রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লি। যৌনপল্লির শিশু ও নারীদের নিয়ে কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী যৌনকর্মীর সংখ্যা হাজার দেড়েক হলেও রয়েছে কয়েক গুণ বেশি। এসব যৌনকর্মীদের রয়েছে বিভিন্ন বয়সের শিশু সন্তান। এসব শিশুরা পিতৃপরিচয় দিতে না পারায় হচ্ছে না জন্মনিবন্ধন।
জানা যায়, দৌলতদিয়া যৌনপল্লির সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত করতে এখানে বেশ কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কাজ করছে। তারপরও অনেক মেয়ে শিশুই মায়েদের পেশা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। অপরদিকে ছেলে শিশুরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আর যে গুটিকয়েক শিশু শিক্ষিত হচ্ছে তারা পড়ছে নানা ভোগান্তিতে। অতীতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির শিশুরা বাবর নামের ক্ষেত্রে যে কোনো একটা নাম ব্যবহার করে মোটামুটি চালিয়ে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের তেমন বড় ধরনের কোনো সমস্যাও হয়নি। বর্তমানে প্রতিটি মানুষের সঠিক জন্মনিবন্ধন অনলাইনে সংরক্ষণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির শিশুরা।
স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও যৌনকর্মী ও পল্লির শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের মাধ্যমে অস্থায়ী অভিভাবক দিয়ে জন্মনিবন্ধন করা হচ্ছে। তবে ওই সব অস্থায়ী অভিভাবকেরা থেকে যাচ্ছেন শঙ্কার মধ্যে। কারণ তাঁদের ঔরসজাত সন্তানদের পাশাপাশি আইন অনুযায়ী ভবিষ্যতে জন্মনিবন্ধন সূত্রে তাঁদের ওয়ারিশ হবেন ওই শিশুরা।
পায়াক্ট বাংলাদেশ নামে একটি সংস্থার কর্মী শেখ রাজিব বলেন, অতিতে জন্মনিবন্ধন অনলাইনে সংরক্ষণ না থাকায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লির শিশুরা তাঁদের বাবা নামের ক্ষেত্রে যে কোনো একটি নাম ব্যবহার করত। কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে সংরক্ষণ হওয়ায় জন্ম নিবন্ধন করতে পারছে না। কারণ জন্ম নিবন্ধনের সময় বাবা ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন পরছে। যে কারণে শিশুরা জন্ম নিবন্ধন করতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে আমার মতো অনেকেই আছে ওই সব শিশুদের অভিভাবক হয়ে জন্মনিবন্ধন করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এই অস্থায়ী অভিভাবকের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন হলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ এই শিশুগুলো যখন বড় হবে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে, বিবাহ করবে, জায়গা জমি ক্রয় করবে তখন কিন্তু তাদের বাবার পরিচয়পত্র দেখাতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি শঙ্কায় রয়েছি। কারণ নিজে পিতৃ পরিচয় দিয়ে অনেক শিশুর জন্মনিবন্ধন করিয়েছি। ওয়ারিশ সূত্রে ওই শিশু গুলো তার সম্পত্তির ভাগীদার হয়ে গেল। যে কারণে তিনি আর কোনো শিশুর জন্মনিবন্ধনে অভিভাবক হচ্ছে না।
ভুক্তভোগী যৌন পল্লির কয়েকজন শিশু জানায়, তাদের জন্ম যৌনপল্লিতে। বেড়ে ওঠা সেখানেই। তাদের মা থাকলেও নেই বাবার কোনো পরিচয়। ফলে বর্তমানে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। কেউ কেউ জন্মনিবন্ধন করতে না পারায় স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। আবার কেউ বিদ্যালয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ দেখাতে না পারায় লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের দাবি জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য সরকার পদক্ষেপ নিবে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাহাবুর রহমান জানান, পল্লির যেসব শিশুদের বাবার পরিচয় নেই তারা বাবার স্থানে অপ্রাপ্ত লিখে জন্ম নিবন্ধন করতে পাবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মেয়র, ইউপি সচিবকে অবহিত করেছে তিনি। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন কাজ করছে যেন সহজে যৌন পল্লির শিশুরা তাদের জন্ম নিবন্ধন করতে পারে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লি। যৌনপল্লির শিশু ও নারীদের নিয়ে কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী যৌনকর্মীর সংখ্যা হাজার দেড়েক হলেও রয়েছে কয়েক গুণ বেশি। এসব যৌনকর্মীদের রয়েছে বিভিন্ন বয়সের শিশু সন্তান। এসব শিশুরা পিতৃপরিচয় দিতে না পারায় হচ্ছে না জন্মনিবন্ধন।
জানা যায়, দৌলতদিয়া যৌনপল্লির সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত করতে এখানে বেশ কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কাজ করছে। তারপরও অনেক মেয়ে শিশুই মায়েদের পেশা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। অপরদিকে ছেলে শিশুরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আর যে গুটিকয়েক শিশু শিক্ষিত হচ্ছে তারা পড়ছে নানা ভোগান্তিতে। অতীতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির শিশুরা বাবর নামের ক্ষেত্রে যে কোনো একটা নাম ব্যবহার করে মোটামুটি চালিয়ে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের তেমন বড় ধরনের কোনো সমস্যাও হয়নি। বর্তমানে প্রতিটি মানুষের সঠিক জন্মনিবন্ধন অনলাইনে সংরক্ষণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির শিশুরা।
স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও যৌনকর্মী ও পল্লির শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের মাধ্যমে অস্থায়ী অভিভাবক দিয়ে জন্মনিবন্ধন করা হচ্ছে। তবে ওই সব অস্থায়ী অভিভাবকেরা থেকে যাচ্ছেন শঙ্কার মধ্যে। কারণ তাঁদের ঔরসজাত সন্তানদের পাশাপাশি আইন অনুযায়ী ভবিষ্যতে জন্মনিবন্ধন সূত্রে তাঁদের ওয়ারিশ হবেন ওই শিশুরা।
পায়াক্ট বাংলাদেশ নামে একটি সংস্থার কর্মী শেখ রাজিব বলেন, অতিতে জন্মনিবন্ধন অনলাইনে সংরক্ষণ না থাকায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লির শিশুরা তাঁদের বাবা নামের ক্ষেত্রে যে কোনো একটি নাম ব্যবহার করত। কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে সংরক্ষণ হওয়ায় জন্ম নিবন্ধন করতে পারছে না। কারণ জন্ম নিবন্ধনের সময় বাবা ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন পরছে। যে কারণে শিশুরা জন্ম নিবন্ধন করতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে আমার মতো অনেকেই আছে ওই সব শিশুদের অভিভাবক হয়ে জন্মনিবন্ধন করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এই অস্থায়ী অভিভাবকের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন হলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ এই শিশুগুলো যখন বড় হবে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে, বিবাহ করবে, জায়গা জমি ক্রয় করবে তখন কিন্তু তাদের বাবার পরিচয়পত্র দেখাতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি শঙ্কায় রয়েছি। কারণ নিজে পিতৃ পরিচয় দিয়ে অনেক শিশুর জন্মনিবন্ধন করিয়েছি। ওয়ারিশ সূত্রে ওই শিশু গুলো তার সম্পত্তির ভাগীদার হয়ে গেল। যে কারণে তিনি আর কোনো শিশুর জন্মনিবন্ধনে অভিভাবক হচ্ছে না।
ভুক্তভোগী যৌন পল্লির কয়েকজন শিশু জানায়, তাদের জন্ম যৌনপল্লিতে। বেড়ে ওঠা সেখানেই। তাদের মা থাকলেও নেই বাবার কোনো পরিচয়। ফলে বর্তমানে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। কেউ কেউ জন্মনিবন্ধন করতে না পারায় স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। আবার কেউ বিদ্যালয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ দেখাতে না পারায় লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের দাবি জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য সরকার পদক্ষেপ নিবে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাহাবুর রহমান জানান, পল্লির যেসব শিশুদের বাবার পরিচয় নেই তারা বাবার স্থানে অপ্রাপ্ত লিখে জন্ম নিবন্ধন করতে পাবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মেয়র, ইউপি সচিবকে অবহিত করেছে তিনি। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন কাজ করছে যেন সহজে যৌন পল্লির শিশুরা তাদের জন্ম নিবন্ধন করতে পারে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তালিকাভুক্ত সংগঠন ছাড়া কোনো সভা, সমাবেশ বা মানববন্ধনসহ কর্মসূচি পালন করতে হলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব কথা জানানো হয়।
৬ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের যানজট নিরসন ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে কাঁচপুর এলাকায় পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ পেলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আলী হোসেন (২৫) ও আনোয়ারা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. মিসকাতুল ইসলামের (২৪) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
১ ঘণ্টা আগে