দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
কমছে তাপমাত্রা, উঁকি দিচ্ছে কুয়াশা। ঘাসের ডগার শিশির জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তাই খেজুর গাছ থেকে আগাম রস সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন গাছিরা। শিগগিরই গাছে টাঙানো হবে রসের হাঁড়ি।
রাজশাহীর প্রায় সবগুলো উপজেলায় গ্রামে গ্রামে গাছিরা খেজুর গাছ বিশেষভাবে কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর সপ্তাহ দুই-এক পর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু হবে। শীতের পিঠাপুলি বানাতে খেজুর রসের জুড়ি নেই। খেজুর রস আর গুড়ের জন্য বিখ্যাত রাজশাহীর দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া উপজেলা। এখানকার গুড় নিজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করছেন গুড়ের আড়তদাররা ও অনলাইন ব্যবসায়ীরা।
রাজশাহী কৃষি বিভাগ বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি বিভাগ জেলায় গুড় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ৮ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। এ বছর ১৭৬ কোটি ৭০ লাখ ১০ হাজার ১০০ টাকা আয় হতে পারে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ২০২৩-২৪ মৌসুমের হিসেবে রাজশাহী জেলায় মোট খেজুরের গাছ রয়েছে ১১ লাখ আট হাজার ১৮টি।
জানা গেছে, শীতকালে খেজুর রস ও গুড়ের জন্য জেলার দুর্গাপুর, বাঘা, পুঠিয়া ও চারঘাট উপজেলা এরই মধ্যে সুখ্যাতি পেয়েছে। রাজশাহীর প্রায় ২৮ হাজার পরিবারের সংসার চলছে খেজুর রস ও গুড় বিক্রি করে। প্রায় ৫৪৩ হেক্টর জায়গাজুড়ে রয়েছে খেজুরগাছ। জেলায় বর্তমানে খেজুরগাছের সংখ্যা ১১ লাখ ১১ হাজার ৩৪৩ টি। রস ও গুড় থেকে গত মৌমুমে ১৪১ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় করেন এখানকার গাছিরা।
জেলায় সবচেয়ে বেশি খেজুর গুড় উৎপাদিত হয় বাঘায়। এ উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের উম্মে কুলসুম সাথী বলেন, আমরা অনলাইনে সারা দেশে ভেজালমুক্ত খাঁটি খেজুর গুড় সরবরাহ করি। প্রতি বছরের মতো এবারও অনলাইনে গুড় বিক্রির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতিমধ্যে বাড়ির খেজুর গাছগুলো চাচা ছিলার কাজ চলছে।
দুর্গাপুর উপজেলার মোহাম্মাদপুর গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, তার দাদা ও বাবাও খেজুর রস সংগ্রহ করতেন। তিনিও এ পেশাটি এখনো ধরে রেখেছেন। তার প্রায় ১৫০টি খেজুর গাছ চাচা ছিলার কাজ চলছে। সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে পুরো কাজ শেষ হতে।
গাছিরা বলছেন, রস ও গুড়ের উপার্জন দিয়ে বছরের ছয় মাস তাদের সংসারের যাবতীয় খরচ মেটে। বাড়তি টাকা থেকে অন্য মৌসুমি ফসলও উৎপাদন করছেন তাঁরা। রসে অতিরিক্ত জাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। ৩০ বছর ধরে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি করে বিক্রি করছেন দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের লুৎফর রহমান। কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
তিনি জানান, শীতের এই ছয় মাস তিনি আর হাতে কোনো কাজ রাখেন না। শুধু গাছ থেকে রস আহরণ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরকারি হিসেবে চলতি মৌসুমে মানুষ খেজুর গুড় থেকে লাভবান হবেন গাছিরা। এ অঞ্চলের খেজুর গুড়ের চাহিদা রয়েছে সারা দেশে। এখন ডিজিটাল যুগ। তাই অনেক শিক্ষিত বেকার অনলাইনে গুড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। হয়তোবা ভবিষ্যতে আমের মতো খেজুর গুড় বিদেশে রপ্তানি হবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছা. উম্মে সালমা বলেন, এবার রাজশাহীতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার খেজুর বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। গাছিরা এখন গাছ চাচা-ছিলার কাজ করছেন। এখানে প্রায় ২৮ হাজার পরিবারের সংসার চলছে খেজুর রস ও গুড় বিক্রি করে।
কমছে তাপমাত্রা, উঁকি দিচ্ছে কুয়াশা। ঘাসের ডগার শিশির জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তাই খেজুর গাছ থেকে আগাম রস সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন গাছিরা। শিগগিরই গাছে টাঙানো হবে রসের হাঁড়ি।
রাজশাহীর প্রায় সবগুলো উপজেলায় গ্রামে গ্রামে গাছিরা খেজুর গাছ বিশেষভাবে কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর সপ্তাহ দুই-এক পর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু হবে। শীতের পিঠাপুলি বানাতে খেজুর রসের জুড়ি নেই। খেজুর রস আর গুড়ের জন্য বিখ্যাত রাজশাহীর দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া উপজেলা। এখানকার গুড় নিজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করছেন গুড়ের আড়তদাররা ও অনলাইন ব্যবসায়ীরা।
রাজশাহী কৃষি বিভাগ বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি বিভাগ জেলায় গুড় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ৮ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। এ বছর ১৭৬ কোটি ৭০ লাখ ১০ হাজার ১০০ টাকা আয় হতে পারে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ২০২৩-২৪ মৌসুমের হিসেবে রাজশাহী জেলায় মোট খেজুরের গাছ রয়েছে ১১ লাখ আট হাজার ১৮টি।
জানা গেছে, শীতকালে খেজুর রস ও গুড়ের জন্য জেলার দুর্গাপুর, বাঘা, পুঠিয়া ও চারঘাট উপজেলা এরই মধ্যে সুখ্যাতি পেয়েছে। রাজশাহীর প্রায় ২৮ হাজার পরিবারের সংসার চলছে খেজুর রস ও গুড় বিক্রি করে। প্রায় ৫৪৩ হেক্টর জায়গাজুড়ে রয়েছে খেজুরগাছ। জেলায় বর্তমানে খেজুরগাছের সংখ্যা ১১ লাখ ১১ হাজার ৩৪৩ টি। রস ও গুড় থেকে গত মৌমুমে ১৪১ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় করেন এখানকার গাছিরা।
জেলায় সবচেয়ে বেশি খেজুর গুড় উৎপাদিত হয় বাঘায়। এ উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের উম্মে কুলসুম সাথী বলেন, আমরা অনলাইনে সারা দেশে ভেজালমুক্ত খাঁটি খেজুর গুড় সরবরাহ করি। প্রতি বছরের মতো এবারও অনলাইনে গুড় বিক্রির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতিমধ্যে বাড়ির খেজুর গাছগুলো চাচা ছিলার কাজ চলছে।
দুর্গাপুর উপজেলার মোহাম্মাদপুর গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, তার দাদা ও বাবাও খেজুর রস সংগ্রহ করতেন। তিনিও এ পেশাটি এখনো ধরে রেখেছেন। তার প্রায় ১৫০টি খেজুর গাছ চাচা ছিলার কাজ চলছে। সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে পুরো কাজ শেষ হতে।
গাছিরা বলছেন, রস ও গুড়ের উপার্জন দিয়ে বছরের ছয় মাস তাদের সংসারের যাবতীয় খরচ মেটে। বাড়তি টাকা থেকে অন্য মৌসুমি ফসলও উৎপাদন করছেন তাঁরা। রসে অতিরিক্ত জাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। ৩০ বছর ধরে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি করে বিক্রি করছেন দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের লুৎফর রহমান। কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
তিনি জানান, শীতের এই ছয় মাস তিনি আর হাতে কোনো কাজ রাখেন না। শুধু গাছ থেকে রস আহরণ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরকারি হিসেবে চলতি মৌসুমে মানুষ খেজুর গুড় থেকে লাভবান হবেন গাছিরা। এ অঞ্চলের খেজুর গুড়ের চাহিদা রয়েছে সারা দেশে। এখন ডিজিটাল যুগ। তাই অনেক শিক্ষিত বেকার অনলাইনে গুড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। হয়তোবা ভবিষ্যতে আমের মতো খেজুর গুড় বিদেশে রপ্তানি হবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছা. উম্মে সালমা বলেন, এবার রাজশাহীতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার খেজুর বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। গাছিরা এখন গাছ চাচা-ছিলার কাজ করছেন। এখানে প্রায় ২৮ হাজার পরিবারের সংসার চলছে খেজুর রস ও গুড় বিক্রি করে।
মাঠঘুরে দেখা গেছে, কেউ কেউ জমির আইল কেটে প্রস্তুত করছেন, কেউবা সেচ দিয়ে কোনোভাবে চারা রোপণের চেষ্টা করছেন। ডোবা-নালা থেকে শ্যালো মেশিনে পানি তুলে কাজ চালাচ্ছেন অনেকে। এতে জমিতে চাষ ও সেচে ব্যয় বেড়ে গেছে দ্বিগুণ।
১৫ মিনিট আগেজরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর ও কিছু ভ্যানচালক। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে, তবে শহরের কাঁচাবাজার ও পাইকারি দোকানে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, লোহার রিংয়ের সঙ্গে মিহি সুতো দিয়ে তৈরি এই জালে আটকা পড়ে শুধু মাছ নয়, শামুক-ঝিনুক, ব্যাঙ, কাঁকড়া, সাপ, কুচিয়াসহ বহু জলজ প্রাণি মারা যাচ্ছে। ফলে মিঠাপানির মাছসহ জীববৈচিত্র্য ভয়াবহ সংকটে পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের আমলে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামবিদ্বেষ হয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, এই রাষ্ট্রে ইসলামের পক্ষে কেউ দাঁড়ালেই তার বিরুদ্ধে জঙ্গি ট্যাগ দেওয়া হয়েছে, মৌলবাদী ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজেরা বলে অসাম্প্রদায়িক, নিজেরা বলে তারা ধর্মনিরপেক্ষ।
২ ঘণ্টা আগে