Ajker Patrika

কৃষক বলছেন পানি না পেয়ে বিষপান, তদন্ত কমিটির অন্য কথা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
কৃষক বলছেন পানি না পেয়ে বিষপান, তদন্ত কমিটির অন্য কথা

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিষপান করা সাঁওতাল কৃষক মুকুল সরেন (৩৫) বলছেন, সাড়ে তিন বিঘা বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি না পেয়ে তিনি বিষপান করেছেন। তবে বিষপানের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি মনে করছে, সেচের পানির জন্য নয়। অন্য কোনো কারণে তিনি বিষপান করেছেন। 

তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে মুকুল সরেনের বিষপানের দুটি কারণও উদ্‌ঘাটন করার দাবি করেছে। এর একটি হলো—কয়েক মাস আগে মুকুল সরেনের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে গেছেন। বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে সমস্যার মধ্যে ছিলেন মুকুল। আরেকটি হলো—গত বছর দুই কৃষকের বিষপানের পর চাকরিচ্যুত হওয়া গভীর নলকূপ অপারেটরের কোনো হাত থাকতে পারে বলেও কমিটি সন্দেহ করছে। তবে সেচের পানির জন্য যে বিষপান নয়, সে ব্যাপারে স্পষ্ট মতামত দিচ্ছে কমিটি। 

অথচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষক মুকুল সরেন সাংবাদিকদের বলেছেন, টানা ছয়-সাত দিন ধরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপে ঘুরেও তিনি সেচের পানি পাননি। তিনি বলেছেন, গভীর নলকূপের পাইপ ফুটো হয়েছে বলে অপারেটর হাসেম আলী বাবু সব কৃষকের কাছ থেকে ৮০ টাকা করে তুলছিলেন। তিনিও মঙ্গলবার টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এর আগে ধান বাঁচাতে চেয়েছিলেন সেচের পানি। কিন্তু ৮০ টাকা দিতে না পারার কারণে হাসেম তাঁকে পানি দেননি। তাই অভিমানে বিষপান করেছেন। 

মুকুল আরও জানান, রোববার দুপুরে অপারেটর হাসেম আলীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির পর তিনি বিষপান করেন। বিষপানের পর হাসেম আলী তাঁর জমিতে ১৫ মিনিট সেচ দিয়েছেন। মুকুলের বিষপানের খবর সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আজকের পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশ হয়। এরপর রাতেই তাঁকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। মুকুল ডিসির কাছেও একই অভিযোগ করেন। তখন ডিসি সুস্থ হওয়ার পরে মুকুলকে তাঁর কার্যালয়ে ডাকেন এবং সব সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ডিসি মুকুলকে তার মোবাইল নম্বর দিয়ে কোনো সমস্যা হলে কল করারও পরামর্শ দেন। ডিসি জানান, মুকুল সরেনের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে জেলা প্রশাসন। 

এরপর জেলা প্রশাসক রাতেই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেন। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্তকে। আর দুই সদস্য হলেন—উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান ও দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কমিটির সদস্যরা ঈশ্বরীপুর গ্রামে গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত করেন। এ সময় বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ, গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামসহ বিএমডিএর অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা অপারেটর হাসেম এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। 

দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘মাঠে গিয়ে দেখলাম সব কৃষকের জমিতেই পানি আছে। মুকুল সরেনের জমিতেও পানি আছে এখন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন কৃষক ছাড়া কেউ বলেনি যে পানি পেতে হয়রানি হতে হয়। সেচের জন্য মুকুল বিষপান করেছে এটা মনে হচ্ছে না। এর পেছনে অন্য ইস্যু থাকতে পারে।’ 

ইউএনও বলেন, ‘তদন্তকালে আমরা প্রাথমিকভাবে দুটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি। একটি হলো—সন্তানদের রেখে মুকুলের স্ত্রী কয়েক মাস আগে বাবার বাড়ি চলে গেছে। এ ছাড়া গত বছর দুই কৃষক বিষপানে মারা যাওয়ার পর চাকরিচ্যুত হওয়া অপারেটরেরও কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে। ঘটনার দিন মুকুলের অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গেও কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। এই সমস্ত বিষয় তুলে ধরে আজকেই আমি জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেব।’ 

মুকুল সরেনের বাড়ি দেওপাড়া ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম গোপাল সরেন। বর্ষাপাড়া গ্রামের পাশের গ্রামটি নিমঘটু। গত বছরের মার্চে বোরো ধানের জমিতে পানি না পেয়ে এই নিমঘটু গ্রামের কৃষক অভিনাথ মারান্ডি ও তাঁর চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি বিষপান করেন। এতে দুজনেরই মৃত্যু হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অভিনাথ ও রবি বিএমডিএর যে গভীর নলকূপের আওতায় জমি চাষ করতেন, সেই একই নলকূপের কৃষক মুকুল সরেন। অভিনাথ ও রবির মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে তৎকালীন গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই ঘটনার শুরু থেকেই বিভিন্ন পক্ষ ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষ নয়, দেশীয় মদপানে ওই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও তখন প্রচার চালানো হয়। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, বিষপানের কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। ওই সময় চাকরিচ্যুত হন সাখাওয়াত। 

পরে নিয়োগ পান বর্তমান অপারেটর হাসেম আলী বাবু। মুকুলের বিষপানের পর হাসেম বলেছেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কৃষকেরা মদ্যপ অবস্থায় সেচ দিতে আসেন। কমিটির সিদ্ধান্ত আছে, কেউ মদপান করে এলে তাকে পানি দেওয়া হবে না। এ জন্য মুকুলকে দুই দিন পানি দেওয়া হয়নি।’ গভীর নলকূপের কোনো কিছু নষ্ট হলে তা বিএমডিএরই নিজের টাকায় মেরামত করার কথা। তারপরও পাইপ ফুটো হওয়ায় মুকুলের কাছে ৮০ টাকা চাওয়া হয়েছিল কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসেম বলেন, ‘পানি না পেয়ে মুকুলই মনে হয় পাইপ ফুটো করেছিল।’ তবে তাঁকে কেউ পাইপ ফুটো করতে দেখেনি বলেও স্বীকার করেন তিনি। 

বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, ‘এখানে সেচের জন্য বিষপান বলে মনে হচ্ছে না। এর পেছনে অন্য কারণ আছে। আমরা সেটা তদন্ত করে দেখব। অপারেটরের কোনো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মদপান করলে গভীর নলকূপ থেকে পানি দেওয়া হয় না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপারেটর আমাকেও এ কথা বলেছে। আমি তাকে বকাঝকা করেছি। বলেছি, মদপান তো আদিবাসীদের সংস্কৃতি। ওরা জন্ম থেকেই খাচ্ছে। এখন এই নিয়ম করলে তো হবে না। পানি নিয়ে যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আমরা অপারেটরকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিএম কলেজে অবহেলায় ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত
পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রুমানা আক্তার সুমি নামের ওই ছাত্রী মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার কলেজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রায় ২ ঘণ্টা পর রুমানা আক্তার সুমিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরদিন শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে সহপাঠীর মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) এ ঘটনায় দফায় দফায় সভা শেষে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপর দিকে কলেজে চিকিৎসক না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্ররা।

আজ ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা সহপাঠী সুমির মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলেন। এ ঘটনায় তাঁরা ওই বিভাগের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তে অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।

জানতে চাইলে কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় রোববারও অর্ধশত শিক্ষার্থীর সঙ্গে বসেছি। মেয়েটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। সে নলছিটির নাচমহল এলাকার কৃষিজীবী আ. রাজ্জাকের কন্যা।’

মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় বিভাগে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরে বেলা ৩টার দিকে এক চাচি এসে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করান। রাত ১০টায় হাসপাতালে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। পরদিন শুক্রবার সোয়া ৯টায় মারা যান তিনি।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যে, সুমি রক্তক্ষরণে ভুগছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। তারপরও যেহেতু একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেহেতু কারও অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক।’

আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক নেই। ছাত্ররা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অধ্যক্ষকে বলেছেন।

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. তাজুল ইসলামকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি অসুস্থ ছিলেন। আগেই মেয়েলি রোগে রক্তপাত হয়েছিল তাঁর। বিভাগের কাজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সেবা করা হয়। কিন্তু হয়তো একটু দেরি করে ফেলেন ওই বিভাগের শিক্ষকেরা। পরে তাঁর চাচা এসে নিয়ে যান। এখানে শিক্ষকদের বিচক্ষণতার ঘাটতি থাকতে পারে। যে কারণে আজ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে। তিনি আরও বলেন, কলেজের নিজস্ব চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দ্রুত একজন চিকিৎসক চাওয়া হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিএম কলেজ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, প্রশাসনের চরম অবহেলা ও উদাসীনতাই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন শুরু ২০ নভেম্বর

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদন আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। আবেদন চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬, ১৭ ও ২৪ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের, ১৭ জানুয়ারি ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের আর ২৪ জানুয়ারি ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ও বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই শিফটে পরীক্ষা হবে।

মানবিক শাখার আবেদন ফি ১ হাজার ৩২০ টাকা, বাণিজ্য ইউনিটে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষায় থাকবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন, ৮০টি প্রশ্নের মধ্যে প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।

আবেদনের যোগ্যতার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জয়পুরহাটে চাতালের হাউসে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা এলাকায় ‘মেসার্স ভাই ভাই চাউল কল’-এর ধান ভেজানো ও সেদ্ধ করার হাউসের পানিতে পড়ে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, নিহত শিশুর মা-বাবা ওই চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো তাঁরা বিকেলে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সবার অজান্তে শিশুটি ধান সেদ্ধ করার হাউসের পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়।

পরে তাকে না পেয়ে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে হাউসের পানিতে শিশুটিকে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু

বাগেরহাট প্রতিনিধি
স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কীটনাশক পান করে পিয়াসী (২২) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

এর আগে গত শুক্রবার নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই নারী। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করান।

মৃত পিয়াসী উপজেলার কামারগ্রামের সজীব শেখের স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সজীব শেখ ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। এর আগেও পিয়াসী বিষ পান করে সে যাত্রায় বেঁচে যান।

এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুল হক বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, এখন পর্যন্ত ওই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত