নীলফামারী প্রতিনিধি
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নীলফামারী বাফার গুদামে ট্রাক থেকে সার খালাস বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকেরা। এতে খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। পরে বেলা ৩টার দিকে কাজ শুরু করেছেন শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সার সংরক্ষণাগার বাফার গুদামে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, গুদামের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি বস্তা লোড–আনলোড করার জন্য মজুরি প্রদান করা হয় তিন টাকা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হলেও মজুরির কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এসব বিষয়ে একাধিকবার ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কোনো ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শনিবার কাজ বন্ধ করেন শ্রমিকেরা। পরে গুদাম কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বেলা ৩টা থেকে আনলোডের কাজ শুরু হয়।
এদিকে শ্রমিকদের কাজ বন্ধের ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে সার নিয়ে আসা ট্রাকচালকেরা। যশোরের নওয়াপাড়া ও নগরবাড়ি থেকে সার নিয়ে এসে খালাসের জন্য গত তিন দিন ধরে অনেকেই অপেক্ষা করছেন।
নওয়াপাড়া থেকে আসা ট্রাকচালক মো. সেলিম কাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীলফামারীতে পৌঁছাই। শুক্রবার ছুটির কারণে কাজ করেননি শ্রমিকেরা। এরপর আজ (শনিবার) সকাল থেকে কাজ বন্ধ। প্রায় তিন দিন ধরে ভেতরে ঢুকতে না পেরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।’
তিনি বলেন, ‘সময়মতো খালাস না হওয়ায় প্রতিদিন হেলপারসহ দুজন মানুষের খাওয়া খরচ হচ্ছে এক হাজার টাকা। এ টাকা মালিক দেবে না, পকেট থেকে খরচ করছি। আসার সঙ্গে সঙ্গে খালাস হলে অতিরিক্ত খরচ হতো না। এ ছাড়া অন্য ভাড়ায় যে আয় হতো, এখানে বসে থেকে সেটিও হারাচ্ছি। বসে থেকে যে টাকা খরচ করছি, সেটি মহাজনের কাছে দেনা হয়ে থাকবে।’
তার মতো নওয়াপাড়া থেকে সার নিয়ে এসেছেন ট্রাকচালক আরজু ইসলাম। তিনি গত বৃহস্পতিবার এসে ৩৬ নম্বর ট্রাকের পেছনে আছেন। কথা হলে আরজু ইসলাম বলেন, ‘আমরা নওয়াপাড়া থেকে দেশের বিভিন্ন বাফার গুদামে সার পরিবহন করি। এর আগেও নীলফামারীতে এসেছি। কিন্তু এবার এসে বিপদে পড়লাম।’
তিনি বলেন, ‘মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গুদামের শ্রমিকদের লোড–আনলোড বন্ধ রাখার কথা জেনেছি। এ কারণে গুদামের ভেতরে আনলোডের অপেক্ষায় অনেক ট্রাক আছে। আমরা ভেতরে জায়গা না পেয়ে সড়কে অন্তত ৫০টির বেশি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে, জানি না কখন খালাস হবে। এভাবে সড়কে দাঁড়িয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রাতে পাহারা দিতে গিয়ে ঘুম হচ্ছে না। খাওয়া–শৌচাগারের সমস্যা তো আছেই।’ একই কথা বলেন অপর ট্রাকচালকের সহযোগী রাসেল শেখ, রিফাদুল ইসলামসহ কয়েকজন।
এ বিষয়ে লেবার সর্দার সায়েদ আলম বলেন, ‘প্রতি বস্তা তিন টাকা দরে সারা দিন কাজ করে শ্রমিকদের মাত্র দুই থেকে তিন শ টাকা আয় হয়। এ আয়ে সংসার চলে না। আমরা বহুদিন ধরে টাকা বাড়ানোর জন্য তাগিদ দিয়ে আসছি। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনছে না। বাধ্য হয়ে শনিবার সকালে লেবাররা কাজ বন্ধ করে দেয়।
পরে গুদাম কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বেলা ৩টার দিকে আনলোডের কাজ শুরু করি। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল। এতে করে অনেক ট্রাক আনলোডের অপেক্ষায় রয়েছে।’
লোডিং-আনলোডিং ঠিকাদার আনছার আলী বলেন, ‘লেবাররা প্রতি বস্তা আনলোডিং দুই টাকা ও লোডিং এক টাকা করে মজুরি পান। এই মজুরিতে তারা কাজ করে আসছেন। এ বিষয়ে তারা আমার সঙ্গে কখনো কোন কথা বলেনি।
শুক্রবার ছুটি থাকায় কাজ বন্ধ ছিল। আজকে (শনিবার) সকালে হঠাৎ করে শুনি তারা কাজ বন্ধ করেছে। আমি দূরে থাকায় ফোনে বলেছি, কোনো কথা থাকলে আমরা বসে সমাধান করব, আপনারা কাজ চালিয়ে যান। এরপর বেলা ৩টার দিকে কাজ শুরু করেছেন তারা। এখন কোনো সমস্যা নাই, আনলোডের কাজ দ্রুত শেষ হবে।’
নীলফামারী বাফার গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা (শ্রমিক) কাজ করেন ঠিকাদারদের অধীনে। ঠিকাদারদের বাড়ি দূরে হওয়ায় লেবার সর্দার শ্রমিকদের কাছে কিছু তথ্য গোপন রেখে ফায়দা নেয়। এ জন্য লেবার সর্দার এবং শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে। বিষয়টি কথা বলে কাজ সচল রাখা হয়েছে।’
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নীলফামারী বাফার গুদামে ট্রাক থেকে সার খালাস বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকেরা। এতে খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। পরে বেলা ৩টার দিকে কাজ শুরু করেছেন শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সার সংরক্ষণাগার বাফার গুদামে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, গুদামের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি বস্তা লোড–আনলোড করার জন্য মজুরি প্রদান করা হয় তিন টাকা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হলেও মজুরির কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এসব বিষয়ে একাধিকবার ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কোনো ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শনিবার কাজ বন্ধ করেন শ্রমিকেরা। পরে গুদাম কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বেলা ৩টা থেকে আনলোডের কাজ শুরু হয়।
এদিকে শ্রমিকদের কাজ বন্ধের ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে সার নিয়ে আসা ট্রাকচালকেরা। যশোরের নওয়াপাড়া ও নগরবাড়ি থেকে সার নিয়ে এসে খালাসের জন্য গত তিন দিন ধরে অনেকেই অপেক্ষা করছেন।
নওয়াপাড়া থেকে আসা ট্রাকচালক মো. সেলিম কাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীলফামারীতে পৌঁছাই। শুক্রবার ছুটির কারণে কাজ করেননি শ্রমিকেরা। এরপর আজ (শনিবার) সকাল থেকে কাজ বন্ধ। প্রায় তিন দিন ধরে ভেতরে ঢুকতে না পেরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।’
তিনি বলেন, ‘সময়মতো খালাস না হওয়ায় প্রতিদিন হেলপারসহ দুজন মানুষের খাওয়া খরচ হচ্ছে এক হাজার টাকা। এ টাকা মালিক দেবে না, পকেট থেকে খরচ করছি। আসার সঙ্গে সঙ্গে খালাস হলে অতিরিক্ত খরচ হতো না। এ ছাড়া অন্য ভাড়ায় যে আয় হতো, এখানে বসে থেকে সেটিও হারাচ্ছি। বসে থেকে যে টাকা খরচ করছি, সেটি মহাজনের কাছে দেনা হয়ে থাকবে।’
তার মতো নওয়াপাড়া থেকে সার নিয়ে এসেছেন ট্রাকচালক আরজু ইসলাম। তিনি গত বৃহস্পতিবার এসে ৩৬ নম্বর ট্রাকের পেছনে আছেন। কথা হলে আরজু ইসলাম বলেন, ‘আমরা নওয়াপাড়া থেকে দেশের বিভিন্ন বাফার গুদামে সার পরিবহন করি। এর আগেও নীলফামারীতে এসেছি। কিন্তু এবার এসে বিপদে পড়লাম।’
তিনি বলেন, ‘মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গুদামের শ্রমিকদের লোড–আনলোড বন্ধ রাখার কথা জেনেছি। এ কারণে গুদামের ভেতরে আনলোডের অপেক্ষায় অনেক ট্রাক আছে। আমরা ভেতরে জায়গা না পেয়ে সড়কে অন্তত ৫০টির বেশি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে, জানি না কখন খালাস হবে। এভাবে সড়কে দাঁড়িয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রাতে পাহারা দিতে গিয়ে ঘুম হচ্ছে না। খাওয়া–শৌচাগারের সমস্যা তো আছেই।’ একই কথা বলেন অপর ট্রাকচালকের সহযোগী রাসেল শেখ, রিফাদুল ইসলামসহ কয়েকজন।
এ বিষয়ে লেবার সর্দার সায়েদ আলম বলেন, ‘প্রতি বস্তা তিন টাকা দরে সারা দিন কাজ করে শ্রমিকদের মাত্র দুই থেকে তিন শ টাকা আয় হয়। এ আয়ে সংসার চলে না। আমরা বহুদিন ধরে টাকা বাড়ানোর জন্য তাগিদ দিয়ে আসছি। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনছে না। বাধ্য হয়ে শনিবার সকালে লেবাররা কাজ বন্ধ করে দেয়।
পরে গুদাম কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বেলা ৩টার দিকে আনলোডের কাজ শুরু করি। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল। এতে করে অনেক ট্রাক আনলোডের অপেক্ষায় রয়েছে।’
লোডিং-আনলোডিং ঠিকাদার আনছার আলী বলেন, ‘লেবাররা প্রতি বস্তা আনলোডিং দুই টাকা ও লোডিং এক টাকা করে মজুরি পান। এই মজুরিতে তারা কাজ করে আসছেন। এ বিষয়ে তারা আমার সঙ্গে কখনো কোন কথা বলেনি।
শুক্রবার ছুটি থাকায় কাজ বন্ধ ছিল। আজকে (শনিবার) সকালে হঠাৎ করে শুনি তারা কাজ বন্ধ করেছে। আমি দূরে থাকায় ফোনে বলেছি, কোনো কথা থাকলে আমরা বসে সমাধান করব, আপনারা কাজ চালিয়ে যান। এরপর বেলা ৩টার দিকে কাজ শুরু করেছেন তারা। এখন কোনো সমস্যা নাই, আনলোডের কাজ দ্রুত শেষ হবে।’
নীলফামারী বাফার গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা (শ্রমিক) কাজ করেন ঠিকাদারদের অধীনে। ঠিকাদারদের বাড়ি দূরে হওয়ায় লেবার সর্দার শ্রমিকদের কাছে কিছু তথ্য গোপন রেখে ফায়দা নেয়। এ জন্য লেবার সর্দার এবং শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে। বিষয়টি কথা বলে কাজ সচল রাখা হয়েছে।’
ঝিনাইদহ শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার প্রধান দুটি পথ বন্ধ করে শহীদ মিনার গোলচত্বর সড়কে সংস্কারকাজ চলছে। এতে অতিরিক্ত আধা থেকে এক কিলোমিটার ঘুরে শহরে যাওয়া-আসা করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে লোকজনকে।
৬ ঘণ্টা আগেপাবনার ফরিদপুর উপজেলায় অন্তত আড়াই শ কারখানায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব কারখানায় অবাধে তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এলাকার তৈরি করা জাল বিক্রি করা হচ্ছে চলনবিলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। জলজ জীববৈচিত্র্যের জন্য চায়না দুয়ারি জাল...
৬ ঘণ্টা আগেখুলনা বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ সমাবেশ, প্রতীকী অনশন এবং ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের...
৬ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ের কৃষক মোহাম্মদ আলী (৫০) চলতি বোরো মৌসুমে স্থানীয় মাছকারিয়া বিলে ৫ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছিলেন। ধানও পেকে উঠেছে। বৈশাখের মাঝামাঝিতে ধান কাটার প্রস্তুতি ছিল তাঁর। তবে বৃষ্টিতে জমির পাশের পাহাড়ে অবস্থিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বর্জ্য এসে তাঁর অধিকাংশ পাকা..
৭ ঘণ্টা আগে