রিমন রহমান, রাজশাহী

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
সে জন্য একাডেমিক সার্টিফিকেট আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন। অনেকেই এসব কাজে মাসের পর মাস ঘুরে হয়রান হলেও পপির কাজ হয়েছে রকেটের গতিতে। তারপর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে জয়ী হয়েছেন জীবনে প্রথমবার নির্বাচন করা পপি।
তথ্যমতে, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অনুযায়ী কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু পপির শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ হিসাবে তাঁর বয়স ২২ বছর। এতে ২৯ মে অনুষ্ঠিত পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন না। তাই গত বছরের মার্চ থেকে তিনি শিক্ষাগত সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করেন। অবিশ্বাস্য গতিতে তাঁর জন্মতারিখ বদলে যায়। এতে হতবাক নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধন করার নজির খুবই কম। সরকারি চাকরিতে সুবিধা পেতে অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার আবেদন করেন। তবে সেগুলো মাসের পর মাস পড়ে থাকে। পপি একটি এফিডেভিটের মাধ্যমে শিক্ষাসনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছেন। আর এ দেখে জাতীয় পরিচয়পত্রেও জন্মতারিখ বদলে দেওয়া হয় পপির। এ ধরনের নজির নেই বললেই চলে।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, পবার ধর্মহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পপি পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। সে সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে দারুশা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। এই সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। স্কুলের টেবুলেশন শিটেও একই জন্মতারিখ। চলতি বছর সর্বশেষ ভোটার তালিকাতেও তার জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। ভোটার ক্রমিক নম্বর-৮১০৮১৩০০০১৮৮।
তবে নির্বাচনের আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পপি তাঁর সব সনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৮ সালের ১২ জানুয়ারি করার আবেদন করেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের নাম ও বয়স সংশোধন কমিটির সভায় তা পাস হয়।
এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গত ২০ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন করেন পপি। ৩ এপ্রিল এ আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে আরেকটি আবেদন করেন তিনি। এবার রহস্যজনকভাবে পপির আবেদন গ্রহণ করা হয়। বদলে যায় জন্মতারিখ। নতুন তারিখ অনুযায়ী, ভোটের দিন তার বয়স ছিল ২৬ বছর ৪ মাস ১৭ দিন। আগের জন্মতারিখ অনুযায়ী ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন না তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, জন্মতারিখ পরিবর্তনের জন্য পপি নির্বাচনে কমিশনে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের সঙ্গে নিজের এসএসসি সনদ সংযুক্ত করার কথা। কিন্তু হযরত আলী নামে একজন শিক্ষার্থীর সনদ সংযুক্ত করেছেন পপি। হযরত আলী ২০১৭ সালে নওহাটা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। হযরত আলীর জন্মতারিখ ২৯ জুন, ২০০১। অথচ এমন ত্রুটিপূর্ণ আবেদন রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় গ্রহণ করে পরদিনই (২৯ এপ্রিল) জাতীয় পরিচয়পত্রটি পরিবর্তন করে দেয়।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েই পপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত ২ মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন। গত ২৯ মে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে পপি খাতুন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি মাসের ৪ জুন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পপিসহ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। পপি এখন শপথ গ্রহণের অপেক্ষায়।
অভিযোগের বিষয়ে পপি খাতুন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমার জন্মতারিখ ভুল ছিল। আমি সব নিয়মকানুন মেনেই জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন কমিশন সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। ভোটাররা ভোট দিয়েছে বলে বিজয়ী হয়েছি। এখন প্রতিপক্ষরা এসব কথা সামনে এনে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
অপর দিকে জন্মতারিখ সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডে সাধারণত বয়স কমানোর আবেদন আসে। কিন্তু পপির বয়স বাড়ানোর আবেদন আসে। এটা ব্যতিক্রম। তারপরেও এ জন্য রাজনৈতিক চাপ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন দিয়েছে।’
ত্রুটিপূর্ণ আবেদন গ্রহণের বিষয়ে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই করেই সব করা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপি খাতুনের বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা গ্রামে। হতদরিদ্র একটি পরিবারের মেয়ে পপির হঠাৎ নির্বাচনে এসে বিজয়ী হওয়ায় হতবাক এলাকার লোকজন।
উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুর রাজি রুবেল বলেন, ‘অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান পপির হঠাৎ উত্থানে আমরা হতবাক। কারণ, তার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় তাদের সংসার চলে। কিন্তু সে শহরেও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তার লাইফ স্টাইল ধনীর মতো। হঠাৎ শুনতে পাই, পপি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। পপির পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তির হাত আছে। যারা পপিকে মাঠে নামিয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স পপির হয়নি। কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল তা জানি না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু পপির মতো একটা বাচ্চা মেয়ে কীভাবে প্রার্থী হয়ে রানিং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হারিয়ে বিজয়ী হলো তা আমার বুঝে আসে না।’
আরও খবর পড়ুন:

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
সে জন্য একাডেমিক সার্টিফিকেট আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন। অনেকেই এসব কাজে মাসের পর মাস ঘুরে হয়রান হলেও পপির কাজ হয়েছে রকেটের গতিতে। তারপর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে জয়ী হয়েছেন জীবনে প্রথমবার নির্বাচন করা পপি।
তথ্যমতে, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অনুযায়ী কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু পপির শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ হিসাবে তাঁর বয়স ২২ বছর। এতে ২৯ মে অনুষ্ঠিত পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন না। তাই গত বছরের মার্চ থেকে তিনি শিক্ষাগত সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করেন। অবিশ্বাস্য গতিতে তাঁর জন্মতারিখ বদলে যায়। এতে হতবাক নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধন করার নজির খুবই কম। সরকারি চাকরিতে সুবিধা পেতে অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার আবেদন করেন। তবে সেগুলো মাসের পর মাস পড়ে থাকে। পপি একটি এফিডেভিটের মাধ্যমে শিক্ষাসনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছেন। আর এ দেখে জাতীয় পরিচয়পত্রেও জন্মতারিখ বদলে দেওয়া হয় পপির। এ ধরনের নজির নেই বললেই চলে।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, পবার ধর্মহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পপি পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। সে সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে দারুশা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। এই সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। স্কুলের টেবুলেশন শিটেও একই জন্মতারিখ। চলতি বছর সর্বশেষ ভোটার তালিকাতেও তার জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। ভোটার ক্রমিক নম্বর-৮১০৮১৩০০০১৮৮।
তবে নির্বাচনের আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পপি তাঁর সব সনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৮ সালের ১২ জানুয়ারি করার আবেদন করেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের নাম ও বয়স সংশোধন কমিটির সভায় তা পাস হয়।
এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গত ২০ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন করেন পপি। ৩ এপ্রিল এ আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে আরেকটি আবেদন করেন তিনি। এবার রহস্যজনকভাবে পপির আবেদন গ্রহণ করা হয়। বদলে যায় জন্মতারিখ। নতুন তারিখ অনুযায়ী, ভোটের দিন তার বয়স ছিল ২৬ বছর ৪ মাস ১৭ দিন। আগের জন্মতারিখ অনুযায়ী ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন না তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, জন্মতারিখ পরিবর্তনের জন্য পপি নির্বাচনে কমিশনে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের সঙ্গে নিজের এসএসসি সনদ সংযুক্ত করার কথা। কিন্তু হযরত আলী নামে একজন শিক্ষার্থীর সনদ সংযুক্ত করেছেন পপি। হযরত আলী ২০১৭ সালে নওহাটা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। হযরত আলীর জন্মতারিখ ২৯ জুন, ২০০১। অথচ এমন ত্রুটিপূর্ণ আবেদন রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় গ্রহণ করে পরদিনই (২৯ এপ্রিল) জাতীয় পরিচয়পত্রটি পরিবর্তন করে দেয়।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েই পপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত ২ মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন। গত ২৯ মে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে পপি খাতুন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি মাসের ৪ জুন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পপিসহ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। পপি এখন শপথ গ্রহণের অপেক্ষায়।
অভিযোগের বিষয়ে পপি খাতুন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমার জন্মতারিখ ভুল ছিল। আমি সব নিয়মকানুন মেনেই জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন কমিশন সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। ভোটাররা ভোট দিয়েছে বলে বিজয়ী হয়েছি। এখন প্রতিপক্ষরা এসব কথা সামনে এনে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
অপর দিকে জন্মতারিখ সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডে সাধারণত বয়স কমানোর আবেদন আসে। কিন্তু পপির বয়স বাড়ানোর আবেদন আসে। এটা ব্যতিক্রম। তারপরেও এ জন্য রাজনৈতিক চাপ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন দিয়েছে।’
ত্রুটিপূর্ণ আবেদন গ্রহণের বিষয়ে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই করেই সব করা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপি খাতুনের বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা গ্রামে। হতদরিদ্র একটি পরিবারের মেয়ে পপির হঠাৎ নির্বাচনে এসে বিজয়ী হওয়ায় হতবাক এলাকার লোকজন।
উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুর রাজি রুবেল বলেন, ‘অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান পপির হঠাৎ উত্থানে আমরা হতবাক। কারণ, তার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় তাদের সংসার চলে। কিন্তু সে শহরেও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তার লাইফ স্টাইল ধনীর মতো। হঠাৎ শুনতে পাই, পপি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। পপির পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তির হাত আছে। যারা পপিকে মাঠে নামিয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স পপির হয়নি। কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল তা জানি না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু পপির মতো একটা বাচ্চা মেয়ে কীভাবে প্রার্থী হয়ে রানিং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হারিয়ে বিজয়ী হলো তা আমার বুঝে আসে না।’
আরও খবর পড়ুন:
রিমন রহমান, রাজশাহী

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
সে জন্য একাডেমিক সার্টিফিকেট আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন। অনেকেই এসব কাজে মাসের পর মাস ঘুরে হয়রান হলেও পপির কাজ হয়েছে রকেটের গতিতে। তারপর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে জয়ী হয়েছেন জীবনে প্রথমবার নির্বাচন করা পপি।
তথ্যমতে, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অনুযায়ী কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু পপির শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ হিসাবে তাঁর বয়স ২২ বছর। এতে ২৯ মে অনুষ্ঠিত পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন না। তাই গত বছরের মার্চ থেকে তিনি শিক্ষাগত সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করেন। অবিশ্বাস্য গতিতে তাঁর জন্মতারিখ বদলে যায়। এতে হতবাক নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধন করার নজির খুবই কম। সরকারি চাকরিতে সুবিধা পেতে অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার আবেদন করেন। তবে সেগুলো মাসের পর মাস পড়ে থাকে। পপি একটি এফিডেভিটের মাধ্যমে শিক্ষাসনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছেন। আর এ দেখে জাতীয় পরিচয়পত্রেও জন্মতারিখ বদলে দেওয়া হয় পপির। এ ধরনের নজির নেই বললেই চলে।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, পবার ধর্মহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পপি পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। সে সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে দারুশা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। এই সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। স্কুলের টেবুলেশন শিটেও একই জন্মতারিখ। চলতি বছর সর্বশেষ ভোটার তালিকাতেও তার জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। ভোটার ক্রমিক নম্বর-৮১০৮১৩০০০১৮৮।
তবে নির্বাচনের আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পপি তাঁর সব সনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৮ সালের ১২ জানুয়ারি করার আবেদন করেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের নাম ও বয়স সংশোধন কমিটির সভায় তা পাস হয়।
এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গত ২০ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন করেন পপি। ৩ এপ্রিল এ আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে আরেকটি আবেদন করেন তিনি। এবার রহস্যজনকভাবে পপির আবেদন গ্রহণ করা হয়। বদলে যায় জন্মতারিখ। নতুন তারিখ অনুযায়ী, ভোটের দিন তার বয়স ছিল ২৬ বছর ৪ মাস ১৭ দিন। আগের জন্মতারিখ অনুযায়ী ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন না তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, জন্মতারিখ পরিবর্তনের জন্য পপি নির্বাচনে কমিশনে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের সঙ্গে নিজের এসএসসি সনদ সংযুক্ত করার কথা। কিন্তু হযরত আলী নামে একজন শিক্ষার্থীর সনদ সংযুক্ত করেছেন পপি। হযরত আলী ২০১৭ সালে নওহাটা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। হযরত আলীর জন্মতারিখ ২৯ জুন, ২০০১। অথচ এমন ত্রুটিপূর্ণ আবেদন রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় গ্রহণ করে পরদিনই (২৯ এপ্রিল) জাতীয় পরিচয়পত্রটি পরিবর্তন করে দেয়।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েই পপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত ২ মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন। গত ২৯ মে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে পপি খাতুন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি মাসের ৪ জুন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পপিসহ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। পপি এখন শপথ গ্রহণের অপেক্ষায়।
অভিযোগের বিষয়ে পপি খাতুন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমার জন্মতারিখ ভুল ছিল। আমি সব নিয়মকানুন মেনেই জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন কমিশন সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। ভোটাররা ভোট দিয়েছে বলে বিজয়ী হয়েছি। এখন প্রতিপক্ষরা এসব কথা সামনে এনে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
অপর দিকে জন্মতারিখ সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডে সাধারণত বয়স কমানোর আবেদন আসে। কিন্তু পপির বয়স বাড়ানোর আবেদন আসে। এটা ব্যতিক্রম। তারপরেও এ জন্য রাজনৈতিক চাপ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন দিয়েছে।’
ত্রুটিপূর্ণ আবেদন গ্রহণের বিষয়ে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই করেই সব করা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপি খাতুনের বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা গ্রামে। হতদরিদ্র একটি পরিবারের মেয়ে পপির হঠাৎ নির্বাচনে এসে বিজয়ী হওয়ায় হতবাক এলাকার লোকজন।
উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুর রাজি রুবেল বলেন, ‘অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান পপির হঠাৎ উত্থানে আমরা হতবাক। কারণ, তার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় তাদের সংসার চলে। কিন্তু সে শহরেও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তার লাইফ স্টাইল ধনীর মতো। হঠাৎ শুনতে পাই, পপি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। পপির পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তির হাত আছে। যারা পপিকে মাঠে নামিয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স পপির হয়নি। কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল তা জানি না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু পপির মতো একটা বাচ্চা মেয়ে কীভাবে প্রার্থী হয়ে রানিং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হারিয়ে বিজয়ী হলো তা আমার বুঝে আসে না।’
আরও খবর পড়ুন:

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
সে জন্য একাডেমিক সার্টিফিকেট আর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছেন। অনেকেই এসব কাজে মাসের পর মাস ঘুরে হয়রান হলেও পপির কাজ হয়েছে রকেটের গতিতে। তারপর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে জয়ী হয়েছেন জীবনে প্রথমবার নির্বাচন করা পপি।
তথ্যমতে, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অনুযায়ী কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাঁর বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। কিন্তু পপির শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী জন্মতারিখ হিসাবে তাঁর বয়স ২২ বছর। এতে ২৯ মে অনুষ্ঠিত পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন না। তাই গত বছরের মার্চ থেকে তিনি শিক্ষাগত সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কার্যক্রম শুরু করেন। অবিশ্বাস্য গতিতে তাঁর জন্মতারিখ বদলে যায়। এতে হতবাক নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরাও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন অফিসের একাধিক কর্মচারী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধন করার নজির খুবই কম। সরকারি চাকরিতে সুবিধা পেতে অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার আবেদন করেন। তবে সেগুলো মাসের পর মাস পড়ে থাকে। পপি একটি এফিডেভিটের মাধ্যমে শিক্ষাসনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছেন। আর এ দেখে জাতীয় পরিচয়পত্রেও জন্মতারিখ বদলে দেওয়া হয় পপির। এ ধরনের নজির নেই বললেই চলে।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, পবার ধর্মহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে পপি পঞ্চম শ্রেণি পাস করেন। সে সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০৩ সালের ১২ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে দারুশা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। এই সনদে তাঁর জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। স্কুলের টেবুলেশন শিটেও একই জন্মতারিখ। চলতি বছর সর্বশেষ ভোটার তালিকাতেও তার জন্মতারিখ ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি। ভোটার ক্রমিক নম্বর-৮১০৮১৩০০০১৮৮।
তবে নির্বাচনের আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পপি তাঁর সব সনদে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ১৯৯৮ সালের ১২ জানুয়ারি করার আবেদন করেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শিক্ষা বোর্ডের নাম ও বয়স সংশোধন কমিটির সভায় তা পাস হয়।
এরপর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গত ২০ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন করেন পপি। ৩ এপ্রিল এ আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে আরেকটি আবেদন করেন তিনি। এবার রহস্যজনকভাবে পপির আবেদন গ্রহণ করা হয়। বদলে যায় জন্মতারিখ। নতুন তারিখ অনুযায়ী, ভোটের দিন তার বয়স ছিল ২৬ বছর ৪ মাস ১৭ দিন। আগের জন্মতারিখ অনুযায়ী ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন না তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, জন্মতারিখ পরিবর্তনের জন্য পপি নির্বাচনে কমিশনে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তাতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের সঙ্গে নিজের এসএসসি সনদ সংযুক্ত করার কথা। কিন্তু হযরত আলী নামে একজন শিক্ষার্থীর সনদ সংযুক্ত করেছেন পপি। হযরত আলী ২০১৭ সালে নওহাটা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন। হযরত আলীর জন্মতারিখ ২৯ জুন, ২০০১। অথচ এমন ত্রুটিপূর্ণ আবেদন রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় গ্রহণ করে পরদিনই (২৯ এপ্রিল) জাতীয় পরিচয়পত্রটি পরিবর্তন করে দেয়।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পেয়েই পপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত ২ মে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন। গত ২৯ মে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে পপি খাতুন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চলতি মাসের ৪ জুন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পপিসহ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। পপি এখন শপথ গ্রহণের অপেক্ষায়।
অভিযোগের বিষয়ে পপি খাতুন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘আমার জন্মতারিখ ভুল ছিল। আমি সব নিয়মকানুন মেনেই জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছি। নির্বাচন কমিশন সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। ভোটাররা ভোট দিয়েছে বলে বিজয়ী হয়েছি। এখন প্রতিপক্ষরা এসব কথা সামনে এনে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।’
অপর দিকে জন্মতারিখ সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষা বোর্ডে সাধারণত বয়স কমানোর আবেদন আসে। কিন্তু পপির বয়স বাড়ানোর আবেদন আসে। এটা ব্যতিক্রম। তারপরেও এ জন্য রাজনৈতিক চাপ ছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন দিয়েছে।’
ত্রুটিপূর্ণ আবেদন গ্রহণের বিষয়ে রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাগজপত্র যাচাই করেই সব করা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপি খাতুনের বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা গ্রামে। হতদরিদ্র একটি পরিবারের মেয়ে পপির হঠাৎ নির্বাচনে এসে বিজয়ী হওয়ায় হতবাক এলাকার লোকজন।
উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুর রাজি রুবেল বলেন, ‘অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান পপির হঠাৎ উত্থানে আমরা হতবাক। কারণ, তার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় তাদের সংসার চলে। কিন্তু সে শহরেও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। তার লাইফ স্টাইল ধনীর মতো। হঠাৎ শুনতে পাই, পপি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। পপির পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তির হাত আছে। যারা পপিকে মাঠে নামিয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স পপির হয়নি। কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করল তা জানি না।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু পপির মতো একটা বাচ্চা মেয়ে কীভাবে প্রার্থী হয়ে রানিং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হারিয়ে বিজয়ী হলো তা আমার বুঝে আসে না।’
আরও খবর পড়ুন:

ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
২৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
১১ জুন ২০২৪
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
১১ জুন ২০২৪
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
২৩ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
১১ জুন ২০২৪
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
২৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সরকারি চাকরির জন্য অনেকেই নিজের বয়স কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টো পথে হেঁটেছেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষার্থী পপি খাতুন। পদ-পদবি ছাড়াই নিজেকে ছাত্রলীগের নেত্রী দাবি করেন। ভোটে লড়তে বাড়িয়েছেন নিজের বয়স।
১১ জুন ২০২৪
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
২৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে