Ajker Patrika

চাঁদাবাজি-দখলদারি বন্ধ না হলে যুদ্ধ চলবে: ডা. শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ৩৯
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

সারা দেশে চাঁদাবাজি ও দখলদারির ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যারা এসব করছেন, বিনয়ের সঙ্গে বলি, এগুলো বন্ধ করেন। তবে যদি আমাদের এই বিনয়ী অনুরোধ কেউ না মানে, তাহলে আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। সন্তানেরা স্লোগান দিচ্ছে, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। যুদ্ধ চলবে।’

আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জেলা ও মহানগর জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। জামায়াতের আমির বলেন, ‘এই দেশ অনেকে শাসন করেছেন। আমাদের সন্তানেরা এত এত রক্ত কেন দিল? কারণ তারা চেয়েছে, এই সমাজ থেকে সব ধরনের দুঃশাসন এবং দুর্নীতির কবর রচিত হোক।’

ডা. শফিক বলেন, ‘রাজশাহী, যেটাকে শিক্ষার ভিলেজ বলা হয়, শিক্ষার গ্রাম। আমি আশা করি, ৫ তারিখের (৫ আগস্ট) পর রাজশাহীতে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। এখানকার মানুষ ভদ্র, বিনয়ী ও সৎ। কেউ চাঁদাবাজি এখানে করে না, ঠিক না?’ এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘চাঁদাবাজি হয়’ বলে আওয়াজ তোলেন। আমির প্রশ্ন করেন, ‘এখানেও চাঁদাবাজি হয়? এখানেও ফুটপাত দখল হয়? হাটবাজার, বালুমহাল, জলমহাল, যানবাহন স্ট্যান্ড, সবগুলোতে দখলদারি হয়?’ তখনো মাঠভরা নেতা-কর্মী ‘হয়’ বলে আওয়াজ তোলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাহলে আমাদের শহীদদের রক্তের প্রতি এটা কি ভালোবাসা? এই কাজ যাঁরা করেন, বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করি, এই কাজটা ছেড়ে দেন। আমাদের শহীদেরা কষ্ট পাবেন। অফিস-আদালতে ঘুষ–বাণিজ্য আছে, আবার মামলা-বাণিজ্যও অনেকে করেন। তাঁদের প্রতি আমাদের আন্তরিক অনুরোধ, ভাই, এই কাজগুলো করিয়েন না। আমাদের শহীদদের আত্মা বড় কষ্ট পাবে। আমাদের জীবন্ত সন্তানেরা যারা শহীদ হওয়ার নিয়ত করে রাস্তায় নেমেছিল, তারা কষ্ট পাবে। তাদের কষ্ট দেবেন না।’

একমাত্র কোরআনের শাসন বাংলাদেশে ইনসাফ কায়েম করতে পারে উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘চাঁদাবাজি-দখলদারির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলবে। যুদ্ধ কতক্ষণ? যতক্ষণ না ইনসাফ কায়েম হয়। এই ইনসাফ দিতে পারে একমাত্র আল কোরআন। এই কোরআনের শাসন দিয়ে আমরা বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, ন্যায়-ইনসাফের মাধ্যমেই বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমরা ত্যাগ অনেক করেছি। আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। জীবন খুব ছোট, কাজ অনেক বড়। বিশ্রামের কোনো সময় নেই।’

রাজশাহীতে জামায়াতের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে জামায়াতের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আমিরে জামায়াত বলেন, ‘আমরা আল্লাহর শক্তিতে বলীয়ান একটি জাতি গঠন করতে চাই। সে জাতি হবে সাহসী জাতি, বীরের জাতি। সে জাতি আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করবে না। এটা করেনি বলেই ১৫টি বছর আলেম-ওলামাদের ওপর বিগত সরকার তাণ্ডব চালিয়েছে। জামায়াতের দুজন আমিরসহ ১১ জন দায়িত্বশীল নেতাকে আমাদের বুক থেকে কেড়ে নিয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ যারা করেছে, তাদের গুম করেছে। অসংখ্য ভাইকে খুন করেছে। চাকরি কেড়ে নিয়েছে। ব্যবসা ছিনিয়ে নিয়েছে। কাউকে কাউকে দেশেও থাকতে দেয়নি। মানুষের কল্যাণে কাজ করার কারণে অনেকে জিন্দা শহীদ হয়ে আছে। হাত-পা টুকরা-টুকরা। এই কষ্টের জীবন নিয়ে তাঁরা বেঁচে আছেন।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা রক্ত দিয়ে আজকের এই পরিবেশ দিয়ে গিয়েছে, আমরা তাদের প্রতি ঋণী এবং কৃতজ্ঞ। এই ঋণের দায় আমাদের আজীবন শোধ করতে হবে। কতজন আদম সন্তানকে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে, সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারবে না। আন্দোলনের শেষ দিনগুলোতে ইন্টারনেট বন্ধ রেখে সবকিছু অন্ধকারে রেখে অনেক লাশ গুম করা হয়েছে। স্তূপে স্তূপে লাশ। ট্রাকের ওপর ছুড়ে মারা হয়েছে। তারপর পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে লাশগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারব না।’

রাজশাহীতে জামায়াতের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে জামায়াতের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এমন সাহসী সন্তান থাকলে বাংলাদেশকে নিয়ে আর ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুরা প্রশ্ন করেছেন, “আপনাদের দলের কতজন শহীদ হয়েছে।” আমরা বলেছি, যারা শহীদ হয়েছে আমরা তাদের দলের মানুষ। তাদের কোনো দলীয় পরিচয়ে আমরা তাদের সংকীর্ণ স্থানে নামাতে চাই না। তারা জাতীয় সম্পদ। তাদের আমরা মাথার ওপরে তুলে রাখতে চাই। এক হাত চলে গেছে, আরেক হাত নিয়ে যুদ্ধ করতে চায়। এমন সাহসী মানুষ থাকলে এই জাতির ওপর কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে না।’

কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ড. মো. কেরামত আলী। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মোবারক হোসাইন, রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মো. সাহাবুদ্দিন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া ধলেশ্বরী সেতুর ওপর সার্ভিস সড়কের মাওয়ামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, মোটরসাইকেলে তাঁরা মাওয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ সময় পেছন দিক থেকে আসা অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাঁদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁরা মারা যান। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে হাসাড়া হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাউদকান্দিতে ট্রাকচালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম ওরফে ডালিম। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম ওরফে ডালিম। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ট্রাকচালক আলামিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম ওরফে ডালিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার দাউদকান্দি মডেল থানা-পুলিশের সহযোগিতায় র‍্যাব সদস্যরা ঢাকার বনানী থানার কাকলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডালিম উপজেলার গোয়ালমারী ইউনিয়নের হাউদি গ্রামের হোসেন প্রধানের ছেলে।

উল্লেখ্য, গত মাসে আলামিনকে দ্বীন ইসলাম কিলঘুষি মেরে হত্যা করেন।

দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার দ্বীন ইসলামকে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের কমিটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের কমিটি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপা. ও মেইন.) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি এবং ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩-এর উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুল মন্নান, কুর্মিটোলা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নাহিদ মামুন ও ফায়ার সার্ভিস ঢাকা-১৯-এর ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মো. তোজাম্মেল হোসেন।

কমিটিকে অবিলম্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নীতিমালা অনুসারে দুই পাতায় তদন্ত প্রতিবেদন অধিদপ্তরে দাখিল করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন কার্গো ভিলেজে (আমদানি পণ্যের মজুত স্থান) অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজীপুরে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ড

গাজীপুর প্রতিনিধি
অ্যাম্বুলেন্সে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত
অ্যাম্বুলেন্সে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত একটি অ্যাম্বুলেন্সে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে কোনো রোগী না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের জিএমএস টেক্সটাইল গার্মেন্টসের সামনে মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাবেহ বাজার এলাকার বাসিন্দা সুজন মিয়া একটি অ্যাম্বুলেন্স কিনে ভাড়া চালাতেন। অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিনে কিছু সমস্যার কারণে স্থানীয় একটি গ্যারেজে মেরামত করতে দিয়েছিলন। মেরামত শেষে আজ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সূত্রাপুর এলাকায় জিএমএস কারখানার সামনে পৌঁছালে হঠাৎ ইঞ্জিন হিট হয়ে আগুন ধরে যায়। চালক তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশে থামিয়ে দ্রুত নেমে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো অ্যাম্বুলেন্সটি আগুনে জ্বলতে থাকে। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, তবে সিএনজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আশঙ্কায় কেউ কাছে যেতে সাহস পাননি।

কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ইফতেখার রায়হান জানান, ব্যস্ততম ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত অবস্থায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগার খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ততক্ষণে অ্যাম্বুলেন্সটি পুড়ে যায়।

ইফতেখার রায়হান আরও জানান, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা তদন্তের পর জানা যাবে। অ্যাম্বুলেন্সে কেউ না থাকায় এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত