Ajker Patrika

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ ১৪ আসামির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ৪৩
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ ১৪ আসামির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবির) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ ১৪ আসামির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার প্যানেল আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান রোকন। 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে গতকাল বুধবার রংপুর মহানগর আমলি আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন। 

বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা হলেন রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, বেরোবি শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান মণ্ডল, এসআই বিভূতি ভূষণ, তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেরোবি ছাত্রলীগ সভাপতি পামেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, বাবুল হোসেন ও বেরোবি কর্মকর্তা রাফিউর হাসান। 

মামলার প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের মাথার আঘাতের চিহ্ন সুস্পষ্ট। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির ক্ষত। সবকিছু মিলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রমাণ করে এটি হত্যাকাণ্ড। ফলে এ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কেউ ছাড়া পাবে না। 

তিনি আরও বলেন, এজাহারনামীয় বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হননি। তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন অন্য মামলায় গ্রেপ্তার আছেন ঢাকায়। এ ছাড়া আবু সাঈদ হত্যার ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্য এএসআই সৈয়দ আমির আলী ও সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই রংপুর পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, ‘আসামিদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা তদন্তেরই একটি অংশ। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে মামলার অন্যান্য যে নথিপত্র ও আলামত সংগ্রহ করছি; সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারে অনুমতির প্রয়োজন, সে জন্য বিজ্ঞ আদালতকে সব বিষয়ে জানিয়েছি।’ 

প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং এই ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন। 

১৮ আগস্ট আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বড় ভাই রমজান আলী মহানগর তাজহাট আমলি আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত