Ajker Patrika

সবজির দেশে গোলাপের সুবাস

শাহীন রহমান, পাবনা 
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২: ৫৬
সবজির দেশে গোলাপের সুবাস

সবজিপ্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা পাবনা। তবে সেখানে গোলাপের সুবাস ছড়িয়েছেন তিন ভাই। বাণিজ্যিকভাবে গোলাপ ফুলের চাষ করে মাত্র দুই বছরে ব্যাপক সফলতাও পেয়েছেন। ছয় বিঘা জমিতে খরচ বাদে প্রতি মাসে তাঁদের লাভ দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। ফলে বেড়েছে সবজির দেশে ফুল চাষের সম্ভাবনা। 

গোলাপের সুবাস ছড়ানো তিন ভাই হলেন পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের ভজেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত খন্দকার এ কে আব্দুল্লাহ (বাদশা) ও মৃত রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে খন্দকার জাফর উল্লাহ (টকুন), খন্দকার শরীফুল আলম রানা ও খন্দকার আশরাফুল বারী শাহীন। 

তাঁরা ছয় ভাই ও পাঁচ বোন। ভাইদের মধ্যে সবার বড় খন্দকার জাফর উল্লাহ, মেজ খন্দকার শরীফুল আলম রানা ও ছোট খন্দকার আশরাফুল বারী শাহীন। 

আলাপকালে জানা গেছে, খন্দকার শরীফুল আলম রানা ১৯৯১ সাল থেকে নার্সারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিনিই প্রথম ফুল চাষের কথা ভাবেন। যেহেতু জমি যৌথ মালিকানার সম্পত্তি, তাই তিন ভাই মিলে গোলাপ ফুল চাষের সিদ্ধান্ত নেন। 

তাঁদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকে বাড়ির পাশে বিশাল জমি ঘিরে বাঁশবাগান ছিল। সেখান থেকে ছয় বিঘা জমির বাঁশবাগান তুলে দিয়ে ফুল চাষের জন্য প্রস্তুত করেন। প্রথমে গাজীপুরের মাওনা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের নার্সারি থেকে ১০ হাজার গোলাপের চারা কেনেন তাঁরা। এর তিন মাস পর ভারত থেকে ১৫ হাজার এবং তার ছয় মাস পর ভারত থেকে আরও ১১ হাজার গোলাপের চারা সংগ্রহ করেন। এই মোট ৩৬ হাজার গোলাপের চারা দিয়ে ২০২১ সালের ১ আগস্ট তিন ভাইয়ের যৌথ গোলাপ ফুল বাগানের মূল কার্যক্রম শুরু হয়। 

তাঁদের বাগানে চায়না হাইব্রিড জুমুলিয়া, বিউটি, ভারগো ও বমবম—এই চার জাতের গোলাপের চাষ হচ্ছে। আবার এসব গোলাপ ফুলও হয় বাহারি রঙের। সাদা, হলুদ, কমলা, লাল, শেডপিংক, ডিপ পিংক, সিঁদুর এই সাত রঙের গোলাপ পাওয়া যাচ্ছে এই বাগানে। প্রথমে দুজন কর্মচারী দিয়ে তাঁদের কাজ শুরু হলেও বর্তমানে গোলাপ বাগানে কর্মসংস্থান হয়েছে ছয় জনের। আর তাঁদের পেছনে মাসিক বেতন বাবদ খরচ হচ্ছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। 

এ বিষয়ে বড় ভাই খন্দকার জাফর উল্লাহ (টকুন) বলেন, ‘বাগান থেকে বাঁশ বিক্রি করে বছরে আসত ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ফুল চাষে বিঘাপ্রতি ৬ লাখ টাকা করে ৬ বিঘা জমিতে মোট খরচ হয়েছে ৩৬ লাখ টাকা। আর এখন সেখানে প্রতি মাসে লাভ হচ্ছে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা। লোকসান নেই। আয় ভালোই হচ্ছে। বলা যায় ফুল চাষ লাভজনক।’ 

 নিজেদের গোলাপ বাগান থেকে ফুল সংগ্রহের পর সেগুলো বাছাই করছেন তিন ভাই। মঙ্গলবার সকালে পাবনা সদর উপজেলার ভাজেন্দ্রপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা।  মেজো ভাই খন্দকার শরীফুল আলম রানা বলেন, ‘আমি নার্সারির ব্যবসা করি অনেক বছর ধরে। ঢাকায় আমার ব্যবসা আছে। ভাবলাম গ্রামে ব্যতিক্রম কিছু করা যায় কি না। যেহেতু আমি গাছ ও ফুলপ্রেমিক মানুষ, ভাবলাম ফুলের চাষ করা যায়। সেই ভাবনা থেকে আমার আর দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে গোলাপ ফুলের চাষ শুরু করি। পাবনায় বাণিজ্যিকভাবে গোলাপ ফুলের চাষ আমরাই প্রথম শুরু করলাম।’ 

শরীফুল রানা বলেন, ‘তবে পাবনায় ফুলের বাজারজাতকরণের একটা সমস্যা আছে। আমরা বর্তমানে পাবনা শহর, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, চাটমোহর উপজেলা এবং ঢাকা শহরে ফুল বিক্রি করছি। আশা করছি ফুলের আবাদ বাড়বে এবং বাজারজাতকরণের সমস্যা কেটে যাবে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৩ লাখ টাকার গোলাপ বিক্রি করেছিলাম। এবারের ফেব্রুয়ারিতেও ৪ লাখ টাকার ফুল বিক্রির আশা করছি।’ 

ছোট ভাই খন্দকার আশরাফুল বারী শাহীন বলেন, ‘গোলাপ ফুল বা যেকোনো ফুল চাষ খরচের তুলনায় লাভজনক। বিশেষ করে অন্য ফসল বা সবজি আবাদের চেয়ে লাভ অনেক বেশি। রোগবালাই না থাকলেও একটু পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। তবে ঠিকমতো যত্ন নিলে পোকার আক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কৃষি বিভাগ সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আমাদের পাশে আছে।’ 

এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী বলেন, ‘দেশে ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যে কারণে দেশের বাইরে থেকেও আমাদের ফুল আমদানি করতে হয়। ফুল চাষ যেহেতু লাভজনক, সে কারণে পাবনায় ফুলের চাষ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছি। এতে এখানকার উৎপাদিত ফুল দিয়ে জেলার চাহিদা মেটানো যাবে, পাশাপাশি অন্যান্য জেলায়ও ফুল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’ 

তিন ভাইয়ের গোলাপবাগান থেকে ফুল সংগ্রহ করছেন তাঁদের বাগানের কর্মচারীরা। মঙ্গলবার সকালে পাবনা সদর উপজেলার ভাজেন্দ্রপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা। কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী আরও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি বিভাগ তিন ভাইয়ের গোলাপ চাষে সব সময় পাশে থেকে পরামর্শ ও নানা রকম সহযোগিতা করে আসছে। তাঁদের দেখে জেলার অন্যান্য কৃষকও ফুল চাষে আগ্রহী হবেন বলে প্রত্যাশা করছি।’ 

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘পাবনা জেলা সবজিপ্রধান এলাকা হিসেবে সারা দেশে পরিচিত। শুধু তাই নয়, শাকসবজিতে উদ্বৃত্ত জেলা পাবনা। জেলার চাহিদার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি শাকসবজি উৎপাদিত হয়।’ 

তিনি বলেন, ‘জেলায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে শাকসবজি আবাদ হয়। এখান থেকে উৎপাদন হয় ৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সবজি, যা দিয়ে পাবনা জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে সরবরাহ করা হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলশানের বিলস বারে ৪৬৬ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার ৯

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিবেদক
রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর গুলশানের বিলস আর্ট লাউঞ্জ লিমিটেড রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ডিএমপির গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওসি মো. হাফিজুর জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান-১-এর গুলশান দক্ষিণ অ্যাভিনিউর বিলস আর্ট লাউঞ্জ রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে অভিযান চালিয়ে ৪৬৬ বোতল বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ এসব মদের মূল্য ৬৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সৈয়দ আসিফ (২৪), রাকিব খান (২০), তানভির আহমেদ (২৮), নয়ন চক্রবর্তী (২৮), বেল্লাল হাওলাদার (৪০), জহিরুল ইসলাম (৩৩), সাগর নকরেক (২৭), সাইফুল ইসলাম রকি (৩৪) ও মেহেদী হাসান শিকদার (৪০)।

রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, বিলস আর্ট বারটির দেশীয় কেরু অ্যান্ড কোং কোম্পানির অনুমোদিত পাঁচটি ব্রান্ডের মদ বিক্রির অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু তারা অবৈধভাবে বিদেশি মদ মজুত রেখে বিক্রি করে আসছিল; যার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ভবনটির ষষ্ঠ তলার চিলেকোঠা থেকে এসব বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় আজ (শুক্রবার) গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি হাফিজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার মেট্রোরেল মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে মতবিনিময় সভা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে ‘ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ মেট্রোরেল দাবি পরিষদের উদ্যোগে এ সভা হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর মোর্শেদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সদস্যসচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ শহর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব উল আলম স্বপন, মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাছির উদ্দিন জুয়েল, সহসভাপতি মো. গোলজার হোসেন, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য সদস্য।

সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণ বাস্তবায়িত হলে জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের যাতায়াত সমস্যা দূর হবে। এতে ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের মধ্যে আধুনিক ও দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মুন্সিগঞ্জের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মেট্রোরেল সম্প্রসারণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন আয়োজন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।

আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের কাছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানাব। মুন্সিগঞ্জবাসীর স্বচ্ছ ও দ্রুত যাতায়াতের অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিবাদী ও সক্রিয় থাকব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে শাহ আরেফিন (র.) মাজার ধ্বংসের হোতা বশর আটক

সিলেট প্রতিনিধি
বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানি। ছবি: সংগৃহীত
বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানি। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন (র.)-এর মাজার খুঁড়ে পাথর তুলে ধ্বংসের হোতা বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানিকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিজ ঘর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আব্দুল মালেক নামের আরেকজনকে আটক করে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়।

বশর উপজেলার জালিয়ারপাড় গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। আব্দুল মালেক উপজেলার বৈশাখান্দী বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শুরু হয় শাহ আরেফিন টিলা থেকে পাথর উত্তোলন। এ সময় প্রায় ৭’শ বছরের পুরোনো শাহ আরেফিন (র.)-এর মাজারে স্তূপ করে রাখা প্রায় ২ কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়। এরপর মাজারের শতবর্ষী গাছপালা কেটে নিয়ে সেখানে গর্ত করে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। দীর্ঘ ১ বছর পাথর উত্তোলন করে বিলীন করা হয়েছে মাজারের কবরস্থান ও খেলার মাঠ। আর এ সবই হয়েছে বশর কোম্পানির নেতৃত্বে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় পুলিশ ও বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। অভিযানে শাহ আরেফিন ধ্বংসের হোতা বশর মিয়া এবং আব্দুল মালেক নামের আরও একজনকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বশর কোম্পানি আগে থেকেই শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংসের বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। তা ছাড়া অস্ত্র এবং পুলিশের ওপর হামলার মামলাও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি এলাকায় খুব প্রভাবশালী হওয়ায় সহজে কেউ কথা বলতে চায় না। ভাইদের দিয়ে তিনি শাহ আরেফিন টিলা ও মাজার ধ্বংস করে পাথর উত্তোলন করান। তবে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মাজার রক্ষাকারীদের সঙ্গে তাঁদের মারামারি হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ জানান, বশর মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি নিয়মিত মামলা রয়েছে। তা ছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাঁকে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আব্দুল মালেককে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। তাঁদেরকে আজ শুক্রবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘দেশে শয়তানের প্রয়োজন নেই, জামায়াতই যথেষ্ট’

­যশোর প্রতিনিধি
বাঘারপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপির সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাঘারপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপির সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের লোকজন দাড়ি-টুপি পরে জামায়াত হয়েছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ দেশে আর শয়তানের প্রয়োজন নেই, জামায়াতই যথেষ্ট’—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সহসভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজী।

আজ শুক্রবার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যশোর-৪ আসনে (অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা) শোডাউন করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে বাঘারপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে শ্রমিক দলনেতা মতিয়ার রহমান ফারাজী বলেন, ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগের দোসর জামায়াত এখন বিএনপির অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের লোকজন দাড়ি-টুপি পরে জামায়াত হয়েছে।

তারা এখন জান্নাত হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এ দেশে আর শয়তানের প্রয়োজন নেই, জামায়াতই যথেষ্ট। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে দেশকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে।

পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকী, মশিয়ার রহমান, অভয়নগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মোল্লা, সাবেক পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত