Ajker Patrika

বিদেশিরাও বিএনপিকে লাল কার্ড দেখিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ২৯
বিদেশিরাও বিএনপিকে লাল কার্ড দেখিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের সঙ্গে আছে। জাতীয় পার্টি ও বিএনপি কেউ নাই। বিএনপি কালো পতাকা মিছিল করেছে। কিন্তু নির্বাচনে জনগণ তাদের কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে লাভ হয়নি, বিদেশিরাও লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছেন।’ 

আজ রোববার নীলফামারী জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শীতার্তদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে না। আমরা যখন শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছি, তখন বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপিকে কখন খুঁজে পাওয়া যায়, যখন পেট্রলবোমা মারে। আর জাতীয় পাটি কই, তাদেরও তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা এখন রওশন এরশাদ আর জি এম কাদেরকে নিয়ে ব্যস্ত।’ 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘গতকাল বিএনপির নেতারা নাকি বলেছেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) ভারত, রাশিয়া, চীনের সরকার। আমরা জনগণের সরকার। আমরা এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষের সরকার, দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার। 

‘আমাদের সঙ্গে ভারত, রাশিয়া, চীনের যেমন ভালো সম্পর্ক। আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক। তাই ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আপনারা দেখতে পেয়েছেন, পৃথিবীর সব রাষ্ট্র জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন ও কাজ করার আগ্রহ জানাচ্ছে।’ 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা, তিনি আজকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নেত্রী। জননেত্রী শেখ হাসিনা–যার কাছে গেলে মনে হবে তিনি আপনার মা, বড় বোন। অন্য কোনো কিছু আপনার কাছে মনে হবে না। তাঁকে দূর থেকে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী, যখন গিয়ে কথা বলবেন, তখন মনে হবে উনি আপনার মা কিংবা বড় বোন। এটিই হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। 

‘এখানেই হচ্ছে অন্যদের সঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্থক্য। আর আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে থাকে। অন্যরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। আরেকটা গ্রুপ আছে, কেমনে ক্ষমতার সঙ্গে থাকবে—সেই চেষ্টায় লিপ্ত থাকে, এর বাইরে অন্য কোনো রাজনীতি নাই। আমাদের রাজনীতি জনগণের রাজনীতি। আমাদের রাজনীতি খেটে খাওয়া মানুষের জন্য রাজনীতি।’ 

নীলফামারীতে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি: আজকের পত্রিকাহাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু ঘর করে দিচ্ছেন তা-ই নয়, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ ২২ প্রকারের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নের দুই হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার, পাঁচ হাজার পর্যন্ত নানা ধরনের ভাতা দেওয়া হয়। মাতৃত্বকালীন ভাতা; কেউ কি ভেবেছে কখনো যে অন্তঃসত্ত্বা হলে সরকার পয়সা দেবে?

‘আর মেয়ে স্কুলে গেলে আপনার মোবাইল ফোনে টাকা চলে আসবে। করোনা মহামারির মধ্যেও মোবাইল ফোনে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ যেমন আপনাদের পাশে আছে, আপনারও আওয়ামী লীগের পাশে থাকবেন।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

নেছারাবাদে জামায়াতের ফরম পূরণ আওয়ামী লীগ নেতার

নির্বাচনে মধ্যপন্থীদের জয়, প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৮ টাকা কেজি আলু, গাড়ি থামতেই মানুষের ভিড়

রাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর) 
গাংনী উপজেলার দেবীপুর বাজার থেকে গতকাল বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলার দেবীপুর বাজার থেকে গতকাল বিকেলে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দূর থেকে মাইকে ভেসে আসছিল ঘোষণা, ‘৫০ কেজি আলুর বস্তা মাত্র ৫০০ টাকা!’ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর বাজারে আলুর গাড়িটি থামতেই ভিড় জমায় লোকজন। দর-কষাকষির পর শেষমেশ বস্তাপ্রতি দাম নেমে আসে ৪০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি মাত্র ৮ টাকা।

বর্তমানে খুচরা বাজারে ভালো মানের আলুর দাম যখন প্রতি কেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা বা ১০০ টাকায় ৫-৬ কেজি, তখন এই দামে আলু পেয়ে ক্রেতারা দারুণ খুশি। কেউ এক বস্তা, কেউ দুই বস্তা, আবার কেউ তিন বস্তা আলু কিনেছেন।

আলু কিনতে আসা মোতালেব হোসেন বলেন, ‘আলুগুলো তেমন ভালো নয়। তবে এত কম দামে পাওয়া যাচ্ছে, তাই এক বস্তা নিলাম। গরু-ছাগলের খাবার হবে।’

আরেক ক্রেতা মো. ছাবের আলী বলেন, ‘যেটুকু খাওয়া যায় খাব। আর প্রতিদিন গরুকে ২ কেজি করে ঘাসের সঙ্গে কেটে দেব। তা ছাড়া এই আলুর গাছ বের হলে লাগালেও হতে পারে।’

ক্রেতা আবু হানিফ জানান, মাইকে ৫০০ টাকা দাম শুনে বাজারে ভিড় জমে। লোকজনের দর-কষাকষিতে শেষ পর্যন্ত প্রতি বস্তা ৪০০ টাকায় বিক্রি শুরু করেন বিক্রেতা।

আলু ব্যবসায়ী মো. উমর ফারুক জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন জেলায় তাঁদের চারটি গাড়ি আলু বিক্রির জন্য বের হয়। তিনি বলেন, ‘৫০ কেজির বস্তা ৪০০ টাকায় বিক্রি করেও আমাদের লাভ থাকছে। যে বাজারেই থামছি, ১০ থেকে ১৫ মণ আলু বিক্রি হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই আলুর অন্তত ৩০ কেজি মানুষ খেতে পারবে এবং বাকি ২০ কেজি গরু-ছাগলের খাবার হবে। এত সস্তায় আলু সাধারণত পাওয়া যায় না। প্রায় আড়াই মাস ধরে ব্যবসা করছি। আরও দুই মাস চলবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

নেছারাবাদে জামায়াতের ফরম পূরণ আওয়ামী লীগ নেতার

নির্বাচনে মধ্যপন্থীদের জয়, প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম। তিনি বলেন, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত।

নিহত মো. রাকিব (২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মিত বহুতল ভবনে প্লাস্টারের কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

ভবনটি নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত নির্মাণশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ওই ভবনের নবম তলায় প্লাস্টারের কাজ করছিলেন রাকিব। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভবনের জানালা দিয়ে তিনি ময়লা-আবর্জনা ফেলতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে ভবনের কর্মচারীরা উদ্ধার করে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত ৮টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তবে এই ঘটনা ক্যাম্পাসে জানাজানি হয় রাত ১১টার দিকে।

ভবনটিতে সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ভবনের নবম তলায় প্লাস্টারের কাজ করা হচ্ছিল। রাকিব ভবনের জানালা দিয়ে ময়লা ফেলতে গিয়ে পড়ে যান। পরে সাভারের এনাম মেডিকেলে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

নেছারাবাদে জামায়াতের ফরম পূরণ আওয়ামী লীগ নেতার

নির্বাচনে মধ্যপন্থীদের জয়, প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মধ্যরাতে সিপিবি সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
মাউথ স্পিকার হাতে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাউথ স্পিকার হাতে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমনকে আটক করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। শুক্রবার মধ্যরাতে নগরের কালীবাড়ি এলাকার সুমনের নিজ বাসা থেকে এসএমপি জালালাবাদ থানা-পুলিশ তাঁকে আটক করে।

রাত ২টায় আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। কী অভিযোগে আটক করা হয়েছে, তা সকালে জানাবেন উল্লেখ করে অভিযান চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সিপিবি সিলেটের সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী বেদানন্দ ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে সুমনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

সম্প্রতি আনোয়ার হোসেন সুমন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার নগরে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন চালকেরা। এতে আনোয়ার হোসেন সুমনও সম্পৃক্ত ছিলেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে সুমনসহ কয়েকজন মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর দাবি আদায়ে রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন চালকেরা। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে রোববার অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন তাঁরা। তার আগেই শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে সুমনকে আটক করা হলো।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, অটোরিকশাচালকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে। এ ছাড়া পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সংঘাতের আশঙ্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকদের শনি ও রোববারের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে সিলেট মহানগরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরীর উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে বহু রিকশা জব্দ ও একাধিক চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর পর থেকে নগরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলতে দেওয়া হচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

নেছারাবাদে জামায়াতের ফরম পূরণ আওয়ামী লীগ নেতার

নির্বাচনে মধ্যপন্থীদের জয়, প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শতবর্ষেও আব্দুর রহিমকে পরতে হয় না চশমা, নড়বড়ে হয়নি দাঁত

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
মিঠাপুকুর উপজেলা সদরের মোহনা হোটেলের সামনে বসে ভিক্ষা করেন বৃদ্ধ আব্দুর রহিম। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিঠাপুকুর উপজেলা সদরের মোহনা হোটেলের সামনে বসে ভিক্ষা করেন বৃদ্ধ আব্দুর রহিম। ছবি: আজকের পত্রিকা

১০৫ বছর বয়স। কিন্তু নড়বড়ে হয়নি একটি দাঁতও, পরতে হয় না চশমা। এই বয়সেও দিব্যি হেঁটে চলাফেরা করেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের নিঝাল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম।

গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের মোহনা হোটেলের সামনে বসে ভিক্ষা করছিলেন বৃদ্ধ আব্দুর রহিম। তিনি একটি চাকু দিয়ে সুপারি কাটছিলেন। তাঁর কাছে গিয়ে জানতে চাওয়া হয়, এই বয়সেও কি সুপারি চিবোতে পারেন?

প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসলেন রহিম। জানালেন, তাঁর দাঁত পড়েনি, এমনকি নড়বড়েও হয়নি। আলাপচারিতার মাঝেই পান-সুপারি মুখে দিয়ে কাপড়ের পোঁটলা থেকে চুনের ডিব্বা বের করলেন। তিনি জানান, তাঁর বয়স এখন ১০৫ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ৫১ বছর।

পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের জনক আব্দুর রহিম এখনো বেশ সক্ষম। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে-মেয়েদের দেখলে তাঁদেরই বয়স বেশি মনে হবে। তাঁর আপন চার ছোট ভাই অনেক আগে মারা গেছেন। মাথার চুল দেখিয়ে তিনি বললেন, এখনো কিছুটা চুল কালো রয়েছে।

এত বয়সেও শারীরিক সক্ষমতা ঠিক থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভিক্ষা করি বটে, তবে ভালো খাবার খাই। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করি, মাথায় তেল দিই। ডিম ও কলা খাই। নিয়মিত গোসল করি এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের চেষ্টা করি।’

৯ ছেলে-মেয়ে থাকতেও কেন ভিক্ষা করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের সংসার ঠিকমতো চলে না। কেউ চট্টগ্রাম, কেউ ঢাকায় থাকে, অন্যরা কৃষিশ্রমিকের কাজ করে। আমার স্ত্রী বেঁচে আছেন, তবে তিনি এখন অচল হয়ে পড়েছেন।’

জীবনের এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ধনদৌলত, হায়াত-মৌত আল্লাহর হাতে। তাঁর (স্রষ্টার) রহমতেই এখনো বেঁচে আছি এবং ভালো আছি। তবে আমার টাকার দরকার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

নেছারাবাদে জামায়াতের ফরম পূরণ আওয়ামী লীগ নেতার

নির্বাচনে মধ্যপন্থীদের জয়, প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় চোখ রুহানির, তাঁর মৃত্যু চায় কট্টরপন্থীরা

জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটি ঘোষণা, নেই কাদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত