Ajker Patrika

সবাইকে তুই–তোকারি করেন চিনিকলের প্রকৌশলী, থেঁতলে দিয়েছেন শ্রমিকনেতার আঙুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪, ২১: ২১
সবাইকে তুই–তোকারি করেন চিনিকলের প্রকৌশলী, থেঁতলে দিয়েছেন শ্রমিকনেতার আঙুল

রাজশাহী চিনিকলের প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম তুই–তোকারি করে কথা বলতেই পছন্দ করেন। দিনের পর দিন তিনি অফিসের সহকর্মী ও অধীনস্থ কর্মচারীদের সঙ্গে এভাবে কথা বলেন। আচরণও মারমুখী। চিনিকল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পর্যন্ত তিনি তুই–তোকারি করে কথা বলেছেন। প্রধান শিক্ষক লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
 
সর্বশেষ ২৪ মার্চ চিনিকল শ্রমিক–কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে তুই–তোকারি করে কথা বলেছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, রড দিয়ে শ্রমিক নেতার হাতের আঙুলও থেঁতলে দিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি তদন্ত করে তাঁর কাছে কৈফিয়ত তলব করেছেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল বাশার। আজ শুক্রবার এই চিঠি ইস্যু করা হয়। 

সামিউল ইসলাম রাজশাহী চিনিকলে সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) পদে কর্মরত। গত ২৪ মার্চ চিনিকল সিবিএর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় চিনিকল কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিটি তদন্ত শেষ করে এমডির কাছে প্রতিবেদন দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সামিউল ইসলামের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।

এ ছাড়া সিবিএ সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কাছেও কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। তাঁদের সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামিউলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন তিন কর্মচারী। এ জন্য তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— টারবাইন অপারেটর সোহেল রানা, খালাসি আলমগীর হোসেন ও হিসাব শাখার অফিস সহায়ক মুরাদুল ইসলাম। 

সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) সামিউল ইসলামের কৈফিয়ত তলবের চিঠিতে বলা হয়েছে, চিনিকলের টারবাইন অপারেটর সোহেল রানার কোয়ার্টারে পানির সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে সামিউল সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি শ্রমিক নেতাকে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন এবং শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেন। কাজের অগ্রগতির বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে না দিয়ে তিনি অপেশাদার আচরণ করেছেন। বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

শ্রমিকেরা জানান, সবার সঙ্গে এমন আচরণই করে থাকেন সহকারী ব্যবস্থাপক সামিউল ইসলাম। বিভিন্ন সময় তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। বছরখানেক আগে চিনিকলসংলগ্ন হরিয়ান বাজারে কাঠ চিড়তে করতে গিয়ে এক স’মিলে চিনিকলের এমএলএসএস মনসুর আলীর সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন সামিউল। সে সময় অন্য শ্রমিকেরা তাঁকে সামিউলের হাত থেকে রক্ষা করেন। মাস ছয়েক আগে চিনিকলের যান্ত্রিক প্রকৌশল প্রধান মেসবাউল ইসলামের সঙ্গেও মারমুখী আচরণ করেন তিনি। সেদিন চিনিকলে নতুনের জায়গায় পুরোনো বোরিং পাম্প ও পাইপ বসাচ্ছিলেন প্রকৌশলী সামিউল। মেসবাউল ইসলাম এই অনিয়মের প্রতিবাদ করলে সামিউল তাঁর সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। 

রাজশাহী চিনিকলের অধীনেই পরিচালিত হয় চিনিকল উচ্চবিদ্যালয়। প্রকৌশলী সামিউল এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসলাম আলীর সঙ্গেও তুই–তোকারি করে কথা বলেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে আসলাম আলী বলেন, বছরখানেক আগে স্কুলে একটি কাজ চলছিল। এক সকালে প্রকৌশলী সামিউল ফোন করে বলেন, ‘এই হেড মাস্টার সাহেব আপনি কোথায়?’ আমি বলি, আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন? এ সময় তিনি বলেন, ‘তোর সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে?’ তুই–তোকারি করে আরও অনেক খারাপ কথা বলেন তিনি। আমি একটি নোট দিয়ে বিষয়টি চিনিকলের এমডিকে জানাই। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সামিউলের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। সবার সঙ্গেই এ রকম আচরণ করেন।

প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম আজ শুক্রবার দুপুরে বলেন, তিনি এখনো কৈফিয়ত তলবের চিঠি পাননি। চিঠি পেলে জবাব দেবেন।

অধীনস্থদের সঙ্গে মারমুখী আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। প্রধান শিক্ষককে তুই–তোকারি করার প্রসঙ্গ তুলতেই ‘তাঁর সঙ্গে কিছুই হয়নি’ বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ‘সংস্কার খাতে প্রতি অর্থবছরে চিনিকলে প্রায় ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এগুলোর বেশির ভাগ অর্থই ভুয়া ভাউচারে নয়ছয় করেন প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম। তিনি চিনিকলের এমডিকেও তছরুপ করা অর্থের ভাগ দেন। এ জন্য এমডি সামিউলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না। রফিকুলকে মারধরের ঘটনায় এমডি শ্রমিক প্রতিনিধি ছাড়াই নিজেদের কর্মকর্তাদের নিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। নিজেদের মতো করে তদন্ত প্রতিবেদন করে সামিউলকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্টো “শায়েস্তা” করতে তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আমি ও আমার সাধারণ সম্পাদক রফিকুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’ 

সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে রড দিয়ে মেরে আঙুল ফাটিয়ে দিয়েছেন সামিউল। এ ঘটনায় এমডির কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এ অভিযোগের তদন্ত হয়নি। সামিউল উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের কারণে চিনিকলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’

জানতে চাইলে চিনিকলের এমডি আবুল বাশার বলেন, ‘রফিকুল সিবিএ নেতা পরে, আগে আমার কর্মচারী। তিনি তাঁর বিভাগের মাধ্যমে অভিযোগ না করে সংগঠনের পক্ষ থেকে করেছেন। এ জন্য তাঁর অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি।’

সামিউলের তুই–তোকারি করে কথা বলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক একটা নোট দিয়েছিলেন। আমি তাঁদের মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। আর সামিউলের বদলির জন্য মৌখিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম। কিন্তু বদলি করা হয়নি। এর মধ্যে এবার শ্রমিক নেতার সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল।’ সংস্কারকাজে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সব কাজ স্বচ্ছভাবেই হয়।’
 
২৪ মার্চ শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় তিনি রাজশাহীর কাটাখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে ঘটনাটি সরকারি প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিযোগের তদন্ত করছে না পুলিশ।

ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার মহাব্যবস্থাপক (পরিদর্শন ও তদন্ত) আকুল হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—ব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) সাইফুল ইসলাম ও উপব্যবস্থাপক (পুরকৌশল) শাহিনুল ইসলাম। আজ তদন্ত কমিটির সদস্যরা চিনিকলেই অবস্থান করছিলেন। 

তদন্ত কমিটির প্রধান আকুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও সময় নেব। সঠিক বিষয়টা আমরা তুলে আনতে চাই। তারপর আমরা করপোরেশনে প্রতিবেদন দেব। সে অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় জোড়া খুনের মামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় জোড়া হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনায় জোড়া হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহানগরীর দৌলতপুরে পারভেজ হাওলাদার ও সুপর্ণা সাহা নামের দুজনকে হত্যা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক সুমি আহমেদ এই জোড়া খুনের মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারহানা হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন তুহিন, ইমামুল কবীর জীবন ওরফে শবে কাদির, রাজ, শহীদ শাহরিয়ার মিথুন, তুষার গাজী, শোয়েব ও শাকিল। তাঁদের মধ্যে তুহিন, শহীদ শাহরিয়ার মিথুন ও তুষার গাজী রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য চারজন পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি কুটি ও শামীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি রাতে দৌলতপুরের দেয়ানা সবুজ সংঘ মাঠের কাছে সাহাপাড়ায় সন্ত্রাসীরা গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পারভেজ হাওলাদারকে। এ সময় এলাকাবাসীর ওপর গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে সুপর্ণা সাহা, তাঁর বাবা দিলিপ সাহা ও তাঁর স্ত্রী রেখা সাহা গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুপর্ণা সাহাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পারভেজের বাবা নিজামউদ্দিন ২০০৯ সালের ৪ জানুয়ারি বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ৯ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ মামলার অভিযোগপত্রে আদালতে দাখিল করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদকভর্তি বিছানায় ঘুমাতেন তিনি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার মশিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার মশিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় মশিউর রহমান (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। অভিযানে গ্রেপ্তার যুবকের বিছানার নিচ থেকে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান রংপুর র‍্যাব-১৩-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী।

গ্রেপ্তার যুবক মশিউর রহমান উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, ভারতীয় সীমান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার করে এনে নিজ বাড়িতে রেখে সারা দেশে পাইকারি বিক্রি করেন মশিউর রহমান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় রংপুর র‍্যাব-১৩-এর একটি দল। এ সময় মশিউর রহমানের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে বিছানার নিচে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৬৩৭ বোতল এসক্যাপ এবং ৪ কেজি দেড় শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে র‍্যাব। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় মামলা করে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করে র‍্যাব।

রংপুর র‍্যাব-১৩-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধ দমনে র‍্যাবের অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া রংপুর র‍্যাব-১৩-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসান বলেন, আটক মশিউরের নিজ শোয়ারঘরের বিছানার নিচ থেকে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে শিশুসহ নারীকে আটকে রেখে হেনস্তা, থানায় অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চোর সন্দেহে মাদারীপুরে শিশুসন্তানসহ নারীকে আটকে রেখে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার শহরের পুরান বাজারের স্বর্ণকারপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন বলেন, ‘এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভুক্তভোগী জানান, সদর উপজেলার তালতলা এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে তিনি শিশুকন্যাকে নিয়ে রুপার চুড়ি কেনার জন্য পুরান বাজারের স্বর্ণকার পট্টিতে যান। এ সময় স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র ঘোষ তাঁকে চোর সন্দেহে একটি দোকানে নিয়ে দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন।

ঘটনা জানাজানি হলে পরিবারের সদস্যরা দোকানে গিয়ে কারণ জানতে চান। তখন স্বর্ণ ব্যবসায়ী দাবি করেন, ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। পরে আবার তিনি জানান, ক্যামেরাটি নষ্ট। কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় ভুক্তভোগী নারী রাতেই মাদারীপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘আমাকে ও আমার শিশুকে বিনা অপরাধে আটকে রেখে মানহানি করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমার সন্দেহ হয়েছিল, তাই আমাদের সংগঠনের সেক্রেটারিকে জানিয়েছিলাম। পরে সেক্রেটারিই তাদের কিছু সময়ের জন্য আটকে রেখে পরে ছেড়ে দেন।’ আর সংগঠনের সেক্রেটারি কামাল হোসেন বলেন, গোপাল চন্দ্র ঘোষের নির্দেশেই নারী ও শিশুকে দোকানে আটকে রাখা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের চট্টগ্রামমুখী ডাউন লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী আরিফুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি ট্রেন ওই স্থানে পৌঁছে। ট্রেনটি বারবার হর্ন বাজিয়েও ওই ব্যক্তির মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ধারণা করা যাচ্ছে, লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন।’

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের সীতাকুণ্ড ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক রাশেদ রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করি। গায়ে শীতের জামাকাপড় ও লম্বা চুল-দাড়ির লোকটিকে দেখে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছি। নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত