পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
দরিদ্র পরিবারের ছেলে বুলবুল আহমেদ (২৬)। শত কষ্টে দুই বছর আগে রাজশাহী কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেন। স্বপ্ন ছিল বিসিএস কর্মকর্তা হয়ে মা-বাবার কষ্ট দূর করবেন। তাই গতকাল শুক্রবার ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসেন তিনি। আর আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামের মসজিদে মিলল তাঁর ঝুলন্ত লাশ।
খবর পেয়ে থানা-পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বুলবুলের পরিবারসহ পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। বুলবুল রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি সাহেব আলীর একমাত্র ছেলে। পূর্ব নয়াপাড়া গ্রামের জামে মসজিদেই এ ঘটনা ঘটে।
মা সানোয়ারা বেগম বলেন, ‘বুলবুলের বাবা দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। সংসার চালাতে তিনি অসুস্থ শরীর নিয়েই কাজ করেন। মাঝেমধ্যে বুলবুল তার বাবাকে বলত, আর কিছুদিনের মধ্যে সে বড় অফিসার হবে। তারপর আর বাবাকে কাজ করতে দেবে না। সে গতকাল বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসে। রাতে সকলে একসঙ্গে খেয়েছি। ভোরে সে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির পাশে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরে। এরপর আবার পাড়ায় ঘুরতে যায়। এর মধ্যে আমি সকালের তার জন্য নাশতা রেডি করেছি। পরে তাকে খুঁজতে গিয়ে দেখি মসজিদের ভেতরে বুলবুলের লাশ ঝুলছে।’
বাবা সাহেব আলী বলেন, ‘আমার এক মেয়ে ও এক ছেলে। অনেক কষ্টে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। আর একমাত্র ভরসা ছিল ছেলে বুলবুল। সেও আমাদের ছেড়ে চলে গেল। আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। গ্রামের সবাই তাকে অনেক ভালোবাসেন। কী কারণে এমন হলো, কিছুই বলতে পারছি না।’
প্রতিবেশী ওলিউল্লাহ বলেন, ‘বুলবুল অনেক কষ্টের মাঝে বড় হয়েছে। জমিজমা তেমন না থাকায় তার বাবা রাজমিস্ত্রি কাজ করেন। খেয়ে না-খেয়ে চলে তাদের সংসার। বুলবুল ছোট থেকেই অনেক মেধাবী ছিল। স্থানীয় মাধ্যমিক ও কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে। এরপর রাজশাহী কলেজ থেকে অনার্স শেষে দুই বছর আগে মাস্টার্স শেষ করেছে। প্রায় দুই বছর থেকে সে বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল রাজশাহী থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়। আর এক দিন পর তার পুরো পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল!’
ওলিউল্লাহ আরও বলেন, ‘বুলবুলের মৃত্যুতে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শনিবার বাদ আসর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্তে ‘আত্মহত্যা’র আলামত পাওয়ায় গেছে। তবে তাঁর পরিবারের অনুরোধে লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দরিদ্র পরিবারের ছেলে বুলবুল আহমেদ (২৬)। শত কষ্টে দুই বছর আগে রাজশাহী কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেন। স্বপ্ন ছিল বিসিএস কর্মকর্তা হয়ে মা-বাবার কষ্ট দূর করবেন। তাই গতকাল শুক্রবার ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসেন তিনি। আর আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামের মসজিদে মিলল তাঁর ঝুলন্ত লাশ।
খবর পেয়ে থানা-পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বুলবুলের পরিবারসহ পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। বুলবুল রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি সাহেব আলীর একমাত্র ছেলে। পূর্ব নয়াপাড়া গ্রামের জামে মসজিদেই এ ঘটনা ঘটে।
মা সানোয়ারা বেগম বলেন, ‘বুলবুলের বাবা দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। সংসার চালাতে তিনি অসুস্থ শরীর নিয়েই কাজ করেন। মাঝেমধ্যে বুলবুল তার বাবাকে বলত, আর কিছুদিনের মধ্যে সে বড় অফিসার হবে। তারপর আর বাবাকে কাজ করতে দেবে না। সে গতকাল বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি আসে। রাতে সকলে একসঙ্গে খেয়েছি। ভোরে সে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির পাশে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরে। এরপর আবার পাড়ায় ঘুরতে যায়। এর মধ্যে আমি সকালের তার জন্য নাশতা রেডি করেছি। পরে তাকে খুঁজতে গিয়ে দেখি মসজিদের ভেতরে বুলবুলের লাশ ঝুলছে।’
বাবা সাহেব আলী বলেন, ‘আমার এক মেয়ে ও এক ছেলে। অনেক কষ্টে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। আর একমাত্র ভরসা ছিল ছেলে বুলবুল। সেও আমাদের ছেড়ে চলে গেল। আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। গ্রামের সবাই তাকে অনেক ভালোবাসেন। কী কারণে এমন হলো, কিছুই বলতে পারছি না।’
প্রতিবেশী ওলিউল্লাহ বলেন, ‘বুলবুল অনেক কষ্টের মাঝে বড় হয়েছে। জমিজমা তেমন না থাকায় তার বাবা রাজমিস্ত্রি কাজ করেন। খেয়ে না-খেয়ে চলে তাদের সংসার। বুলবুল ছোট থেকেই অনেক মেধাবী ছিল। স্থানীয় মাধ্যমিক ও কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে। এরপর রাজশাহী কলেজ থেকে অনার্স শেষে দুই বছর আগে মাস্টার্স শেষ করেছে। প্রায় দুই বছর থেকে সে বিসিএসের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল রাজশাহী থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়। আর এক দিন পর তার পুরো পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল!’
ওলিউল্লাহ আরও বলেন, ‘বুলবুলের মৃত্যুতে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শনিবার বাদ আসর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্তে ‘আত্মহত্যা’র আলামত পাওয়ায় গেছে। তবে তাঁর পরিবারের অনুরোধে লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে