Ajker Patrika

টিকিট চাওয়ায় বিতণ্ডা, দুই রেলকর্মীকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ র‍্যাবের বিরুদ্ধে

নাটোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৪: ৫৪
টিকিট চাওয়ায় বিতণ্ডা, দুই রেলকর্মীকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ র‍্যাবের বিরুদ্ধে

সাদা পোশাকে ট্রেন যাত্রী র‍্যাবের এক সদস্যের টিকিট চেক করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন নাটোর রেলস্টেশনের দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) দুই সদস্য।

অভিযোগ উঠেছে, এই দুই আরএনবি সদস্যকে তুলে নিয়ে র‍্যাব–৫ সিপিসি–২ নাটোর ক্যাম্পে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের পর র‍্যাব সদস্যরাই তাঁদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে দুজনকে নাটোর রেলস্টেশনে ফেরত না দিয়ে সান্তাহার জিআরপিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করেছে র‍্যাব ও রেলওয়ে পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার আরএনবির দুই সদস্য হলেন সিপাহি মো. মোক্তার হোসেন এবং মো. জিয়াউর রহমান। অপরদিকে, অভিযুক্ত র‍্যাব সদস্য হলেন—করপোরাল আল–মামুন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাবে কর্মরত।

রোববার রাতে ঘটনা জানতে রেলস্টেশন এলাকায় যাওয়া হলে প্রথমে কেউ কথা বলতে চাননি। পরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, প্রথমে তাঁরাও বুঝতে পারেননি কী ঘটেছে। শনিবার ইফতারের কিছুক্ষণ আগে কয়েকটি ভ্যান নিয়ে র‍্যাব সদস্যরা রেলস্টেশন গেটে আসেন। তাঁরা দ্রুত স্টেশনে ঢুকে ভেতর থেকে আরএনবি সদস্য মোক্তার ও জিয়াউরকে বের করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।

পরে জানা যায়, র‍্যাব সদস্য মামুন ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। মামুনের কাছে আরএনবি সদস্যরা টিকিট দেখতে চাইলে ক্ষুব্ধ হন তিনি। এরপর আরএনবি সদস্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বাগ্‌বিতণ্ডায়, পরে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে মামুনকে ধরে স্টেশনে আরএনবি কার্যালয়ে নেন দুই আরএনবি সদস্য। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘণ্টাখানেক পর ওই দুই আরএনবি সদস্যকে র‍্যাবের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে।

এ ব্যাপারে নাটোর রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ইনচার্জ মো. মোতালেব হোসেন বলেন, যাত্রীদের টিকিট চেক করা আরএনবির রুটিন দায়িত্ব। তাঁরা শুধু সেটিই করেছেন। শনিবার বিকেলে সাদা পোশাকে থাকা র‍্যাব সদস্যের কাছেও যথারীতি জানতে চান টিকিট আছে কি না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যাত্রী গেটের বাইরে গিয়ে ব্যাগ রেখে এসে জানতে চান, ‘আপনারা টিকিট দেখার কে?’ এই বলে আরএনবি সদস্যকে ধাক্কা দেন। কোনো যাত্রী টিকিট দেখাতে ব্যর্থ হলে তাঁকে আরএনবি হেফাজতে নেওয়া হয় জরিমানা আদায়ের জন্য। যথারীতি আরএনবি সদস্যরা তাঁকে টিকিট কালেক্টরের রুমে নিয়ে যান। পরে জানতে পারি, ওই যাত্রী র‍্যাব সদস্য। কিছুক্ষণ পর নাটোর র‍্যাব অফিস থেকে কয়েকজন পোশাক পরা সশস্ত্র র‍্যাব সদস্য এসে মীমাংসার কথা বলে ডিউটিরত পোশাক পরিহিত আরএনবি সিপাহি মোক্তার হোসেন এবং জিয়াউর রহমানকে তুলে নিয়ে যান। আমিসহ স্টেশন মাস্টার ওই দুই সদস্যকে নিয়ে যেতে বাধা দিলেও র‍্যাব সদস্যরা আমাদের কথা শোনেননি।

এ বিষয়ে বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (পাকশী) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, র‍্যাব প্রভাব খাটিয়ে দুজনকে তাদের অফিসে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে চোখে কালো কাপড় পেঁচিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে। আহত অবস্থায় র‍্যাবের গাড়িতে করেই তাঁদের নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সান্তাহার জিআরপি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় দুই আরএনবি সদস্যকে।

তিনি বলেন, ডিউটিরত অবস্থায় দুইজন আরএনবি সদস্যকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন র‍্যাবের সদস্যরা। রেলের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করে এভাবে কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

নাটোর র‍্যাব ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে র‍্যাব–৫–এর অধিনায়ক মো. মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরএনবি সদস্যরাই আমাদের একজন সদস্যকে মারধর করেছে। টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে, মাথায় আঘাত করেছে। রুমে নিয়ে গিয়ে বেল্ট খুলে মারধর করেছে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছে। বিষয়টি রেলের মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে।’

এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, ‘র‍্যাব সদস্যরা শনিবার রাতেই দুইজন আরএনবি সদস্যকে সান্তাহার থানায় দিয়ে গেছেন এবং র‍্যাব সদস্য আল মামুন লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। যেহেতু দুটি বাহিনীর বিষয়, সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’

নাটোর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শাফায়াত জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাকি পোশাক পরা দুই ব্যক্তিকে তাঁর কাছে নিয়ে এসেছিলেন র‍্যাব সদস্যরা। ওই দুই ব্যক্তি তাঁদের শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে খুব দ্রুত র‍্যাব সদস্যরা তাঁদের নিয়ে চলে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামালপুরে নদীতে ডুবে ভাই-বোনসহ ৩ শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের মাদারগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে ভাই-বোনসহ তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার ঝিনাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিশুকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

মারা যাওয়া শিশুরা হলো—মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার দুদু মিয়ার মেয়ে পলি আক্তার (১২) ও ছেলে আবু সাঈদ (৮), সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউসি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইবা আক্তার (৯)। পলি আক্তার ও আবু সাঈদ স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া, এ ঘটনায় চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার আজাদ মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তার (৮) ও আরও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ির সাইবা আক্তার ও তার ছোট ভাইসহ মাদারগঞ্জের চরভাটিয়ানী আমতলী এলাকায় নানির বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা দুইজন ও চর ভাটিয়ানি এলাকার কুলসুম আক্তার, পলি আক্তার, আবু সাইদ, ইয়াসিন ও আরও একজনসহ মোট ছয় শিশু ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে অন্যরা পানিতে ডুবে গেলে ইয়াসিন সাঁতার কেটে তীরে ওঠে। খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল পলি আক্তার, আবু সাঈদ ও সায়েবার মরদেহ উদ্ধার করে।

সিধুলি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আজাদ মিয়া বলেন, গোসল করতে নেমে তিন শিশু মারা গেছে। এদের মধ্যে দুই শিশু নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।

মাদারগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, পাঁচজনের মধ্যে তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এক শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোটি টাকার জুতা আত্মসাৎ, মালিকের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
জুতা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জুতা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালে ফরচুন শুজ লিমিটেডের প্রায় এক কোটি টাকার জুতা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের আপন ছোট ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের ভাই রবিউল ইসলাম (৪০), কাভার্ড ভ্যানচালক রহমতপুর এলাকার জামাল হোসেন (২৮) এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শান্ত (২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।

ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ফরচুন শুজ লিমিটেডের সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বাদী হয়ে গত ২৯ অক্টোবর কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁরা প্রতারণার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসে রপ্তানির জন্য পাঠানো ১০ হাজার ৮১২ জোড়া জুতা আত্মসাৎ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। জুতাগুলোর বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।

এজাহারে বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর রাতে বরিশাল বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত ফরচুন শুজ লিমিটেড থেকে রপ্তানির উদ্দেশ্যে দুটি কাভার্ড ভ্যানে করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে জুতা পাঠানো হয়। রবিউল ইসলাম গাড়িগুলোর দায়িত্বে ছিলেন। তবে ২৮ অক্টোবর বন্দরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ট্রাক দুটি যায়নি। এর পর থেকে তাঁদের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

ওসি ইসমাইল জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ছগীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে জুতাবোঝাই কাভার্ড ভ্যান দুটি উদ্ধার এবং তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাঁদের বরিশালে আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাবলিগে যাওয়া তরুণের প্রাণ গেল ডাকাতিয়া নদীতে ডুবে

চাঁদপুর প্রতিনিধি
ডুবে যাওয়া তরুণের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডুবে যাওয়া তরুণের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুর সদরের বাগাদি ইউনিয়নের মমিনপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মো. প্রিন্স মাহমুদ (২০) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে মমিনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। রাতে চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

নিহত প্রিন্স মাহমুদ ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়েছিলেন।

চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, ওই তরুণ ডাকাতিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ হন। এরপর নৌ ফায়ার স্টেশন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সংবাদ পায় এবং বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে বেলা দেড়টার দিকে ডুবুরি দল মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

মো. রাকিবুল ইসলাম আরও জানান, পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মরদেহ চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদিরের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ওই তরুণের স্বজনেরা থানায় এসেছেন। মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

চাঁদপুর সদর, বাগাদি ইউনিয়নের মমিনপুর, ডাকাতিয়া নদী, গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মৃত্যু, লাশ উদ্ধার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৩৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ডেমরায় আজিমুন্নেসা (৫২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বক্সনগর হজরত হাজি রোডের জনৈক ফারুকের বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ডেমরা থানা-পুলিশ। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের স্বামী রাজমিস্ত্রি আব্দুল মজিদ মোল্লা (৬৩) ঘর থেকে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পান। ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কোনো এক সময় ওই নারী নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ওই নারীর প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ ছিল। সেই চাপে আত্মহত্যা করতে পারেন। এ ঘটনায় আজ বিকেলে ডেমরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন মৃতের স্বামী।

মৃতের স্বামী আব্দুল মজিদ মোল্লা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ৩৫ বছর আগে আমার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় আজিমুন্নেসার। তিন মেয়ের বিয়ে দেওয়াসহ নানা কারণে ব্র্যাক, আশা, প্রশিকাসহ সাতটি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ নিই আমরা। এদিকে ব্র্যাকের কিস্তি পরিশোধে দেরি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গতকাল (বৃহস্পতিবার) চাপ প্রয়োগ করেন আমার স্ত্রীকে।’

মজিদ মোল্লা আরও বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা আমার স্ত্রীকে বলেন, ‘‘ঋণ পরিশোধ না করে আপনি মরে গেলে উল্টো আমি ১০ হাজার টাকা দিয়ে যাব।’’ এর পর থেকে মানসিক চাপে পড়েন আজিমুন্নেসা। এ সংসারে আমাদের তিন মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ের পর আমরা স্বামী-স্ত্রী বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করি।’

ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, আজ সকালে ওই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত