Ajker Patrika

জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক পুনর্বহাল দাবি

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পুনর্বহালের দাবি জানালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে পৃথক দুটি কর্মসূচিতে এই দাবি জানান সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তার বলেন, ‘শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ শারীরিক শিক্ষা। এটি আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উন্নত দেশগুলো—যেমন জাপান, জার্মানি, সুইডেনে শারীরিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে। কারণ, তারা শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠদানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং মাঠেও প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে গুরুত্ব দেয়।’

স্বপ্না আক্তার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, আমাদের দেশে এখনো শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা খুবই কম, বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে তো এ বিষয়ে ধারণাই নেই।’

এর আগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। পরে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবকে স্মারকলিপি দেন।

কর্মসূচিতে সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিন বিশ্বাস এষা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিষয় পড়ানো হয়, তার বিরুদ্ধে এমন একটা প্রজ্ঞাপন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং সৃজনশীলতা-মননশীলতা বৃদ্ধি পায়। বিশ্বের অন্য দেশে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতকে বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানো হয়, সেখানে বাংলাদেশে কেন এই পদটি থাকবে না?’

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশেও শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে সংগীত ও শারীরিক চর্চার বিষয়টি আছে। তাহলে আমাদের দেশের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার পদে শিক্ষকের কোনো পদ না রেখে শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশকে কেন বাধাগ্রস্ত করা হবে?’

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক হারুন আর রশিদ বলেন, সংস্কৃতির কার্যক্রম একটা দেশের পরিচয়। তাই এই প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে সংগীতের মান কীভাবে আরও উন্নয়ন করা যায়, সেই চিন্তা করার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ২ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫ সংশোধন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদ বাতিল করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...