রাবি প্রতিনিধি
আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শুধু পড়াশোনা হয় গবেষণা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। আজ শনিবার সকালে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সমঝোতা শীর্ষক দিনব্যাপী এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের প্রকৌশল অনুষদ গ্যালারিতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শুধু পড়াশোনা হয় কিন্তু গবেষণা হয় না। ভারত আজকে নামমাত্র খরচে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে। কারণ তারা সব সময় প্রচুর গবেষণা করে।’
অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়ও গবেষণার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশে রিসার্চের কালচার তৈরি করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশে রাখতে হবে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে চায়, বাংলাদেশে সেই সুযোগ না থাকার কারণে তারা বিদেশে চলে যায়।’
‘বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন করতে হবে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের প্রতিষ্ঠানে রিসার্চের সুযোগ করে দেওয়া। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’ যোগ করেন ড. জাফর ইকবাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু জাফর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন প্রমুখ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট লেখক ও
শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে সহউপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভালো সিজিপিএ নিয়ে বের হয়ে যায় কিন্তু তাদের অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাচ্ছে না। উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার সুযোগ করে না দেওয়ার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে চলে যায়। আমাদের দেশের উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সহ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে জ্ঞান অর্জন করছি, তা প্রয়োগ করতে পারছি না। ওয়ার্কশপ রাখার পরও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্ব যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সে জন্য আমাদের উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা আবার এগিয়ে যাব।
রাবির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা বিনতে সুফির সঞ্চালনায় দেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৫৭ জন শিক্ষক, ১০০ জন শিক্ষার্থী, ২৫ জন অ্যালামনাই এবং ২২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক ও প্রতিনিধিগণ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শুধু পড়াশোনা হয় গবেষণা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। আজ শনিবার সকালে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সমঝোতা শীর্ষক দিনব্যাপী এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের প্রকৌশল অনুষদ গ্যালারিতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শুধু পড়াশোনা হয় কিন্তু গবেষণা হয় না। ভারত আজকে নামমাত্র খরচে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে। কারণ তারা সব সময় প্রচুর গবেষণা করে।’
অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়ও গবেষণার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশে রিসার্চের কালচার তৈরি করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশে রাখতে হবে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে চায়, বাংলাদেশে সেই সুযোগ না থাকার কারণে তারা বিদেশে চলে যায়।’
‘বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন করতে হবে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের প্রতিষ্ঠানে রিসার্চের সুযোগ করে দেওয়া। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’ যোগ করেন ড. জাফর ইকবাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু জাফর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন প্রমুখ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট লেখক ও
শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে সহউপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভালো সিজিপিএ নিয়ে বের হয়ে যায় কিন্তু তাদের অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাচ্ছে না। উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার সুযোগ করে না দেওয়ার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে চলে যায়। আমাদের দেশের উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সহ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে জ্ঞান অর্জন করছি, তা প্রয়োগ করতে পারছি না। ওয়ার্কশপ রাখার পরও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্ব যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সে জন্য আমাদের উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা আবার এগিয়ে যাব।
রাবির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা বিনতে সুফির সঞ্চালনায় দেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৫৭ জন শিক্ষক, ১০০ জন শিক্ষার্থী, ২৫ জন অ্যালামনাই এবং ২২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক ও প্রতিনিধিগণ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
১৬ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
১৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩৩ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে