রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার সময় রীতিমতো ‘সাগরচুরির’ ঘটনা ঘটেছে। এলাকার একটি শক্তিশালী চক্রকে ইজারার মোড়কে খাসপুকুর দেওয়া হয়েছে পানির দরে। এসব ইজারার সময় ভুয়া চালানও ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পুকুরের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ইজারামূল্যের চেয়ে কম দরে দলিল করা কিংবা মামলার নিষেধাজ্ঞার কথা বলে তালিকাবহির্ভূত রেখে পরে গোপনে ইজারা দেওয়া হয়েছে।
এতে অন্তত ৫ কোটি ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৬২৮ টাকার রাজস্ব ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ইজারামূল্যের চেয়ে কম টাকার চালান জমা দিয়ে ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৫ টাকা, এক চালান একাধিকবার ব্যবহার করে ২৮ লাখ ১২ হাজার ৭৪৬ টাকা, পুকুরের নামে মামলা দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৬ টাকা এবং প্রকাশিত তালিকার চেয়ে অনুমোদিত মূল্য কম করে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫১ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সরকারি হিসাবে গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর রয়েছে ৩ হাজার ৬০টি। ১৪৩১-৩৩ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারা দিতে গত ১৮ এপ্রিল ২ হাজার ৭৪৯টি পুকুরের তালিকা প্রকাশ করা হয়। অভিনব এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে তখনই। একটি বিশেষ মহল সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে এই জালিয়াতি করেছে। পুকুরের তালিকায় সই করা হয়েছে গত ৩০ মে। অনুমোদিত তালিকা প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ থাকে।
কিন্তু এবার তালিকাই প্রকাশ করা হয়েছে সই করার ২০ দিন পর, ২০ জুন। দেরিতে তালিকা প্রকাশ করে আপিল করার সুযোগ থেকে আগ্রহী দরপত্র দাখিলকারীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তালিকায় ইজারামূল্য ৩০ লাখ টাকা থাকা পুকুর দুই লাখ টাকায়ও ইজারা দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা গেছে, গোদাগাড়ী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মৌজার ৫৮ দাগের ১ একর ৮৬ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির অনুমোদিত দর ছিল ৭০ হাজার ৫০০ টাকা। ভ্যাট ও আয়কর ১৭ হাজার ৬২৫ টাকা এই মূল্যের সঙ্গে যোগ হওয়ার কথা। সাকল্যে পুকুরটির ইজারামূল্য দাঁড়ায় ৮১ হাজার ৭৫ টাকা। সেই পুকুরের বিপরীতে মাত্র ৭ হাজার ৫০ টাকার ট্রেজারি চালান জমা দেওয়া হয়েছে। এই পুকুর থেকে সরকারি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৭৪ হাজার ২৫ টাকা। একইভাবে ১০৬টি পুকুরের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। তাতে সরকারের এক বছরের ক্ষতি হয়েছে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৫ টাকা। তিন বছরে ক্ষতির পরিমাণ ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৫ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই ট্রেজারি চালান একাধিক পুকুরে ব্যবহার করেও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এভাবে গোগ্রাম ইউনিয়নের তেরোপাড়া মৌজার ১৮৪ নম্বর দাগের ২ একর ২৮ শতাংশ আয়তনের খাসপুকুরের ট্রেজারি চালানের মূল্য দেখানো হয়েছে ১০ হাজার টাকা। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ব্যাংকের সিলমোহর জাল করে একই চালান ব্যবহার করা হয়েছে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কোচারপাড়া মৌজার ২৪৯ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ আয়তনের পুকুরের জন্যও। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পুকুরের জন্য সরকারের ঘরে কোনো টাকাই জমা হয়নি। পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। এভাবে ৯৬টি পুকুরের চালান জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। এই পন্থায় এক বছরের জন্য মোট ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮২ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। পুকুরগুলো তিন বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। সরকারের মোট ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ১২ হাজার ৭৪৬ টাকা।
এদিকে ইজারা তালিকায় প্রকাশিত মূল্যের চেয়ে অসম্ভব কম মূল্যে ৪৯টি পুকুর ইজারা দিয়ে এক বছরের জন্য সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করা হয়েছে ৮৬ লাখ ৫৭ হাজার ১১৭ টাকা। তিন বছরের জন্য এই ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫১ টাকা।
উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার আব্দুলপুর মৌজার ১৯৭ নম্বর দাগের ৪ একর শূন্য ২ শতাংশ আয়তনের একটি ও মোহনপুর ইউনিয়নের দুধাই মৌজার ৪ একর ৯২ শতাংশ আয়তনের দুটি পুকুর ইজারার জন্য তালিকায় তোলা হয়নি। কিন্তু বাস্তবে পুকুর দুটি ভোগদখল চলছে। প্রতিটি পুকুরের ইজারামূল্য ৩০ লাখ টাকার কম হওয়ার কথা নয়। দুধাই মৌজার পুকুরটি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ভোগদখল করছেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, বৈধভাবে সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন। দ্বিতীয় পুকুরটি দুলাল নামের এক ব্যক্তি ভোগ করছেন। তিনিও একই দাবি করেছেন।
এদিকে উপজেলার ১৩টি পুকুর ইজারার জন্য অনুমোদিত তালিকায় নেই। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পুকুরগুলোর ট্রেজারি চালানোর মাধ্যমে ইজারামূল্য পরিশোধ করা হয়েছে। গোপনে এসব পুকুর পেয়েছেন প্রভাবশালীরা।
এদিকে ইজারার জন্য প্রকাশিত পুকুরের তালিকায় তিনটি পুকুরের পাশে লিখে রাখা হয়, মামলা চলমান। অর্থাৎ, এগুলো ইজারাযোগ্য নয়। যদিও এগুলোর ইজারামূল্য লেখা হয়। মামলা চলমান লেখা দেখে আগ্রহী কেউ এগুলোর জন্য চালান জমা দেননি। তবে গোপনে এসব পুকুর ঠিকই ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর নেওয়া হয়েছে প্রকাশিত ইজারামূল্যের চেয়ে অনেক কম টাকা।
এর মধ্যে গোদাগাড়ী ইউনিয়নের সাগুয়ান মৌজার ২৯৫ দাগের ৪ একর ২৬ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির প্রকাশিত ইজারামূল্য ২১ লাখ ৪০ হাজার ৬৫০ টাকা। কিন্তু মামলা চলমান রয়েছে বলে এই পুকুরের বিপরীতে কেউ দরপত্রই জমা দেননি। অথচ গোপনে মাত্র ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে বিশাল এই পুকুর। একই মৌজার ৬ একর ৬৪ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির প্রকাশিত ইজারামূল্য ছিল ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা। এই পুকুর গোপনে মাত্র দুই লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। একই মৌজার ৩৭৪ দাগের ১ একর ৪৮ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুরের প্রকাশিত ইজারামূল্য হচ্ছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। এই পুকুর গোপনে ইজারা দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার টাকায়। এই তিনটি পুকুরেরই ট্রেজারি জমাকারী হচ্ছেন একই ব্যক্তি।
সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার সাগুয়ান গ্রামের বিচারাধীন পুকুরটির খোঁজ নিতে গিয়ে হাবিব (৬২) নামের স্থানীয় এক কৃষককে পুকুরপাড়ে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন ভাগে পুকুরটা খায়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গোদাগাড়ীর মাদারপুরের শামীম। তিনি বলেন, সব নিয়ম মেনেই পুকুর ইজারা নিয়েছেন। কোনো অনিয়ম হয়নি।
গোদাগাড়ীতে পুকুরগুলো ইজারা দেওয়ার সময় এসি ল্যান্ড ছিলেন জাহিদ হাসান। তিনি বর্তমানে রাজশাহীর পবা উপজেলার এসি ল্যান্ড। সাগুয়ান গ্রামের পুকুরের বিষয়ে তিনি বলেন, মামলা চলমান। এই পুকুর তিনি ইজারা দেননি। অবশ্য গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত নিশ্চিত করেছেন, ভূমি অফিসে ওই পুকুর ইজারা দেওয়ার দলিল পাওয়া গেছে। সেখানে এসি ল্যান্ডের স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ীর জাহানাবাদ মহল্লার শরিফুল ইসলাম ওরফে বিষু নামের এক ব্যক্তি এই জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত। তিনিই বছরের পর বছর গোদাগাড়ীর পুকুর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। নানা কায়দায় পানির দরে পুকুর নিয়ে তিনি আবার পরে প্রকৃত মাছচাষিদের কাছে চড়া মূল্যে ইজারা দেন। এভাবে তিনি ফুলেফেঁপে উঠেছেন।
বিষুর সিন্ডিকেটে ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোক্তারুজ্জামান। বর্তমানে তিনি চারঘাট ভূমি অফিসে বদলি হয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কিছু জানেন না। ইজারা কমিটির মাধ্যমে পুকুর ইজারা দেওয়া হয়। তিনি কিছুই দেখেন না।
পুকুর সিন্ডিকেটের হোতা শরিফুল ইসলাম বিষু একসময় বিএনপি করতেন। তবে দিনে দিনে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আবার বিএনপিতে ভেড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ৫ আগস্ট গোদাগাড়ী থানায় আগুন দেওয়ার মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন কারাগারে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, তিনি গোদাগাড়ীতে আসার আগে এসব পুকুর ইজারা হয়েছে। তখন ইজারা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তৎকালীন ইউএনও আতিকুল ইসলাম। আর সদস্যসচিব ছিলেন এসি ল্যান্ড জাহিদ হাসান। যে বা যারাই জালিয়াতি করে পুকুর ইজারা দেওয়া কিংবা নেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার সময় রীতিমতো ‘সাগরচুরির’ ঘটনা ঘটেছে। এলাকার একটি শক্তিশালী চক্রকে ইজারার মোড়কে খাসপুকুর দেওয়া হয়েছে পানির দরে। এসব ইজারার সময় ভুয়া চালানও ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পুকুরের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ইজারামূল্যের চেয়ে কম দরে দলিল করা কিংবা মামলার নিষেধাজ্ঞার কথা বলে তালিকাবহির্ভূত রেখে পরে গোপনে ইজারা দেওয়া হয়েছে।
এতে অন্তত ৫ কোটি ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৬২৮ টাকার রাজস্ব ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ইজারামূল্যের চেয়ে কম টাকার চালান জমা দিয়ে ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৫ টাকা, এক চালান একাধিকবার ব্যবহার করে ২৮ লাখ ১২ হাজার ৭৪৬ টাকা, পুকুরের নামে মামলা দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৬ টাকা এবং প্রকাশিত তালিকার চেয়ে অনুমোদিত মূল্য কম করে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫১ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সরকারি হিসাবে গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর রয়েছে ৩ হাজার ৬০টি। ১৪৩১-৩৩ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারা দিতে গত ১৮ এপ্রিল ২ হাজার ৭৪৯টি পুকুরের তালিকা প্রকাশ করা হয়। অভিনব এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে তখনই। একটি বিশেষ মহল সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে এই জালিয়াতি করেছে। পুকুরের তালিকায় সই করা হয়েছে গত ৩০ মে। অনুমোদিত তালিকা প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ থাকে।
কিন্তু এবার তালিকাই প্রকাশ করা হয়েছে সই করার ২০ দিন পর, ২০ জুন। দেরিতে তালিকা প্রকাশ করে আপিল করার সুযোগ থেকে আগ্রহী দরপত্র দাখিলকারীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তালিকায় ইজারামূল্য ৩০ লাখ টাকা থাকা পুকুর দুই লাখ টাকায়ও ইজারা দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা গেছে, গোদাগাড়ী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মৌজার ৫৮ দাগের ১ একর ৮৬ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির অনুমোদিত দর ছিল ৭০ হাজার ৫০০ টাকা। ভ্যাট ও আয়কর ১৭ হাজার ৬২৫ টাকা এই মূল্যের সঙ্গে যোগ হওয়ার কথা। সাকল্যে পুকুরটির ইজারামূল্য দাঁড়ায় ৮১ হাজার ৭৫ টাকা। সেই পুকুরের বিপরীতে মাত্র ৭ হাজার ৫০ টাকার ট্রেজারি চালান জমা দেওয়া হয়েছে। এই পুকুর থেকে সরকারি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৭৪ হাজার ২৫ টাকা। একইভাবে ১০৬টি পুকুরের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। তাতে সরকারের এক বছরের ক্ষতি হয়েছে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৫ টাকা। তিন বছরে ক্ষতির পরিমাণ ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৫ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই ট্রেজারি চালান একাধিক পুকুরে ব্যবহার করেও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এভাবে গোগ্রাম ইউনিয়নের তেরোপাড়া মৌজার ১৮৪ নম্বর দাগের ২ একর ২৮ শতাংশ আয়তনের খাসপুকুরের ট্রেজারি চালানের মূল্য দেখানো হয়েছে ১০ হাজার টাকা। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ব্যাংকের সিলমোহর জাল করে একই চালান ব্যবহার করা হয়েছে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কোচারপাড়া মৌজার ২৪৯ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ আয়তনের পুকুরের জন্যও। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পুকুরের জন্য সরকারের ঘরে কোনো টাকাই জমা হয়নি। পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। এভাবে ৯৬টি পুকুরের চালান জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। এই পন্থায় এক বছরের জন্য মোট ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮২ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। পুকুরগুলো তিন বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। সরকারের মোট ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ১২ হাজার ৭৪৬ টাকা।
এদিকে ইজারা তালিকায় প্রকাশিত মূল্যের চেয়ে অসম্ভব কম মূল্যে ৪৯টি পুকুর ইজারা দিয়ে এক বছরের জন্য সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করা হয়েছে ৮৬ লাখ ৫৭ হাজার ১১৭ টাকা। তিন বছরের জন্য এই ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫১ টাকা।
উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার আব্দুলপুর মৌজার ১৯৭ নম্বর দাগের ৪ একর শূন্য ২ শতাংশ আয়তনের একটি ও মোহনপুর ইউনিয়নের দুধাই মৌজার ৪ একর ৯২ শতাংশ আয়তনের দুটি পুকুর ইজারার জন্য তালিকায় তোলা হয়নি। কিন্তু বাস্তবে পুকুর দুটি ভোগদখল চলছে। প্রতিটি পুকুরের ইজারামূল্য ৩০ লাখ টাকার কম হওয়ার কথা নয়। দুধাই মৌজার পুকুরটি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ভোগদখল করছেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, বৈধভাবে সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন। দ্বিতীয় পুকুরটি দুলাল নামের এক ব্যক্তি ভোগ করছেন। তিনিও একই দাবি করেছেন।
এদিকে উপজেলার ১৩টি পুকুর ইজারার জন্য অনুমোদিত তালিকায় নেই। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পুকুরগুলোর ট্রেজারি চালানোর মাধ্যমে ইজারামূল্য পরিশোধ করা হয়েছে। গোপনে এসব পুকুর পেয়েছেন প্রভাবশালীরা।
এদিকে ইজারার জন্য প্রকাশিত পুকুরের তালিকায় তিনটি পুকুরের পাশে লিখে রাখা হয়, মামলা চলমান। অর্থাৎ, এগুলো ইজারাযোগ্য নয়। যদিও এগুলোর ইজারামূল্য লেখা হয়। মামলা চলমান লেখা দেখে আগ্রহী কেউ এগুলোর জন্য চালান জমা দেননি। তবে গোপনে এসব পুকুর ঠিকই ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর নেওয়া হয়েছে প্রকাশিত ইজারামূল্যের চেয়ে অনেক কম টাকা।
এর মধ্যে গোদাগাড়ী ইউনিয়নের সাগুয়ান মৌজার ২৯৫ দাগের ৪ একর ২৬ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির প্রকাশিত ইজারামূল্য ২১ লাখ ৪০ হাজার ৬৫০ টাকা। কিন্তু মামলা চলমান রয়েছে বলে এই পুকুরের বিপরীতে কেউ দরপত্রই জমা দেননি। অথচ গোপনে মাত্র ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে বিশাল এই পুকুর। একই মৌজার ৬ একর ৬৪ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির প্রকাশিত ইজারামূল্য ছিল ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা। এই পুকুর গোপনে মাত্র দুই লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। একই মৌজার ৩৭৪ দাগের ১ একর ৪৮ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুরের প্রকাশিত ইজারামূল্য হচ্ছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। এই পুকুর গোপনে ইজারা দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার টাকায়। এই তিনটি পুকুরেরই ট্রেজারি জমাকারী হচ্ছেন একই ব্যক্তি।
সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার সাগুয়ান গ্রামের বিচারাধীন পুকুরটির খোঁজ নিতে গিয়ে হাবিব (৬২) নামের স্থানীয় এক কৃষককে পুকুরপাড়ে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন ভাগে পুকুরটা খায়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গোদাগাড়ীর মাদারপুরের শামীম। তিনি বলেন, সব নিয়ম মেনেই পুকুর ইজারা নিয়েছেন। কোনো অনিয়ম হয়নি।
গোদাগাড়ীতে পুকুরগুলো ইজারা দেওয়ার সময় এসি ল্যান্ড ছিলেন জাহিদ হাসান। তিনি বর্তমানে রাজশাহীর পবা উপজেলার এসি ল্যান্ড। সাগুয়ান গ্রামের পুকুরের বিষয়ে তিনি বলেন, মামলা চলমান। এই পুকুর তিনি ইজারা দেননি। অবশ্য গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত নিশ্চিত করেছেন, ভূমি অফিসে ওই পুকুর ইজারা দেওয়ার দলিল পাওয়া গেছে। সেখানে এসি ল্যান্ডের স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ীর জাহানাবাদ মহল্লার শরিফুল ইসলাম ওরফে বিষু নামের এক ব্যক্তি এই জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত। তিনিই বছরের পর বছর গোদাগাড়ীর পুকুর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। নানা কায়দায় পানির দরে পুকুর নিয়ে তিনি আবার পরে প্রকৃত মাছচাষিদের কাছে চড়া মূল্যে ইজারা দেন। এভাবে তিনি ফুলেফেঁপে উঠেছেন।
বিষুর সিন্ডিকেটে ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোক্তারুজ্জামান। বর্তমানে তিনি চারঘাট ভূমি অফিসে বদলি হয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কিছু জানেন না। ইজারা কমিটির মাধ্যমে পুকুর ইজারা দেওয়া হয়। তিনি কিছুই দেখেন না।
পুকুর সিন্ডিকেটের হোতা শরিফুল ইসলাম বিষু একসময় বিএনপি করতেন। তবে দিনে দিনে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আবার বিএনপিতে ভেড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ৫ আগস্ট গোদাগাড়ী থানায় আগুন দেওয়ার মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন কারাগারে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, তিনি গোদাগাড়ীতে আসার আগে এসব পুকুর ইজারা হয়েছে। তখন ইজারা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তৎকালীন ইউএনও আতিকুল ইসলাম। আর সদস্যসচিব ছিলেন এসি ল্যান্ড জাহিদ হাসান। যে বা যারাই জালিয়াতি করে পুকুর ইজারা দেওয়া কিংবা নেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার সময় রীতিমতো ‘সাগরচুরির’ ঘটনা ঘটেছে। এলাকার একটি শক্তিশালী চক্রকে ইজারার মোড়কে খাসপুকুর দেওয়া হয়েছে পানির দরে। এসব ইজারার সময় ভুয়া চালানও ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পুকুরের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ইজারামূল্যের চেয়ে কম দরে দলিল করা কিংবা মামলার নিষেধাজ্ঞার কথা বলে তালিকাবহির্ভূত রেখে পরে গোপনে ইজারা দেওয়া হয়েছে।
এতে অন্তত ৫ কোটি ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৬২৮ টাকার রাজস্ব ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ইজারামূল্যের চেয়ে কম টাকার চালান জমা দিয়ে ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৫ টাকা, এক চালান একাধিকবার ব্যবহার করে ২৮ লাখ ১২ হাজার ৭৪৬ টাকা, পুকুরের নামে মামলা দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৬ টাকা এবং প্রকাশিত তালিকার চেয়ে অনুমোদিত মূল্য কম করে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫১ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সরকারি হিসাবে গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর রয়েছে ৩ হাজার ৬০টি। ১৪৩১-৩৩ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারা দিতে গত ১৮ এপ্রিল ২ হাজার ৭৪৯টি পুকুরের তালিকা প্রকাশ করা হয়। অভিনব এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে তখনই। একটি বিশেষ মহল সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে এই জালিয়াতি করেছে। পুকুরের তালিকায় সই করা হয়েছে গত ৩০ মে। অনুমোদিত তালিকা প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ থাকে।
কিন্তু এবার তালিকাই প্রকাশ করা হয়েছে সই করার ২০ দিন পর, ২০ জুন। দেরিতে তালিকা প্রকাশ করে আপিল করার সুযোগ থেকে আগ্রহী দরপত্র দাখিলকারীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তালিকায় ইজারামূল্য ৩০ লাখ টাকা থাকা পুকুর দুই লাখ টাকায়ও ইজারা দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা গেছে, গোদাগাড়ী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মৌজার ৫৮ দাগের ১ একর ৮৬ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির অনুমোদিত দর ছিল ৭০ হাজার ৫০০ টাকা। ভ্যাট ও আয়কর ১৭ হাজার ৬২৫ টাকা এই মূল্যের সঙ্গে যোগ হওয়ার কথা। সাকল্যে পুকুরটির ইজারামূল্য দাঁড়ায় ৮১ হাজার ৭৫ টাকা। সেই পুকুরের বিপরীতে মাত্র ৭ হাজার ৫০ টাকার ট্রেজারি চালান জমা দেওয়া হয়েছে। এই পুকুর থেকে সরকারি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৭৪ হাজার ২৫ টাকা। একইভাবে ১০৬টি পুকুরের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। তাতে সরকারের এক বছরের ক্ষতি হয়েছে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৫ টাকা। তিন বছরে ক্ষতির পরিমাণ ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৫ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই ট্রেজারি চালান একাধিক পুকুরে ব্যবহার করেও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এভাবে গোগ্রাম ইউনিয়নের তেরোপাড়া মৌজার ১৮৪ নম্বর দাগের ২ একর ২৮ শতাংশ আয়তনের খাসপুকুরের ট্রেজারি চালানের মূল্য দেখানো হয়েছে ১০ হাজার টাকা। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ব্যাংকের সিলমোহর জাল করে একই চালান ব্যবহার করা হয়েছে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কোচারপাড়া মৌজার ২৪৯ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ আয়তনের পুকুরের জন্যও। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পুকুরের জন্য সরকারের ঘরে কোনো টাকাই জমা হয়নি। পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। এভাবে ৯৬টি পুকুরের চালান জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। এই পন্থায় এক বছরের জন্য মোট ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮২ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। পুকুরগুলো তিন বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। সরকারের মোট ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ১২ হাজার ৭৪৬ টাকা।
এদিকে ইজারা তালিকায় প্রকাশিত মূল্যের চেয়ে অসম্ভব কম মূল্যে ৪৯টি পুকুর ইজারা দিয়ে এক বছরের জন্য সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করা হয়েছে ৮৬ লাখ ৫৭ হাজার ১১৭ টাকা। তিন বছরের জন্য এই ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫১ টাকা।
উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার আব্দুলপুর মৌজার ১৯৭ নম্বর দাগের ৪ একর শূন্য ২ শতাংশ আয়তনের একটি ও মোহনপুর ইউনিয়নের দুধাই মৌজার ৪ একর ৯২ শতাংশ আয়তনের দুটি পুকুর ইজারার জন্য তালিকায় তোলা হয়নি। কিন্তু বাস্তবে পুকুর দুটি ভোগদখল চলছে। প্রতিটি পুকুরের ইজারামূল্য ৩০ লাখ টাকার কম হওয়ার কথা নয়। দুধাই মৌজার পুকুরটি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ভোগদখল করছেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, বৈধভাবে সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন। দ্বিতীয় পুকুরটি দুলাল নামের এক ব্যক্তি ভোগ করছেন। তিনিও একই দাবি করেছেন।
এদিকে উপজেলার ১৩টি পুকুর ইজারার জন্য অনুমোদিত তালিকায় নেই। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পুকুরগুলোর ট্রেজারি চালানোর মাধ্যমে ইজারামূল্য পরিশোধ করা হয়েছে। গোপনে এসব পুকুর পেয়েছেন প্রভাবশালীরা।
এদিকে ইজারার জন্য প্রকাশিত পুকুরের তালিকায় তিনটি পুকুরের পাশে লিখে রাখা হয়, মামলা চলমান। অর্থাৎ, এগুলো ইজারাযোগ্য নয়। যদিও এগুলোর ইজারামূল্য লেখা হয়। মামলা চলমান লেখা দেখে আগ্রহী কেউ এগুলোর জন্য চালান জমা দেননি। তবে গোপনে এসব পুকুর ঠিকই ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর নেওয়া হয়েছে প্রকাশিত ইজারামূল্যের চেয়ে অনেক কম টাকা।
এর মধ্যে গোদাগাড়ী ইউনিয়নের সাগুয়ান মৌজার ২৯৫ দাগের ৪ একর ২৬ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির প্রকাশিত ইজারামূল্য ২১ লাখ ৪০ হাজার ৬৫০ টাকা। কিন্তু মামলা চলমান রয়েছে বলে এই পুকুরের বিপরীতে কেউ দরপত্রই জমা দেননি। অথচ গোপনে মাত্র ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে বিশাল এই পুকুর। একই মৌজার ৬ একর ৬৪ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির প্রকাশিত ইজারামূল্য ছিল ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা। এই পুকুর গোপনে মাত্র দুই লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। একই মৌজার ৩৭৪ দাগের ১ একর ৪৮ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুরের প্রকাশিত ইজারামূল্য হচ্ছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। এই পুকুর গোপনে ইজারা দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার টাকায়। এই তিনটি পুকুরেরই ট্রেজারি জমাকারী হচ্ছেন একই ব্যক্তি।
সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার সাগুয়ান গ্রামের বিচারাধীন পুকুরটির খোঁজ নিতে গিয়ে হাবিব (৬২) নামের স্থানীয় এক কৃষককে পুকুরপাড়ে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন ভাগে পুকুরটা খায়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গোদাগাড়ীর মাদারপুরের শামীম। তিনি বলেন, সব নিয়ম মেনেই পুকুর ইজারা নিয়েছেন। কোনো অনিয়ম হয়নি।
গোদাগাড়ীতে পুকুরগুলো ইজারা দেওয়ার সময় এসি ল্যান্ড ছিলেন জাহিদ হাসান। তিনি বর্তমানে রাজশাহীর পবা উপজেলার এসি ল্যান্ড। সাগুয়ান গ্রামের পুকুরের বিষয়ে তিনি বলেন, মামলা চলমান। এই পুকুর তিনি ইজারা দেননি। অবশ্য গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত নিশ্চিত করেছেন, ভূমি অফিসে ওই পুকুর ইজারা দেওয়ার দলিল পাওয়া গেছে। সেখানে এসি ল্যান্ডের স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ীর জাহানাবাদ মহল্লার শরিফুল ইসলাম ওরফে বিষু নামের এক ব্যক্তি এই জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত। তিনিই বছরের পর বছর গোদাগাড়ীর পুকুর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। নানা কায়দায় পানির দরে পুকুর নিয়ে তিনি আবার পরে প্রকৃত মাছচাষিদের কাছে চড়া মূল্যে ইজারা দেন। এভাবে তিনি ফুলেফেঁপে উঠেছেন।
বিষুর সিন্ডিকেটে ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোক্তারুজ্জামান। বর্তমানে তিনি চারঘাট ভূমি অফিসে বদলি হয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কিছু জানেন না। ইজারা কমিটির মাধ্যমে পুকুর ইজারা দেওয়া হয়। তিনি কিছুই দেখেন না।
পুকুর সিন্ডিকেটের হোতা শরিফুল ইসলাম বিষু একসময় বিএনপি করতেন। তবে দিনে দিনে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আবার বিএনপিতে ভেড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ৫ আগস্ট গোদাগাড়ী থানায় আগুন দেওয়ার মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন কারাগারে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, তিনি গোদাগাড়ীতে আসার আগে এসব পুকুর ইজারা হয়েছে। তখন ইজারা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তৎকালীন ইউএনও আতিকুল ইসলাম। আর সদস্যসচিব ছিলেন এসি ল্যান্ড জাহিদ হাসান। যে বা যারাই জালিয়াতি করে পুকুর ইজারা দেওয়া কিংবা নেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার সময় রীতিমতো ‘সাগরচুরির’ ঘটনা ঘটেছে। এলাকার একটি শক্তিশালী চক্রকে ইজারার মোড়কে খাসপুকুর দেওয়া হয়েছে পানির দরে। এসব ইজারার সময় ভুয়া চালানও ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পুকুরের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ইজারামূল্যের চেয়ে কম দরে দলিল করা কিংবা মামলার নিষেধাজ্ঞার কথা বলে তালিকাবহির্ভূত রেখে পরে গোপনে ইজারা দেওয়া হয়েছে।
এতে অন্তত ৫ কোটি ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৬২৮ টাকার রাজস্ব ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ইজারামূল্যের চেয়ে কম টাকার চালান জমা দিয়ে ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৫ টাকা, এক চালান একাধিকবার ব্যবহার করে ২৮ লাখ ১২ হাজার ৭৪৬ টাকা, পুকুরের নামে মামলা দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৬ টাকা এবং প্রকাশিত তালিকার চেয়ে অনুমোদিত মূল্য কম করে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫১ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সরকারি হিসাবে গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর রয়েছে ৩ হাজার ৬০টি। ১৪৩১-৩৩ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারা দিতে গত ১৮ এপ্রিল ২ হাজার ৭৪৯টি পুকুরের তালিকা প্রকাশ করা হয়। অভিনব এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে তখনই। একটি বিশেষ মহল সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে এই জালিয়াতি করেছে। পুকুরের তালিকায় সই করা হয়েছে গত ৩০ মে। অনুমোদিত তালিকা প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ থাকে।
কিন্তু এবার তালিকাই প্রকাশ করা হয়েছে সই করার ২০ দিন পর, ২০ জুন। দেরিতে তালিকা প্রকাশ করে আপিল করার সুযোগ থেকে আগ্রহী দরপত্র দাখিলকারীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তালিকায় ইজারামূল্য ৩০ লাখ টাকা থাকা পুকুর দুই লাখ টাকায়ও ইজারা দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা গেছে, গোদাগাড়ী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মৌজার ৫৮ দাগের ১ একর ৮৬ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির অনুমোদিত দর ছিল ৭০ হাজার ৫০০ টাকা। ভ্যাট ও আয়কর ১৭ হাজার ৬২৫ টাকা এই মূল্যের সঙ্গে যোগ হওয়ার কথা। সাকল্যে পুকুরটির ইজারামূল্য দাঁড়ায় ৮১ হাজার ৭৫ টাকা। সেই পুকুরের বিপরীতে মাত্র ৭ হাজার ৫০ টাকার ট্রেজারি চালান জমা দেওয়া হয়েছে। এই পুকুর থেকে সরকারি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৭৪ হাজার ২৫ টাকা। একইভাবে ১০৬টি পুকুরের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। তাতে সরকারের এক বছরের ক্ষতি হয়েছে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৫ টাকা। তিন বছরে ক্ষতির পরিমাণ ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৫ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, একই ট্রেজারি চালান একাধিক পুকুরে ব্যবহার করেও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এভাবে গোগ্রাম ইউনিয়নের তেরোপাড়া মৌজার ১৮৪ নম্বর দাগের ২ একর ২৮ শতাংশ আয়তনের খাসপুকুরের ট্রেজারি চালানের মূল্য দেখানো হয়েছে ১০ হাজার টাকা। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ব্যাংকের সিলমোহর জাল করে একই চালান ব্যবহার করা হয়েছে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কোচারপাড়া মৌজার ২৪৯ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ আয়তনের পুকুরের জন্যও। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পুকুরের জন্য সরকারের ঘরে কোনো টাকাই জমা হয়নি। পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। এভাবে ৯৬টি পুকুরের চালান জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। এই পন্থায় এক বছরের জন্য মোট ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৮২ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। পুকুরগুলো তিন বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। সরকারের মোট ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ১২ হাজার ৭৪৬ টাকা।
এদিকে ইজারা তালিকায় প্রকাশিত মূল্যের চেয়ে অসম্ভব কম মূল্যে ৪৯টি পুকুর ইজারা দিয়ে এক বছরের জন্য সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করা হয়েছে ৮৬ লাখ ৫৭ হাজার ১১৭ টাকা। তিন বছরের জন্য এই ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৫১ টাকা।
উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার আব্দুলপুর মৌজার ১৯৭ নম্বর দাগের ৪ একর শূন্য ২ শতাংশ আয়তনের একটি ও মোহনপুর ইউনিয়নের দুধাই মৌজার ৪ একর ৯২ শতাংশ আয়তনের দুটি পুকুর ইজারার জন্য তালিকায় তোলা হয়নি। কিন্তু বাস্তবে পুকুর দুটি ভোগদখল চলছে। প্রতিটি পুকুরের ইজারামূল্য ৩০ লাখ টাকার কম হওয়ার কথা নয়। দুধাই মৌজার পুকুরটি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ভোগদখল করছেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, বৈধভাবে সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন। দ্বিতীয় পুকুরটি দুলাল নামের এক ব্যক্তি ভোগ করছেন। তিনিও একই দাবি করেছেন।
এদিকে উপজেলার ১৩টি পুকুর ইজারার জন্য অনুমোদিত তালিকায় নেই। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পুকুরগুলোর ট্রেজারি চালানোর মাধ্যমে ইজারামূল্য পরিশোধ করা হয়েছে। গোপনে এসব পুকুর পেয়েছেন প্রভাবশালীরা।
এদিকে ইজারার জন্য প্রকাশিত পুকুরের তালিকায় তিনটি পুকুরের পাশে লিখে রাখা হয়, মামলা চলমান। অর্থাৎ, এগুলো ইজারাযোগ্য নয়। যদিও এগুলোর ইজারামূল্য লেখা হয়। মামলা চলমান লেখা দেখে আগ্রহী কেউ এগুলোর জন্য চালান জমা দেননি। তবে গোপনে এসব পুকুর ঠিকই ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর নেওয়া হয়েছে প্রকাশিত ইজারামূল্যের চেয়ে অনেক কম টাকা।
এর মধ্যে গোদাগাড়ী ইউনিয়নের সাগুয়ান মৌজার ২৯৫ দাগের ৪ একর ২৬ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির প্রকাশিত ইজারামূল্য ২১ লাখ ৪০ হাজার ৬৫০ টাকা। কিন্তু মামলা চলমান রয়েছে বলে এই পুকুরের বিপরীতে কেউ দরপত্রই জমা দেননি। অথচ গোপনে মাত্র ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে বিশাল এই পুকুর। একই মৌজার ৬ একর ৬৪ শতাংশ আয়তনের পুকুরটির প্রকাশিত ইজারামূল্য ছিল ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা। এই পুকুর গোপনে মাত্র দুই লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। একই মৌজার ৩৭৪ দাগের ১ একর ৪৮ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুরের প্রকাশিত ইজারামূল্য হচ্ছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। এই পুকুর গোপনে ইজারা দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার টাকায়। এই তিনটি পুকুরেরই ট্রেজারি জমাকারী হচ্ছেন একই ব্যক্তি।
সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার সাগুয়ান গ্রামের বিচারাধীন পুকুরটির খোঁজ নিতে গিয়ে হাবিব (৬২) নামের স্থানীয় এক কৃষককে পুকুরপাড়ে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন ভাগে পুকুরটা খায়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গোদাগাড়ীর মাদারপুরের শামীম। তিনি বলেন, সব নিয়ম মেনেই পুকুর ইজারা নিয়েছেন। কোনো অনিয়ম হয়নি।
গোদাগাড়ীতে পুকুরগুলো ইজারা দেওয়ার সময় এসি ল্যান্ড ছিলেন জাহিদ হাসান। তিনি বর্তমানে রাজশাহীর পবা উপজেলার এসি ল্যান্ড। সাগুয়ান গ্রামের পুকুরের বিষয়ে তিনি বলেন, মামলা চলমান। এই পুকুর তিনি ইজারা দেননি। অবশ্য গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত নিশ্চিত করেছেন, ভূমি অফিসে ওই পুকুর ইজারা দেওয়ার দলিল পাওয়া গেছে। সেখানে এসি ল্যান্ডের স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ীর জাহানাবাদ মহল্লার শরিফুল ইসলাম ওরফে বিষু নামের এক ব্যক্তি এই জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত। তিনিই বছরের পর বছর গোদাগাড়ীর পুকুর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। নানা কায়দায় পানির দরে পুকুর নিয়ে তিনি আবার পরে প্রকৃত মাছচাষিদের কাছে চড়া মূল্যে ইজারা দেন। এভাবে তিনি ফুলেফেঁপে উঠেছেন।
বিষুর সিন্ডিকেটে ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোক্তারুজ্জামান। বর্তমানে তিনি চারঘাট ভূমি অফিসে বদলি হয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কিছু জানেন না। ইজারা কমিটির মাধ্যমে পুকুর ইজারা দেওয়া হয়। তিনি কিছুই দেখেন না।
পুকুর সিন্ডিকেটের হোতা শরিফুল ইসলাম বিষু একসময় বিএনপি করতেন। তবে দিনে দিনে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আবার বিএনপিতে ভেড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ৫ আগস্ট গোদাগাড়ী থানায় আগুন দেওয়ার মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন কারাগারে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, তিনি গোদাগাড়ীতে আসার আগে এসব পুকুর ইজারা হয়েছে। তখন ইজারা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তৎকালীন ইউএনও আতিকুল ইসলাম। আর সদস্যসচিব ছিলেন এসি ল্যান্ড জাহিদ হাসান। যে বা যারাই জালিয়াতি করে পুকুর ইজারা দেওয়া কিংবা নেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়। তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
১১ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আজ বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়।

তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জনগণের জানমাল রক্ষায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ মহড়া দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী আলফাডাঙ্গা বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, জনবহুল স্থান ও গ্রামীণ এলাকায় টহল দেওয়া হয়। এতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলযোগে উপজেলাজুড়ে টহল ও মহড়ায় অংশ নেন। এ সময় তাঁরা জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে ওই মহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন এসআই লিয়াকত হোসেন, যা ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছয়টি মোটরসাইকেলে পুলিশের দুজন সদস্য করে ১২ জন রয়েছেন এবং ছয়জন চালকসহ কারও মাথায় হেলমেট নেই। তাঁদের পেছনে ছিল টহলরত আরও একটি জিপগাড়ি।
ফরিদপুর নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কান্তি বালা পান্না বলেন, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট না পরা, এটা একটা অপরাধ। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালালে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। অবশ্যই তাঁদের হেলমেট পরা উচিত ছিল।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আসলে হেলমেট পরা উচিত ছিল। কিন্তু হেলমেটটা পরলে ওইভাবে আমরা যে মুভ করতেছি, বোঝা যেত না। পরলে ভালো হতো। আসলে সব ভুল ধরলে তো আর কাজ করা যাবে না। পরে আমরা হেলমেট পরে নেব।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ‘টহলের সময় আমি ছিলাম না। বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি দেখছি। যদি এমন হয়, তাহলে পরবর্তীতে যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়।

তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জনগণের জানমাল রক্ষায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ মহড়া দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী আলফাডাঙ্গা বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়, জনবহুল স্থান ও গ্রামীণ এলাকায় টহল দেওয়া হয়। এতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলযোগে উপজেলাজুড়ে টহল ও মহড়ায় অংশ নেন। এ সময় তাঁরা জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে ওই মহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন এসআই লিয়াকত হোসেন, যা ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছয়টি মোটরসাইকেলে পুলিশের দুজন সদস্য করে ১২ জন রয়েছেন এবং ছয়জন চালকসহ কারও মাথায় হেলমেট নেই। তাঁদের পেছনে ছিল টহলরত আরও একটি জিপগাড়ি।
ফরিদপুর নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কান্তি বালা পান্না বলেন, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট না পরা, এটা একটা অপরাধ। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালালে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। অবশ্যই তাঁদের হেলমেট পরা উচিত ছিল।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আসলে হেলমেট পরা উচিত ছিল। কিন্তু হেলমেটটা পরলে ওইভাবে আমরা যে মুভ করতেছি, বোঝা যেত না। পরলে ভালো হতো। আসলে সব ভুল ধরলে তো আর কাজ করা যাবে না। পরে আমরা হেলমেট পরে নেব।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, ‘টহলের সময় আমি ছিলাম না। বিষয়টি আমার জানা নেই। তারপরও বিষয়টি দেখছি। যদি এমন হয়, তাহলে পরবর্তীতে যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার সময় রীতিমতো ‘সাগরচুরির’ ঘটনা ঘটেছে। এলাকার একটি শক্তিশালী চক্রকে ইজারার মোড়কে খাসপুকুর দেওয়া হয়েছে পানির দরে। এসব ইজারার সময় ভুয়া চালানও ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পুকুরের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ইজারামূল্যের চেয়ে কম দরে দলিল করা কিংবা মামলার নিষেধাজ্ঞার কথা বল
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আজ বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেনসাগর (৩০), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম ওরফে সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), ওসমান (২৮) ও দিদারুল আলম রাসেল (২৪)।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় নগরের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোডের সৈয়দ শাহ রোড এলাকায় ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি হয়। যুবদল নেতা পরিচয় দেওয়া সোহেল ও বোরহান উদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারীদের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বাকলিয়া থানা-পুলিশ জানায়, গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় যুবদল কর্মী সাজ্জাদ হোসেন মারা যান। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও ১৩ জন। তাঁরা হলেন মো. পারভেজ (২০), শরীফ (২৯), রিফাত (২৫), ইউসুফ (৩০), জিসান (২২), জুয়েল (২৫), একরাম (২৩), ইব্রাহিম (২৩), শুক্কুর (২৫), ওবাইদুল (৩০), সাব্বির (২২), ফারুক (২৮) ও ফয়সাল (২০)।
তবে ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় ব্যানার টানানোসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর গুলিবর্ষণ করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের তথ্যে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (২৯), নজরুল ইসলাম সোহেল (৪২), মিল্টন (৪৪), বাদশা ওরফে ছোট বাদশা (৩০), ইউসুফ ওরফে হিরন (২৫), সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), মোহাম্মদ দিদার (৪৫), রিয়াজ করিম (৩৩), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), বোরহান (২৫), মোজাহের মেম্বার (৫০), এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) ও নাঈম উদ্দিন (২৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, মামলার আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম সোহেল যুবদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকলেও তাঁরা গত বছর অভ্যুত্থানের আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত সোমবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাটির সূত্রপাত বোরহান উদ্দিনের একটি ব্যানার টানানো নিয়ে। ওই ব্যানারে বোরহান নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে চসিক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেনের ছবি যুক্ত করেছিলেন।
একই মামলায় এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যিনি সারা দেশে আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
ভোলার বিরুদ্ধে মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলে পুলিশ। তবে ভোলা এসব অস্বীকার করেছেন।

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেনসাগর (৩০), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম ওরফে সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), ওসমান (২৮) ও দিদারুল আলম রাসেল (২৪)।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জন আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় নগরের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোডের সৈয়দ শাহ রোড এলাকায় ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি হয়। যুবদল নেতা পরিচয় দেওয়া সোহেল ও বোরহান উদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারীদের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বাকলিয়া থানা-পুলিশ জানায়, গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় যুবদল কর্মী সাজ্জাদ হোসেন মারা যান। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও ১৩ জন। তাঁরা হলেন মো. পারভেজ (২০), শরীফ (২৯), রিফাত (২৫), ইউসুফ (৩০), জিসান (২২), জুয়েল (২৫), একরাম (২৩), ইব্রাহিম (২৩), শুক্কুর (২৫), ওবাইদুল (৩০), সাব্বির (২২), ফারুক (২৮) ও ফয়সাল (২০)।
তবে ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় ব্যানার টানানোসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর গুলিবর্ষণ করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের তথ্যে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (২৯), নজরুল ইসলাম সোহেল (৪২), মিল্টন (৪৪), বাদশা ওরফে ছোট বাদশা (৩০), ইউসুফ ওরফে হিরন (২৫), সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), মোহাম্মদ দিদার (৪৫), রিয়াজ করিম (৩৩), জিহান (২২), তামজিদুল ইসলাম সাজু (৪৭), আরাফাত (২২), বোরহান (২৫), মোজাহের মেম্বার (৫০), এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) ও নাঈম উদ্দিন (২৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, মামলার আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম সোহেল যুবদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকলেও তাঁরা গত বছর অভ্যুত্থানের আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত সোমবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাটির সূত্রপাত বোরহান উদ্দিনের একটি ব্যানার টানানো নিয়ে। ওই ব্যানারে বোরহান নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে চসিক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেনের ছবি যুক্ত করেছিলেন।
একই মামলায় এহতেশামুল হক ভোলা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, যিনি সারা দেশে আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
ভোলার বিরুদ্ধে মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলে পুলিশ। তবে ভোলা এসব অস্বীকার করেছেন।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার সময় রীতিমতো ‘সাগরচুরির’ ঘটনা ঘটেছে। এলাকার একটি শক্তিশালী চক্রকে ইজারার মোড়কে খাসপুকুর দেওয়া হয়েছে পানির দরে। এসব ইজারার সময় ভুয়া চালানও ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পুকুরের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ইজারামূল্যের চেয়ে কম দরে দলিল করা কিংবা মামলার নিষেধাজ্ঞার কথা বল
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়। তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
১১ মিনিট আগে
রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আজ বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরাউজান প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন ফাহিম জানান, প্রায় ২৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের কাতলা মাছটির বয়স ছিল ১১-১২ বছর। মাছটির দেহে গুরুতর কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং অর্ধেকের বেশি পচে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি পুরুষ মাছ বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং বার্ধক্যজনিত কারণে এটির মৃত্যু হতে পারে। সুরতহাল শেষে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মৃত মাছটি মাটিচাপা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে হালদা নদী অরক্ষিত। এ সুযোগে হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে জাল ও বড়শি দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ ধরা হচ্ছে। তাই এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে নিয়মিত প্রশাসনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

চট্টগ্রামের রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন ফাহিম জানান, প্রায় ২৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের কাতলা মাছটির বয়স ছিল ১১-১২ বছর। মাছটির দেহে গুরুতর কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং অর্ধেকের বেশি পচে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি পুরুষ মাছ বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং বার্ধক্যজনিত কারণে এটির মৃত্যু হতে পারে। সুরতহাল শেষে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মৃত মাছটি মাটিচাপা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে হালদা নদী অরক্ষিত। এ সুযোগে হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে জাল ও বড়শি দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ ধরা হচ্ছে। তাই এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে নিয়মিত প্রশাসনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার সময় রীতিমতো ‘সাগরচুরির’ ঘটনা ঘটেছে। এলাকার একটি শক্তিশালী চক্রকে ইজারার মোড়কে খাসপুকুর দেওয়া হয়েছে পানির দরে। এসব ইজারার সময় ভুয়া চালানও ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পুকুরের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ইজারামূল্যের চেয়ে কম দরে দলিল করা কিংবা মামলার নিষেধাজ্ঞার কথা বল
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়। তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
১১ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আজ বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আজ বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) কোহিনুর ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘিওর উপজেলা বড়টিয়া গ্রামে এক ১২ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে ইমাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি বাড়িতে এসে বিষয়টি তার মাকে বলে। সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আটক করে পুলিশে দেন।
রাতেই শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা করেন। আজ বুধবার শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ছাড়া আজ বিকেলে অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আজ বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) কোহিনুর ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘিওর উপজেলা বড়টিয়া গ্রামে এক ১২ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে ইমাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি বাড়িতে এসে বিষয়টি তার মাকে বলে। সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আটক করে পুলিশে দেন।
রাতেই শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা করেন। আজ বুধবার শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ছাড়া আজ বিকেলে অভিযুক্ত ইমাম হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার সময় রীতিমতো ‘সাগরচুরির’ ঘটনা ঘটেছে। এলাকার একটি শক্তিশালী চক্রকে ইজারার মোড়কে খাসপুকুর দেওয়া হয়েছে পানির দরে। এসব ইজারার সময় ভুয়া চালানও ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পুকুরের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ইজারামূল্যের চেয়ে কম দরে দলিল করা কিংবা মামলার নিষেধাজ্ঞার কথা বল
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
‘জনগণের নিরাপত্তায় আমরা আছি’—এ স্লোগান সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশের উদ্যোগে দিনব্যাপী সতর্ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়াটি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হয়। তবে মোটরসাইকেলের বহরের সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কারও মাথায় হেলমেট দেখা যায়নি।
১১ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে যুবদল কর্মী সাজ্জাদ নিহত ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
রাউজানে মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি মৃত কাতলা মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আজিমের ঘাট এলাকায় নদীর পাহারাদার অর্ধগলিত মাছটি ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে মাছটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে