Ajker Patrika

দুই নেতার মার খেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন রাবি ছাত্রলীগ নেতা নজরুল

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ২১: ৩৭
দুই নেতার মার খেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন রাবি ছাত্রলীগ নেতা নজরুল

ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন নিজ সংগঠনের দুই নেতার মারধরে কানের পর্দা ফাটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়। 

আজকের পত্রিকাকে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আজ দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু এই ঘটনার কোনো সুরাহা পাইনি। শুধু একজন আবাসিক শিক্ষক আমার খোঁজ নিয়েছেন। তবে দুই পক্ষকে ডেকে কোনো কথা বলেননি। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে আমি অভিযুক্তদের ভয়ে চলাফেরা করতে পারছি না। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করার পরেও তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় আমি হল ত্যাগ করেছি।’

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমি ক্যাম্পাসে ফিরব না। একই সঙ্গে শিক্ষাজীবনেরও এখানেই ইতি টানব। আর যখন ক্যাম্পাসে ফিরব তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।’ 

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ সংগঠনের দুই নেতার মারধরে কান ফেটে রক্ত বের হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের অতিথিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল হল প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। 

অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শের-ই-বাংলা হল ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক। তবে বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন তিনি। 

অপর দিকে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফাত সায়েম জেমস এবং সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক উপসম্পাদক আল আমিন। 

অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে শের-ই-বাংলা হলের রিডিং রুমে পড়তে ছিলের নজরুল। কিন্তু পাশেই উচ্চ স্বরে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন সৈয়দ আমীর আলী হল ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক উপসম্পাদক আল আমিন। নজরুল তাঁকে জোরে কথা বলতে নিষেধ করায় আল আমিন তাঁর ওপর চড়াও হন। দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এ সময় নজরুলকে হুমকি দিয়ে আল আমিন বলেন, ‘তুই জানিস আমি তোর কী অবস্থা করতে পারি?’ 

এরপর আল আমিন বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফাত সায়েম জেমসকে ডেকে নিয়ে আসেন। দুজনে মিলে নজরুলকে শের-ই-বাংলা হলের বাথরুমে নিয়ে গিয়ে গেস্টরুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। মারধরের একপর্যায়ে নজরুল মাটিতে পড়ে যান এবং তাঁর কান দিয়ে রক্ত বের হয়। এ বিষয়ে কোথাও অভিযোগ জানালে অথবা কাউকে বললে তাঁকে আবার মারা হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যান অভিযুক্তরা। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাম কানে আগে থেকেই সমস্যা ছিল। আর সেই কানেই আঘাত করার ফলে কান দিয়ে প্রচুর রক্তপাত হয় এবং আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে পরদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখালে ডাক্তার আমাকে বলে আমার কানের যে সমস্যা হয়েছে তা সারিয়ে তুলতে বেশ সময় লাগবে এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করাতে হবে।’ 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন বলেন, ‘সেদিন আমাদের মধ্যে একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে সেটি জেমস ভাই ও প্রভোস্ট স্যার মিলে সমাধান করে দিয়েছেন। এখন সে তৃতীয় কোনো পক্ষের প্ররোচনায় সহানুভূতি কুড়ানোর জন্য অভিযোগটি করেছে। আর তার বাম কানের সমস্যাটা নতুন নয়। সে তিন-চার বছর যাবৎ চিকিৎসা করাচ্ছেন।’ 

বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জেমস বলেন, ‘১ আগস্ট রাতে তাদের দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে আল আমিন আমাকে ফোন করে। পরে আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে দুজনের মধ্যে মিটমাট করে দিই। পরদিন হল প্রভোস্ট স্যার তাদের ডেকে অফিশিয়ালি এই সমস্যার মীমাংসা করে দেন। আমি সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তবে এর আগে তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়ে থাকতে পারে।’ 

এদিকে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য হলের দুজন আবাসিক শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছে হল প্রশাসন। দুই আবাসিক শিক্ষক হলেন ড. শাহ মুখতার আহমেদ ও ড. আশরাফুল ইসলাম। আজ শুক্রবার অফিশিয়াল ছুটি থাকায় তাঁরা আগামীকাল থেকে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ। 

এ বিষয়ে শের-ই বাংলা হল প্রাধ্যক্ষ ড. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার পরদিন আমি দুই পক্ষকেই ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। কিন্তু সে সময় নজরুল আমাকে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি জানায়নি। তবে হল প্রাধ্যক্ষ হিসেবে তার নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করব।’ 

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্তের জন্য দুজন আবাসিক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অফিশিয়ালি এখনো দায়িত্ব না পেলেও তাঁরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন। একজন আবাসিক শিক্ষক ভুক্তভোগী নজরুলের সঙ্গে কথাও বলেছেন। আশা করছি তদন্তের মাধ্যমে মূল ঘটনা উঠে আসবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাড়াশে দুম্বার মাংস ছিনতাই, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সৌদি সরকারের পাঠানো দুস্থদের জন্য দুম্বার মাংস ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রধান আসামি লিটন মির্জাকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত লিটন তাড়াশ পৌর সদরের থানাপাড়া মহল্লার মৃত নাজু মির্জার ছেলে।

জানা গেছে, ২৯ অক্টোবর তাড়াশ উপজেলার ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য সৌদি সরকারের পাঠানো দুস্থদের জন্য ১৬৪ কার্টন দুম্বার মাংস বিতরণ করা হয়। এদিন দক্ষিণ মথুরাপুর দারুল নাজাত হাফিজিয়া কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দকৃত এক কার্টন দুম্বার মাংস ওই মাদ্রাসার শিক্ষক সুলতান মাহমুদ গ্রহণ করেন। এরপর তিনি মাংসের কার্টন নিয়ে উপজেলা মসজিদের কাছে পৌঁছালে একদল ছিনতাইকারী তা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ-সংক্রান্ত ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ আসামিদের শনাক্ত করে। পরে দক্ষিণ মথুরাপুর দারুল নাজাত হাফিজিয়া কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসার মহতামিম মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি লিটন মির্জাকে গ্রেপ্তার করে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, মামলার মূল আসামি লিটন মির্জাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগুনে ৮ দোকান ভস্মীভূত, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি দাবি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ও নাগেশ্বরী সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা বাজারে আগুন লেগে আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা বাজারে আগুন লেগে আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজারের আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর আগেই প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে যায়। আজ শুক্রবার ভোরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে সার-তেল, বীজ ও কীটনাশক ব্যবসায়ী অধির চন্দ্র সাহার ১৭ লাখ, সার-তেল, বীজ ও কীটনাশক ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের ১০ লাখ, কাকলী ট্রেডার্সের মালিক হাছেন আলীর ১০ লাখ, মুদিদোকানি মমিনুল ইসলাম, সুপারি ব্যবসায়ী আতাউর ও ইব্রাহিমের ৩ লাখ, সেলুন মালিক ফণিচন্দ্র শীলের ১ লাখ ৫০ হাজার এবং মসলা ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর আলীর ৫০ হাজার টাকার মালপত্র পুড়ে যায়।

স্থানীয় আশিকুর রহমান বলেন, ‘ভোর পৌনে ৫টার দিকে উঠে দেখি বাজারের উত্তর পাশের একটি দোকানে আগুন জ্বলছে। মানুষজনকে ডাকাডাকি করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।’ খাইরুল ইসলাম জানান, ভোর ৫টার দিকে কচাকাটা বাজারের উত্তর পাশের একটি দোকানে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন দুই পাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আমিনুর রহমানের ছোট ভাই মমিনুল ইসলাম জানান, তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অধিরচন্দ্র সাহার ছেলে প্রাণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘রাতে বাবা দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। ভোরে মানুষের হইচই শুনে বাজারে এসে দেখি দোকানে আগুন জ্বলছে। আগুনে আমাদের ১৭ লাখ টাকার মালপত্র পুড়ে গেছে।’

এ বিষয়ে কেদার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ খ ম ওয়াজিদুল কবীর রাশেদ বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে কাজ করে। নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঈশ্বরদীতে ২০১ বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিরুদ্ধে মব সৃষ্টির মামলা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রিপেইডবিরোধী আন্দোলনকারী ২০১ জন বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিরুদ্ধে ‘মব সৃষ্টির’ মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন নেসকো ঈশ্বরদী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর নূর। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রিপেইড মিটারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী পাকশী রেলওয়ে কলেজের শিক্ষক আ ফ ম রাজিবুল আলমকে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিবাদী রাজিবুল আলম ইভানের নেতৃত্বে দুই শতাধিক ব্যক্তি অফিস চত্বরে মব ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও স্থাপন করা মিটারগুলো খুলতে বাধ্য করেন। এ সময় অফিসের গ্লাসসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়। এতে ক্ষতির মূল্য ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।

এদিকে নেসকোর পক্ষ থেকে কলেজশিক্ষকসহ ২০১ জনের নামে মামলা হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন এখানকার গ্রাহকেরা। এর প্রতিবাদ জানাতে আগামী রোববার সকালে আবারও গ্রাহক সমাবেশ ও মানববন্ধন আহ্বান করা হয়েছে। এ নিয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্দোলনের আরও এক সংগঠক মাহবুবুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে ও আশিকুর রহমান লুলুর সঞ্চালনায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত সবাই ২০১ জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও প্রিপেইড মিটার স্থাপন কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুন নূর মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রিপেইড মিটারবিরোধী আন্দোলনের দিন নেসকো অফিস ভাঙচুর, নেসকো নির্বাহী প্রকৌশলীকে হেনস্তাসহ ৬৫ হাজার টাকা ক্ষতির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

উল্লেখ্য, প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে ঈশ্বরদীতে গত বুধবার গ্রাহকের পক্ষ থেকে ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও ও মানববন্ধন করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ রাখা হবে বলে একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন। এর আগে অফিসে গ্রাহকদের সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলীর ঝগড়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অভিনেতা এ আর মন্টুর বাড়িতে অভিযান, উদ্ধার বিদেশি অস্ত্র, ইয়াবা ও মদ

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
অভিযানে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ১০ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ কার্তুজ, গুলি, ইয়াবা বড়ি, গাঁজা ও মদ পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করার পর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আশুলিয়ার জামগড়া সেনাক্যাম্প। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট ও কান্দাইল এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গভীর রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় কয়েকটি ফাঁকা গুলির আওয়াজে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে অভিনেতা এ আর মন্টুর বাসভবনে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল ও ৮টি গুলি, ২টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ১৭টি শটগানের কার্তুজ, ১৬টি পিস্তলের কার্তুজ, ৪টি দেশি অস্ত্র, প্রায় সাড়ে ৩ হাজারটি ইয়াবা বড়ি, ৭০০ গ্রাম গাঁজা, ৪ লিটার দেশি মদ ও তিনটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন অভিনেতা এ আর মন্টুর ছোট ছেলে মেহেদী হাসান মিঠুন (২৪), মোজাম্মেল ভূঁইয়া (৪৪), জাহিদুল আলম (২৪), মাসুমা আক্তার রিয়া (২২)। এ ছাড়া আরও একটি অভিযানে আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন রাজশাহীর জামিরা হাটপাড়া এলাকার নায়ন আলী (২৮), আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকার বাবর হোসেন বাবুল (৪৫) এবং বগুড়ার ফুলবাড়ী এলাকার গোলাম রাব্বি (১৮)।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে কান্দাইলের রাজা-বাদশা মার্কেট এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছিল কিছু দুর্বৃত্ত। এরই জেরে একাধিক অভিযান চালানো হয়। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি দেশি অস্ত্র, ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করার পর দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে আশুলিয়া থানা-পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত