Ajker Patrika

কোটা আন্দোলনকারীদের দখলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

রাবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক দফা দাবিসহ সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ক্যাম্পাস দখলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। অপরদিকে বিক্ষোভ চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুসহ অন্য ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদেরও ক্যাম্পাসে দেখা মেলেনি।

মোটরসাইকেলে চড়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ এসেছে এই প্রতিবেদকের হাতে। ভিডিওতে দেখা যায়, মাদার বখ্স হলের সামনে কয়েকজন সহযোগী নিয়ে অবস্থান করছিলেন গালিব। এ সময় শহীদ কামারুজ্জামান হলের পাশ দিয়ে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মাদার বখ্স হলের দিকে এগিয়ে আসেন। বিক্ষোভকারীদের দেখেই দ্রুত মোটরসাইকেলে উঠে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান, বঙ্গবন্ধু হলে ভাঙচুর, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এদিন ক্যাম্পাসের কোথাও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে তাঁর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন একটু ব্যস্ত আছি। পরে কল দিচ্ছি।’ কিন্তু তিনি আর ফোন দেননি।

কোটা আন্দোলনকারীদের দখলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছবি: আজকের পত্রিকাএর আগে আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক হয়ে প্রধান ফটকের ভেতর দিয়ে প্যারিস রোডে যায়। সেখান থেকে মিছিলটি বিভিন্ন আবাসিক হলের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করছিলেন।

কোটা আন্দোলনকারীদের দখলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছবি: আজকের পত্রিকাসার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশবাহিনী সবাইকে রেখেছি। তারপরও একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এটা কারা ঘটিয়েছে আমরা জানি না। অবশ্যই এর তদন্ত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত