রিপন চন্দ্র রায়, রাবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীরা কোনো অপরাধে জড়ালে কিংবা কোনো ঘটনা ঘটলে সেসব ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন যায় শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটিতে। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেয় কমিটি। এ জন্য বছরে অন্তত দুবার এই কমিটির সভা হওয়ার কথা। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১০ বছরে শৃঙ্খলা কমিটির কোনো সভা হয়নি। ফলে বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে অপরাধ।
১০ বছর ধরে যে শৃঙ্খলা কমিটির সভাই হচ্ছে না, সেটিই জানেন না বলে দাবি করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার। গতকাল শুক্রবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১০ বছর ধরে এই কমিটির সভা হয় না, সেটি আমার জানা নেই। এখন থেকে বছরে অন্তত দুবার শৃঙ্খলা কমিটির সভা করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পদাধিকারবলে শৃঙ্খলা কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য এবং সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকেন প্রক্টর। সদস্য হিসেবে থাকেন উপ-উপাচার্য, অনুষদের ডিন ও ছাত্র উপদেষ্টা। সবশেষ শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয় ২০১৩ সালে।
গত রোববার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে কৃষ্ণ রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে শিবির আখ্যা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্য, সিট-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নির্যাতনের মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যেকোনো ঘটনা ঘটলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, কিন্তু সেই কমিটির প্রতিবেদন শৃঙ্খলা কমিটিতে যায় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিবেদন পর্যন্ত হয় না। আর কিছু ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ভয় দেখিয়ে অথবা সমঝোতার মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, হলগুলোতে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সিট-বাণিজ্যের ঘটনায় ২০২১ ও ২০২২ সালে অন্তত ২৩টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে আরও দুটি অভিযোগ জমা হয়। এর মধ্যে ১৫টি ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। তার মধ্যে মাত্র ৬টি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে শৃঙ্খলা কমিটির সভা না হওয়ায় সেই ছয়টি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসনের নমনীয়তার কারণে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে, নির্যাতনকারীরা বেপরোয়া হচ্ছে। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে এমন পদে না থাকাই ভালো। অভিযোগের পর অভিযোগ জমা হচ্ছে কিন্তু সেগুলো আলোর মুখ দেখছে না, যা খুবই দুঃখজনক।’
দীর্ঘদিন কেন শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়নি—এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘এত দিন কেন হয়নি সেটি আমি বলতে পারব না। বেশি দিন হয়নি আমি প্রক্টর পদে দায়িত্ব পেয়েছি। চলতি মাসের ২০ তারিখে শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং আহ্বান করা হয়েছে। আশা করছি মিটিং হলে কেউ কেউ সাজা পাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীরা কোনো অপরাধে জড়ালে কিংবা কোনো ঘটনা ঘটলে সেসব ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন যায় শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটিতে। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেয় কমিটি। এ জন্য বছরে অন্তত দুবার এই কমিটির সভা হওয়ার কথা। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১০ বছরে শৃঙ্খলা কমিটির কোনো সভা হয়নি। ফলে বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে অপরাধ।
১০ বছর ধরে যে শৃঙ্খলা কমিটির সভাই হচ্ছে না, সেটিই জানেন না বলে দাবি করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার। গতকাল শুক্রবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১০ বছর ধরে এই কমিটির সভা হয় না, সেটি আমার জানা নেই। এখন থেকে বছরে অন্তত দুবার শৃঙ্খলা কমিটির সভা করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পদাধিকারবলে শৃঙ্খলা কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন উপাচার্য এবং সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকেন প্রক্টর। সদস্য হিসেবে থাকেন উপ-উপাচার্য, অনুষদের ডিন ও ছাত্র উপদেষ্টা। সবশেষ শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয় ২০১৩ সালে।
গত রোববার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে কৃষ্ণ রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে শিবির আখ্যা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্য, সিট-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নির্যাতনের মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যেকোনো ঘটনা ঘটলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, কিন্তু সেই কমিটির প্রতিবেদন শৃঙ্খলা কমিটিতে যায় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিবেদন পর্যন্ত হয় না। আর কিছু ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ভয় দেখিয়ে অথবা সমঝোতার মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, হলগুলোতে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সিট-বাণিজ্যের ঘটনায় ২০২১ ও ২০২২ সালে অন্তত ২৩টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে আরও দুটি অভিযোগ জমা হয়। এর মধ্যে ১৫টি ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। তার মধ্যে মাত্র ৬টি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে শৃঙ্খলা কমিটির সভা না হওয়ায় সেই ছয়টি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসনের নমনীয়তার কারণে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে, নির্যাতনকারীরা বেপরোয়া হচ্ছে। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে এমন পদে না থাকাই ভালো। অভিযোগের পর অভিযোগ জমা হচ্ছে কিন্তু সেগুলো আলোর মুখ দেখছে না, যা খুবই দুঃখজনক।’
দীর্ঘদিন কেন শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়নি—এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘এত দিন কেন হয়নি সেটি আমি বলতে পারব না। বেশি দিন হয়নি আমি প্রক্টর পদে দায়িত্ব পেয়েছি। চলতি মাসের ২০ তারিখে শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং আহ্বান করা হয়েছে। আশা করছি মিটিং হলে কেউ কেউ সাজা পাবে।’
রংপুরের গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ী ইউনিয়নের আলদাতপুর ছয়আনি হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় এবার একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদককে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই সাংবাদিককে তার নিজ বাড়ি রংপুর সদরের হরিদেবপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর চওড়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ
২৯ মিনিট আগেরাজধানীতে ছাত্রদল ও এনসিপির পৃথক সমাবেশকে কেন্দ্র করে শাহবাগ, শহীদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকাগুলোতে আজ রোববার যান চলাচল সীমিত থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে ডিএমপি।
৩৩ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ইমেরিটাস অধ্যাপক এম শমশের আলী মারা গেছেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রবীণ পত্রিকা বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম। অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গেছে তার চিকিৎসা। সমাজের সহৃদয় মানুষ ও সরকারের সহযোগিতা চান তিনি। জানা গেছে, উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম প্রায় ৪০ বছর ধরে পত্রিকা...
১ ঘণ্টা আগে