Ajker Patrika

শিক্ষার্থী খাতায় আছে বাস্তবে নেই, ধরা পড়ল টিকা কর্মসূচিতে

  • জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধী টিকা দিতে গিয়ে বের হয়ে আসে এই তথ্য
  • খাতা-কলমে নাম থাকলেও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাস্তবে শিক্ষার্থী খুঁজে পাননি
  • কেউ কেউ স্বীকার করে নিয়েছেন, অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থী বাস্তবে নেই
রিমন রহমান, রাজশাহী 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা বোর্ডের মঞ্জুরি বহাল রাখা কিংবা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) চালু রাখার স্বার্থে স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে খাতা-কলমে বাড়তি শিক্ষার্থী দেখানোর অভিযোগ পুরোনো। রাজশাহীতে এবার এই থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার সময়। স্কুল-মাদ্রাসায় খাতা-কলমে নাম থাকলেও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাস্তবে শিক্ষার্থী খুঁজে পাননি। নির্দেশনা থাকলেও শিক্ষকেরা তাদের হাজিরও করতে পারেননি। কেউ কেউ স্বীকার করে নিয়েছেন, অনুপস্থিত থাকা শিক্ষার্থী বাস্তবে নেই।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় টিকা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের এমটিইপিআই আলমগীর হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিকা প্রয়োগ শুরুর আগে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তিনবার করে গিয়েছি। বলেছি, বাস্তবে যে শিক্ষার্থী, সেই তালিকা যেন আমাদের দেওয়া হয়। বেতন-ভাতা চালু রাখার জন্য অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খাতায় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে। ভয়ে শিক্ষকেরা আমাদের আসল তালিকা দেননি।’

আলমগীর বলেন, ‘প্রাথমিকে এ সমস্যা নেই, কিন্তু মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় আছে। স্কুলের চেয়ে আবার মাদ্রাসায় সমস্যা বেশি। আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, পরে কাজে গিয়ে (টিকা দেওয়ার সময়) আমরা সেটা পাইনি। ফলে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সেটা অর্জিত হয়নি।’

রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় স্কুল পর্যায়ে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের এইচপিভি টিকা দেওয়া শুরু হয় গত ২৪ অক্টোবর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়েই টিকা প্রয়োগ করা হয় ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরের ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।

রাজশাহীর ১ হাজার ৮৬টি প্রাথমিক, ৫৬০টি মাধ্যমিক, ২৪১টি মাদ্রাসা ও ২২২টি নন-ফরমাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিকা পাওয়ার উপযোগী হিসেবে তাদের ৯৯ হাজার ২৯৭ জন ছাত্রী থাকার কথা জানায়। কিন্তু বাস্তবে এই শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। শেষ দিন পর্যন্ত টিকা নিয়েছে ৮১ হাজার ৫০০ জন ছাত্রী। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার ৮২ শতাংশ ছাত্রী টিকা নিয়েছে। বাকি ১৮ শতাংশ ছাত্রী আসলেই আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

স্কুল-মাদ্রাসায় টিকা প্রয়োগের সঙ্গে নিয়োজিতরা জানিয়েছেন, মোহনপুর উপজেলার বাটুপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে ২৫ জন ছাত্রীর তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুই দিন গিয়েও স্বাস্থ্যকর্মীরা ২৫ জন ছাত্রী পাননি। সেখানে টিকা নিয়েছে ১০ জন। গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাকি ১৫ ছাত্রীকে ডাকার জন্য শিক্ষকদের চাপ দেন। তখন মাদ্রাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাস্তবেই মাদ্রাসায় আর ছাত্রী নেই।

গোদাগাড়ী দারুল উলুম মাদ্রাসা ২৯৫ জন ছাত্রীর তালিকা দিয়েছিল স্বাস্থ্যকর্মীদের। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিতে টিকা নিয়েছে ১৯৩ জন। বাকি ১০২ জন শিক্ষার্থীকে খুঁজে পাননি স্বাস্থ্যকর্মীরা। গোদাগাড়ীর রাজাবাড়িহাট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা দেখানো হয়েছিল ১০০ জন। কিন্তু টিকা নিয়েছে মাত্র ৪০ জন। দুর্গাপুর উপজেলার গোপীনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় ছাত্রী দেখানো হয়েছিল ৬৯ জন, টিকা নিয়েছে ৫৯ জন। আর হোজা অনন্তকান্দি দাখিল মাদ্রাসায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ জন, টিকা নিয়েছে ৪৪ জন।

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) রাজশাহী জেলা কর্মকর্তা কুস্তুরি বেগম বলেন, ‘আমরা বারবার বলার পরেও স্কুল কিংবা মাদ্রাসা থেকে আসল তালিকাটা দেওয়া হয়নি। বেশি সমস্যা মাদ্রাসায়। অনেক মাদ্রাসায় যেসংখ্যক ছাত্রী বাস্তবেই নেই, তাদের নাম হাজিরার খাতায় লিখে রেখে শিক্ষার্থী বেশি দেখানো আছে। ফলে টিকা দিতে গিয়ে ছাত্রীকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে আমাদের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি। অবশ্য অনেক ছাত্রী টিকা নিতে চায়নি, তাদের অভিভাবকেরা নাকি সম্মতি দেননি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার এটাও একটা বড় কারণ।’

খাতায় অতিরিক্ত ছাত্রীর তালিকা রাখার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর রাজাবাড়িহাট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাফরুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অসুস্থ। এখন কথা বলতে পারব না।’

দুর্গাপুরের হোজা অনন্তকান্দি দাখিল মাদ্রাসার সুপার চৌধুরী মো. আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, ‘আগে ছিল, পরে অনিয়মিত হয়ে পড়েছে—এ রকম ছাত্রীর নাম তালিকায় এখনো থাকতে পারে।’

রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, ‘স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে বাস্তবে নেই, এমন ছাত্রীর নামও লিখে রাখা হয়। এবার টিকা দেওয়ার সময়ও সেটা প্রতীয়মান হয়েছে। তবে এটা থাকা উচিত না। কারণ, ওই তালিকা ধরেই আমরা কাজ করি। আসল তথ্যটাই স্কুল-মাদ্রাসায় লিপিবদ্ধ থাকা উচিত।’

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা. জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঞ্জুরির আবেদন এলে আমরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদেরই বলি, তিনি যেন এই শিক্ষার্থীর সংখ্যা সত্য—এমন প্রত্যয়ন দেন। তিনি প্রত্যয়ন দিলে আমরা বোর্ডের মঞ্জুরি নবায়ন করে থাকি।’

মাদ্রাসায় ভুয়া শিক্ষার্থী রাখার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহ আলমগীর ও মাদ্রাসা পরিদর্শক মোহাম্মদ নাছিমুল ইসলামকে ফোন করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২০০১ সালের মতো আমরা বন্ধু-বন্ধু মিলে ভোট করব: জামায়াতের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
সেনবাগে মাদ্রাসার শিক্ষা উপকরণ অনুষ্ঠানে জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সেনবাগে মাদ্রাসার শিক্ষা উপকরণ অনুষ্ঠানে জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘মতাদর্শ ভিন্ন থাকলেও ২০০১ সালের মতো আমরা বন্ধু-বন্ধু মিলে ভোট করব’—জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলের হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের তাহিরপুর তামীরুল উম্মাত ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ফয়সালা হয়ে যাবে, কে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হবে, কারণ, শেখ হাসিনা নেই, তাঁর গুন্ডাপান্ডারাও নেই যে দিনের ভোট রাতে নেবে এবং কেন্দ্র দখল করবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়ে মেরেছে। মাদ্রাসাশিক্ষকদের জোর করে তাদের দল করতে বাধ্য করেছে। আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করায় অনেককে হত্যা করেছে।

‘বিএনপির হাজার হাজার, লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। আয়নাঘরে নিয়ে নির্যাতন করেছে, সব সমানে সমান। তাই আমাদের মধ্যে মতাদর্শ ভিন্ন থাকলেও ২০০১ সালের মতো আমরা বন্ধু-বন্ধু মিলে ভোট করব। জনরায় যা হবে, তা আমরা মেনে নিয়ে এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে থেকে উন্নয়ন করব।’

আতাউর রহমান সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান একরামী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের আহ্বায়ক এম এ আজিম চৌধুরী প্রমুখ।

পরে অতিথিরা আলিম প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ ব্যাগ, খাতা, কলম ও পরিচয়পত্র তুলে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান, ৩ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

চাঁদপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে শাহাদাত হোসেন বাবুল (৪৩), ফারুক হোসেন (৩০) ও জাকির হোসেন (৩৫) নামে তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্প থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী তালিকাভুক্ত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় কচুয়া উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকা থেকে মাদক কারবারি বাবুল ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫৫টি ইয়াবা বড়ি।

অপর অভিযানে বেলা ২টার দিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মাদক কারবারি জাকির হোসেনকে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০টি ইয়াবা বড়ি।

অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান বলেন, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিজ নিজ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ট্রাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষে ইজিবাইকচালক নিহত

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বালুবাহী ট্রাক্টরের সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষে ইজিবাইকচালক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার মোল্লারচর বাজারসংলগ্ন কলমাকান্দি ব্রিজের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইজিবাইকচালক দুলাল মিয়া (৬০) চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার মৃত আলতাব আলীর ছেলে। তিনি গোপালদী পৌরসভার উত্তর কলাগাছিয়ায় মিজান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে দুলাল মিয়া তাঁর ইজিবাইক চালাচ্ছিলেন। কলমাকান্দি ব্রিজের ওপর এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী ট্রাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ইজিবাইকটির। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুলাল মিয়াকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। দুর্ঘটনার পর ট্রাক্টরচালক ট্রাক্টরটি ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত যান দুটি উদ্ধার করে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক্টরটি উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক চালককে আটকের জন্য অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাগর-রুনি হত্যা: প্রতিবেদন দিতে আরও ৬ মাস সময় পেল টাস্কফোর্স

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ফাইল ছবি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ফাইল ছবি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে টাস্কফোর্সকে আরও ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলা তদন্তে বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

ওই সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে না পারায় চলতি বছরের ২২ এপ্রিল আরও ছয় মাস সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। সেই সময়ও গতকাল শেষ হয়।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়াবাসা থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের তৎকালীন বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

শুনানিতে শিশির মনির বলেন, ‘আগেও টাস্কফোর্স ছয় মাস করে দুবার সময় নিয়েছিল। অগ্রগতি প্রতিবেদন না দিতে পারার কারণে আমরা সংক্ষুব্ধ, দেশের মানুষও সংক্ষুব্ধ।’

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘এত বড় টাস্কফোর্স গঠন করা হলো, কিন্তু তদন্ত সম্পর্কে লিখিত কিছু পাচ্ছি না। কী হচ্ছে, না হচ্ছে—সে বিষয়ে আদালতে অন্তত একটা রিপোর্ট আসুক।’

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বলেন, এটি অনেক পুরোনো মামলা। টাস্কফোর্স কাজ করছে। কাজ করে অনেক দূর এগিয়েছে। একটা অগ্রগতি প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা হচ্ছে।

আদালত তখন বলেন, ‘আগে একটা রেজিম ছিল। বর্তমান রেজিম এই ব্যাপারে সিরিয়াস। বেশি সময় দেওয়া ঠিক হবে না। তিন মাস দিচ্ছি।’

এর প্রতিক্রিয়ায় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তিন মাসে পারবে না। ছয় মাস দেন। বারবার আসতে চাচ্ছি না।’

শিশির মনির তখন বলেন, ‘ছয় মাস সময় দেওয়া হলে তখন নতুন রেজিম থাকবে। বর্তমান সরকার মামলাটি সিরিয়াসলি নিয়েছে। আরেক সরকার এসে সিরিয়াসলি না-ও নিতে পারে।’

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তদন্ত তদন্তের মতো চলবে। সরকার পরিবর্তন হলেও তাতে কিছু আসে যায় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত