Ajker Patrika

মানুষের আশা, নির্বাচনটা যথাসময়ে হবে: ড. দেবপ্রিয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে প্রাক্‌-নির্বাচনী উদ্যোগের আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় ড. দেবপ্রিয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে প্রাক্‌-নির্বাচনী উদ্যোগের আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় ড. দেবপ্রিয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানুষের আশা, নির্বাচনটা যথাসময়ে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন নির্বাচন এখন ক্রমান্বয়ে একটি অবধারিত ঘটনায় পরিণত হচ্ছে। যেকোনো একটি ঘটনায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে রাস্তা অনেক ক্ষেত্রে সমস্যাসংকুল থাকে। প্রত্যেকেই আশা করছেন, নির্বাচনটা হবে যথাসময়ে। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে এবং যে ফলাফল আসবে তা দেশে আগামী দিনের যে চেষ্টা, সেটাকে আরও এগিয়ে নেবে।

আজ শনিবার রাজশাহী পবার ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারের সম্মেলনকক্ষে ‘নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রাক্‌-নির্বাচনী উদ্যোগ’-এর আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অংশগ্রহণকারীরা দেখতে চাচ্ছে একটা নির্বাচন, যেখানে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন। ব্যয়কে নিয়ন্ত্রণ করা, সোশ্যাল মিডিয়া-সামাজিক মিডিয়ার অপব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং যথোপযুক্ত প্রার্থীকে দাঁড় করানোর ব্যাপারে খুব বড়ভাবে কথা আসছে।

নির্বাচনের ব্যয় যদি কমানো না যায়, তাহলে দুর্নীতি কমানো মুশকিল হবে। প্রত্যেকটা জনপ্রতিনিধি কী দায়িত্ব পালন করলেন, বাৎসরিকভাবে সেই হিসাব দেওয়ার কথা তাঁরা বারবার বলছেন।

দেবপ্রিয় বলেন, রাজশাহীকে কেন্দ্র করে চারটি বড় বড় বিষয় উঠে আসছে। রাজশাহী মরুকরণ হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে পদ্মা ও তিস্তার পানি সংকটকে নিরসন করা। দ্বিতীয়ত, জ্বালানি সংকট রয়েছে। বিশেষ করে গ্যাসের সমস্যা। যোগাযোগব্যবস্থার সমস্যার কথা এসেছে। এখানে শিল্প নেই। শিল্পায়নের ব্যাপারে অনেকে গুরুত্বারোপ করেছেন।

স্বাস্থ্যসেবা, মানসম্মত শিক্ষা, দরিদ্র মানুষের সামাজিক সুরক্ষার ব্যাপারে কথা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি এসেছে নিরাপত্তার বিষয়টি। এটি শুধু অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয় নয়, সামাজিক নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আসছে। নিরাপত্তার বিষয়টিকে মানুষ সুশাসনের সঙ্গে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে, প্রশাসনের দক্ষতা-সক্ষমতার সঙ্গে, রাজনৈতিক মনোভাবের সঙ্গে এবং সরকারের অভিপ্রায়ের সঙ্গে যুক্ত করে দেখেছেন। অর্থাৎ নিরাপত্তার বিষয়টিকে তাঁরা সামগ্রিকতায় বিচার করেছেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এ নিরাপত্তাকে যদি জোরদার করা না যায়, তাহলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা কষ্টকর হবে বলে অংশগ্রহণকারীরা বিবেচনা করেছেন। নির্বাচন-উত্তর নিরাপত্তার বিষয়টিও তাঁদের কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কাজেই এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

এর আগে পরামর্শ সভায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ সদস্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান, স্থানীয় দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, ডাসকোর কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, কলেজশিক্ষক মোশাররফ হোসেন, শিক্ষার্থী ফুয়াদ রাতুলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।

এ ছাড়া বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের সাধারণ নাগরিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক, রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি, আইনজীবী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ পরামর্শ সভায় অংশ নেন।

তাঁরা আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের বিবেচ্য বিষয় ও সরকারের কাছে প্রত্যাশার বিষয়গুলো তুলে ধরেন এবং সংস্কার, সুশাসন, নিরাপত্তা, প্রার্থী নির্বাচন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা সংস্কার, স্বাস্থ্য সংস্কার, আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ নানা বিষয়ে মত দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ: সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মহাসড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহাসড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের মস্তফাপুরে ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাছ ফেলে সড়ক অবরোধের প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালের দিকে এই অবরোধের সৃষ্টি হয়। বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গা ব্রিজ ও কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডসহ প্রায় আটটি স্থানে সড়কের পাশে থাকা গাছ কেটে ফেলে অবরোধ করা হয়। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবি ও সোমবার (১৬ ও ১৭ নভেম্বর) শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য রোববার সকাল থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের আটটি স্থানে গাছ ফেলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা ২০টির মতো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেন। পরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

মহাসড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মহাসড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এই ঘটনায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে গাছগুলো অপসারণ করে পুলিশ ও মাদারীপুর জেলা সদর এবং কালকিনি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের সঙ্গে গাছ সরানোর কাজে অংশ নেন স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা ১১টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রথমে কালকিনি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মহাসড়ক থেকে গাছ অপসারণের কাজ শুরু করে। পরে জেলা শহর থেকে আমরা যাই। গাছগুলো অপসারণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।’

ডাসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ডাসার ও কালকিনি থানার অংশে সাত-আট স্থানে সড়কের পাশে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলে দিয়ে চলে গেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে আমি চারটি ককটেলের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। এখন যান চলাচল শুরু হয়েছে।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। যান চলাচল শুরু হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি 
ক্ষতিগ্রস্ত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্ষতিগ্রস্ত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের রাজেন্দ্রপুর বাজারের সার্ভিস লেনে দাঁড়িয়ে থাকা বলাকা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত শেষরাতে এই ঘটনা ঘটে। আগুন দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে গাড়িটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতার বাড়িতে ভাঙচুর-ককটেল হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ভাঙচুর করা আসবাব। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙচুর করা আসবাব। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদ হাসান বিপ্লবের বাসায় ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বাড়িটিতে ককটেল হামলাও চালানো হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট বাড়িটিতে ভাঙচুর চলে।

খালেদ হাসান বিপ্লবের বাড়ি রাজশাহী নগরের মতিহার থানার কাজলা নতুন বউবাজার এলাকায়। হামলার সময় তাঁর বাবা হেলাল উদ্দিনকে (৬২) একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। আর মা খালেদা বেগমকে (৫৩) হাতুড়িপেটা করা হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।

খালেদ হাসান বিপ্লব গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে বাড়িতে নেই। তাঁকে খুঁজতে গিয়ে চালানো এই হামলায় বাড়িতে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল, টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসিসহ বাড়ির সব আসবাব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা চরম আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ১০০ থেকে ১৫০ জন ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে আসে। তখন বাইরে মূল ফটকে তালা দেওয়া থাকায় তারা ঢুকতে পারছিল না। পরে ৩০-৪০ জন প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকে। এরপর ভবনের সিঁড়ির পাশের আরেকটি গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। দোতলায় উঠে তারা খালেদ হাসান বিপ্লবকে খুঁজতে থাকে।

খালেদকে না পেয়ে বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বাধা দিতে গেলে খালেদের মা খালেদা বেগমকে হাতুড়িপেটা করা হয়। একপর্যায়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খালেদের মায়ের অনুরোধে পরে আগুন না দিয়ে ওই ব্যক্তিরা ফিরে যায়। তবে নামার সময় নিচতলায় থাকা তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে যায় তারা। এ ছাড়া তখন বাড়িটি লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশের টহল দলের তিনজন সদস্য রাতে বাড়িটি দেখে যান। তাঁরা খালেদা বেগমকে আগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। তবে ভয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে হাসপাতালে যেতে পারেননি খালেদা বেগম।

জানতে চাইলে নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমি রাতে থানায় ছিলাম না। ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগও করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অর্থায়নের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অর্থায়নের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

রাজধানী ঢাকায় ঝটিকা মিছিল আয়োজন ও অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ রোববার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ডিবির একাধিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

গত এক সপ্তাহ ধরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি এবং আগামীকাল ১৭ নভেম্বর সোমবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন আসামির মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যেই রাজধানীসহ সারা দেশে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ককটেল বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

সহিংসতা মোকাবিলায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট একযোগে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোথাও কোথাও বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত