Ajker Patrika

রাজশাহীতে অপহরণ চক্রের টর্চার সেলের সন্ধান, অস্ত্রসহ আটক ৪ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭: ২৭
Thumbnail image

রাজশাহীতে একটি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। লোকজনকে ধরে নিয়ে সেখানে নির্যাতন করত অপহরণ চক্রের সদস্যরা। মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল আজ শনিবার ভোরে ওই টর্চার সেলে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে চারজনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র।

নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেতেম খাঁ বড় মসজিদের উত্তর পাশে একটি দোতলা বাসার ছাদে এই টর্চার সেল গড়ে তোলা হয়েছিল। বাড়িটির মালিকের নাম আরেফিন আহাদ খান সানি। পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। সানির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণ চক্রের আরও তিনজনকে আটক করা হয়। 

তাঁরা হলেন  হেতেম খাঁ এলাকার মোস্তাক আহম্মেদ ওরফে ফাহিম (২২), মো. পারভেজ (২৭) এবং মেহেরচণ্ডী কড়াইতলা এলাকার সাব্বির সরকার (২৫)। টর্চার সেলটি থেকে একটি রাইফেলসহ বেশ কিছু চাইনিজ কুড়াল, ছুরি ও রামদার মতো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। 

রাজশাহীতে টর্চারে ব্যবহৃত অস্ত্রসংবাদ সম্মেলনে নগর ডিবি পুলিশের উপকমিশনার মো. আল মামুন বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে আসা দেলোয়ার হোসেন নামের এক ফেরিওয়ালাকে শহরের রাজারহাতা এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁকে রিকশায় তুলে ওই টর্চার সেলে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মারধর করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।’

পরদিন দুপুরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পর দেলোয়ারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানান। এরপর ডিবি পুলিশ এই টর্চার সেলে অভিযান চালায়। অভিযানে আটক চারজন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন দীর্ঘদিন তাঁরা এভাবে মানুষকে অপহরণ করে টর্চার সেলে নিয়ে রাখতেন। এরপর মুক্তিপণ আদায় করা হতো। 

পুলিশের উপকমিশনার মামুন আরও বলেন, ‘আটক চারজনই সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের সদস্য। তারা অপহৃত ব্যক্তিকে টর্চার সেলে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। এরপর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ আদায় করা হতো। এদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ফেরিওয়ালা দেলোয়ার হোসেন নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত