সোহেল রানা, হিলি (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলায় অবস্থিত হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পার করলেও এখনো চালু হয়নি স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) কোর্স। অন্যদিকে, জাতীয়করণের পর দীর্ঘ সাত বছরেও কাটেনি শিক্ষক ও অবকাঠামোর সংকট। কলেজটিতে বর্তমানে ২০টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো শিক্ষকই নেই। ফলে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৯৮৪ সালে স্থাপিত এই কলেজ ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট সরকারি স্বীকৃতি পেলেও উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় হতাশায় ভুগছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের তথ্যমতে, কলেজটি জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে চাইলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছেন না। ১ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থীর কলেজটিতে একজন উপাধ্যক্ষসহ ২০ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ইংরেজি, অর্থনীতি, প্রাণিবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, ইতিহাস—এই পাঁচ বিষয়ে ১০ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও একজন শিক্ষকও নেই এসব বিষয়ে। এ ছাড়া দুজনের জায়গায় একজন করে শিক্ষক রয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস, ভূগোল, মনোবিজ্ঞান, মার্কেটিং, গণিত ও রসায়ন বিভাগে। এসব বিভাগে প্রায় ৯টি পদে শিক্ষকের সংকট রয়েছে।
হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া রাব্বী হোসেন বলেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ বিষয়ের শিক্ষক নেই। কোনো দিন ক্লাস হয় আবার কোনো দিন হয় না। আমাদের বাইরে প্রাইভেট ও কোচিংয়ের ওপর ভর করে চলতে হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের কলেজ দ্রুত শিক্ষকের সংকট কাটিয়ে উঠুক। এতে আমাদের পড়াশোনার মান বাড়বে।’
ডিগ্রি প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী শম্পা বলেন, ‘আমি এইচএসসি পাস করার পর খুব ইচ্ছে ছিল অনার্সে পড়াশোনা করব, কিন্তু বাবা-মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ, যার কারণে বাইরে থেকে পড়াতে পারবে না বলে এখানেই ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছি। এখানে যদি অনার্স ও মাস্টার্স চালু থাকত, তাহলে আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের উপকার হতো। আমরা অল্প খরচে এলাকায় থেকেই পড়তে পারতাম।’
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী লুৎফর রহমান বলেন, হিলিতে তেমন কলকারখানা না থাকায় সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ নিম্ন আয়ের। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের কারণে সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে পাঠাতে পারে না। তাই সরকার যদি হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চালু করে, তাহলে অল্প খরচে এসব পরিবারের সন্তানেরা পড়তে পাড়বে। সরকারের উচিত কলেজটির অবকাঠামো উন্নয়নসহ দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানে নজর দেওয়া।
হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এনামুল হক বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো এই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কলেজের পক্ষ থেকে শিক্ষকের চাহিদা পাঠানো হচ্ছে, কিন্তু এখনো শিক্ষক না পাওয়ায় খণ্ডকালীন কিছু শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চালানো হচ্ছে। যেহেতু শিক্ষক নেই, সে কারণে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চালু করার সুযোগ নেই। যখন সরকার পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেবে, তখন এসব চালু করা হবে।’
দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলায় অবস্থিত হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পার করলেও এখনো চালু হয়নি স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) কোর্স। অন্যদিকে, জাতীয়করণের পর দীর্ঘ সাত বছরেও কাটেনি শিক্ষক ও অবকাঠামোর সংকট। কলেজটিতে বর্তমানে ২০টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো শিক্ষকই নেই। ফলে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৯৮৪ সালে স্থাপিত এই কলেজ ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট সরকারি স্বীকৃতি পেলেও উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় হতাশায় ভুগছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের তথ্যমতে, কলেজটি জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে চাইলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছেন না। ১ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থীর কলেজটিতে একজন উপাধ্যক্ষসহ ২০ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ইংরেজি, অর্থনীতি, প্রাণিবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, ইতিহাস—এই পাঁচ বিষয়ে ১০ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও একজন শিক্ষকও নেই এসব বিষয়ে। এ ছাড়া দুজনের জায়গায় একজন করে শিক্ষক রয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস, ভূগোল, মনোবিজ্ঞান, মার্কেটিং, গণিত ও রসায়ন বিভাগে। এসব বিভাগে প্রায় ৯টি পদে শিক্ষকের সংকট রয়েছে।
হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া রাব্বী হোসেন বলেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ বিষয়ের শিক্ষক নেই। কোনো দিন ক্লাস হয় আবার কোনো দিন হয় না। আমাদের বাইরে প্রাইভেট ও কোচিংয়ের ওপর ভর করে চলতে হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের কলেজ দ্রুত শিক্ষকের সংকট কাটিয়ে উঠুক। এতে আমাদের পড়াশোনার মান বাড়বে।’
ডিগ্রি প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী শম্পা বলেন, ‘আমি এইচএসসি পাস করার পর খুব ইচ্ছে ছিল অনার্সে পড়াশোনা করব, কিন্তু বাবা-মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ, যার কারণে বাইরে থেকে পড়াতে পারবে না বলে এখানেই ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছি। এখানে যদি অনার্স ও মাস্টার্স চালু থাকত, তাহলে আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের উপকার হতো। আমরা অল্প খরচে এলাকায় থেকেই পড়তে পারতাম।’
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী লুৎফর রহমান বলেন, হিলিতে তেমন কলকারখানা না থাকায় সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ নিম্ন আয়ের। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের কারণে সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে পাঠাতে পারে না। তাই সরকার যদি হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চালু করে, তাহলে অল্প খরচে এসব পরিবারের সন্তানেরা পড়তে পাড়বে। সরকারের উচিত কলেজটির অবকাঠামো উন্নয়নসহ দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানে নজর দেওয়া।
হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এনামুল হক বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো এই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কলেজের পক্ষ থেকে শিক্ষকের চাহিদা পাঠানো হচ্ছে, কিন্তু এখনো শিক্ষক না পাওয়ায় খণ্ডকালীন কিছু শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চালানো হচ্ছে। যেহেতু শিক্ষক নেই, সে কারণে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চালু করার সুযোগ নেই। যখন সরকার পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেবে, তখন এসব চালু করা হবে।’
‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
৮ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
৮ ঘণ্টা আগেরোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল
৮ ঘণ্টা আগেহাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
৮ ঘণ্টা আগে