নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ব্যবসায়ী হোসেন আলী তখন কারাগারে। এ সময় তাঁর তিনটি ব্যাংক হিসাব থেকে চেকের মাধ্যমে তোলা হয়েছে ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা। কারাগার থেকে বের হয়ে হোসেন আলী বলেছেন, গ্রেপ্তারের সময় তাঁর গাড়ি থেকে চেকও জব্দ করা হয়েছিল। সেই চেকে জাল স্বাক্ষর দিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই টাকা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে পরিকল্পিতভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ করছেন হোসেন আলী।
এ ব্যাপারে তিনি আদালতে একটি মামলা করেছেন। হোসেন আলী রাজশাহী নগরের চণ্ডীপুর মহল্লার বাসিন্দা। ৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ তিনি দুই ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নম্বর-১৬৭ / ২৫। মামলার ধার্য তারিখ ২৬ জুলাই।
মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন হোসেন আলীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাহমুদ হাসান শিশিল (৩৫), তাঁর দুই ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান লিমন (২৮) ও তন্ময় হোসেন (৩১), নগরের বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম, থানায় কর্মরত তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আওয়াল এবং ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক ও আইএফআইসি ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক।
হোসেন আলীর আইনজীবী লিয়াকত আলী খান জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) পাঠিয়েছেন।
আরএমপির ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল গতকাল রোববার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতে এ রকম কোনো মামলা হয়েছে কি না তা এখনো জানি না। কাগজপত্র এলে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, হোসেন আলী প্লট এবং পুরোনো গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। গত ১০ আগস্ট নগরের রেলগেট এলাকায় যানবাহনে তল্লাশি করছিল একদল শিক্ষার্থী। ওই সময় হোসেন আলী প্রাইভেট কার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর গাড়ি তল্লাশি করা হলে ব্যাকডালায় কিছু দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়া দুই বোতল ফেনসিডিলও পাওয়া যায় ওই গাড়িতে। এ সময় ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার আর্জিতে হোসেন আলী লিখেছেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিশিল এবং দুই কর্মচারী লিমন ও তন্ময় তাঁর অগোচরে গাড়ির ব্যাকডালায় দেশীয় অস্ত্র ও ফেনসিডিল রেখে দেন। তারপর তাঁরাই তথ্য জানিয়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে গাড়িতে তল্লাশি চালায়। ওই সময় তাঁর গাড়িতে থাকা ব্যাগে ব্যাংকের চেকসহ অন্য জিনিসপত্রও ছিল। চেকগুলো জব্দ তালিকায় দেখানো হয়নি। সেই চেক দিয়েই জাল স্বাক্ষরে টাকা তোলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়েও অভিযোগ করে ই-মেইল পাঠিয়েছেন হোসেন আলী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ৯ লাখ, ১৮ সেপ্টেম্বর ১১ লাখ, ২২ সেপ্টেম্বর ৯ লাখ ও ২৬ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। চেকগুলোতে টাকা উত্তোলনকারীর নাম লেখা আছে হাসান। ১৭ সেপ্টেম্বর হোসেনের হিসাবে ছিল ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৪৭৪ টাকা। চারটি চেকের মাধ্যমে ৩৩ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী শাখা ব্যবস্থাপকের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছেন হোসেন আলী। ইসলামী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক মো. খালেকুজ্জামান দাবি করেন, চেকের স্বাক্ষর যাচাই-বাছাই করেই টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে যেহেতু হিসাবধারী অভিযোগ করেছেন, তাই এ ব্যাপারে একটি কমিটি করে তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে আইএফআইসি ব্যাংকের রাজশাহী শাখায় হোসেন আলীর হিসাবে ছিল ৩ লাখ ৩ হাজার ৪৬ টাকা। এর মধ্যে রাজশাহী শাখা থেকে একটি চেকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তুলে নেওয়া হয় ৩ লাখ টাকা। আর ইউসিবি ব্যাংকের হিসাবে ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৪১৮ টাকা। গত বছরের ১ অক্টোবর ব্যাংকটির রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর শাখা থেকে একটি চেকের মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এ দুটি ঘটনায় আইএফআইসি ও ইউসিবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ব্যবসায়ী হোসেন আলী।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় আইএফআইসি ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক রবিউল হোসেন ও ইউসিবি ব্যাংকের বানেশ্বর শাখার ব্যবস্থাপক সুজন মোর্শেদের সঙ্গে। তাঁরা জানান, স্বাক্ষর তাঁদের কাছে হোসেনেরই মনে হয়েছে। তারপরও ব্যাংকে চেক আসার পর টাকা ছাড়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হোসেন আলীর মোবাইলে ফোন করা হয়েছিল। এক ব্যক্তি ফোন ধরে নিজের পরিচয় হোসেন আলী নিশ্চিত করেন এবং তিনি টাকা পরিশোধ করে দিতে বলেন। তাই তাঁরা টাকা দিয়ে দেন।
হোসেন আলী বলছেন, ওই সময় তিনি ছিলেন কারাগারে। আর তাঁর ফোন জব্দ করে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর কোনো কথাই হয়নি। হোসেন আলী কারাগারে থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউসিবি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সুজন মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা তো কণ্ঠ পরীক্ষা করতে পারি না।’
আইএফআইসি ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গ্রাহক হোসেন আলী ই-মেইলে আমাদের প্রধান কার্যালয়েও অভিযোগ করেছেন। প্রধান কার্যালয় আমাকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছে। এ জন্য কথা বলতে আমি হোসেন আলীকে ডেকেছি। কিন্তু তিনি আসেননি। এ ব্যাপারে তিনি আদালতে কোনো মামলা করেছেন কি না, তা আমার জানা নেই।’
যোগাযোগ করা হলে হোসেন আলী বলেন, ‘আমি এলাকায় থাকতে পারছি না। টাকা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে যেন কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারি তার জন্য কিছু লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দফায় দফায় আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে খোঁজাখুঁজি করছেন। নানা রকম হুমকি দিচ্ছেন। পরে আরও দুটি মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ভয়ে আমার সন্তান স্কুলে যেতে পারছে না। এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানায় একটি জিডিও করেছেন আমার বাবা।’
হোসেন আলী দাবি করেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিশিল, দুই কর্মচারী, পুলিশ ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হিসাব থেকে ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা তুলে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি নিঃস্ব। হোসেনের দাবি, তিনি কোনোদিন কোনো রাজনীতি করেননি। তারপরও তাঁর নামে একের পর এক রাজনৈতিক মামলা করা হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে আসামি মাহমুদ হাসান লিমনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তন্ময় হোসেন ফোনকল না ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। আর মাহমুদ হাসান শিশিল বলেন, ‘হোসেন আমার অধীনে ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করত। সে এত টাকা পায় কীভাবে? আমি তার ব্যাংক থেকে কোনো টাকা তুলিনি। তারপরও সে যদি মামলা করে, তাহলে আমার আর কি বলার আছে? আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’
যোগসাজশে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেন পুলিশ পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম ও এসআই আবদুল আওয়াল। আমিরুল বলেন, ‘জব্দ তালিকা করেছিল অন্য একটি বাহিনী। তারা কী পেয়েছে না পেয়েছে, তা জানি না। পুলিশকে কেন আসামি করল তাও জানি না।’ আবদুল আওয়াল বলেন, ‘হোসেনের বিরুদ্ধে যে মামলাটা করা হয় সে মামলা আমি তদন্ত করছি। আমি চেকের বিষয়ে কিছু জানি না। কে টাকা তুলেছে, তাও বলতে পারব না।’
ব্যবসায়ী হোসেন আলী তখন কারাগারে। এ সময় তাঁর তিনটি ব্যাংক হিসাব থেকে চেকের মাধ্যমে তোলা হয়েছে ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা। কারাগার থেকে বের হয়ে হোসেন আলী বলেছেন, গ্রেপ্তারের সময় তাঁর গাড়ি থেকে চেকও জব্দ করা হয়েছিল। সেই চেকে জাল স্বাক্ষর দিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই টাকা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে পরিকল্পিতভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ করছেন হোসেন আলী।
এ ব্যাপারে তিনি আদালতে একটি মামলা করেছেন। হোসেন আলী রাজশাহী নগরের চণ্ডীপুর মহল্লার বাসিন্দা। ৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ তিনি দুই ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নম্বর-১৬৭ / ২৫। মামলার ধার্য তারিখ ২৬ জুলাই।
মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন হোসেন আলীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাহমুদ হাসান শিশিল (৩৫), তাঁর দুই ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান লিমন (২৮) ও তন্ময় হোসেন (৩১), নগরের বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম, থানায় কর্মরত তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আওয়াল এবং ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক ও আইএফআইসি ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক।
হোসেন আলীর আইনজীবী লিয়াকত আলী খান জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) পাঠিয়েছেন।
আরএমপির ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল গতকাল রোববার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতে এ রকম কোনো মামলা হয়েছে কি না তা এখনো জানি না। কাগজপত্র এলে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, হোসেন আলী প্লট এবং পুরোনো গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা করেন। গত ১০ আগস্ট নগরের রেলগেট এলাকায় যানবাহনে তল্লাশি করছিল একদল শিক্ষার্থী। ওই সময় হোসেন আলী প্রাইভেট কার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর গাড়ি তল্লাশি করা হলে ব্যাকডালায় কিছু দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়। এ ছাড়া দুই বোতল ফেনসিডিলও পাওয়া যায় ওই গাড়িতে। এ সময় ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার আর্জিতে হোসেন আলী লিখেছেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিশিল এবং দুই কর্মচারী লিমন ও তন্ময় তাঁর অগোচরে গাড়ির ব্যাকডালায় দেশীয় অস্ত্র ও ফেনসিডিল রেখে দেন। তারপর তাঁরাই তথ্য জানিয়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে গাড়িতে তল্লাশি চালায়। ওই সময় তাঁর গাড়িতে থাকা ব্যাগে ব্যাংকের চেকসহ অন্য জিনিসপত্রও ছিল। চেকগুলো জব্দ তালিকায় দেখানো হয়নি। সেই চেক দিয়েই জাল স্বাক্ষরে টাকা তোলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়েও অভিযোগ করে ই-মেইল পাঠিয়েছেন হোসেন আলী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ৯ লাখ, ১৮ সেপ্টেম্বর ১১ লাখ, ২২ সেপ্টেম্বর ৯ লাখ ও ২৬ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। চেকগুলোতে টাকা উত্তোলনকারীর নাম লেখা আছে হাসান। ১৭ সেপ্টেম্বর হোসেনের হিসাবে ছিল ৩৩ লাখ ৪ হাজার ৪৭৪ টাকা। চারটি চেকের মাধ্যমে ৩৩ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী শাখা ব্যবস্থাপকের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছেন হোসেন আলী। ইসলামী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক মো. খালেকুজ্জামান দাবি করেন, চেকের স্বাক্ষর যাচাই-বাছাই করেই টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে যেহেতু হিসাবধারী অভিযোগ করেছেন, তাই এ ব্যাপারে একটি কমিটি করে তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে আইএফআইসি ব্যাংকের রাজশাহী শাখায় হোসেন আলীর হিসাবে ছিল ৩ লাখ ৩ হাজার ৪৬ টাকা। এর মধ্যে রাজশাহী শাখা থেকে একটি চেকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তুলে নেওয়া হয় ৩ লাখ টাকা। আর ইউসিবি ব্যাংকের হিসাবে ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৪১৮ টাকা। গত বছরের ১ অক্টোবর ব্যাংকটির রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর শাখা থেকে একটি চেকের মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এ দুটি ঘটনায় আইএফআইসি ও ইউসিবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ব্যবসায়ী হোসেন আলী।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় আইএফআইসি ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক রবিউল হোসেন ও ইউসিবি ব্যাংকের বানেশ্বর শাখার ব্যবস্থাপক সুজন মোর্শেদের সঙ্গে। তাঁরা জানান, স্বাক্ষর তাঁদের কাছে হোসেনেরই মনে হয়েছে। তারপরও ব্যাংকে চেক আসার পর টাকা ছাড়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হোসেন আলীর মোবাইলে ফোন করা হয়েছিল। এক ব্যক্তি ফোন ধরে নিজের পরিচয় হোসেন আলী নিশ্চিত করেন এবং তিনি টাকা পরিশোধ করে দিতে বলেন। তাই তাঁরা টাকা দিয়ে দেন।
হোসেন আলী বলছেন, ওই সময় তিনি ছিলেন কারাগারে। আর তাঁর ফোন জব্দ করে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর কোনো কথাই হয়নি। হোসেন আলী কারাগারে থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউসিবি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সুজন মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা তো কণ্ঠ পরীক্ষা করতে পারি না।’
আইএফআইসি ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গ্রাহক হোসেন আলী ই-মেইলে আমাদের প্রধান কার্যালয়েও অভিযোগ করেছেন। প্রধান কার্যালয় আমাকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছে। এ জন্য কথা বলতে আমি হোসেন আলীকে ডেকেছি। কিন্তু তিনি আসেননি। এ ব্যাপারে তিনি আদালতে কোনো মামলা করেছেন কি না, তা আমার জানা নেই।’
যোগাযোগ করা হলে হোসেন আলী বলেন, ‘আমি এলাকায় থাকতে পারছি না। টাকা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে যেন কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারি তার জন্য কিছু লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দফায় দফায় আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে খোঁজাখুঁজি করছেন। নানা রকম হুমকি দিচ্ছেন। পরে আরও দুটি মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ভয়ে আমার সন্তান স্কুলে যেতে পারছে না। এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানায় একটি জিডিও করেছেন আমার বাবা।’
হোসেন আলী দাবি করেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিশিল, দুই কর্মচারী, পুলিশ ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হিসাব থেকে ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা তুলে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি নিঃস্ব। হোসেনের দাবি, তিনি কোনোদিন কোনো রাজনীতি করেননি। তারপরও তাঁর নামে একের পর এক রাজনৈতিক মামলা করা হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে আসামি মাহমুদ হাসান লিমনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তন্ময় হোসেন ফোনকল না ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। আর মাহমুদ হাসান শিশিল বলেন, ‘হোসেন আমার অধীনে ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করত। সে এত টাকা পায় কীভাবে? আমি তার ব্যাংক থেকে কোনো টাকা তুলিনি। তারপরও সে যদি মামলা করে, তাহলে আমার আর কি বলার আছে? আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’
যোগসাজশে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেন পুলিশ পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম ও এসআই আবদুল আওয়াল। আমিরুল বলেন, ‘জব্দ তালিকা করেছিল অন্য একটি বাহিনী। তারা কী পেয়েছে না পেয়েছে, তা জানি না। পুলিশকে কেন আসামি করল তাও জানি না।’ আবদুল আওয়াল বলেন, ‘হোসেনের বিরুদ্ধে যে মামলাটা করা হয় সে মামলা আমি তদন্ত করছি। আমি চেকের বিষয়ে কিছু জানি না। কে টাকা তুলেছে, তাও বলতে পারব না।’
রাজধানীর বনানীর কাকলিতে গাড়িচাপায় এক নারী পোশাকশ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছিলেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরোধের পর পুলিশের আশ্বাসে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন।
৩৩ মিনিট আগেমাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণকারীদের ফাঁসির দাবিতে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল করেছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টায় এ কর্মসূচি পালন করেন। একই সময়ে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে সোনার ১৫টি বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। যার মূল্য ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বেশি। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেতিন মাস আগে ৫০ শতক জমিতে জৈব পদ্ধতিতে করলা চাষ করেন কৃষক কাজীম উদ্দিন তালুকদার। ইতিমধ্যে দুই চালান বাজারজাত করেছেন...
১ ঘণ্টা আগে