Ajker Patrika

‘প্রধানমন্ত্রী সব হারিয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে আপন করে নিয়েছেন’

নাটোর প্রতিনিধি
‘প্রধানমন্ত্রী সব হারিয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে আপন করে নিয়েছেন’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণের সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয় সুনিশ্চিত। চলতি বছরই দেশে অনেকগুলো মেগা প্রজেক্টের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে উন্নয়নের সুফল শিগগিরই জনগণ পেতে শুরু করবেন’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

আজ রোববার দুপুরে শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭৫ ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে কিছু বিশৃঙ্খলা হয়েছে যা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার না হলে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়ত। অথচ যারা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন তাঁরা গত দুই দশকে এত বেশি ভোটার উপস্থিতির নির্বাচন দেখাতে পারবেন না। 

ওবায়দুল কাদের দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্য বিনষ্ট করে দলকে ছোট করেছেন, সরকারের উন্নয়নকে ম্লান করে ফেলেছেন তাঁদের সবার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই তালিকার রেশ শেষ হবে না। সবাইকে তাঁদের কর্মফল ভোগ করতে হবে। 

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির লোকজন ২৪ ঘণ্টাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলেন। নির্বাচন যত সামনে আসে বিএনপি ততই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আন্দোলন ও নির্বাচনে বিএনপি ফেল করেছে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে জনগণের সমর্থন হারিয়েছে বিএনপি। তারা নির্বাচনে বিজয়োল্লাস করতে না পেরে হতাশ হয়ে গেছে। আসলে বিএনপির রাজনীতি খাদে পড়েছে। বিএনপি চোরাগোপ্তা পথে ক্ষমতায় আসার খোয়াব দেখছে। অথচ বিএনপি বলতে পারবে না কোন উন্নয়নের জন্য জনগণ তাঁদের ভোট দেবে। বিএনপি দেশের উন্নতির জন্য কিছু করেনি। তাঁদের দক্ষতা অগ্নিসংযোগে, দুর্নীতি আর অপপ্রচারে রয়েছে। বিএনপি আওয়ামী লীগকে হুমকি দেয়। বড় বড় কথা বলে। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলে বিএনপির লাফালাফি আর বেশি দিন থাকবে না। আওয়ামী লীগ বিজয়ের তরীতে উঠলে বিএনপির লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির সুবিধাবাদী, অনুপ্রবেশকারী লোকজন দলীয় ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে চলেছে। দলে ঘাপটি মেরে থাকা বিপথগামী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের এত সুনাম সামান্য কিছু মানুষের জন্য ম্লান হতে দেওয়া হবে না। দলের প্রতিটি কর্মীর আচরণ ভালো করতে হবে। আচরণ ভালো না হলে জনসমর্থন বাড়বে না। যারা চেয়ারে বসে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, ক্ষমতা ছাড়লে তাঁরা বিপদে পড়ে যাবেন। দলের নেতাদের নেতাগিরি স্লোগান, মাতব্বরি, ক্ষমতার আস্ফালন বন্ধ করতে হবে। এসব দেখিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যাবে না। জনগণ যাকে ভালোবাসে তাঁর নেতাগিরি, স্লোগান বা আস্ফালন লাগে না। 

গতকাল শনিবার নাটোরে দুই পক্ষের সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই সম্পাদক পদ প্রত্যাশীর অনুসারীদের সংঘর্ষ সম্মেলনের পরিবেশ নষ্ট করেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে বিশৃঙ্খলার করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ছোট করা হয়েছে। এ নিয়ে দুজনকেই জবাবদিহি করতে হবে। নিজেদের সম্মেলনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হলে এমন সম্মেলন প্রয়োজন নেই। নিজেরা নিজেদের মধ্যে কলহ ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট করলে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রা থেমে যাবে। 

তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনার রক্ত আপস জানে না। তাই সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে একে একে সব হারিয়ে শেখ হাসিনা দেশের ১৭ কোটি মানুষকে আপন করে নিয়েছেন। 

বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি আকাশ বাতাস মাটির তলায় আওয়ামী লীগকে দেখতে পান। যারা সার্চ কমিটিতে আছে তারা সবাই নাকি আওয়ামী লীগ। বিএনপি মহাসচিবের চিকিৎসা দরকার। 

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, দেশকে বারবার পিছিয়ে দিয়েছে বিএনপি। এগিয়ে দিয়েছে দুর্নীতির দিকে, অপশাসনের দিকে। দেশের গণতন্ত্র পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে বিএনপি। তাই তাদের মুখে গণতন্ত্রের শিক্ষা শোভা পায় না। 

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম, ড. কামাল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা উপকারভোগী মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, তাঁরা এখন সরব হয়ে গণতন্ত্রের নসিহত দিচ্ছেন। এসি ঘরে বসে তাঁরা জাতিকে পরামর্শ দেন যা অশুভ লক্ষণ ও ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁরা বিএনপির পথে হাঁটছেন। দেশকে যারা পাকিস্তান বানাতে চান তাঁদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে তা আর কোনো অপশক্তি বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। এ জন্য সর্বস্তরের আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। 

সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন-প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, প্রফেসর মেরিনা জাহান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাউজানে সিএনজি-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষ, সবজি ব্যবসায়ী নিহত; আহত ৩

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
নিহত নাজিম উদ্দীন । ছবি: সংগৃহীত
নিহত নাজিম উদ্দীন । ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নাজিম উদ্দীন (৪০) নামের এক সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের অদুদিয়া সড়কের আতুন্নিরঘাটা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাজিম উদ্দীন চিকদাইর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রমজান আলী তালুকদার বাড়ির মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহর থেকে মুরগির বাচ্চাবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান আসার সময় নতুন হাট থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং কাভার্ড ভ্যানটি সড়ক থেকে ছিটকে ধানখেতে পড়ে যায়।

এতে সিএনজিতে থাকা যাত্রী নাজিম উদ্দীন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত নাজিমের সঙ্গে থাকা মানিক নামের এক যুবক জানান, নাজিম উদ্দীন ভোরে সবজি কেনার জন্য নতুন হাট থেকে অটোরিকশায় করে চট্টগ্রাম নগরীতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, কাভার্ড ভ্যানটি রং সাইডে এসে অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। নিহত নাজিম উদ্দীন চার কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পর রাউজান থানা-পুলিশ গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে মারধর, হাসপাতালে মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ধর্ষণের অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আবু হানিফ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার শাহাদাত হোসেন। নিহত আবু হানিফ (৩০) পেশায় নিরাপত্তাপ্রহরী। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, দুপুরে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করেন। বাসা থেকে তুলে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় তাঁকে মারধর করা হয়।

নিহত ব্যক্তির মেজ বোন রাবেয়া বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে হানিফ বাসায় শুয়ে ছিলেন। এলাকার কিছু ছেলে বাসায় এসেই ভাইয়েরে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়। আমাদের কোনো বাধা শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তা-ও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে, সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন মেয়ে, কবে তার কিছুই আমরা জানি না।’

নিহত ব্যক্তির ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক বাসায় ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। বাসায় আসার পর ওই ছেলেরা আমাকে ধইরা খানপুর জোড়া টাংকির মাঠে নিয়া যায়। তখন দেখি, আমার সম্বন্ধীরে (হানিফ) ভেতরে বসায়া রাখছে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামে স্থানীয় একজনরে চিনছি। সন্ধ্যায় হানিফ ভাইরে অটোতে তুইলা নিয়ে কোথায় যেন চলে যায়। অনেক পরে আমরা তারে হাসপাতালে পাই।’

হানিফ খানপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর স্ত্রী তিন শিশুসন্তানকে নিয়ে কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গেছেন বলে জানান নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা।

নিহত ব্যক্তির বাবা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ছেলে অপরাধ করলে তারে শাস্তি দিব আইনে। কিন্তু তারে মাইরা ফেলল কোন যুক্তিতে! আমি এর বিচার চাই।’

এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টার কোনো অভিযোগ আগে আমাদের থানায় কেউ করেনি। পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে পায়। ধর্ষণের আসলেই কোনো চেষ্টা হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: বড় ভাইয়ের মামলা, আসামি মাহিরসহ ৩

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। সকালে আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।

ডিসি মল্লিক আহসান বলেন, ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে মাহিরসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় টিউশনি করতে গিয়ে খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। তিনি এক বছর ধরে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামে একটি বাড়িতে এক ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) পড়াতেন। ওই বাড়ির সিঁড়িতেই তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রৌশান ভিলার সিঁড়িতে জোবায়েদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ১৫ তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাসার সামনে জড়ো হন জোবায়েদের সহপাঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে: শামীম বিন সাঈদী

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
আজ সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন শামীম বিন সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন শামীম বিন সাঈদী। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।

শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘আমরা পূর্ব থেকেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। তবে যেহেতু এটি প্রথমবার, আমার মনে হয় প্রাথমিকভাবে কিছুটা অসামঞ্জস্য দেখা দিতে পারে।’ মঙ্গলবার সকালে নেছারাবাদ উপজেলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানি থেকে কিছু লোককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে শুনছি। তবে সাদাপোশাকে এসে কাউকে তুলে নেওয়া আমি সমর্থন করি না। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে পরিচয় প্রকাশ করে এবং নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা উচিত। গ্রেপ্তারের সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাঁর অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করা প্রয়োজন। নিরীহ ও নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হলে তা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করব না।’

উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ) আসনে এখনো বিএনপি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ফলে এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী এককভাবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এবং নিয়মিতভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি নেছারাবাদে গণসংযোগে অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত