Ajker Patrika

আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত, পরে বিএনপি ও ছাত্রদলের দুই পক্ষের হাতাহাতি

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি 
বিএনপির দুই পক্ষের হাতাহাতির পর পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করছেন বিএনপির অপর একটি পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএনপির দুই পক্ষের হাতাহাতির পর পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করছেন বিএনপির অপর একটি পক্ষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রংপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ নেওয়াজ জোহা ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পরে বিএনপি ও ছাত্রদলের দুই পক্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগামী ২৩ মার্চ উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক-বার্ষিক সম্মেলনের নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম চলছিল। এ সময় বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে আব্দুর রাজ্জাক নামের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ নেওয়াজ জোহা ও তার সমর্থকেরা ওই নেতাকে বেধড়ক পিটুনি দেন।

একপর্যায়ে বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মী ও লোকজনের সহযোগিতায় আব্দুর রাজ্জাক সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর জোহা ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আইয়ূব আলীর সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। পরে বিএনপির অন্য এক গ্রুপের সহযোগিতায় পরিবেশ শান্ত হয়। এদিকে পিটুনি খাওয়ার পর ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, ‘জোহা আজকে কাজটা ঠিক করেনি, এভাবে মারামারিটা করা। সে যে দলেরই হোক না কেন, সে তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। সে তো আর আমাদের পার্টি অফিসের ভেতরে আসে নাই।’

এ বিষয়ে রংপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ নেওয়াজ জোহা বলেন, ‘আমার ওপর ওঠা অভিযোগটি মিথ্যা, আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা জানেন, আগামী ২৩ মার্চের উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল গঠনে আমার বাবা ওয়াহেদুজ্জামান মাবু সভাপতি পদে ভোট করবেন। সেই নির্বাচনের আজকে পার্টি অফিসে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছিল। সে কারণে দুপুরে আমরা সবাই পার্টি অফিসের সামনে অবস্থান নিচ্ছিলাম। এমন সময় আমাদের পার্টি অফিসের সামনে ওই আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক সে মোহাম্মাদপুর ৪ নম্বর হুমায়ুন রোড ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সে তার গ্রামের বাড়িতে এসে গা ঢাকা দিয়েছে। তার নামে অনেক মামলাও রয়েছে। সে এখন এসব মামলা থেকে বাঁচার জন্য বিএনপির এক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছে। এমনকি আগামী ২৩ মার্চ কাউন্সিল গঠনে এক বিএনপি নেতার ডোনার হয়ে কাজও করতেছে সে। এ কারণে অফিসের সামনে থাকা নেতা-কর্মীরা তাকে দেখতে পেয়ে পিটুনি দেয়।’

এ বিষয়ে নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে অংশ নেওয়া ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আইয়ূব আলী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে আমাদের মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, আমরা নিজেরাই মিটিয়ে নিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত