Ajker Patrika

সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু, গুরুতর আহত মা-বাবাসহ ছোট বোন

নওগাঁ প্রতিনিধি
সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু, গুরুতর আহত মা-বাবাসহ ছোট বোন

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় আত্রাই নদীর সেতুর ওপর পণ্যবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় ওই শিশুর মা-বাবা ও ছোট বোন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই রাজশাহী পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার নজিপুর-সাপাহার সড়কের শহীদ সিদ্দিক প্রতাপ সেতুর ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত শিশুর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস (১০)। আহতেরা হয়েছেন—জান্নাতুল ফেরদৌসের মা শান্তনা আক্তার (৩০), বাবা আবু সাইন সরকার (৩৮) ও ছোট বোন লামিয়া জান্নাত (৪)। তাঁরা নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তর গ্রামের বাসিন্দা। সাইন সরকার ওই গ্রামের আব্দুল হামিদ সরকারের ছেলে। 

স্থানীয় বাসিন্দা, থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ও আহতরা একই পরিবারের সদস্য। শুক্রবার বিকেলে আবু সাইন পার্শ্ববর্তী মহাদেবপুর উপজেলা থেকে একটি মোটরসাইকেলে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি পত্নীতলা উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নের আমন্ত গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে সন্ধ্যার দিকে নজিপুর-সাপাহার আঞ্চলিক সড়কের আত্রাই নদীর শহীদ সিদ্দিক প্রতাপ সেতুর ওপর উঠলে বিপরীত দিক আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সড়কের ছিটকে পড়ে চারজনই গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌসকে মৃত ঘোষণা করেন। 

অন্যদিকে বাকি তিনজনের মধ্যে বাবা সাইন ও মা শান্তনার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। 

এদিকে দুর্ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং দুর্ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ ভিড় করেন। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যা নামলেই সেতুর ওপর দুপাশে মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড করে যুবক-যুবতীরা আড্ডা দেওয়ায় চলাচলের পথ সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। যা সেতুর ওপর দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। 

এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘চারজনই একটি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত বাকি তিনজনকে রাজশাহীতে পাঠিয়েছে চিকিৎসক। ঘটনার পর ট্রাকচালক ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে গেছে।’ 

ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাসপাতাল থেকেই পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে গেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত