Ajker Patrika

ফেল করাদের জন্য পাস নম্বর কমিয়েও পোষ্য কোটা পূরণ হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২২, ১৭: ৪৭
ফেল করাদের জন্য পাস নম্বর কমিয়েও পোষ্য কোটা পূরণ হচ্ছে না

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০। কিন্তু পোষ্য কোটার অবশিষ্ট ১৩৬টি আসনের জন্য পাস নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের ভর্তির সুযোগ দিতে এখন পাস নম্বরই কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

আজ রোববার ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার জানান, পোষ্য কোটার পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ ধরার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এর নিচে আর নামবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১০ নম্বর ছাড়ের পর যাঁরা যোগ্য বিবেচিত হবেন কেবল তাঁরাই ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তি উপ-কমিটির সভায় আজ এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

তিনি জানান, এ বছর (২০২১-২২ সেশন) রাবিতে কোটাসহ মোট আসন ৪ হাজার ৬৪১টি। মোট আসনের ৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা চাকরি করেন তাঁদের সন্তানদের জন্য নির্ধারিত পোষ্য কোটা। এবার পোষ্য কোটার আসন ২০১টি। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বেশি পেয়ে এরই মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন শিক্ষার্থী। পাস নম্বর না পাওয়ায় বাকি ১৩৬টি আসন ফাঁকা আছে। এ অবস্থায় আসন পূরণের স্বার্থে পোষ্য কোটার পাস নম্বর কমিয়ে ৩০ করা হয়েছে। 

জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আরও জানান, পাস নম্বরে ১০ নম্বর ছাড় দেওয়ায় এখন আরও ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। তবে এরপরও ৭৬টি আসন ফাঁকাই থাকবে। এসব আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হলে পাস নম্বর আরও কমাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য আর নিচে নামবে না। পোষ্য কোটার এসব আসন এবার ফাঁকাই থাকবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে ভর্তি উপ-কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ‘সি’ ইউনিটে আবশ্যিকে ২৫ ও ঐচ্ছিকে ১০ নম্বর পাওয়ার শর্ত পূরণ করতে পারেননি এমন পোষ্য কোটার শিক্ষার্থীদেরও ভর্তি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশ সদস্য এতে অসম্মতি জানালে প্রস্তাবটি সভায় পাস হয়নি। এ নিয়ে আজ আবার সভা হয়। 

এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। সেখানেই পোষ্য কোটার পাস নম্বর কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। 

এর আগেও পাস নম্বর কমিয়ে রাবিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ভর্তি করানো নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। গত বছরও একইভাবে পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। এরপরও এবার একই পথে হাঁটল রাবি। 

এই পদ্ধতিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ভর্তির সমালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদ্ধতি কখনো গ্রহণযোগ্য নয়, কাম্যও নয়। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম একটা নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেটার নিচে এসে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা ঠিক নয়। বেশির ভাগ শিক্ষকই এই পদ্ধতির বিপক্ষে। কারণ এটা নিয়ে বারবার সমালোচনা ও বিতর্ক হয়।’ 

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর আছে। সেখান থেকে যে কথা বলা হবে সেটাই আমার বক্তব্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত