Ajker Patrika

ভাষা না বোঝার কারণে চিকিৎসা সেবায় বৈষম্যের শিকার হন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩: ১১
ভাষা না বোঝার কারণে চিকিৎসা সেবায় বৈষম্যের শিকার হন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা

গ্রামের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) অনেকেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষের ভাষা বুঝতে পারেন না। তাই কমিউনিটি ক্লিনিকে সাধারণ বাঙালিদের ওষুধ দেওয়ার পর সবার শেষে তাঁদের চিকিৎসা করা হয়। 

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে সিভিল সার্জনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কয়েকজন এমন অভিযোগ করেন। 

রাজশাহীর বেসরকারি উন্নয়ন ও গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ভলান্টারি অর্গানাইজেশন (সিসিবিভিও) সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক। 

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুরসুনিপাড়া রক্ষাগোলা সমাজ সংগঠনের মোড়ল সুষ্টি টুডু বলেন, ‘আদিবাসীদের অনেকে ঠিকমতো বাংলা বলতে পারে না। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিদের সবাই বাঙালি। তাঁরা আদিবাসীদের ভাষা কিংবা ভাঙা ভাঙা বাংলা বুঝতে পারেন না। আবার আদিবাসীরাও সব বাংলা বুঝতে পারে না। তাই তাদের মধ্যে কথাবার্তায় সমস্যা হয়। এ জন্য আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে আদিবাসীদের কাউকে ছোট কোনো পদে রাখলেও ভালো হয়। তাহলে দুপক্ষের যোগাযোগই সহজ হবে।’ 

নিমঘুটু রক্ষাগোলা সমাজ সংগঠনের সদস্য হেনা সরেন বলেন, ‘টাইম থাকে (সকাল) ৯টা। কিন্তু সে সময় গিয়ে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকে কাউকে পাই না। বসে থাকি, বসে থাকি, দুপুরে লোক আসে। এরপর বলে, “তোমাদের কথা কম বুঝি, আগে ওদের (বাঙালি) দেখি। তোমাদের পরে দেখি। ” ওদের ওষুধও বেশি দেয়। আমাদের দেয় কম। এই বৈষম্য দূর করা দরকার। সবাইকে যেন সমান চোখে দেখে, সমান ওষুধ দেয়—এটাই আমার অনুরোধ।’ 

রক্ষাগোলার আরেক সদস্য রিতা রানী বলেন, ‘দিনের অনেকটা সময় কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকে। খোলা পেলে বলে, “মাসের শেষ” কিংবা “মাসের শুরু, এখন ওষুধ নাই। ” আদিবাসীরা এমনিতেই চিকিৎসা নিতে যেতে চায় না। এভাবে ঘুরে এলে পরে আরও যেতে চায় না। তাই পর্যাপ্ত ওষুধ যেন গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে দেওয়া হয়—এটাই আমার দাবি।’ 

অভিযোগের জবাবে সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, ‘গ্রামে যে ধরনের রোগের রোগী বেশি আসে, সেই ওষুধ এখন বেশি দেওয়া হচ্ছে। ওষুধের প্যাকেট খোলা হয় কমিটির উপস্থিতিতে। ওষুধ হিসাবের মধ্যেই থাকে। অনেকে কিন্তু যে অসুখ হয়নি, সে অসুখের কথা বলে ওষুধ নিয়ে যায়। ফলে মাসের শেষে ওষুধের ঘাটতি দেখা দেয়।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা মাঝে মাঝেই বিনা নোটিশে পরিদর্শনে যাই। সিএইচসিপিকে না পাওয়া গেলে ওপরে লেখা হয়। অনেকে ঢাকা থেকে মুচলেকা দিয়ে এসেছে যে তারা আর অনুপস্থিত থাকবে না।’ 

ভাষার সমস্যার বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘সরকারি অর্থায়নে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কাউকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে স্থানীয় উদ্যোগে সেটা করা যেতে পারে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে দানবাক্স আছে। বিনা মূল্যে সেবা নেওয়ার পর অনেকে খুশি হয়ে দানবক্সে টাকা দেন। সেই টাকা রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয়। ওই টাকাটা দিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের একজন করে আয়া রাখা যায় কিনা সেটা দেখব। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকেই আমরা এটা শুরু করতে চাই। এটা করা গেলে একটা মডেল উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ তখন এ উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দেবে।’ 

সিসিবিভিওর সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্থার নির্বাহী প্রধান সারওয়ার-ই-কামাল, গোদাগাড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু মাসুদ খান ও রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সরল এক্কা। সভা পরিচালনা করেন সিসিবিভিওর মনিটরিং ও আইটি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন। 

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সৌমিক ডুমরী। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার কর্মকর্তা মো. আরিফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার ইসলামনগর দরগাপাড়া কবরস্থান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেল আরোহী হলেন রিয়াদ উদ্দিন মিয়া (৩১) ও মূসা মোল্লা (২৮)। রিয়াদ মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি এলাকার আলিয়ার রহমান মিয়ার ছেলে এবং মূসা একই উপজেলার ঘোষেরকান্দি এলাকার দেলোয়ার মোল্লার ছেলে। আহতেরা হলেন সোহান আকন (৩০) ও তাঁর স্ত্রী অথৈ (২৩)।

পুলিশ জানায়, মাদারীপুর থেকে রিয়াদ, মূসা মোল্লা, সোহান ও তাঁর স্ত্রী দুটি মোটরসাইকেলে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মোটরসাইকেল দুটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ইসলামনগর দরগাপাড়া কবরস্থান এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন আহত হন। পুলিশ ও স্থানীয়রা আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াদকে মৃত ঘোষণা করেন। আরেক আহত যুবক মূসাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। অপরজনের চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জিরাফশূন্য গাজীপুর সাফারি পার্ক, সর্বশেষটি মারা গেল টিবিতে

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
সাফারি-পার্ক–জিরাফের-মৃত্যু
সাফারি-পার্ক–জিরাফের-মৃত্যু

২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০টি জিরাফ এনে যাত্রা শুরু হয়েছিল গাজীপুর সাফারি পার্কের। এক যুগের ব্যবধানে পার্কটি এখন জিরাফশূন্য। বিভিন্ন সময় রোগে আক্রান্ত হয়ে সব কটি জিরাফই মারা গেছে। সর্বশেষ জিরাফটি টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার মারা যায়।

দুই দিন পর আজ শনিবার সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জিরাফের মৃত্যুর তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. তারেক রহমান বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে জিরাফটি অসুস্থ ছিল। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু হাদী নূর আলী খানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাঁদের তত্ত্বাবধানে জিরাফটির চিকিৎসা চলছিল।’

তারেক রহমান বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, জিরাফটি টিবি রোগে আক্রান্ত হয়। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার প্রাণীটির শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হতে থাকে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জিরাফটি মারা যায়। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পার্কের নির্দিষ্ট স্থানে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিরাফটি টিবি রোগের কারণে ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

শারমিন আক্তার আরও বলেন, ‘এটি পার্কের সর্বশেষ জিরাফ ছিল। সাফারি পার্ক এখন জিরাফশূন্য রয়েছে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জিরাফের মৃত্যুর বিষয়ে থানার জিডি করেছেন।

জানা গেছ, ২০১৩ সালে গাজীপুর সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুই দফায় ১০টি জিরাফ আনা হয়। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সেগুলো থেকে জিরাফ পরিবারে আরও চারটি শাবকের জন্ম হয়। সেগুলো মধ্যে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রোগাক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকটি মারা যায়। সর্বশেষ তিনটি জিরাফ ছিল। ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর সেগুলো থেকে একটি মারা যায়। আরও একটি মারা যায় ২০২৪ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর। এরপর এক বছর ধরে পার্কে জিরাফ পরিবারে একটি অবশিষ্ট ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন

ইবি প্রতিনিধি
ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত
ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত

বর্ণাঢ্য র‌্যালি, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসবসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রজতজয়ন্তী ও অ্যালামনাই পুনর্মিলনী উদ্‌যাপিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) এই আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আয়োজনে চলমান পাঁচটি ব্যাচসহ মোট ২০টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানটি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম নাজমুল হুদার সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাবলী সাবিনা আজহার এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন।

অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পনসর হিসেবে ছিল এক্সন ও ইনভেন্ট। পুরো আয়োজনে গণমাধ্যম সহযোগী হিসেবে ছিল দৈনিক আজকের পত্রিকা।

ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত
ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত

বিভাগটির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেসি চাকমা বলেন, ‘এমন একটি অনুষ্ঠান পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা ২৭তম ব্যাচের। আর এখানে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হচ্ছে। আমাদের ব্যাচের এখানে থাকার কথা ছিল না। সৌভাগ্যক্রমে আমরা এখানে থাকতে পেরে আনন্দিত।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান যুগে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় শাখা। শিক্ষণ, গবেষণা ও উদ্ভাবনে এখানে শিক্ষার্থীদের সুযোগ বৈশ্বিক পরিসরে বিস্তৃত।’

নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী কখনোই বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না। একবার যে শিক্ষার্থী হয়, সে আজীবনই শিক্ষার্থী। কারণ বিভাগই তার ‘আলমা মাটার’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বিভাগের অ্যালামনাইরা ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁদের অবদান দৃশ্যমান। আমি আশা করি, এখানকার শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আরও উজ্জ্বল করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হত্যা মামলা আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি  
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আবু হুরাইরা মিজান (২২) হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ শনিবার সকালে বেলকুচি-এনায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কের থানা-সংলগ্ন স্থানে আধা ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়।

জানা গেছে, ৮ অক্টোবর মাগরিবের পর উত্তর চন্দনগাঁতী গ্রামের একদল নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে মিজানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাঁকে উত্তরা হাই কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর নিহত ব্যক্তির ভাই ওয়ায়েস করনী বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ্য করে বেলকুচি থানায় মামলা করেন। নিহত আবু হুরাইরা মিজান উপজেলার দেলুয়াকান্দি গ্রামের মৃত আমজাদ শেখের ছেলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাতে আবু হুরাইরা মিজান হত্যার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তায় মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত