Ajker Patrika

সেপ্টেম্বরে পাবনা-ঢাকা ট্রেন চালু না হওয়ার কারণ জানালেন রাষ্ট্রপতি

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১: ৩৮
সেপ্টেম্বরে পাবনা-ঢাকা ট্রেন চালু না হওয়ার কারণ জানালেন রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘সরকার তো প্রতিশ্রুতি দেয়, ক্ষমতায় এসে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়, পাঁচ বছরের মধ্যে কি সেই সব প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারে? কিছু পারে, কিছু পারে না। তাই আমি যে পাবনা-ঢাকা ট্রেন চলাচল সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন বলে দিলাম মানে যে সেপ্টেম্বরেই হয়ে গেল, এটা ভাবার সুযোগ নেই। সবকিছুরই তো একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে এটা হয় না। কোনো সময় হয়ে যায়, কোনো সময় হয় না।’

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউসে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। 

দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১৬ মে প্রথম পাবনা সফরে এসে এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জনসভায় সেপ্টেম্বরে পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেই ঘোষণা আর সেপ্টেম্বরে ট্রেন চালু না হওয়ার ব্যাখ্যা দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সেদিন প্রথমবার পাবনায় এসে তাড়াহুড়ো করে তো বলেছিলাম, সেপ্টেম্বরেই পাবনা থেকে ঢাকা ট্রেন চলবে। কিন্তু ট্রেন চালু হলো না কেন, তার পেছনে প্রেক্ষাপট রয়েছে। এখানেও অনেকেই প্রশ্ন করছে, ‘সেপ্টেম্বর মাস তো আইসে গেল, কাম তো কিছু দেহি না।’ অনেকেই আমাকে ফোন করে জানিয়েছে। আমি তো এদিকে লেগে আছি। ট্রেন চালুর বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মত দিয়েছেন যে, পাবনা থেকে ঢাকা ট্রেন চললে সরকারের বা রেল বিভাগের কী লাভ আছে, এটা একটু যাচাই করা দরকার। এটা সরকারপ্রধান যাচাই করতে বলতেই পারেন। তিনি সন্তুষ্ট হতে চান। তিনি রেল কর্তৃপক্ষকে সার্বিক বিষয় বিবেচনা করতে বলেছেন। রেল কর্তৃপক্ষও সেগুলো নিয়ে কাজ করছে। তাই আপাতত ট্রেন চালু না হলেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। এখন এই পর্যায়ে আছে। কেউ এটা নিয়ে সমালোচনা করতেও পারে, না-ও করতে পারে। আমি যতটুকু করার আল্লাহর মর্জি ততটুকু করছি।’

জনপ্রতিনিধিরা পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কখনো কথা বলেননি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পাবনায় মেডিকেল কলেজ আছে, হাসপাতাল নেই। সবাই বিস্মিত হয়। আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে, আপনারা যাঁদের জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয় নিয়ে সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট জায়গায় গিয়ে কখনো কথাই বলেনি, উত্থাপনই করেনি। কারও নলেজেই নাই। ২০০৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এটা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্চ্য হয় নাই। বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে যে, এটা ডেট কেস, মৃত কেস, এটা হওয়ার মতো নয়।’

তিনি বলেন, ‘পরে পরিকল্পনামন্ত্রীকে বললাম, এই প্রকল্পটা এমন এক জায়গায় নিয়ে আসেন, যাতে বাস্তবায়ন করা যায়। তারপর অত্যন্ত তড়িৎগতিতে এটা হতে থাকল। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে স্মরণ করিয়ে দিলাম। তারপর সবার আন্তরিকতায় সেটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এখন পাবনায় এসেছি সেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্বোধন করতে। তার পরও যাঁরা এত দিন বিষয়টি উত্থাপনই করেননি, কোনো দিন তাঁদের কেউ কেউ বলেছেন, ‘হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর নাকি কী যানি স্থাপন হবি, তে হোনে যায়ে কী হবি, এমনি হইত, ওমনি হইত।’ মানে লোকজন যেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ওখানে না আসে, এ রকম একটি নেগেটিভ পাবলিসিটি হয়েছে। যারা ব্যর্থ তারা তো এটা করবেই।’

ইছামতী নদীর সৌন্দর্য বর্ধন এবং খনন, এটার কাজও অনেক দূর এগিয়ে গেছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এসব কাজ করে আমার তো পাঁচ পয়সা লাভ নাই। আমি করব পাবনার মানুষের জন্য। যেখানে জন্মগ্রহণ করেছি, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আমার দায়বদ্ধতা থেকে এগুলো করি। করার দায়িত্ব মনে করি। যাঁরা আপনাদের দ্বারা নির্বাচিত তাঁরা কী করলেন, না করলেন এটা আমার দেখার দরকার নাই। আমি যাঁদের দ্বারা নির্বাচিত এবং পাবনার মানুষ হিসেবে একটা দায়িত্ববোধ থেকে আমি পাবনার উন্নয়নে কাজ করে যাব।’ 

সাংবাদিকদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনারা আমাকে পছন্দ করেন, ভালোবাসেন, আগাগোড়াই। আমি এ জন্য কৃতার্থ এবং কৃতজ্ঞ। আপনারা তো জানেন, পাবনা থেকে এখন ঢাকায় প্রায় স্থায়ী হয়ে গেছি। পাবনার সঙ্গে আমার যোগাযোগ থাকত। আমি তো আসতাম সব সময়, নিজের বাসভবনে আসতাম। সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হতো। প্রেসক্লাবে তো আমি অন্তত একবার হলেও যেতাম এবং সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতাম। খুবই ভালো লাগত। এবার এই সময়ে তাড়াহুড়োর মধ্যে পাবনায় এসেছি, তাই আর প্রেসক্লাবে যাওয়া হলো না।’

মতবিনিময় সভায় পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তিন দিনের সফরে বুধবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে পাবনায় আসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পাবনা মেডিকেল কলেজের ৫০০ শয্যা হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এবং বিকেল ৪টায় সাঁথিয়া উপজেলার ইছামতী নদীতে নৌকাবাইচ দেখবেন ও পুরস্কার বিতরণ করবেন। এরপর শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে পাবনা ত্যাগ করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২২ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, আসামি হলেন অটোরিকশাচালক

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি 
চালসহ জব্দ অটোরিকশা।
চালসহ জব্দ অটোরিকশা।

শেরপুরের নকলায় খাদ্য অধিদপ্তরের ২২ বস্তা সরকারি চাল জব্দের ঘটনায় অটোরিকশাচালক রানা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় খাদ্য বিভাগের খাদ্য পরিদর্শক মো. আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

গ্রেপ্তার অটোরিকশাচালক রানার বাড়ি নকলা পৌর শহরের জালালপুর মহল্লায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন এ্যানির নেতৃত্বে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ ও থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে নকলা পৌর শহর থেকে চালসহ রানার অটোরিকশাটি জব্দ করে।

পুলিশ, মামলার আসামি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঁচকাহনীয়া গাদুর মোড় এলাকা থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের ২২ বস্তা সরকারি চাল কেনেন জালালপুর মহল্লার মিলমালিক আশরাফ মিয়া ওরফে বুড়া আশরাফ। বিকেলে তিনি ওই চাল তাঁর মিলে নেওয়ার জন্য অটোরিকশাচালক রানাকে ভাড়া করেন। চাল স্থানান্তরের খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন এ্যানির নেতৃত্বে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ ও থানা-পুলিশ অভিযানে নামেন। পরে সন্ধ্যার দিকে নকলা পৌর শহর থেকে অটোরিকশাসহ ওই ২২ বস্তা চাল জব্দ করে পুলিশ। আটক করা হয় অটোচালক রানা মিয়াকে। এ ব্যাপারে মিলমালিক আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় নকলা থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৯ ভারতীয় জেলে জেলহাজতে

 মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
জব্দ ট্রলার। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ ট্রলার। ছবি: আজকের পত্রিকা

সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনের মামলায় ৯ ভারতীয় জেলেকে বাগেরহাটের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান এসব কথা নিশ্চিত করেন।

ওসি মো. আনিসুর রহমান জানান, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ফেয়ারওয়ে বয়াসংলগ্ন গভীর সাগর থেকে গত বুধবার বিকেলে এফবি এনি নামে একটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার আটক করে টহলরত নৌবাহিনী। ট্রলারটি সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে এ দেশীয় জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করছিল। ট্রলারটিতে থাকা ৯ জেলের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকায়।

ওসি আরও জানান, ট্রলারটিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোংলার ফেরিঘাটে নিয়ে আসে নৌবাহিনী। এরপর জেলেদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। জেলেদের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন আইনে মামলার পর আজ দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা জৈষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আটক ট্রলারটিতে প্রায় দেড় টন (১৫০০ কেজি) টুনা ফিস রয়েছে। আদালতের নির্দেশেনা অনুযায়ী, এ মাছ নিলামে বিক্রি কিংবা অন্য যেকোনো প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এলাকাবাসীকে একত্র করতে মাইকিং, পাল্টা হামলা ঠেকাল পুলিশ

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া শহরের নারুলী পশ্চিমপাড়ায় পুলিশের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া শহরের নারুলী পশ্চিমপাড়ায় পুলিশের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়া শহরের নারুলী পশ্চিমপাড়ায় বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ঘটনার জেরে পাল্টা হামলা ঠেকিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে নারুলী পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে একত্র হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এ খবর পেয়ে উত্তর চেলোপাড়ার (সান্দারপট্টি) লোকজনও সংগঠিত হতে থাকে। ফলে নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দেয়। পরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় নারুলী রেলগেট এলাকায়।

দুপুরে জুমার নামাজের সময় পুলিশ উত্তর চেলোপাড়া এবং নারুলী পশ্চিমপাড়া মসজিদে ইমামের মাধ্যমে জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায়; যে কারণে সন্ধ্যা পর্যন্ত নতুন করে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নারুলী পশ্চিমপাড়ায় কমপক্ষে ৩০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। উত্তর চেলোপাড়ার (সান্দার পট্টি) ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে দুই শতাধিক নারী-পুরুষের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, ‘উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কোনো পক্ষই যেন আইন নিজ হাতে তুলে না নেয়, সে জন্য মসজিদে নামাজে আসা লোকজনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর চেলোপাড়া বটতলা এলাকায় তিন যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের মধ্যে রবিন নামের এক যুবক মারা গেছেন মর্মে গুজব ছড়িয়ে বিকেলে নারুলী পশ্চিমপাড়ায় হামলা চালায় উত্তর চেলোপাড়ার বাসিন্দারা। এ সময় কমপক্ষে ৩০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর পর থেকেই দুই মহল্লার বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেহেশতের টিকিট বিক্রিকারী দলের কথায় কান দেওয়া যাবে না: এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর পৌর মহিলা বিএনপির যৌথ সভায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুর পৌর মহিলা বিএনপির যৌথ সভায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: আজকের পত্রিকা

একটি ইসলামি দল গ্রামে গ্রামে গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে। বিশেষ ইসলামি ওই দলের কথায় কান দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

আজ শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌর মহিলা বিএনপির যৌথ সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা করেন।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, যারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে গুম-খুন, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে, এখন তাদের সঙ্গ দিচ্ছে একটি ইসলামি দল। কীভাবে স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করা যায়, সেই পাঁয়তারা করছে ইসলামি দলটি।

পাশাপাশি দলটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে। দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে নাকি বেহেশত পাবেন। বেহেশত এত সহজ নয়। বেহেশত পেতে হলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এ দেশের নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে দেশের জন্য কাজ করেছেন, ঠিক একইভাবে তারেক রহমানও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

তাই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান। তিনি এখন থেকে চিন্তা করছেন—কীভাবে দেশে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও চাকরির ব্যবস্থা করা যায়। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান ও চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।

এ্যানি আরও বলেন, ‘১৭ বছর দেশের বাইরে থেকে তারেক রহমান দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বেগম জিয়া কারাগারে ছিলেন। তবুও ঐক্যবদ্ধ বিএনপিকে বিনাশ করতে পারেনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই। নারী ভোটারদের সুসংগঠিত করতে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। বিশেষ ইসলামি ওই দলের কথায় কান দেওয়া যাবে না।’

পৌর মহিলা বিএনপির সভাপতি সালমা আক্তার রুমির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্যে দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, জেলা বিএনপি নেতা ও বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজ উদ্দিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত