বিএনপিকে অনুরোধ করা হলেও নির্বাচনে আসেনি: খায়রুজ্জামান লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও ঢাকা
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩, ১৭: ৫২
Thumbnail image

বিএনপিকে নানাভাবে অনুরোধ করা হলেও তারা বিভিন্ন শর্তজুড়ে দিয়ে নির্বাচনে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। বিএনপি নির্বাচনে আসলে তিনি খুশি হতেন বলেও জানিয়েছেন নৌকার এই প্রার্থী। রাজশাহী সিটি নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিন আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন লিটন। রাজশাহী শহরের একটি রেস্তোরাঁয় এই ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী বুধবার রাজশাহী সিটি নির্বাচনে তিনজন মেয়র প্রার্থী থাকলেও ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী হিসেবে খায়রুজ্জামান লিটন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে যাচ্ছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘খুশি হতাম যদি বিএনপিসহ অন্য দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করত। নানাভাবে তাদের অনুরোধ করা হলেও তারা নানা রকম শর্ত জুড়ে দিয়েছে এবং ভোটে আসেনি। এখন তারা ভোটে না আসলে তো কিছু করার নেই। যারা এসেছে, তাদের নিয়েই ভোট হচ্ছে।’

এ সময় রাজশাহী সিটি নির্বাচনে অন্তত ৬০ শতাংশ ভোট পড়ার আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী। যদিও প্রচার শুরুর পর তিনি ৭০ শতাংশ ভোট পড়ার আশার কথা বলেছিলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখন ভোটের আশা ৬০ ভাগে নামিয়েছেন লিটন।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘এই নির্বাচনে তিনজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ১১২ জন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন। সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী আছেন আরও ৪৬ জন। কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাঁদের নিজ নিজ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনবেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ভোটার আনবেন। সব মিলিয়ে অন্তত ৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি আশা করছি।’ 

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে যে সাড়া আশা করেছিলাম, তার চেয়েও বেশি পেয়েছি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। জনগণের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে লিটন আরও বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে রাজশাহীর মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন। ভারতের সঙ্গে নৌপথে ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ খোলা হবে। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে সরাসরি বাস, ট্রেন ও বিমান চলাচল শুরু করাসহ আরও নানা প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
 
এসব প্রতিশ্রুতির অনেকগুলো একজন সিটি মেয়রের অধীনের কাজ নয়। এগুলো তিনি বাস্তবায়ন করবেন কীভাবে জানতে চাইলে লিটন বলেন, ‘এগুলো মেয়রের কাজ না। মেয়রের দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে না। তারপরও মেয়র মনে করলে এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে। এগুলো জটিল কোনো বিষয় না। সে জন্য আমি এই প্রতিশ্রুতিগুলো দিচ্ছি। আমার ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি আছে, তার কিছু পাঁচ বছরে বাস্তবায়ন সম্ভব। আর কিছু বাস্তবায়নে সময় লাগবে ১০ বছর।’ 

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, নাইমুল হুদা রানা, সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, তবিবুর রহমান শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত