তার নাম মেফতাউল জান্নাত মিতা (১৭)। তিনি বর্তমানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছে।
মেফতাউল জান্নাত মিতা (১৭) রংপুরের আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলামের মেয়ে। সে রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পাস করেছে। বর্তমানে বেগম রোকেয়া কলেজের ছাত্রী। তার বাড়ি রংপুর সিটি করপোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ডের কোবারু কলেজপাড়া এলাকায়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গেলে মেফতাউল জান্নাত মিতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনের সময় আমি বেগম রোকেয়ার এক নম্বর গেটের সামনে ছিলাম। সামনে সিনিয়র ভাইয়েরা ছিল। যে সময় পুলিশে গুলি ছোড়ে, বড় ভাইয়েরা আমাদের যেন ক্ষতি না হয় সে জন্য অন্যদিকে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময়ই আমার শরীরে পুলিশের গুলি লাগে। পরে আমি পার্কের মোড়ে একটি বাসায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। বিকেল ৫টায় আমার বাবা-মা বাসায় নিয়ে আসে। এখন একটু সুস্থ আছি।'
এময় মিতা বলে, বারবার আমাদের মিসগাইড করতেছে। আমরা নাকি কোটা বাতিল চাইতেছি। আমরা কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে না। আমাদের মাঝেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে। আমরা চাই না মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা বন্ধ হোক। আমরা চেয়েছি কোটা সংস্কার।
মিতার বাবা মফিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুরে আমার এক সহকর্মী আমাকে ফেসবুকে ছবি পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, এটা আপনার মেয়ে না? এখন দেখেন তো আপনার মেয়ে কোথায় আছে? সম্ভবত আপনার মেয়ে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে! তখন আমি হতাশ হয়ে আমার মেয়ের খোঁজ করি। খোঁজ করার পর বিকেল ৪টার সময় আমার মেয়েকে তার বান্ধবীদেরসহ রংপুর নগরীর শিমুলবাগ এলাকায় পাই। পরে বাড়িতে নিয়ে আসি। এখন সে সুস্থ আছে।'
গণমাধ্যমকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারের মিতা বলে, ‘আমার নাম মিফতাহুল জান্নাত মিতা। বেরোবির কোটা বিরোধী আন্দোলনে আমার মৃত্যুর একটি গুজব ছড়িয়েছে। আমি বর্তমানে ঠিক আছে। আমি আন্দোলনে ছিলাম এবং সামনের সারিতেই ছিলাম। তখন আমরা বেরোবির ১ নম্বর গেটে অবস্থান করছিলাম। পুলিশ হঠাৎ আমাদের দিকে রাবার বুলেট ছোড়া শুরু করে। আমার দুটি রাবার বুলেট লাগে। আমার চোখের ওপরে এবং নিচে গুলি লাগে। আমি আপাতত ঠিক আছি।’
মিতা আরও বলেন, ‘আমার দাবি একটাই, আমি যখন রক্ত দিয়েছি, আরও রক্ত দিতে প্রস্তুত। আমি এই আন্দোলনের শেষ দেখতে চাই। আমি আমার ন্যায্য অধিকার চাই। মুক্তিযোদ্ধারা যেই চেতনা দিয়ে গেছেন, আমি সেই চেতনায় বাঁচতে চাই। আমার দেশের মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্য নিয়ে যুদ্ধ করার পরেও কেন এখন তাঁদের নামে বৈষম্য করা হচ্ছে? আমি চাই এই বৈষম্য দূর হোক, সবাই সমান অধিকার পাক। আমি আবারও আন্দোলনে নামব। শুধুমাত্র রাবারের গুলি দিয়ে আমাকে থামিয়ে রাখা যাবে না। আমি আবারও রাজপথে নামব। দরকার হলে আবারও রক্ত দিব। সবাই আমাদের সমর্থন দেবেন এবং এটাকে গণ অভ্যুত্থানে রূপ দেন।’
নেত্রকোনার আটপাড়ায় সহকারী শিক্ষিকাকে শোকজ করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে...
৪ মিনিট আগেনড়াইল সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামে নিজ ঘর থেকে দুই সন্তানের মা মাধবী বিশ্বাস (৩৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর ওই নারীর স্বামী হীরামণ বিশ্বাস ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুদেবী পলাতক রয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেউপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে নদী খননের কারণে মাটি সরে গিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভাষ্য, বক্স কালভার্ট নির্মাণের পূর্বে তাদের অনুমতি না নিয়ে অপরিকল্পিতভাবে করায় মাটি সরে গেছে। চলাচলে ঝুঁকি বাড়ায় ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয়রা।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের মরিচা এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর এবং তুলসীখালী এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর একটি আংশিক, আরেকটি পুরোপুরি অন্ধকারে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এসব সেতুর ল্যাম্পপোস্টে বাতি থাকলেও কোনো আলো জ্বলছে না। ফলে সন্ধ্যার পর এলাকা দুটি ডুবে যায়
২ ঘণ্টা আগে