নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী এই হামলা চালান।
অভিযোগ উঠেছে, ওই হামলায় নেতৃত্ব দেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়ামও। রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) সংলগ্ন এক বাড়িতে এই হামলা চালানো হয়।
জানা গেছে, বাড়িটির মালিকের নাম নাহিন আমিন। পাশেই আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য ডেভেলপার হিসেবে জায়গা নিয়েছেন নাহিনের মামাতো ভাই জহুরুল ইসলাম রুবেল। রুবেলের দাবি, তাঁর কাছে বিনা মূল্যে একটি প্লট দাবি করেছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ। তা না দেওয়ায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি জায়গা দখল করতে যান এবং পাশেই তাঁর ফুপাতো ভাই নাহিনের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় পাশে আরেক ফুপাতো ভাই ইবনে সিনা মিরুর দোকানে হামলা চালানোর চেষ্টা চালানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নাহিনের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সিঁড়ির রেলিং, একটি দরজা এবং রান্নাঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। নাহিন বলেন, মামাতো ভাই রুবেলের ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে তিনি ব্যবসা করেন। এ কারণে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এলেও হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে পুলিশ কাউকে ধরেনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নাহিন বলেন, ভবন করার জন্য তাঁরা যে জায়গা নিয়েছেন তা কেউ যেন দখল করতে না পারে সে জন্য বাঁশ ফেলে রেখেছিলেন। রাতে মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাকিবুল হাসান সোহেল প্রথমে এসে বাঁশ সরিয়ে নেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তাঁর মামাতো ভাই রুবেল। এ সময় মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক শতাধিক নেতা-কর্মীকে নিয়ে এসে তাঁর বাড়িতে হামলা চালান। এ ছাড়া তাঁর ভাইয়ের দোকানে হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়। হামলায় তাঁর ফুপাতো ভাই শাফি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় পড়ে থাকা বাঁশ সরিয়ে দিলে রুবেলের লোকজন আমাদের কমিটির সহসভাপতি সোহেল ভাইকে মারধর করে। তখন আমরা খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে যাই। নাহিনের বাড়িতে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা আমরা বলতে পারব না।’ তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময় রুবেলই পিস্তল বের করে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন।
জানতে চাইলে জহুরুল ইসলাম রুবেল এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি পিস্তল পেলাম কোথায়? আর গুলি ছুড়লে শব্দ হবে না? কেউ কি গুলির শব্দ শুনেছে? এসব মিথ্যা কথা।’ তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা সবুজ আমার কাছে একটি ফ্রি প্লট দাবি করছিল। সে ছাত্রলীগ করে, আমি আওয়ামী লীগ করি। আমি কেন তাকে ফ্রি প্লট দিতে যাব?’
রুবেল অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার সময় ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ এসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেয়। কিন্তু হামলা-ভাঙচুরের কারণে পুলিশ কাউকে আটক করেনি। অথচ হামলাকারীদের কাছেই নানারকম অস্ত্র ছিল। তারা আগ্নেয়াস্ত্রও এনেছিল। হামলায় আহত একজনের চিকিৎসা নিয়ে এখন ব্যস্ত আছি। চিকিৎসা শেষ করে এ বিষয়ে মামলা করব।’
প্লট দাবি করার বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ বলেন, ‘এই বিষয়ে রুবেলের সঙ্গে আমার জীবনে কখনো কথাই হয়নি। এসব মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।’
হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে আটক না করার বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি শান্ত করেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ গোলাগুলির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ রকম কিছু দেখিনি বা শুনিনি।’
রাজশাহীতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী এই হামলা চালান।
অভিযোগ উঠেছে, ওই হামলায় নেতৃত্ব দেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়ামও। রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) সংলগ্ন এক বাড়িতে এই হামলা চালানো হয়।
জানা গেছে, বাড়িটির মালিকের নাম নাহিন আমিন। পাশেই আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য ডেভেলপার হিসেবে জায়গা নিয়েছেন নাহিনের মামাতো ভাই জহুরুল ইসলাম রুবেল। রুবেলের দাবি, তাঁর কাছে বিনা মূল্যে একটি প্লট দাবি করেছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ। তা না দেওয়ায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি জায়গা দখল করতে যান এবং পাশেই তাঁর ফুপাতো ভাই নাহিনের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় পাশে আরেক ফুপাতো ভাই ইবনে সিনা মিরুর দোকানে হামলা চালানোর চেষ্টা চালানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নাহিনের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সিঁড়ির রেলিং, একটি দরজা এবং রান্নাঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। নাহিন বলেন, মামাতো ভাই রুবেলের ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে তিনি ব্যবসা করেন। এ কারণে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এলেও হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে পুলিশ কাউকে ধরেনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নাহিন বলেন, ভবন করার জন্য তাঁরা যে জায়গা নিয়েছেন তা কেউ যেন দখল করতে না পারে সে জন্য বাঁশ ফেলে রেখেছিলেন। রাতে মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাকিবুল হাসান সোহেল প্রথমে এসে বাঁশ সরিয়ে নেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তাঁর মামাতো ভাই রুবেল। এ সময় মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক শতাধিক নেতা-কর্মীকে নিয়ে এসে তাঁর বাড়িতে হামলা চালান। এ ছাড়া তাঁর ভাইয়ের দোকানে হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়। হামলায় তাঁর ফুপাতো ভাই শাফি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় পড়ে থাকা বাঁশ সরিয়ে দিলে রুবেলের লোকজন আমাদের কমিটির সহসভাপতি সোহেল ভাইকে মারধর করে। তখন আমরা খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে যাই। নাহিনের বাড়িতে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা আমরা বলতে পারব না।’ তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময় রুবেলই পিস্তল বের করে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন।
জানতে চাইলে জহুরুল ইসলাম রুবেল এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি পিস্তল পেলাম কোথায়? আর গুলি ছুড়লে শব্দ হবে না? কেউ কি গুলির শব্দ শুনেছে? এসব মিথ্যা কথা।’ তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা সবুজ আমার কাছে একটি ফ্রি প্লট দাবি করছিল। সে ছাত্রলীগ করে, আমি আওয়ামী লীগ করি। আমি কেন তাকে ফ্রি প্লট দিতে যাব?’
রুবেল অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার সময় ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ এসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেয়। কিন্তু হামলা-ভাঙচুরের কারণে পুলিশ কাউকে আটক করেনি। অথচ হামলাকারীদের কাছেই নানারকম অস্ত্র ছিল। তারা আগ্নেয়াস্ত্রও এনেছিল। হামলায় আহত একজনের চিকিৎসা নিয়ে এখন ব্যস্ত আছি। চিকিৎসা শেষ করে এ বিষয়ে মামলা করব।’
প্লট দাবি করার বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা সবুজ বলেন, ‘এই বিষয়ে রুবেলের সঙ্গে আমার জীবনে কখনো কথাই হয়নি। এসব মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।’
হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় কাউকে আটক না করার বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি শান্ত করেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ গোলাগুলির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ রকম কিছু দেখিনি বা শুনিনি।’
নাছির উদ্দীন বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশে যেখানে ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে, সেখানে মুরাদনগরে দমন-পীড়নের রাজনীতি চলছে। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী জেলে নেই, অথচ বিএনপি ও ছাত্রদলের ১৩ জন নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে বন্দী। এটা প্রমাণ করে, আসিফ মাহমুদ তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী মুরাদনগরকে
১৯ মিনিট আগেরংপুরের পীরগাছার ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি থেকে একটি একনলা বন্দুক ও পাঁচটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে ওই জমিদার বাড়ির পরিত্যক্ত কাচারি ঘর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেঅধ্যক্ষ আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল রাজনৈতিক প্রভাবে নিয়োগ। তিনি তার চেয়েও জ্যেষ্ঠ ও যোগ্য শিক্ষকদের ডিঙিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষের পদ লাভ করেন। এ ছাড়া, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা এবং পিকনিকের জন্য নেওয়া টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
১ ঘণ্টা আগেএ সময় ‘বিচার নিয়ে নয়ছয় আর নয়, আর নয়’, ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনিদের ফাঁসি দে’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনিদের ক্ষমা নাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে